Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com

নতুন যুগের ইঙ্গিত নরওয়ের বিজ্ঞাপনে সমকামী সান্তাক্লজ

Reading Time: 2 minutes

সান্তা বুড়োর ঠিকানা নাকি উত্তর মেরুতে। সেখানে তার সংসারে কে আছে, তা নিয়ে খুব একটা কৌতূহল কারও নেই বললেই চলে। প্রত্যক বড়দিনে ঘরে ঘরে শিশুরা তার কাছ থেকে উপহার পেলেই খুশি। সান্তার স্ত্রীর কথা কোনও কোনও লোকগল্পে শোনা গেলেও, তার ব্যক্তিগত জীবনকে কেউ সে ভাবে পাত্তা দেন না। দুনিয়াজুড়ে বাচ্চারা সারা বছর কতটা দুষ্টুমি করল, তা খেয়াল রেখে সেই বুঝে উপহার দেওয়াই যেন সান্তার মূল লক্ষ্য। 

বছর পেরিয়ে আবার একটা বড়দিনের মুখোমুখি আমরা। আর বড়দিন মানে অবশ্যই সান্তাক্লজ। পৃথিবীজুড়ে নানা বিজ্ঞাপনে বারবার দেখা গিয়েছে সান্তাক্লজকে। এবার তেমনই একটি বিজ্ঞাপনে হাজির হলেন সান্তাক্লজ, সমকামী চরিত্রে। সৌজন্যে নরওয়ের (Norway) ডাক সংস্থা (Postal Service) পোস্টেন। ৪ মিনিটের বিজ্ঞাপনমূলক একটি শর্টফিল্ম প্রকাশ করেছেন তাঁরা। ফিল্মের নাম ‘হোয়েন হ্যারি মিট সান্তা’ (When Harry Meet Santa)। ইতিমধ্যে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ দেখেছেন বিজ্ঞাপনটি। আর তাই নিয়ে নানা রকমের আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে।



একসময় পৃথিবীর সমস্ত দেশেই সমলিঙ্গ বিবাহ নিষিদ্ধ ছিল। তবে লিঙ্গসাম্য আন্দোলনের প্রভাবে ক্রমশ সেইসমস্ত আইন প্রত্যাহার করা হয়েছে অনেক জায়গায়। এর মধ্যে প্রথম সারির দেশ নরওয়ে। ১৯৭২ সালে সমলিঙ্গ বিবাহের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক আইন প্রত্যাহার করে নরওয়ে। আগামী বছর সেই আইন সংশোধনের ৫০ বছর পূর্ণ হবে। সেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তকে স্মরণীয় করে রাখতেই এই বিজ্ঞাপন সামনে এনেছে পোস্টেন। বিজ্ঞাপনের শুরুতে দেখা গিয়েছে, উত্তর মেরুতে সান্তাক্লজকে চিঠি লিখছেন একজন মধ্যবয়স্ক পুরুষ। চিঠিতে তিনি লিখলেন, এই বড়োদিনে তিনি শুধুই সান্তাকে চান। আর তাঁর চিঠি পেয়ে সত্যিই বড়োদিনের সন্ধ্যায় এসে হাজির হলেন সান্তা। প্রতি বছর এই একদিন সান্তাকে কাছে পান হ্যারি নামের ওই ব্যক্তি। সেইদিন তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে শারীরিক সম্পর্ক।

নরওয়ের মানুষ সমকামীদের সম্পর্কে যথেষ্ট ইতিবাচক মানসিকতা দেখিয়েছেন আগেই। এই বিজ্ঞাপনটিও ইতিমধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে ইউরোপের অনেক দেশে সমালোচনার ঝড়ও উঠেছে। বিজ্ঞাপনে অশ্লীলতার অভিযোগের পাশাপাশি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। ইতিমধ্যে ইংল্যান্ডে সরকারিভাবে একটি সমীক্ষাও চালানো হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ৪১ শতাংশ মানুষই এই বিজ্ঞাপনের বিরোধিতা করেছেন। সমর্থন করেছেন ৩৯ শতাংশ মানুষ। তবে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সমর্থনের হার অনেকটাই বেশি। আর পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি পরিমাণে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে ইতিমধ্যে যে পরিমাণ সমর্থন জুটেছে, তাতেই আপ্লুত পোস্টেন সংস্থার আধিকারিকরা। সমকামী মানুষদের সম্বন্ধে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি যে ক্রমশ বদলাচ্ছে, তারই উদাহরণ হয়ে থাকল এই বিজ্ঞাপন।

 

 

 

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>