অসহায় হারে বিদায় বাংলার মেয়েদের

Reading Time: 2 minutes

ক্রীড়া প্রতিবেদক ॥

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ও শক্তিশালী ভারতের কাছে সেমিফাইনালে ৪-০ গোলে হেরে সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ দল। আজ প ম আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নেপালের বিরাটনগরের শহীদ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
এর আগে দিনের প্রথম সেমিফাইনালে স্বাগতিক নেপাল ৪-০ গোলে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করে। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো ফাইনালে উঠলো তারা। আগের তিন ফাইনালেই তারা হারে ভারতের কাছে। কেবল ২০১৬ আসরে তারা সেমি থেকে বিদায় নিয়েছিল ভারতের কাছে ১-৩ গোলে হেরে। সেই অর্থে বিচার করলে বলা যায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সবচেয়ে সফল দুটো দলই ফাইনালে উঠেছে। আগামী শুক্রবার ফাইনালে ভারত খেলবে নেপালের সঙ্গে।
এবার সহ টানা ও সবার্ধিক পাঁচ বারই ফাইনালে নাম লেখালো ভারত। আগের চার আসরে (২০১০, ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৬) প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। পক্ষান্তরে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো সেমিফাইনাল খেলে তিনবারই (২০১০, ২০১৪ ও ২০১৯) বিদায় নিল বাংলাদেশ। শুধু ২০১৬ আসরে সেমিতে জিতেছিল তারা। সেবার তারা হারিয়েছিল মালদ্বীপকে (৬-০ গোলে)। সাফের পরিসংখ্যানের পাতায় একচ্ছত্র আধিপত্য ভারতের। এ পর্যন্ত খেলা ২২ ম্যাচে ২১টিতেই জিতেছে তারা। ড্র মাত্র একটি। সেটা ২০১৬ আসরে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে। সাফ, অলিম্পিক বাছাই, এসএ গেমস মিলিয়ে ১০ ম্যাচে বাংলাদেশকে এ নিয়ে ৯ বারই হারালো তারা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের জালে ৬২ ফিফা র‌্যাংকিংধারী ভারত গোল দিয়েছে ৩৯টি। আর ১২৫ র‌্যাংকিংধারী বাংলাদেশ মাত্র ৪টি!
প্রথমার্ধে তিন গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ফুটবলবোদ্ধাদের মতে, এই হারটা সেমিতে না হয়ে ফাইনালেও হতে পারতো। কেননা গ্রুপ পর্বে নেপালকে হারালে গ্রুপসেরা হয়ে সেমিতে ভারতকে এড়াতে পারতো লাল-সবুজরা। কিন্তু ‘এ’ গ্রুপে ভুটানকে ২-০ গোলে হারালেও নেপালের কাছে ০-৩ গোলে হেরে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে সেমিতে মুখোমুখি হয় ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ভারতের, যারা গ্রুপে মালদ্বীপকে ৬-০ এবং শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে হারিয়ে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দেয়।
প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের বয়স, অভিজ্ঞতা, উচ্চতা, ক্ষিপ্রতা ও গতির কাছেই হার মানে বাংলাদেশ। ভারতের কাছে হারার প্রধান কারণ গোলরক্ষকের ভুল এবং ডিফেন্ডারদের প্লেয়ার মার্কিংয়ে ব্যর্থতা। মাঝমাঠেও তো ছিল না তাদের নিয়ন্ত্রণ। জোনাল মার্কিংয়ের যে পরিকল্পনা ছিল, সেটা মাঠে করাতে দেখাতে পারেনি গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যারা। আর এটাকে কাজে লাগিয়ে অনেকটা অরক্ষিত অবস্থায় তিন গোল করে ভারতীয় দল। এগুলোরই চরম মাসুল দিতে হয়েছে পুরো দলকে। যদিও শুরতে বেশ ভাল ফুটবলই খেলে বাংলাদেশ। ভারতের রক্ষণে চাপ প্রয়োগের কৌশলটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করে। দুটি কর্নারও আদায় করেন মনিকা চাকমারা। কিন্তু পরে আর কুলিয়ে উঠতে পারেনি বাংলার বাঘিনীরা।

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>