অপ্রত্যাশিত প্ল্যান থেকে জন্ম নেয়া একটি নভেলা। তৃষ্ণা বসাকের ভাবনা।
সেদিন কয়েকজন সৃষ্টিশীল মানুষ আড্ডা দিচ্ছিলেন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে, আড্ডার শেষে একটি সবুজ রুমালের দেখা মিললো। একটি রুমাল কে বিড়াল করে দেবার জাদু তো প্রবাদের মত। এখানেও হলো তাই হঠাৎ পাওয়া সবুজ রুমাল টি পেয়েই সব ওলটপালট হয়ে গেল একদল সৃষ্টিশীল মানুষের ভাবনায়।জাদুর মতোই কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই ফেলে যাওয়া এক টুকরো রুমাল হয়ে গেলো ১২-ইয়ারি নভেলা ‘সবজে রুমাল রহস্য’।
পরপর লিখবেন ১২ জন। প্রথম পর্ব লিখলেন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় এবং শেষ করবেন তৃষ্ণা বসাক। মধ্যে থাকবেন ১০ জন যথাক্রমেঃ
পর্ব ২
সেদিন রাতে সুচন্দ্রার ঘুম ভেঙে গেল হঠাৎই। কি যেন অস্বস্তি। জল খেয়ে বাথরুমে ঘুরে এসেও যেন স্বস্তি হচ্ছে না। ডাইনিং টেবিলের ওপরে জলের বোতলটা রেখে ঘুম ঘুম চোখে ড্রইংরুমের পাশের কাঁচের দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে গেল। দরজার ওপারে বারান্দায় চাঁদের আলো। বারান্দার সংগে লাগোয়া বলে বসার হলটা খোলামেলা দেখায়। আরাম হয় চোখের।
বারান্দায় টেরাকোটা আর সুদৃশ্য চিনামাটির টবে গাছেদের পাতা নড়ে হাওয়ায়। জ্যোৎস্নায় অন্যরকম লাগে সব। চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে সুচন্দ্রা। সন্ধ্যেবেলার সব কথাবার্তা ঘুরে বেড়ায় মাথার মধ্যে।
সিন্ধু সরস্বতী নদীর ঢেউ পলি মাটিতে ছাপ ফেলে গেছে কত কত বছর আগে। সেই পুরনো মানুষদের জীবন কেমন ছিল কে জানে।
ডাঃ মিত্র সন্ধ্যেবেলা বললেন জেমস প্রিন্সেপ ব্রাহ্মীলিপি উদ্ধার করতে পেরেছিলেন। তা হলে কেউ নিশ্চয়ই এমন থাকবেন যিনি পড়ে বলতে পারবেন কি লেখা আছে রুমালে। গুগল নিয়ে বসার জন্যে হাত নিশপিশ করে সুচন্দ্রার। বড্ড রাত হয়েছে। শরীর খারাপ লাগবে এত রাতে জেগে বসে থাকলে, থাক।
আকাশের দিকে তাকিয়ে কি যেন মনে হল। আস্তে আস্তে কাঁচের দরজাটা খুলে বারান্দায় বেরিয়ে এল সুচন্দ্রা।
চাঁদের আলো মাখা হিমেল হাওয়া আলতো করে ছুঁয়ে গেল মুখ। যেন আদর করে গেল কেউ। কাঁধের কাছে কাঁপতে থাকে চুলের গোছা। চূর্ণ কুন্তল — কপালের ওপর থেকে চুল সরিয়ে দিতে দিতে হাসি ফুটে ওঠে সুচন্দ্রার মুখে। মনে পড়ে যায় কলেজের হার্টথ্রব মনোময় স্যারকে। কালিদাস পড়াতে এসে বলেছিলেন, কপালের ওপরে ছড়িয়ে পরা এই কোঁকড়া চুলই চূর্ণ কুন্তল বুঝলে?
হঠাৎ হাওয়ায় কিসের গন্ধ ?
ঝিমঝিম মিষ্টি, সেই পুজোর সময়কার ছাতিমফুলের রেশ? সেই রুমালের গন্ধ? ক্রমশ কাছে আসছে মনে হয়।
সুচন্দ্রা ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসে বারান্দার ধার থেকে। আস্তে আস্তে ড্রইং রুমের দিকে ঢুকে আসতে থাকে পিছিয়ে।
ডাকবে তাপসকে? না না, এত রাতে বাড়ির সবাইকে ব্যতিব্যস্ত করা যায় না।
কিন্তু ক্রমশ তীব্র হচ্ছে যে গন্ধটা।
কোনো রকমে ভিতরের দিকে সরে এসে একটানে দরজা বন্ধ করে সুচন্দ্রা। ধাক্কায় ঝনঝন শব্দ হয় দরজার কাঁচে।
ছুটে ঘরের মাঝখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে হাঁফাতে থাকে সুচন্দ্রা বুকে হাত রেখে।
তারপর যুক্তিতে ফিরে আসার চেষ্টা করে মাথাটা ঠান্ডা করে।
উফ। কি যে হয় মাথায় মানুষের। নিচে ফুটপাথের দিকে কত ছাতিমগাছ। নির্ঘাত সেই থেকেই গন্ধ ভেসে আসছে। এত কেন সাতপাঁচ ভাবি রে বাবা। সাধে কর্তা বলে ওভারএক্টিভ ইমাজিনেশন। ধুর।
শুয়ে পড়ি গিয়ে। এ সব নিয়ে কোন কথা নয়।
শুনলে শাশুমা এবং ছেলে সকাল থেকে পিছনে লেগে পড়বেন। আবার ফোন করে বন্ধুবান্ধবদের ও বলে হ্যা হ্যা করা চলবে। না না, নো হাসির খোরাক।
বাপু গন্ধ, তুমি যতই সন্দেহজনক হও আমায় জ্বালিও না।
ধীরে ধীরে কমে আসে বুকের ধুকপুকানি। শোয়ার ঘরের দিকে পা বাড়ায় সুচন্দ্রা।
চোখ বুজে থাকতে থাকতে ঘুম এসেই গেল অবশেষে।
গভীর ঘুমে তলিয়ে যেতে যেতে সুচন্দ্রা দেখতে পেল একটা দারুন ফ্লাওয়ারভাস। কি অপূর্ব জ্যামিতিক নকশা করা গায়ে। কলসির মত দেখতে। হাল্কা সাদার ওপরে নীল গোলাপি বেগুনি দিয়ে সমান্তরাল দাগের ফাঁকে গ্র্যাফিক ডিজাইন। ঘর সাজানোর নেশাখোর সুচন্দ্রা ঘুমের মধ্যেই হাসে। কিনতে হবে এই রকম একখানা।
সকালে কাজের মাসী বেল বাজায় দু তিনবার।
উঠতে দেরিই হয়ে গেল সুচন্দ্রার আজ। কেমন ম্যাজম্যাজ করছে গাটা। তাপসকে আর শাশুড়ীমাকে চা দিয়ে, নিজের কাপটা নিয়ে বসে এসে ড্রইংরুমের সোফায়। সকালের রোদে ঝলমল করছে বারান্দা ঘর।
রাতের গন্ধ টন্ধ কি হাস্যকর মনে হচ্ছে ভেবেই।
ভাগ্যিস চেঁচিয়ে উঠিনি — মনে মনে ভেবে আশ্বস্ত হয় সুচন্দ্রা।
এক হাতে ফোন স্ক্রল করতে থাকা তাপস ডাক দেয়, এই দ্যাখো, দেখে যাও, তোমার ইন্দো- সরস্বতীদের কার্যকলাপ।
জ্যামিতি তো বটেই, বিজ্ঞানের উন্নতি ও কতদূর ছিল যে এদের, তা ওই ব্রাহ্মীলিপি ভাল করে উদ্ধার করলে টের পাওয়া যাবে। তবে এটুকু দেখেই বুঝছি, নেহাত হেলাছেদ্দা করার মত ছিল না।
দেখেছ ডিজাইন? তোমার পটারিওয়ালাদের হার মানায়।
ফোনটা সুচন্দ্রার দিকে বাড়িয়েই দিয়েছে তাপস।
পটারি শুনেই কি যেন খচ করে উঠলো ভেতরে।চায়ের কাপটা টেবিলে রেখে সুচন্দ্রা তাড়াতাড়ি এগিয়ে গিয়ে মোবাইলটা হাতে নেয়।
আর নিয়ে নিশ্বাস টেনে দাঁড়িয়ে পড়ে।
এত সেই ডিজাইন!!!!
সেই কলসি!!
সিরামিকের পটারি বলে ছবি দেয়া আছে। সরস্বতী নদীর খাতে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে পাওয়া জিনিসের মধ্যে পাওয়া গেছে বলে জানাচ্ছে ইন্টারনেট।
জানাচ্ছে, সেই পাঁচহাজার বছর আগের মানুষেরা জ্যামিতিক অনুপাতে রাস্তাঘাট বাড়িঘর মায় ঘরসাজানোর জিনিসপত্রর নকশাও আঁকত। এত সুন্দর সব গয়না পাওয়া গেছে এই সব গেরস্থালির মধ্যে থেকে, আজকের দিনের গয়নারাও হার মেনে যাবে।
–দেখেছ কি উন্নত ছিল এদের টেকনলজি।
তাপসের প্রশ্নে ঘোর কাটে সুচন্দ্রার।
হ্যাঁ, সে ত ঠিক। কিন্তু এই ডিজাইনার কলসিকে আমি কাল দেখতে পেলাম কেন?
বলব তাপসকে? না কি হাস্যকর বলে উড়িয়ে দেবে?
এইসব দোনামোনা করতে করতেই কাজের মাসির চীৎকার, কি কাটব বললে না যে —
— হ্যাঁ হ্যাঁ, এই ত আসি। বাবা গলায় কি সকাল থেকে খেয়াল গাইবার রেওয়াজ করে আসো?
ফুলকপির ডালনা আর পেঁয়াজকলি দিয়ে চিংড়ির তলায় চাপা পড়ে গেল মাঝরাতের স্বপ্ন।
সকালের জলখাবার, বিকেলে বেয়াই বেয়ান আসবেন তার প্রস্তুতি সেরে, দুপুরের খাওয়ার পর একটু ফাঁক পাওয়া গেল। লাঞ্চ সেরে বাকি খাবার ঢাকাঢুকি দিয়ে ফ্রিজে তোলার সময় আবার মনে পড়ল সেই সেরামিকের কলসিকে।
একেবারে আজকের দিনের অতি সফিস্টিকেড ডিজাইন।
মানুষগুলো ?
তারাও কি আমাদের মতনই ছিলো ?
সুখে দুখে রাগে অভিমানে। ভেতরে কি যেন শিরশির করে । একই রকম ছিল আক্রমণেও, হিংসাতেও?
কে ফেলে রেখে গেল এই অদ্ভুত নিশান? কেন? কেন?
ঘরে গিয়ে শুতে শুতে স্প্যাম কলারের গলাটা মনে পড়ল সুচন্দ্রার। কি যে বলে গেল সে লোকটা।
তাপস খবরের কাগজে ক্রোড়পত্র ওল্টাচ্ছিল গল্পের খোঁজে। মুচকি হেসে বলল, কি গিন্নী কি ভাবো? গল্প কিছু পেলে খুঁজে? রোমাঞ্চকর রোমহর্ষক বা আর ও কিছু বিশেষণ সমৃদ্ধ ? তা হলে নয় লিখে পাঠিয়ে দিতে পারো কাগজে। এরা গপ্পো চাইছে কিন্তু।
সুচন্দ্রা ফ্যাকাসে হেসে বিছানার একপাশে চোখের ওপর হাতটা চাপা দিয়ে শোয়।
মনে ভাবে পরের বার যদি কল আসে সংগে সংগে রেকর্ড করব। তবে ত কাউকে বলা যাবে সে ভাষার মর্মার্থ উদ্ধার করার কথা।
বৈজ্ঞানিক চিন্তাকে কনশাসলি চালু করার চেষ্টা করে সুচন্দ্রা। ঝিমঝিম মিষ্টি গন্ধ… কিসে কিসে থাকতে পারে? পরিচিত? হ্যাঁ ছাতিম ত আগেই মনে হয়েছিল। সে বাদে ?
মনে পড়ল এইরকম আরেকটা গন্ধ, হ্যাঁ, ছাতিমের চেয়েও এটা বেশি রকম মিল।
ক্লোরোফর্ম।
সেই যে বঁটিতে হাত কেটে গেল তখন কাছের হাসপাতালে সেলাই করতে নিয়ে গেছিলেন শ্বশুরমশাই। অত রক্ত দেখেই মাথা ঘুরছিল সুচন্দ্রার। এত কাঁদতে দেখে এমার্জেন্সির মেডিক্যাল অফিসার তুলোয় একটা কিছু দিয়ে নাকের কাছে ধরেছিলেন টেবিলে শুইয়ে দিয়ে। ওই এক মুহূর্তেই ঝিমঝিম করা মিষ্টি গন্ধটা আচ্ছন্ন করে ফেলেছিল সুচন্দ্রাকে। যখন চোখ খুলেছিল ততক্ষণে সেলাই হয়ে গেছে।
সেই রকমই একটা গন্ধ ছিল কি রুমালটায়?
নানা রকম চিন্তার জালে ডুবে চোখটা লেগে এসেছিল বুঝি ।
স্বপ্নেরা আবার ভেসে আসে মনের স্ক্রিনে ।
এক সুন্দরী বসে পাঁজ করে রাখা সাদা কাপাসের রোঁয়ায় কাঠের ছোট্ট একখান কি দিয়ে সুতলি পাকাচ্ছে । কাঠের পালিশ করা টুকরোটার ওপর নিচ সরু হয়ে ছুঁচলো । মাঝখানটা মোটা , যেন ভুঁড়িওয়ালা মানুষ একটা । ঘুমের ঘোরের মধ্যেই মনে ভাসে সুচন্দ্রার লেকে ছোটবেলায় কুড়িয়ে পাওয়া বকুলের ফলের চেহারা । এই মহিলা কি করছে বসে ?
ধীরে ধীরে সুতো পাকিয়ে উঠতে থাকে সুন্দরীর আঙুলের ফাঁকে । তার ঠোঁটে জাদুমাখানো আলতো হাসি ঘোরা ফেরা করে । পাশে ফিরে তাকাতে সুচন্দ্রাও পাশটা দেখতে পায় । তাঁত না ?
হিমাচলে হিড়িম্বামন্দিরের পাশের দিকের ঘরে মেয়েরা তাঁত চালাত , তখন দেখেছিল বটে সুচন্দ্রা । সেই রকমই একখানা তাঁত রাখা রয়েছে এ মেয়েটির পিছন দিকে ।
আচমকা সুচন্দ্রার চোখে চোখ রাখে মহিলা ।
খয়েরী চোখের মণি বিস্ফারিত হয় ।
তারপর জল ভরে উপচে পড়তে থাকে গাল বেয়ে । ধোঁয়ার মত কাঁপতে কাঁপতে মুছে যেতে থাকে ছবি ।
বুকের মধ্যে ছটফট করতে থাকে সুচন্দ্রার ।
আর ঘুম ভেঙ্গে যায় কি একটা অবুঝ কষ্টের মধ্যে ।
বিকেলে সুচন্দ্রা একাই ওপরের ফ্ল্যাটে হানা দিল ।
ডঃ মিত্র এক গাল হাসলেন দরজা খুলে ।
–কি সৌভাগ্য , কি সৌভাগ্য ,আসুন আসুন । গিন্নি , কে এসেছেন দেখো ।
মিত্রজায়া বেরিয়ে এসে আপ্যায়ন করে বসালেন সোফায় । বললেন , বসুন ভাই , চা আনি ।
সুচন্দ্রা আগেই বলল , চা ছাড়া আর কিছুটি নয় কিন্তু । এখুনি শাশুড়ি মায়ের সংগে বসে স্যান্ডুইচ খেয়ে এলাম ।
তারপর ডঃ মিত্রর দিকে ফেরে , একটা দরকারে এলাম দাদা ।
আগের দিন ইন্দো- সরস্বতী সভ্যতার কথা বলছিলেন ।
উৎসাহে চকচকে হয়ে ওঠে ইতিহাসবিদের চোখ , হ্যাঁ হ্যাঁ , সেই যে রুমাল —
মিত্রগিন্নি ইতিহাসের অহর্নিশ পাগলামো দেখে ঝালাপালা ।
অতি বিরক্ত মুখে , তোমরা কথা বল আমি চা টা করে আনি বলেই পালিয়ে গেলেন ।
সুচন্দ্রা বিস্তারিত জেনে এল , সরস্বতীর তীর ধরে গড়ে ওঠা এই সভ্যতায় মেয়েরা কতখানি দ্বায়িত্ব নিয়েছিল । তারা বিজ্ঞানে আর শিল্পে এগিয়েছিল কতখানি । আর হ্যাঁ , একেবারে প্রথম থেকেই তুলোর থেকে মসৃণ সুতোয় বোনা কাপড় তৈরিতে তাদের দক্ষতার কদর সারা পুবের দুনিয়াতে ছড়িয়ে পড়ছিল সেখানকার সাগর পাড়ি দেওয়া জাহাজি ব্যবসায়ীদের কল্যাণে ।
থ্যাংক ইউ জানিয়ে নিজের ঘরে নেমে আসতে আসতে সুচন্দ্রা গভীর ভাবনায় ডুবে যাচ্ছিল ।মসৃণ কাপাসের সুতোয়ে বোনা , ব্রাহ্মীলিপিতে সাজানো সবুজ রুমাল আমার ঘরে কেন ?
কে সুন্দরী শিল্পী আমার সংগে যোগাযোগ করছ ? কে পাঠাচ্ছে সুগন্ধী সংকেত ?
ফোনে কার গলা ?
নাহ । ক্রমশ গুলিয়ে যাচ্ছে সব মাথার ভেতরে ।
পরের অংশ আগামী শনিবার…

আইনগত পরিচয়, সোনালি মুখোপাধ্যায় ভট্টাচার্য । পেশায় চিকিৎসক। সপ্তর্ষি প্রকাশন থেকে,”প”, “৫০শে প্রেম” ও “স্টেথোস্কোপ এর পান্ডুলিপি ১ ও ২, ভাষা নগর পুরস্কারে সম্মানিত ২০১৬য়। কাগজের ঠোঙা প্রকাশনের ২০১৭, কবিতার বই ঃ পরমেশ্বরী। ২০১৮ য় ছোটদের গল্পের বই ” রঙ পেন্সিল ও রহস্যের গল্প ” । অণুগল্পের জনপ্রিয় বই ঃ সোনালিনামা ২০১৯ প্রকাশিত রহস্য উপন্যাস, হাভেলি আর ল্যাপটপের গল্প আর গল্পের বই ঃ নানান রকম প্রেমের গল্প । ২০২১এ উপন্যাস : মাধব রাইয়ের গুপ্তধন। ২০২২,গোয়েন্দা গল্প, পুনপুন চরিত। ২০২৩, অলৌকিক গল্পের বইরা: হঠাৎ যদি, এবং আলোর গল্প ও অন্ধকারের গল্প ।
২০২৪ : বই : টেক্কা দোক্কা তেক্কা রহস্য, ৬ প্রেমে ছক্কা।
এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাল ও মুদ্রিত পত্রিকায় ও প্রকাশিত হচ্ছে সোনালির লেখারা।