| 20 এপ্রিল 2024
Categories
দুই বাংলার গল্প সংখ্যা

তৃষিত

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.comমেয়েটি এই সময় একবারও তাকায় না। মাথা নিচু করে থাকে। একদম চুপ। এই নিয়ে পরপর তিনদিন ও আসছে।  

আমি ওকে মুগ্ধ হয়ে দেখি। ওর হাতের আঙুলগুলো অসাধারণ। টানা টানা। লম্বা। চাঁপার কলির মতো। চাঁপার কলি কেমন দেখতে তা অবশ্য এখন ঠিক মনে পড়ছে না। কিন্তু আর কোনও জুতসই শব্দও নেই। শিল্পীর হাতের আঙুল কি অমন হয়?

প্রতিটি আঙুল নিখুঁত। তুলি দিয়ে আঁকা যেন। মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি। একদৃষ্টে। নখগুলো ঝকঝকে। তর্জনী, মধ্যমা আর অনামিকা গোলাপি। গাঢ় নয়। ফিকে গোলাপি। কড়ে আঙুলের নখে রুপোলি রঙ। বুড়ো আঙুলের নখের রঙ লক্ষ্য করিনি। অনামিকায় একটি সরু আংটি। চিকচিক করে। কী আশ্চর্য সাবলীল ওর আঙুলের চলন।

ইউ টিউবে খুঁজে পেয়েছি ওকে। আমি সেই সব ভিডিও দেখি না যেখানে শুধুই বকবক। মনস্তত্ত্ব, শরীর-মন-হরমোনের জটিল রসায়ন বুঝে আমি কী করব? অহেতুক জ্ঞান। আমার তো আনন্দ চাই। ভরপুর আনন্দ। স্বমেহন নিয়ে এত বক্তৃতার কী আছে? যে শরীরের নিয়ন্তা আমি নিজেই। সেই শরীরের আনন্দও একা আমার। দুনিয়ার আর কাউকে দরকার নেই তো! অবশ্য দরকার হলেই বা পাচ্ছি কাকে?

এখন রাত প্রায় দেড়টা। কর্পোরেট অফিস আমাকে নিংড়ে নিয়েছে সকাল ন’টা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত। টানা বারো ঘন্টা। তারপর বাড়ি ফেরা। একার কুঠুরিতে ফিরে এলে নিজের যত্ন নিজেকেই করতে হয়। হাতের সামনে কেউ কিছু এগিয়ে দেয় না। সবকিছু সামলে তবে তো নিজের চাওয়ার কাছে বসা। এই গভীর রাতের সময়টুকুই আমার ফুরসত। আমার মী টাইম।   

আমি অপরূপা। অপরূপা সরকার। চাকরি করি। হ্যাঁ, ভাল চাকরি। যে চাকরিতে নিজের প্রয়োজন ছাড়াও বিলাসিতা সামলানো যায়, সেইরকম চাকরি। বরাবরই স্বাধীনচেতা আমি’র সঙ্গে আমার চারপাশের সংঘাত। খুব বড় কিছু নয়। টুকটাক। তবু। টানাপোড়েন চলেই। সমাজের রক্ষণশীলতা ঠিক কতটা অবধি তার সীমা বিস্তৃত করে রাখে, আমি নিজেই ভাল বুঝি না। কোনটা যে সমাজ, কোথায় যে তার গণ্ডি… অতশত বুঝে আমার হবে কী। টিকটিক করত খুব। মা বাবা দাদা সকলেই। ছেলেবেলা থেকেই নাকি আমি উড়নচন্ডি। ঠাম্মা বলত, দস্যি মেয়ে। মায়ের খুব অপছন্দের আমি। দাদা সকলের বেশি আদরের। ঠাম্মার, মায়ের। বাবা হয়ত আমাকে ভালোই বাসত। কিন্তু ঠাম্মা আর মায়ের জন্য কোনওদিন লোকটা কিছু বলতেই পারল না।

জানতাম আমি দলছুট। এদের বলে বখাটে। আসলে অহেতুক গায়ে পড়া মেয়েলিপনা তেমন আসে না। বরং হুড়োহুড়ি আর তাৎক্ষণিক আনন্দ নিয়ে বাঁচতে ইচ্ছে করে। জীবন তো একটাই। কলেজে পড়াকালীন ঠিক করে নিয়েছিলাম, আর নয়। নিজের জীবন আমার নিজের। একার। আর কারও খবরদারিতে নয়। এবার একা বাঁচব। নিজের শর্তে। একটু অশান্তি হয়েছিল বইকি। চাকরি পেয়েই ওয়ান রুম ফ্ল্যাট বুক করে যখন বাড়িতে জানাচ্ছি, তখন ডাউন পেমেন্টের টাকা দরকার। প্রায় আড়াই লাখ। সদ্য চাকরি। ব্যাংক থেকে লোন পাব না। ভরসা বাড়ির লোকজন। নাঃ। দেয়নি তারা কেউ। বাবার হয়ত ইচ্ছে ছিল। কিন্তু, ওই যে বললাম, মা আর ঠাকুমার ভয়ে। দাদা তো বরাবরই আমাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে এসেছে। বাড়িতে সে সোনার আংটি। আমি অনাদরের পাথরের বাটি।  

ফ্ল্যাটের প্রাথমিক বুকিংয়ের জন্য টাকাটা দরকার ছিল। অন্য পথ নিতে হল। চাকরির জায়গাতেই টোপ ফেললাম। আচ্ছা, এটাকে কি টোপ বলে? ইমিডিয়েট বসকে একটু খুশি করলে তিনি যদি অফিসের একটা লোন পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। শরীরের ছুঁতমার্গ তো আমার কোনওকালেই নেই। রমিত, অতনু, শুভেন্দু! যখন যার সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছে, টুকটাক শরীরী খেলায় আমি সব সময় সাগ্রহে সাড়া দিয়েছি। ভালোবাসা প্লেটোনিক হয় না। ওগুলো ফালতু বকোয়াস। আড়চোখে পুরুষ যেমন মেপে নেয় বুকের মাপ। আমরাও তো কিছু সতী নই। পুরুষাঙ্গের সঠিক গতিপথ খুঁজতে গোপন ইচ্ছে কামড়ায় অনেককেই। স্বীকার করতেই যা অস্বস্তি। ওই যে, সমাজ। যত্তোসব। আমার ফ্ল্যাটের লোন স্যাংশন করা নিয়ে অফিসের অ্যাকাউন্ট্যান্ট ছোকরা একটু তড়বড় করছিল। তাকে বাগে আনতেও বেশি সময় লাগেনি। আদিম রিপু চিরন্তন। তাকে অস্বীকার করে সাধ্য কার?কিন্তু জীবনের সব ঘটনা আগেভাগে ছক করে রাখা যায় না।  

একঢাল চুল মেয়েটার। কালো, লম্বা। মধ্যে কয়েকটা হালকা খয়েরি হাইলাইট। যত্নের ছাপ। স্টেপ কাট। ধাপে ধাপে নেমে এসেছে যেন দামাল পাহাড়ি ঝর্না। কাঁধে ঘাড়ে বুকে কোমরে। গমরঙা গায়ে সাপের মতো লতিয়ে রয়েছে খয়েরি-কালো চুলের গুচ্ছ। শরীরের সমস্ত খাঁজ নিখুঁত। কোথাও কোনও বেশি-কম নেই। নিভাঁজ তলপেট। নির্মেদ কোমর। নিটোল দুটি স্তন। বাদামি স্তনবৃন্ত উন্মুখ। সমস্ত শরীরে যেন আদর মাখানো।

এই তিনদিন হল দেখছি ওর আঙুলের কারুকাজ। অনাবৃত যোনিপথের চারপাশে কী অসম্ভব দ্রুত চলাচল। অবিশ্বাস্য। নিজে পারব না বলেই বোধহয় অত মোহিত হয়ে চেয়ে থাকি। হঠাৎ চোখ পড়ে যায় ওর মাথার ওপরের একফালি টালির চালের দিকে। রংচটা টালি। দেখলেই বোঝা যায় ভাঙাচোরা ঘরটির যত্ন হয় না বহুকাল। মেয়েটি যেখানে বসে আছে, সেটি কালচে রঙের চাতাল। সিমেন্ট বাঁধানো মেঝের থেকে সামান্য উঁচু। সামান্য হেলে থাকা শরীরের পিছনের দেওয়াল বিবর্ণ। মলিন। ধুলোর আঁচ স্পষ্ট। পেশাদারি হাতের সঞ্চালন বন্ধ হতেই ওর মুখে পরিতৃপ্তি। ও চোখ তুলে তাকায়।

 – নাম কি তোমার?

 – শবনম।

আহা। ওর হাসিটি তো ভারি মিষ্টি। হাসলে বাঁ গালে ছোট্ট টোল পড়ে।

– তোমার আসল নাম?

– মাম্মি মুঝে গুড়িয়া বুলাতি থি।

– আর বাবা? কী বলে ডাকত? শবনম?

– পাপা কো তো ম্যাঁয়নে … চলো ছোড়ো ইয়ে সব বাতেঁ। ডাকলে কেন আমায়?

আমি অবাক হই। ডাকলাম? না, কই আমি তো ডাকিনি ওকে। মুখে বলি, তুমি খুব সুন্দর। তোমার দারুণ ফিগার।

– তাই? থ্যাংক ইউ। এটা বিরাট কমপ্লিমেন্ট। মেয়েরা মেয়েদের প্রশংসা করে না কিন্তু। অন্তত ফিগার নিয়ে এত খোলাখুলি বলেই না। হিংসে করে। আড়ে আড়ে চায়। জ্বলন হোতি হ্যায় সবকো। সমঝ সকতি হুঁ…।

– আমার তোমাকে দারুণ লাগছে। তাই বললাম।

– আর ইউ ফীলিং লোনলি?

– না শবনম। লোনলি কেন হব? আই এনজয় মাই লাইফ। শবনম হাসল। ঠোঁটের মধ্যে মাদকতা কমিয়ে একটা মিষ্টি হাসি মাখিয়ে দিল।

– তাহলে রোজ আসো যে…

– কোথায় আসি?

– আমার কাছে আসো। এর আগে তুমি নেহালকেও খুঁজেছ দুদিন। সুইটি, পিঙ্কি… ওদের কাছেও যাও।

– কারা এরা? আমি তো চিনি না এদের।

শবনমের ঠোঁটে দুষ্টুমি লেগে আছে। ওর সম্পূর্ণ নগ্ন শরীরটা ও ক্রমশ এলিয়ে দিয়েছে চাতালে।       

– চেনো না? সে কি! উয়ো সব কিতনা কুছ সিখাতি হ্যায় তুমহে…

খিলখিল করে হেসে ওঠে শবনম। ওর হাসির দমকেই চট করে মুছে যায় ওর ছবি। আমার স্মার্টফোনের পর্দায় অন্ধকার। সেই অন্ধকারে একটা গোল আলোর চাকতি ঘুরে চলেছে। নেটওয়ার্ক প্রবলেম। অসহ্য।

শবনম যেভাবে দেখিয়েছে, ঠিক সেইভাবে হাত চলে না আমার। তেমনি এর আগে যাদের দেখেছি, হয়ত তারা স্পষ্ট, স্বচ্ছ, কিন্তু তারা কেউ শবনমের মতো এত শৈল্পিক নয়।

শবনমকে আরেকবার পেলে বড় ভাল হত। আজকেই। ওর সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে করছে খুব। আরও একবার। খুব জানতে ইচ্ছে করছে অত সুন্দর করে ও কেমন করে ক্যারি করছে নিজেকে। অথচ ও যেখানে বসে আছে, সেই জায়গাটা কেমন বেরঙিন, কদর্য। ওকে যেন কিছুতেই মানায় না ওখানে।

ফোনের পর্দায় টুক করে ভেসে উঠল আবার। শবনম। নগ্ন। নির্জন এক অপরিচ্ছন্ন ঘর। ওই ঘরে মানায় না ওকে।

– বাত কেয়া হ্যায়? স্যাটিসফায়েড হওনি?

শবনমের প্রশ্নের উত্তরে একটু থমকে যাই। কিসের স্যাটিসফ্যাকশন? শবনম কি পড়তে পারে মনের কথা?

– শিখতে পারলে না? মাস্টারবেশন?

– এসব আমি জানি। পারিও। কিন্তু তুমি অসাধারণ। জাস্ট ফাটাফাটি। কোথায় শিখলে এসব? ক্যামেরা সামনে রেখে এত সাবলীল, স্বচ্ছন্দ অনেককেই দেখেছি, বাট ইউ আর ডিফারেন্ট। আচ্ছা শবনম, তুমি কোথায়? কোনখানে বসে আছ তুমি? এটা কি তোমার বাড়ি? শবনম বাঁদিকে আরও একটু হেলে বসে। পা দুটো হাঁটু মুড়ে গুটিয়ে নিয়েছে নিজের শরীরের কাছে।

– বাড়ি? মতলব ঘর? কেয়া পতা! ঘর মানে কি? অপরূপা? তুমহে পতা হ্যায়?

– আমিও ঠিক জানি না। ঘর আমারও আছে অবশ্য। একটা ফ্ল্যাট। নিজেরই।

– তুম আকেলি হো?

– হ্যাঁ। একাই থাকি আমি।

– আকেলি অওরত কা মতলব পতা হ্যায় তুমহে?

– জানি শবনম। সবই জানি।

– আমার ঘর নেই। নিজের ঘর নেই। কুছ ভি নেহি হ্যায়। থাকি অনেকের সঙ্গে। অনেক রকম বয়স। সবাই অওরত। একটা করে বিছানা। তোশক, বালিশ, চাদর আর একটা আলমারি। চৌকির নিচে একটা ট্রাংক। তাতে নিজের জিনিস। তালাবন্ধ। এই যেখানে বসে আছি আমি, এটা এই বাড়ির একতলার পিছনের দিকের ঘর। কোই আতা নেহি ইধার। ডরসে। আমার ভয় করে না। বরং সুবিধে হয়। সবকুছ উতারকে বহোত সারে সেলফি লেনা পড়তা হ্যায়। ভিডিও করি। পাঠাই এজেন্টকে। টাকা দেয় তারা।  

– স্বাধীন রোজগার।

– খারাপ লাগছে না তোমার? গন্দি অওরত মনে হচ্ছে না আমাকে? শবনমের চোখে দুষ্টুমি লেগে থাকে। ওটা বোধহয় ওর চোখে আজন্মকাল রয়েছে। হালকা মাস্কারার আড়ালেও জেগে ওঠে।

– আমি খারাপ ভাবব কেন শবনম? তুমিও কাজ করছ। ইউ আর ফ্রি টু ডু এনিথিং। এই ভিডিও বা এই ন্যুড ছবি তো তোমার নিজস্ব উপার্জন। তোমার যা আছে, তাই বিক্রি করছ। আমি একে খারাপ ভাবি না। আই ফীল ফর ইউ। আমার বরং খারাপ লাগছিল ওই অস্বাস্থ্যকর ঘরটা দেখে। কী নোংরা। ওখানে একদম মানায় না তোমাকে।

– অপরূপা, তোমার সুন্দর ফ্ল্যাটটার মতো আস্তানা তো নেই আমার। ক্লায়েন্ট আছে। অনেক ক্লায়েন্ট। নানারকম ভিডিও শ্যুট করায়। তারা শুষে নেয় অনেকটা, দেয় কম। আমি এই লাইনে নতুন তো। আভি তক পুরি তরহা সে পতা নেহি কিসকে পাস যাউঁ ম্যাঁয়। তোমার মতো ক্লায়েন্ট চিনে নিতে পারিনি এখনও।

শবনমের কথায় একটু হোঁচট খাই। আমার ক্লায়েন্ট? না না। আমি ক্লায়েন্ট ডিল করি না। আত্মসম্মানে লাগল কি? কথা ঘোরাই।

– এত দুর্ধর্ষ ফিগার তোমার। মডেলিং করো না কেন?

– মডেলিং করতেই তো গিয়েছিলাম। ইস ধান্দে মে প্যায়সা জাদা হ্যায়। জাদা সোচি নেহি। এক এজেন্ট অফার দিল। রাজি হয়ে গেলাম। মুঝে ভি এক ফ্ল্যাট খরিদনা হ্যায়। বিলকুল তুমহারি তরহা। সুন্দর সাজানো ফ্ল্যাট। ঝলমলে নরম বিছানা। দেওয়ালে নীল রঙ। মুঝে নীলা পসন্দ হ্যায়। ভেলভেট পর্দা উড়বে। আমি আমার শরীর একটু একটু করে মেলে দেব। সব গোপন রহস্য শিখিয়ে দেব তোমাদের। পাব না? তোমার মতো একটা স্বাধীন জীবন? খুদ কি জিন্দেগি?  

শবনম একদৃষ্টে চেয়ে আছে। ওর হাত বাড়িয়ে দেয় আমার দিকে। মন্ত্রমুগ্ধের মতো চেয়ে দেখি অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় ও খুলে নিচ্ছে আমার অন্তর্বাস। ওর নগ্ন শরীর এসে ধীরে ধীরে মিশে যায় আমার শরীরে। ভাঁজের পর ভাঁজ খুলে পরতে পরতে শবনম ভরে দেয় তৃষ্ণা মেটানোর রসদ। আমার কানের লতির একদম কাছেই ওর উষ্ণ নিঃশ্বাস। ম্যাঁয় তুম বন যাউঁ? তোমার জীবনটা আমায় দিয়ে দাও অপরূপা। আমি আরও সুন্দর করে আনন্দ দেব সকলকে। এই আনন্দ তো বিলিয়ে দেওয়ার… তুমিও তো চাও এই আনন্দ। মজা। আমি শবনমের নরম শরীরের বুনো গন্ধে অবশ হতে হতে গিয়ে বসি ওই ময়লা চাতালে। আমার হাতের আঙুলগুলো এখন ক্রমাগত খুঁজে চলেছে চোরাপথ। শবনম আমার নরম বিছানায় শুয়ে আধবোজা চোখে আমাকে দেখে। ওর ঠোঁটে এখনও সেই দুষ্টুমি মাখানো হাসি।                           

          

 

 

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত