বিদায় সরোজ খান

Reading Time: < 1 minute

৭১ বছর বয়সে তিনি ছেড়ে চলে গেলেন পৃথিবীর মায়া।

তার নির্দেশনায় নাচের মুদ্রা দেখিয়ে বলিউড জয় করা নায়িকার তালিকা বেশ দির্ঘ।  শ্রীদেবী থেকে শুরু করে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন- সবাই ‘মাস্টারজির’ একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন।

বলা হয় ‘তেজাব’ সিনেমার ‘এক দো তিন’ গানটি  দিয়েই নৃত্য পারদর্শী মাধুরী দিক্ষিত লাইমলাইটে আসেন। আর এই কোরিওগ্রাফিটি করেন সরোজ খান।

ভক্ত, ছাত্র আর বলিউডে তিনি পরিচিত ছিলেন এই নামেই।

মাস্টারজি বলতে এক ডাকে ছুটে আসতেন ভারতের আরেক নৃত্যগুরু প্রভুদেবা।

১৯৪৮ সালে জন্ম নেয়া সরোজ খানের ক্যারিয়ার শুরু হয় শিশু শিল্পী হিসেবে। পঞ্চাশের দশকে ব্যাক আপ নৃত্যশিল্পী হিসেবে বেশ কিছু সিনেমায় কাজ করেন।

স্বাধীনভাবে কোরিওগ্রাফির কাজ শুরু করে ১৯৭৪-এ৷ ছবির নাম ছিল ‘গীতা মেরা নাম‘৷ 

সদ্য প্রয়াত সরোজখান তিনবার জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছেন। চার দশকেরও বেশি সময়ের নিজের ক্যারিয়ারে ২০০০ এরও বেশি গানে কোরিওগ্রাফ করেছেন তিনি। 

‘হাওয়া হাওয়াই’, ‘ধক ধক করনে লাগা‘, ‘ডোলারে ডোলারে‘ গানগুলোর মত হাজারো গানে তার কোরিওগ্রাফি আজও অনেরে কাছে অনুকরণীয়।

২০১৯-এ ‘কলঙ্ক’ ছবিতে মাধুরী দীক্ষিতের গানে শেষ বারের মতো কোরিওগ্রাফি করেন তিনি। 

জানা গেছে, ভারতীয় স্থানীয় সময় আনুমানিক রাত ২ টা ৩০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

গত ২০ জুন শ্বাসকষ্টের জন্য তাকে মুম্বইয়ের বান্দ্রাতে গুরু নানক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়।

সেই টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।

শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার। 

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>