জমিনের ভাঁপ
ঠাণ্ডা জমিনের ভাপে
সবুজ মধুকূপী ঘাস মনে হয় নিজেরে
মাটি থেকে বিস্তারী মনে
জন্ম দেই প্রাণের অধিক প্রাণ
নিঙরে দেখতে পারি সমূহকে আমি
উল্লাসী পায়ের স্রোত-
আমি ঘাস চণ্ডালী হাড়
হয়ে দেখি সরে যাওয়া নগ্নক সভ্যতা
অপরিণত তাহাদে তদভব রূপ
বৃক্ষেরও অহঙ্কারী ছায়া;
আমার ঘাসের শরীর
তৃণ আর আকাশলোভী
দেবদারু নেমে এলে আমি তারে ভালোবাসি
মৃতদের আগলে রাখি নরম যৌথতায়-
আমায় ঘাসের মতো বাঁচতে দাও।
ডানাধারী
অনবদ্য কাকগুলো
যারা ফিরে আসে যমালয় হতে
উঠানে বাঁধা
নিত্য খোরাকে;
অন্তত আসন্ন মৃত্যুর দহলিজে নাখোরাকী তারা-
অথচ আড়াআড়ি করে
ভাঁটার টানে উন্মুক্ত হই
প্রতিকাল
আমরা অথবা নাআমরা।
বহুগামিনী
যতবার এসেছি প্রত্যাশায়
ফিরিয়েছো তুমি
আমারে আমার কাছে
আমারি হতাশায়-
ডানায় মেখে নির্বাসনের
নিদারুণ কষ্ট
আমিও জমাই তবে
আকাশ মেঘের নীড়পাতায়
পরিচয়হীনার বেদুইন মুঠোয়
আগলে রাখা প্রেম;
প্রেমিক বলে কিছু নেই আমার
সকলেই বহুচর, কেবল
ফিরায়েছো প্রত্যাশীরে তুমি
ফিরতাম আমিও জানি
জমিয়ে সমস্ত অহংকার।
টুরিস্ট
স্যন্ডেল ফুরিয়ে গেলে
পায়েরা জানায় ন্যাকামি
দূরে হাসে ঘাসফুলটি
এদিকে রোদপোহানো পিঠে
লিখে রাখি ডায়েরির বয়স
টুরিস্ট;
ফুরসত পেলেই ফরোয়ার্ড হবো
স্যান্ডেল সারাই করে টুরিস্ট হবো।
বিষাদ
তারপর একদিন
অযাচিত হাত বাড়িয়ে বলবে
চলো-
এইসব সংসারের কুষ্টি মিলবে না
বেদনার আকাশে
ডালিমকুমারের মতো;
এয়ো নারীর শঙ্খ ছুঁয়ে
ঝকঝকে রোদে
নিশ্চয় আসিবে আমার কাছে
এইসব আলোয় ঝলসে দিয়ে
শনির বলয়ে বলে যাবে
নলরাজার স্তুতি;
অনেক রাত ঝরে গেছে
আমার কক্ষপথে
দীর্ঘ সে মনোমেঘের চাদরে
রচিত হয়েছে মহাকাশের শীতকাল।
মৃত তারাদের ডেকে যায় অনাদরের রাত
খসে গিয়েও তারা এ কেমন দুর্বিপাক!
অধ্যাপক,কবি
অনেক ভালো লাগা কবিতাগুলো