copy righted by irabotee.com,shamim reza

শামীম রেজা বদলে দেয়ার যাদুকথা শোনানোই যার কাজ

Reading Time: 5 minutes
শামীম রেজার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-‘পাথরচিত্রে নদীকথা’, ‘নালন্দা, দূর বিশ্বের মেয়ে’, ‘যখন রাত্তির নাইমা আসে সুবর্ণনগরে’, ‘ব্রহ্মাণ্ডের ইসকুল’ ‘হৃদয়লিপি’, ‘দেশহীন মানুষের দেশ’ ইত্যাদি। গ্রন্থগুলির নাম থেকেই কবির শব্দ সচেতন মনোভাব টের পাওয়া যায়। কবিতার জন্য তিনি ‘কৃত্তিবাস’ পুরস্কার, ‘কবিতা আশ্রম পুরষ্কার’ ‘সাহিত্য একাডেমি সম্মাননা’সহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। নব্বই দশকের অগ্রগণ্য কবি শামীম রেজার সুবর্ণজয়ন্তী ছিলো ৮ মার্চ। তাঁর কবিতা নিয়ে লিখেছেন শৌনক দত্ত।

স্বাধীন বাংলাদেশের কবিতার বয়স পঞ্চাশ বছর। ফলে তার বেড়ে ওঠা, ওই সময়কার রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বলয়ের সঙ্গে তাঁর গড়নেও কিছু প্রভাব রয়েছে। অর্থাৎ এক অস্থির সময়ের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের কবিতা বেড়ে উঠেছেন। এরপর বাংলাদেশের কবিতায় ঢুকে পরে সামরিক শাসন, সামরিক শাসকের পতন। বাংলাদেশের কবিতা চর্চার শুরু থেকেই মূলত উচ্চস্বরের (শ্লোগানধর্মী)কবিতা রচনা হচ্ছিলো।সরাসরি বক্তব্য প্রকাশ করতে গিয়ে অনেকে কবিই নিরূপিত ছন্দকে অস্বীকার করেছেন। বাদ দিয়েছেন, গীতিময়তাও।

এমন এক কবিতা যাপন কালে একজন লিখলেন ‘অন্যদের বদলে দেয়ার যাদুকথা শোনানোই যে-আমার কাজ’ এমন পংক্তির জনক তার কবিতার মাধ্যমে আমাদের বদলে দিতে চান। পুরোনো বাংলা কবিতার পাঠভিজ্ঞতাই কি বদলে দেবেন তিনি? কবি শামীম রেজা যার মানসগড়নও ওই সময়কে আবর্তিত হয়ে। কিন্তু বদলে দিতে এসেছেন বলেই হয়ত তার কবিতার সময় একটি রাজনৈতিক বাঁকবদলের ইতিহাসকে আশ্রয় করে সৃষ্ট। কিন্তু শামীম রেজার রাজনৈতিক স্লোগনসর্বস্ব কোনো পঙ্‌ক্তি রচনা করেননি। আবার বাংলা কবিতার চিরায়ত রীতি, অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত কিংবা স্বরবৃত্তকেও গ্রাহ্য করেননি। এভাবেও শিল্পচর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গকে উপেক্ষা করেও তিনি কবিতায় সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছেন। নব্বইয়ের দশকের অন্যান্য কবিদের থেকে শামীম রেজাকে পৃথক করে তুলেছে তাঁর কবিতার বিষয়বৈচিত্র্য ও শৈলী। প্রায় শুরু থেকেই তিনি নিজস্ব এক কাব্যভাষায় লিখছেন। কথ্য ভাষার অসংখ্য কবিতা দেখা যায়।প্রথম ও দ্বিতীয় বইয়ে ইঙ্গিত থাকলেও পূর্ণতা লাভ করেছে তৃতীয় কাব্যগ্রন্থে। ফলে,যখন রাত্রির নাইমা আসে সুবর্ণনগরে বই থেকেই শামীম রেজার স্বতন্ত্র কাব্যভাষা গড়ে উঠেছে।  তার কাব্যবিশ্ব যে উত্তরাধিকার বহন করে এর মধ্যে লৌকিকতা, গ্রামীণ অনুষঙ্গ, স্থানীয় মিথ বেশ সরব। এসবের সঙ্গে মিশেছে আধুনিকতার টানাপোড়েন ও সংকটসমূহ। ফলে, আবিষ্কারের একটি চূড়ান্ত জায়গা পাঠক পেয়ে যেতে পারেন তার কবিতাভূবনে। যদি বাকভঙ্গির কথা ধরা হয়, শুধু এ কারণেও শামীম রেজাকে সহজেই আলাদা করা যায়। প্রথম থেকেই ভাষা সম্পর্কে বেশ সচেতন ছিলেন শামীম রেজা। সে কারণেই তার স্বর একেবারে বদলে যায় তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ থেকে।

মেক্সিকান কবি অক্টাভিও পাজের একটি কথা মনে পড়ে তিনি বলেছিলেন,‘কবিতা আজকাল আর তেমন জনপ্রিয় মাধ্যম না হলেও মানবজীবনের জন্য কিন্তু অবশ্য প্রয়োজনীয়। কবিতা না থাকলে একটি জাতি ভালো করে কথাই বলতে পারত না। কবিকে অবশ্যই সমাজের সমালোচক হতে হবে। আমরা একা হয়ে জন্মাই, কিন্তু আমাদের প্রধান কর্তব্য একে অন্যের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যাওয়া, একাত্মার এই আকুতি অন্যদেরকেও জানাতে হবে। ভাষা জনগণের সম্পদ আর কবি এই সম্পদের অভিভাবক।’

ভাষার অভিভাবক প্রকৃত কবিই। আর এই প্রকৃত কবির খোঁজ পেতে জনগণকেও দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়। শামীমের স্বতন্ত্র ভাষা অন্বেষণ বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রথমেই বলতে হয় ভাষার মধ্যে তার যে কর্তৃত্ব স্থাপন তা হয়তো রূঢ়-কঠিন বাস্তবতার অভিঘাতেরই নিষ্ঠুর ফসল। কিন্তু কেন যেন বুদ্ধদেব বসুর কথা মনে পড়ে তিনি বলেছিলেন ‘ভাষাই উৎস,চিন্তা থেকে ভাষা নির্গত হয় না,ভাষাই চিন্তার জন্ম দেয়।’

‘ও পাড়ার কুমারীরা চোখ বোজে/ অলস আঁধার/ মায়াময় বাঁশরিতে হিমায়িত ঘুম আনে’ আর ‘শেষরাতে শাঁখাভাঙ্গা গোঙানিতে সর্পিনী মেঘ গিলে ফেলে চিরচেনা চাঁদের শরীর। ও পাড়ার এই চিরায়ত হাহাকারের অন্তস্থ ব্যথা বুকে জাগরুক রেখেই যুবককুমার খোঁজে তার এ পাড়ার বাসনার ‘কাদামাখা ঘর’। কাদামাখা ঘর শব্দটি যখন চিন্তার জাগরণ তৈরি করে তখন তা কবিতার ভাষা।

এ হাহাকারের ইতি নেই বলেই হয়তো এই কাদামাখা ঘরই তার অন্তিম কবর। কিন্তু তার পরানীর কাছে সেই কবরের খোঁজ জানতেও তার উচ্চারণে রয়েছে এমন নদীর জলধারার আকুতি যে আমরা সেখানেও শুনি রোমান্টিক গীতিময়তা—

‘ও পরানী বলে দাও তুমি, আমি কার নির্ঝর/ আমি কার পুতুল কোথায় আমার কাদামাখা ঘর’। পরানীর কাছে পরের কবিতায় একইরকম আকুতি—‘ও পরানী, নকশীপুর থেকে উঠে এসো তুমি, আমার নদীর দু’পার ভেঙ্গে অথই পানি/ বাধহীন জল’।


আরো পড়ুন: শামীম রেজার একগুচ্ছ কবিতা

অভিজ্ঞতা, স্বপ্ন ও লোকজীবনের যূথবদ্ধ আয়োজনে শামীম রেজা স্বত্বঃস্ফূর্ত। নদী তাঁর প্রিয় অনুষঙ্গ, নারী প্রিয় সঙ্গ-প্রসঙ্গ। এই দুয়ের মিথস্ক্রিয়ায় তিনি এঁকেছেন নদীতীরবর্তী জনজীবনের চিত্র; রঙ ছড়িয়েছেন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে সামষ্টিকের জীবনেও। ‘যখন রাত্তির নাইমা আসে সুবর্ণনগরে’ থেকে শামীম রেজার কবিতার লক্ষণীয় পরিবর্তন টের পাওয়া যায়। ক্রিয়াপদের ব্যতিক্রমী ব্যবহার পাল্টে দেয় তার কবিতার মেজাজ। এই ব্যবহার আগের বইগুলোতে সীমিতভাবে থাকলেও এখানে ব্যাপক। এখানকার কবিতায় গ্রাম বাংলার প্রকৃতি এসেছে নিবিড়ভাবে। এছাড়া নদীমাতৃক বাংলার উপস্থিতি আরও প্রবল হয়ে ওঠে এখানে। ‘আসল চাষাই জানে কোন গোনে রোপা হবে/ আউশ না আমন…’ অথবা ‘মরা ধানক্ষেতে পইড়া-থাকা খড়ের দেহ থেইকা/ তোমাকে তুইলাছি শয্যায়,’ (কবিতা কী) কৃষিভিত্তিক জীবনের এরকম বয়ান গ্রামবাংলার নিবিড় অভিজ্ঞতা ছাড়া সম্ভব না। খড়ের দেহ থেকে প্রেয়সিকে শয্যায় তুলে আনার এ বয়ান তার পক্ষেই সম্ভব, যে কবির পরিক্রমার মধ্যে রয়েছে বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত ও হেমন্তের শূন্য মাঠের অভিজ্ঞতা। এ ছাড়া এ কাব্যগ্রন্থের এমন কোনো কবিতা পাওয়া যাবে না যেখানে নামে বেনামে নদীর উপস্থিতি নেই। ফলে তাঁর কবিতায় ফুটে উঠেছে এক ধরনের সরল-শ্যামল-কোমল চিত্র। যেখানে জড়বস্তুও ভেতর প্রাণসঞ্চারের কৌশল আছে, সঙ্গে রয়েছে রাগ-অনুরাগের কার্যকারণ সম্পর্ক। নদীতীরবর্তী জনপদেও আত্মজিজ্ঞাসার সঙ্গে দার্শনিক প্রত্যয়কে একীভূত করে দেখেছেন শামীম রেজা। তাই, ‘নদী ও আমাদের বেড়ে ওঠা’ কবিতায় স্বগত উচ্চারণ—‘আমরা যারা বেড়েছি কাঁটালতা ঝোপঝাড়া ছুঁয়ে কুঁড়েঘর / তাদের মৃত্যু আর জন্ম আচ্ছন্ন সন্ধ্যা আর দিবসের তমসায় কি তামশার খেয়ালে প্রভূ নদীর জলে শ্যাওলা বানালেন?’

শামীম রেজার কবিতায় সাব-অল্টার্নতত্ত্বের খোঁজ যেমন পাই, তেমনি দেখতে পাই পরাবাস্তবতার ঘোর, জাদুবাস্তবতা, ফ্যান্টাস্টিক রিয়ালিটিও লক্ষ করব আমরা। কবি তত্ত্ব দিয়ে কবিতা লেখেন না জানি, কিন্তু বিশ্লেষণে এসবের ব্যবহার আলোচককে একটি গতি এনে দেয়;কাব্যের পরতে-পরতে চিত্রকল্পের পরে চিত্রকল্পে আধুনিক, উত্তরাধুনিক, উত্তর-উপনিবেশবাদী তত্ত্ব দ্বারা বিশ্লেষণ করা সহজ থেকে সহজতর। তাঁর কবিতায় চেনাজগতও মুহূর্তে রহস্যময় হয়ে ওঠে। পরিণত হয় উপকথার জগতে। যেখানে ‘পাথরচিত্রে’ নদীও কথা বলে। আর রাত নেমে আসে যাবতীয় রহস্য নিয়ে, আদিম উন্মাদনায়। তাঁর কবিতায় একই সঙ্গে কথা বলে, মিথ, ইতিহাস, বিজ্ঞান, পুরাতত্ত্ব, গ্রাম ও শহর। সব মিলিয়ে তাঁর কবিতার প্রধান বৈশিষ্টগুলো মোটা দাগে এ রকম। অতৃপ্ত আত্মার সেই মিছিল এ মাটির ইতিহাসের প্রতি সময়বিন্দুকে আকীর্ণ করে আছে এবং থাকবে সেই দিন পর্যন্ত ‘যেই দিন/ বিষ্ণুযশার ঔরসে নামবে কলির অবতার, বিষণ্ণ বিশ্বের/ মনের মাঝে’। ইতিহাসের প্রতি পরতের এই অনুবৃত্তি ও পুনরাবৃত্তির বিস্তার প্রতীকায়িত হয়েছে শামীমের কবিতার চিত্রকল্পের বৃত্তায়িত অবয়বে।  আল মাহমুদ তাঁর ‘অগ্রজের দায়িত্ববোধ থেকে শামীম রেজাকে’ শীর্ষক প্রবন্ধে খুব সহজভাবে একে বর্ণনা করেছেন ‘চিত্রকল্পে চিত্রকল্পে তৈরি করা ঘোর’ হিসেবে এবং খুব প্রশংসার সাথে বলেছেন ‘এটাই তো আমি পাঠক হিসেবে চাই’।

ওমর খৈয়ামের ফিরাফিয়া-ওসালিয়া বিষয়ক কাব্যের ওসালিয়া ধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে শামীম রেজা যে ওসালিয়া সঙ্গীতের আয়োজন রেখেছেন তাঁর ‘পাথরচিত্রে নদীকথা’ কাব্যে সেখান থেকে এমন বৃত্তরূপে গতিময় চিত্রকল্পের প্রচুর উদাহরণ দেয়া যায়।  

শামীম তার চিত্রকল্পে নিজের সময়ের ভেতরকার কূটাভাস, আত্মবিরোধ, রিক্ততা, আকাঙ্ক্ষা স্বপ্ন গতির মন্থনকে শিল্পিত বিন্যাসে লিখতে চেয়েছেন। তার কবিতা খুব নিবিড়ভাবে বাংলাদেশের জাতীয় স্বভাবে লালিত বলে শিকড়ের ঘ্রাণ নিতে এতটা উন্মুখ তিনি। ভাঙনের পদাবলি নয়, তিনি লিখতে চান স্বপ্নের উপকূল ও চিরসবুজের ঘ্রাণ-কথা, জানাতে চান মুক্ত সুবর্ণগ্রামের হাসি। স্বগত দ্বিরালাপে নিজের কাছেই পৌঁছে দেন এই বার্তা : ‘আর নয় জীবনের লগে/অভিনয়, নিজেরে চিনি না বইলা আন্ধার রাত্তির নামে/আমার প্রণয়।’ পড়তে পড়তে মনে হয়, শামীম যাবতীয় নৈসর্গিক অনুপুঙ্খের মধ্যে সংকেত খোঁজেন, খোঁজেন আদিকল্প। আসলে তিনি নিরন্তর সত্তার বাহির থেকে ভিতর পানে ফিরে আসতে চান। এই প্রত্যাবর্তন বারবার যেমন নতুন সম্ভাবনার উন্মোচন শেখায় তেমনি বহুবিধ শূন্যতারও মোকাবিলা করে। সেই জন্যে পাঠ-সংহতির নিবিড় অবলোকনে কেবলই নতুন নতুন পরিসর ব্যক্ত হতে থাকে। একসময় মূর্ত ও বিমূর্তের মধ্যবর্তী জলবিভাজন রেখা লুপ্ত হয়ে যায়। এই নিরিখেই বস্তুত শামীম রেজার ভাষা-মন্থন অনন্য। তিনি যেন ভাঙতে ভাঙতে গড়েন আর গড়তে গড়তে ভাঙেন। এই প্রক্রিয়ায় আপন সংবেদনশীলতাতেই তার বিপুল আস্থা। সময় ও পরিসরের অন্তহীন দ্বিরাচনিকতা থেকে এভাবেই দ্রাক্ষা মোচন করেছেন কবি। উপভাষার লোকায়ত লাবণ্য কতদূর অবধি ব্যাপ্ত হতে পারে তা-ই তিনি পাঠকের কাছে উপস্থাপিত করেছেন।

তবে এইসব চিত্রকল্প ও ভাষার একটা সমস্যাও আছে। বিশ্বায়নের এই যুগে ভাষা ও চিত্রকল্প যখন সময়ের নিয়মে পাঠকের সাথে স্মার্ট হচ্ছে তখন শামীমের কাব্য ভাষা ও অনুষঙ্গগুলো লোকসাহিত্য হয়ে অছুঁত থেকে যেতে পারে আগামীর কাছে। বাংলা ভাষাই যেখানে ইংরেজি ও হিন্দির সাথে অস্তিত্ব নিয়ে লড়ছে সেখানে আঞ্চলিক ভাষার এত ব্যবহার কতটা গ্রহণীয় থাকবে তা বড় একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে দাঁড়ায়।  

যে রচনাগুলি পড়ার পর পাঠক তার নিজের ভাবনা সেখানে যোগ করার প্রণোদনা বোধ করেন- সেগুলোই প্রকৃত কবিতা। যে কবিতায় কবির ‘ভাব’ প্রকাশ পায়- সেসব রচনা কিছুতেই কবিতা নয়! যেটুকু প্রকাশ পায় না, বরং সেটুকুই কবিতা। তাঁর কবিতা যাপনকে একজন পাঠকের দৃষ্টিকোন থেকে দেখার চেষ্টা করেছি। ফলে, সেই দেখার সীমাবদ্ধতা প্রচুর। কবিতা বহুমাত্রিক বলেই তা কবিতা। ফলে, নানা পাঠক একই কবিতাকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করবেন। এসব ব্যাখ্যার সমস্যা হলো, পাঠক তার নিজ নিজ অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও বোধের জগত খেকেই যে কাউকে পাঠ করবেন। এ পাঠ, এমনকি, কবি যা বলতে চেয়েছেন, তার সম্পূর্ণ বিপরীতও হতে পারে দুঃখজনকভাবে। ফলে, পাঠক, আসুন এ আলোচনার ইতি টেনে দিয়ে আমরা বরং খোদ কবিতাপাঠেই ফিরে যাই। আর শুনতে থাকি শামীম রেজার বদলে দেয়ার যাদুকথা।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>