সৈকত শী’র তিনটি কবিতা
আজ ২২ অক্টোবর কবি সৈকত শী’র জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার কবিকে জানায় আন্তরিক শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।
একটা ছাত্রাবাস
বন্দি অনেক স্বপ্নেরা
লো ভোল্টেজে বাল্ব জ্বলে
বেলা শেষের চিংড়ি মাছ রঙআমার শ্রী হীন ঘর
আমার নিজের মত
চোখের ঠুনকো স্বপ্ন
নোনা দেওয়াল বালি ঝরে পড়ে
চারপাশে দেখি নানা মুখ
রং করা দেওয়ালের মত
নদী তুমি ভাসিয়ে নিয়ে চল
সময়ের কাল বয়ে নাবিক হতে চাই
তারে ঢাকা শহরে
তারে ঢাকা পড়ে যাবে একদিন
পুরো শহর, খোলা আকাশে
উড়বে না আর কোনো স্বপ্নের ঘুড়ি,
মাঞ্জা টা আটকে পড়বে তারে
খাবি খাবে নুতন স্বপ্নে রা।
এই শহরের আকাশে একদিন
উঠত কোজাগরী ও ইদের চাঁদ,
তার আর কংক্রিটের জঙ্গলে আজ হাঁসফাঁস ।
শুধুই জমাট অন্ধকার-
কৃত্রিম আলোয় উদ্ভিদের সালোকংশ্লেষ।
হলদে বিবর্ণ পাতার
এই শহরে একদিন
থাকবে না দিন রাতের ভেদ
চোরাবালিতে হারিয়ে যায়
ভোরের স্বপ্ন আর সূর্য…আসলে এখন আমি কান্না খুঁজি না
আসলে এখন কোনো ব্যাথা পাই না
আসলে দেখেছি কত রঙিন শৈশব
হারিয়ে যেতে। দারিদ্রের যুদ্ধে।
আসলে চিনেছি ফুটপাত কি?
ভাবিনি ওটা কারও ঘর হতে পারে !
আসলে ভাবিনি ‘নবান্ন’ নাটকের দৃশ্যপট
এতটা কালজয়ী। নবান্ন আছে !
খুঁজে পাইনি দীর্ঘ চৌত্রিশ বছরের সাম্যবাদ
সময় সারনি ধরে হেঁটে যায় বছর…
বছর আসে আর যায় ভাঙা উঠোনে ;
চৌকাঠের ওপারে পড়ে থাকে অভুক্ত পেট
সাম্যবাদ বদলে যায় অনুদানে
অনুদানে পেট ভরে না, ভরে ব্যালট বাক্স।
