Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com,Shankha Ghosh Indian poet

চলতেই থাকে রবিবারের আড্ডা । সন্দীপন চক্রবর্তী

Reading Time: 6 minutes
 
 
 
‘টিয়া এসে বলে, বাবা ওঠো, আজ না রবিবার?
কেন উঠব?
বাঃ, আজ না রবিবার? আজ তোমার সভা না?
সভা? ও, ঠিক, সভা। আজ তাহলে তাড়াতাড়ি উঠতেই হয়। আজ আমার ঘরের সভা। সবাই সবার কাছে যাবে আজ, আসবে আজ। এ হলো সেই সমবায়ের সভা। ছোটো এই ঘরের মধ্যে অনেক মানুষের যাওয়া আসা, এ হলো এক রবিবারের অবাধ জমায়েত, নানা বয়সী ছেলেমেয়েদের অল্প সময়ের সাহচর্য। এরা কবিতা লিখতে ভালোবাসে, এরা পড়তে ভালোবাসে। কবিতাকে আড়ালে রেখে গল্পে গল্পে আজ কবিতার সভা।
 
বন্ধুরা আজকাল আসে না বড়ো আর। হয়তো ছিঁড়ে গেছে টান, হয়তো-বা কারও কোনো অভিমান। কেউ কেউ বলেও যায় : ছোটোদের সঙ্গে কথা বলে কী সুখ পাও? কিন্তু সুখের ধারণা তো আর একরকম নয় সবার। তাছাড়া, সুখই যে পেতে হবে এমনই-বা কী কথা আছে বলো।
 
আমি তাই বসে থাকি এক রবিবারের প্রতীক্ষায়, কথার স্রোতে ভাসা এই রবিবার। সে তার সঙ্গে নিয়ে আসে বয়সের সৌন্দর্য, পাখির গায়ে লেগে থাকা দেশবিদেশের স্বাদ। প্রতিটি রবিবার এসে আমার জানলার কাছে ঠোঁট থেকে ফেলে রেখে যায় একটুকরো সবুজ পাথর।’
 
হ্যাঁ, তাঁর চোখে এইরকমই ছিল রবিবারের আড্ডা। নানা বয়স, নানা পেশার মানুষ আমরা জড়ো হতাম সেই আড্ডায়। না, কোনো সাহিত্যকেন্দ্রিক আড্ডা নয়, তবে যারা আসতেন, তাঁরা সবাই কোনো না কোনো শিল্প ভালোবাসেন বা চর্চা করেন। আড্ডা নিজের নিয়মেই সরে সরে যেত গান, খেলা, রাজনীতি, সাহিত্য, সমাজ, সিনেমা, বেড়ানো – এরকম এক কথা থেকে আরেক কথায়। আর সেই আড্ডায় সবচেয়ে কম কথা বলা মানুষটিই ছিলেন সে আড্ডার মধ্যমণি। শঙ্খ ঘোষ। দারুণ রসিক। অথচ সেই রসিকতা কখনোই শালীনতার সীমা ছাড়ায় না। কথা কম, কিন্তু যেটুকু বলেন, সেটুকু অব্যর্থ। সে আড্ডায় সামান্য পরচর্চা চলতে পারে, কিন্তু তা পরনিন্দার দিকে ঝুঁকলেই তিনি বাধা দেবেন। আর বাধা দেবেন তাঁর লেখা বিষয়ে প্রশংসাসূচক কোনো কথা উঠলেই। চা, শিঙাড়া, চিঁড়েভাজা, মিষ্টিসহ এই আড্ডা চলতো প্রায় ঘন্টা চারেক। প্রতি রবিবার।
 
 
তখন সবে হায়ার সেকেণ্ডারি পরীক্ষা দিয়েছি। রেজাল্ট বেরোয়নি। ১৯৯৪ সাল। স্কুলের চার বন্ধু মিলে ঠিক করলাম একটা পত্রিকা করবো। কার লেখা দিয়ে শুরু করা যায়? শঙ্খ ঘোষ ছাড়া আবার কে! কিন্তু লেখা পাবো কী করে? এক বন্ধু খোঁজ দিলো যে, উল্টোডাঙার ঈশ্বরচন্দ্র নিবাসে উনি থাকেন। আর রবিবার সকালে নাকি অনেকেই যায় ওঁর বাড়ি। সেরকম একটা রবিবার দেখে হানা দিলাম আমরা তিনজন। ঢুকে দেখি চার-পাঁচজন বসে। আড্ডা চলছে। বসতে বললেন। চা এলো। চায়ে চুমুক দিয়ে – ‘বলুন’। এক বন্ধু জানায় কারণ। হেসে বলেন – ‘আচ্ছা, আগে তো শুনি কী করো তোমরা, তোমাদের নাম কী?’ আমার সঙ্গের দুই বন্ধু জানায়। এবার আমার পালা। কেন জানি না প্রবল নার্ভাস হয়ে, কিছুতেই আর মনে পড়ছে না নিজের নাম। পাশ থেকে এক বন্ধু বলে দেয়। বোধহয় বুঝতে পারেন আমাদের অবস্থা। বলেন – ‘আমাদের মতো বয়স্কদের লেখা নেবে কেন তোমরা? বরং তোমাদের মতো আরও অনেক তরুণের লেখা নিয়ে এই পত্রিকা করো। সেটা আরও ভালো হবে। তোমরা কি কৃত্তিবাস পত্রিকার নাম শুনেছ?’ এইবার আমি জানা প্রশ্ন পেয়ে গেছি। ফলে কথা বলি খানিক। আর ফেরার সময়ে সমস্ত সাহস সঞ্চয় করে বলে ফেলি – ‘আমি একটু কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আপনাকে কি দেখানো যাবে সেইসব?’ সম্মতি পেয়ে প্রায় নাচতে নাচতে সিঁড়ি দিয়ে নামছি, দেখি হিরোর মতো চেহারার এক ঝকঝকে যুবক উঠে আসছে সিঁড়ি দিয়ে। পরে জানলাম, সে জয়দেব বসু।
 
জয়দেবদার কথা বলতে গেলে গল্পের কোনো শেষ নেই। জয়দেবদার ঝকঝকে স্মার্ট কথাবার্তার তোড়ে আমরা অনেকসময়েই পরাভূত। কিন্তু মজাটা হতো খানিক পরে। সাধারণত সকাল সকালই চলে আসতো জয়দেবদা। তার ঘন্টাখানেক পর হয়তো ঢুকলেন ভূমেনদা – ভূমেন্দ্র গুহ। এইবার ভূমেনদার কথার তোড়ে জয়দেবদা কাৎ। তারও ঘন্টাখানেক পর হয়তো ঢুকলেন বাদল বসু। তাঁর টিপ্পনীর জেরে আবার পিছু হঠছেন ভূমেনদা। আর মিটিমিটি হাসি নিয়ে এই তর্ক শুনে যাচ্ছেন শঙ্খ ঘোষ। হয়তো মাঝে মাঝে দু-একটা কথা বলছেন।
 
একদিন ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায় এসেছেন। একসময়ে চমৎকার কবিতা লিখতেন, সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন ঋত্বিক ঘটকের সঙ্গে, লিখেছেন ‘এবংপুরের টিকটিকি’-র মতো অনবদ্য বই। কিন্তু নানারকম নেশার ফলে তাঁর তখন সম্পূর্ণ উন্মাদদশা। জানলার দিকে মুখ করে বসে আছেন চুপচাপ। আর জয়দেবদা, কোনো একটি বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ কেন এরকম করেছিলেন, এটা মোটেই করা উচিত হয়নি – এইসব বলে তর্ক জুড়েছে স্যারের সঙ্গে। আচমকা ইন্দ্রনীলবাবু জয়দেবদার দিকে মুখ ফিরিয়ে চেঁচিয়ে উঠলেন – ‘আচ্ছা, সিরাজ-উদ্-দৌলা যে পালিয়ে গেছিল, সেটা কি ভয় পেয়ে পালিয়ে গেছিল? নাকি ট্যাক্টিকাল রিট্রিট ছিল?’ জয়দেবদা খানিক ঘাবড়ে গিয়েই জিজ্ঞাসা করে – ‘মানে? আমি তো রবীন্দ্রনাথ নিয়ে কথা বলছিলাম। এর মধ্যে সিরাজ-উদ্-দৌলা এলো কোত্থেকে?’ নির্লিপ্তমুখে ইন্দ্রনীলবাবুর জবাব – ‘ওই একই হলো’। এবার খানিক তেড়েফুঁড়েই জয়দেবদার জিজ্ঞাসা – ‘এক হলো মানে? রবীন্দ্রনাথ আর সিরাজ-উদ্-দৌলা এক হয় কী করে?’ ইন্দ্রনীলবাবু জানলার দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। জাস্ট কয়েক সেকেণ্ড। তারপরেই বিদ্যুৎবেগে মুখ ফিরিয়ে সপাট জবাব – ‘দুজনেই বাংলার শেষ নবাব।’ এহেন জবাব শুনে জয়দেবদার মতো স্মার্ট ছেলেও কেমন যেন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে চুপ করে গেল। তারপর মাথার চুলে আঙুল চালাতে চালাতে বিড়বিড় করতে লাগলো – ‘ঠিকই। এটা তো আগে ভাবিনি কখনো।’
 
প্রথমদিকে যখন রবিবারের আড্ডায় যেতাম, তখন সেখানে বাঘা বাঘা সব রথী-মহারথীদের নিয়মিত আনাগোনা। প্রাবন্ধিক ও গবেষকদের মধ্যে সুধীর চক্রবর্তী, সমীর সেনগুপ্ত, বিজিতকুমার দত্ত, ভূমেন্দ্র গুহ, অমিয় দেব, কখনো বা অশ্রুকুমার শিকদার বা শিশিরকুমার দাশ বা সৌরীন ভট্টাচার্য। আর কবিদের মধ্যে? ভাস্কর চক্রবর্তী, সব্যসাচী দেব, তারাপদ আচার্য, একরাম আলি, নিশীথ ভড়, অজয় নাগ, সোমক দাস, অনুরাধা মহাপাত্র, জয়দেব বসু, সুতপা সেনগুপ্ত, বিশ্বজিৎ পণ্ডা। গল্পকারদের মধ্যে গৌতম সেনগুপ্ত, কখনো বা নবারুণ ভট্টাচার্য বা দেবেশ রায়। গোড়ার দিকে আমি শুধু শুনতে যেতাম। এই বিভিন্ন গবেষকরা আড্ডার মধ্যেই আলোচনা করতেন যে তাঁরা নতুন কী নিয়ে ভাবছেন, কেন ভাবছেন, নতুন কী পড়ছেন। ওই আড্ডা থেকে কত যে শিখেছি! হয়তো স্যারের অনুরোধেই দ্বিজেন্দ্রলালের গান ধরলেন সুধীরদা। আবার ভাস্করদা যেমন মজা করে, ঘরে ঢুকেই আগে দেখতেন যে খাটের লাগোয়া বইয়ের তাকটায় ভাস্করদার কবিতার বইগুলো আছে কিনা। সেটা সবসময়েই থাকতো। আর ভাস্করদা মুচকি হেসে বলতেন – ‘যাক, তাহলে সিলেবাসে আছি’। শেষদিকের মতো, এত বেশি অনুষ্ঠানে তখন যেতেন না স্যার। গেলেও মঞ্চে উঠতেন না। বিশ্বজিৎদা মজা করে বলতো – ‘সুনীলদার সৌন্দর্য দাঁড়িয়ে আছে হ্যাঁ-এর উপর, আর স্যারের সৌন্দর্য দাঁড়িয়ে আছে না-এর উপর’।
 

আরো পড়ুন: শঙ্খ ঘোষের ত্রিশটি কবিতা

 
একবার এক অপরিচিত মানুষ এসে বসে আছেন আড্ডার এক কোণে। তাকে দু-তিনবার স্যার জিজ্ঞাসাও করেছেন – ‘আপনি কি কিছু বলবেন?’ তিনি প্রত্যেকবারই বলেন ‘না, না’। ঘন্টাদেড়েক কেটে যাওয়ার পর আবার স্যার জিজ্ঞাসা করেন একই কথা। তিনি একটু ইতস্তত করে জানান – ‘আমি আসলে বিশ্বজিৎ পণ্ডার সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। ও বলেছিল আজ সকালে এখানে চলে আসতে।’ অবশ্য বিশ্বজিৎদা সেদিন আর আসেনি। আরেকদিনও প্রায় একইরকম ঘটনা। প্রায় দেড়-দু ঘন্টা বসে থেকে অপরিচিত একজন হঠাৎ বলে ওঠেন – ‘আমি তাহলে আসি’। তাকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিতে যান স্যার। আর বেরোবার মুখে জিজ্ঞাসা করেন – ‘আপনি কি আলাদা করে কিছু বলবেন?’ সেই ব্যক্তি ব্যাগ থেকে একটি লিফলেট বের করে, স্যারের হাতে ধরিয়ে দিয়েই, ‘আমি সেলস্ ম্যান। বুঝতে পারিনি ঠিক।’ বলে, দ্রুত নেমে যায় সিঁড়ি দিয়ে। আর ঘরে এসে হাসিতে ফেটে পড়েন স্যার।
 
সেই যে শঙ্খ ঘোষের কবিতায় আছে না ‘এ কলকাতার মধ্যে আছে আরেকটা কলকাতা’, সেইরকম রবিবারের আড্ডার মধ্যেও ছিল আরেকটা আড্ডা। আমরা যারা ধূমপায়ী, ধূমপানের সময়ে তারা একটা ছোট্ট আড্ডা জমাতাম দরজার বাইরে। সমীরদা, ভূমেনদা, বাদলদা, ভাস্করদা, নিশীথদা, অনিলদা (অনিল আচার্য), জয়দেবদা, বিশ্বজিৎদা, গৌতমদা – সে ছিল আমাদের আরেক মজা। স্যারের সামনে যেসব চটুল গপ্পো বা ভাষা বলা উচিত না, সেইসব গপ্পের জন্য আমাদের ছিল ওই বাইরের আড্ডা। দু-তিনবারের জন্য দশ মিনিট করে ব্রেক নিয়ে ওই ছোট্ট আড্ডায় জমে যেতাম আমরা। হয়তো আড্ডাশেষে বেরিয়ে আসবো, হঠাৎ ডাকলেন – ‘একটু দাঁড়িয়ে যাও। কথা আছে।’ মনে মনে প্রমাদ গুণতাম। কারণ বেশ কয়েকবার নিজেরই নানা দোষে প্রবল বকা খেয়েছি। কিন্তু সবার সামনে নয়। সবাই চলে গেলে, তারপর। আড়ালে। সেই যে কবিতায় লিখেছিলেন ‘তোমাকে বকব, ভীষণ বকব / আড়ালে’, সেইরকম। তবে ‘কথা আছে’ মানেই যে বকা, এমন নয়। কখনো হয়তো হাতে ধরিয়ে দিলেন একটা বই – ‘সেদিন যে ব্যাপারটা নিয়ে তর্ক করছিলে, এই বইটা পড়ে নিলে সে ব্যাপারে কথা বলতে সুবিধা হবে’ অথবা ‘সামনের দিন আসার সময়ে দুটো কবিতা নিয়ে এসো, বারোমাসের জন্য’। তবুও ওই ‘দাঁড়িয়ে যাও। কথা আছে।’ শুনলেই কেমন যেন নার্ভাস হয়ে পড়তাম। ভাবতে বসতাম, এর মধ্যে কী কী অন্যায় করেছি।
 
অথচ ভালোবাসায় তো ভরিয়ে দিয়েছেন বারবার। হয়তো অপাত্রেই দান করেছেন। প্রতি বছর আমার জন্মদিনে যেতাম স্যার আর জেঠিমাকে প্রণাম করতে। আর ফিরতাম কোনো না কোনো বই উপহার নিয়ে। সেটা ২০১৭ সাল। সেবার আমার জন্মদিন পড়েছে রবিবারেই। আড্ডার লোকজন আসার আগেই ঢুকে গেছি প্রণাম জানাবো বলে। তার খানিকক্ষণের মধ্যেই এসে পড়ে আড্ডাধারীরা। চলতে থাকে আড্ডা। হঠাৎ বাড়ির ভিতর থেকে আড্ডার মধ্যে হাজির হয় একটা বড় কেক। স্যার মিটিমিটি হেসে বলেন – ‘আজ এখানে একজনের জন্মদিন। তাই কেক কাটা হবে।’ ডেকে আনেন প্রতিমা জেঠিমাকেও। সবাই মিলে হইহই করে কেক খাওয়া হয়। তারপর আসে পায়েস। আমি তো হতভম্ব !
 
অবশ্য আড্ডার যে চেহারার কথা বলছিলাম, গত সাত-আট বছর ধরেই তা খানিক ফিকে হয়ে আসছিলো যেন। আসলে, যে মানুষগুলির থেকে অনেকটা শিখতে পারতাম, তাঁরা বেশিরভাগই তখন শারীরিক কারণে আর আসতে পারেন না অথবা পরলোকগত। তার বদলে আসতেন নতুন অনেকেই। কিন্তু এই নতুন আসা মানুষদের থেকে শেখার রসদ পেতাম না খুব একটা। চিন্তার যে নিত্যনতুন খোরাক ছিল এই আড্ডার প্রাণ, তা যেন ক্রমেই শুকিয়ে আসছিলো। এর মধ্যে একমাত্র লাইটহাউস হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন শঙ্খ ঘোষ।
 
তাছাড়া মূল আড্ডা থেকে বেরিয়েও আমাদের আরেক প্রস্থ আড্ডা জমত রাস্তায়। বাড়ি যেতে যেন আর ইচ্ছে করতো না কারওই। প্রথমে স্যারের বাড়ির নিচে, তারপর একটু এগিয়ে মোড়ের চায়ের দোকানে, এমনকি কোনো কোনো সময়ে এতই জমে যেত আড্ডা, যে কয়েকজন মিলে হয়তো সেখান থেকে সরাসরি চলে যাওয়া হলো কোনো সদস্যের বাড়ি। তারপর বিকেল গড়িয়ে যায় আড্ডায়। তবু যেন আড্ডা আর শেষ হয়না। চলতেই থাকে আমাদের রবিবারের আড্ডা – ‘একটুকরো সবুজ পাথর’।
 
 
 
 আজকাল পত্রিকায় লেখাটি প্রকাশিত 
 
 
 
 
 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>