| 20 এপ্রিল 2024
Categories
গল্প সাহিত্য

লক্ষ্যমাত্রা

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

“এই দাঁড়ান দাঁড়ান! কী আশ্চর্য! স্টপেজ ছেড়ে আধ মাইল দূরে বাস থামিয়েই ছেড়ে দিল? ইস! এটা ডাইরেক্ট ছিল, এবার পরেরটা কতক্ষণে আসে কে জানে? সেই ভেঙে ভেঙে যেতে হবে।” প্রথম দেড়খানা বাক্য পলাতক বাসটির কন্ডাক্টরের উদ্দেশ্যে হলেও শেষেরগুলো স্বগোতক্তি।  

আমার কাজের ওপর মাসিক, ত্রৈমাসিক তথা বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা আছে। কোনও মাসে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে আগামী তিন মাসের মধ্যে পুষিয়ে দেওয়ার সময় পাওয়া যায় বিস্তর গালমন্দ সহকারে। তিন মাসে পূরণ না হলে টিম লিডারের তাড়া ছাড়াও ওপর মহলের হুড়ো খেতে হয়। পর পর দুটো কোয়ার্টার লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে আর বছর ঘোরা দেখতে হবে না, তার আগেই হাতে মুক্তিপত্র ধরিয়ে দেওয়া হবে। বলা বাহুল্য প্রদত্ত গালাগালিটা পরিবর্তে ফেরত নেওয়া হবে না। আবার লক্ষ্যভেদ হলে বা তা ছাপিয়ে গেলেও যা ইনসেন্টিভ পাওয়ার কথা তা সব সময় ঠিকমতো হিসাব করা হয় না, প্রায়ই কমে যায়। তখন ওপরওয়ালা, হিসেবরক্ষক ও মানবসম্পদের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে গিয়ে ন্যায্য পাওনার জন্য তদবির করে হ্যানস্থা হতে হয়, যেন ভিক্ষা চাইছি। বেছে বেছে আমার বেলাতেই বেশি গোলমাল হয়, বিশেষ করে যদি ছুটিছাটা নিয়ে ফেলি।

     এরা তিন বছর পরেও পাকাপাকি নিয়োগপত্র দেয়নি। বছরে গোটা দশেক নথিভুক্ত ছুটির বাইরে মোটে সাত দিন ক্যাজুয়াল লীভ নিতে পারব। কিন্তু কোনও মাসে একদিন অফিস না গেলেই মাইনে ঘ্যাচাং; বছরের শেষ পর্যন্ত সাত দিনের বেশি ছুটি হল কিনা দেখার অপেক্ষা রাখে না। গত বছর মোটে দুটো সবেতন ছুটি জুটেছিল, প্রথম বছর একটাও না। আমি বছরে কয়েকদিনের মাইনে ছাড়তে রাজি থাকলেও আমার ওপরওয়ালা আর হিসাবরক্ষীরা এত নাছোড় যে, মাসে আধ বেলা কামাই রেয়াত করে না। লক্ষ্য পূরণ করলেও কামাইয়ের অজুহাতে মাইনেতে কামড় বসিয়ে দেয়। তাই টার্গেট তাড়া করাটা চাকরি টিঁকিয়ে রাখার বাধ্যবাধকতা হলেও সেটা ধরতে পারার আনন্দ প্রায় প্রতিবারই মাটি হয়ে যায়। কারণ আমি মাসে চার বা পাঁচটি রবিবারের বাইরে একদিনও কাজে কামাই না করার শপথ নিলেও আমার পারিবারিক পরিস্থিতি বা স্বাস্থ্য কেউই সেটা অনুমোদন করে না।

     এত যে লক্ষ্য পূরণের চাপ, আমার জীবনে কিন্তু নিজস্ব কোনও লক্ষ্যমাত্রা নেই। কিছু হওয়ার, কিছু পাওয়ার, বিশেষ কিছু করার, কোথাও পৌঁছনোর – কোনও কিছুরই না। এটাকে লক্ষ্যহীনতা বলব না লক্ষ্যমাত্রার অভাব জানি না; কারণ দপ্তরে লক্ষ্যমাত্রা মাপার একটা আর্থিক মানদণ্ড আছে, কিন্তু আমার নিজের জীবনে সেটা স্থির করা হয়নি। মানে ভবিষ্যতে কত টাকা মাইনে পেতে চাই, কোন পদ অধিকার করতে চাই, কতটা সঞ্চয় করতে চাই বা কোথায় থাকতে চাই – কোনও ব্যাপারেই কোনও মেয়াদি রূপরেখা নেই। বিশুদ্ধ দিনানিপাতের ছোট ছোট লক্ষ্য পূরণ করে অস্তিত্ব টিঁকিয়ে রাখতে গিয়ে বড়ো লক্ষ্য নিয়ে ইদানিং স্বপ্ন দেখাও ছেড়ে দিয়েছি।

     এই যেমন ধরুন, এখন বাসস্টপে দাঁড়িয়ে গুমোট গরমে দরদর করে ঘামছি। সিন্থেটিক শাড়িটা গায়ে লেপ্টে গেছে। সায়া ঘামে ভিজে দু পায়ে এমনভাবে জড়িয়ে গেছে যে ঠিকমতো হাঁটা যাচ্ছে না। শাড়িটা শখ করে কালে ভদ্রে পরি। রোজকার পোশাক সালোয়ার কামিজ, কুর্তি লেগিংস বা ঐ জাতীয়। বয়স যখন কম ছিল, তখন জিনস্ পরার খুব শখ ছিল। প্রথম চাকরির প্রথম মাসের মাইনে দিয়ে একটা কিনেও ফেলি। কিন্তু সেটা নিয়ে বাড়িতে এমন ব্যঙ্গ বিদ্রূপের ছলে শাসন শুরু হল, যে জোর করে দিন কয়েক পরার পর নিজেকে বুঝিয়েছিলাম, ও বস্তু পরার জন্য চেহারায় চেকনাই আর সপ্রতিভতা লাগে, দুটোর কোনওটাই আমার নেই। এখন আর ইচ্ছা করে না। পেট মোটা দেহে মানায় না, আর গাঙ্গেয় বাংলার জলবায়ুতে পরেও সুখ নেই। ঐ নিজেকে এমনটাই বোঝাই আর কী? শাড়িটা মাঝেসাঝে পরলে আমাকে মানায় কারণ মায়ের প্রচুর রঙিন শাড়ি যেগুলো বাবা চলে যাওয়ার পর মাকে আর মানায় না। আসলে অনেক সময় কাকে কোনটা মানাবে সেটা তার পরিস্থিতি ঠিক করে দেয়, শখ আহ্লাদ তো দূর চেহারা ব্যক্তিত্ব এগুলোরও ভূমিকা থাকে না।

     এই যে বাসটা আমি ফস্কালাম – মানে আমার দোষ নেই, যথাস্থানেই দাঁড়িয়েছিলাম, কিন্তু সে ব্যাটা যে তার কমিশনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য যথেষ্ট জায়গা ফাঁকা থাকতেও যাত্রী ফেলে চম্পট দিল, তাতে আমার সামনে আপাতত বেশ কয়েকটা লক্ষ্য তৈরি হয়ে গেছে। এক হল, একটা সরাসরি বাস পাওয়া যাতে করে বাড়ির নিকটতম স্টপেজে পৌঁছে হেঁটে যেতে পারি, যাতে করে রিক্শা নিতে না হয় অর্থাৎ পনেরো টাকা সাশ্রয় হয়। সেই রুটের বাস পেতে গেলে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। অথচ প্রচণ্ড গরমে আর কাঁধের ভারি ব্যাগের দাপটে মনে হচ্ছে ফুটপাথেই বসে পড়ি। সুতরাং ঐ দিকের অন্য কোনও বাস পেলেও উঠে পড়তে হবে, আর অপেক্ষা সইছে না। সোজা কথা রিকশা ভাড়াটা আজ আর রক্ষা করা যাবে না। দুই, তৃষ্ণা নিবারণ। এই মুহূর্তের প্রবল তৃষ্ণা ব্যাগের ভেতরে রাখা বোতলের উষ্ণ জলে মিটবে না। হয় ঠান্ডা পানীয় নয় ডাবের জলের জন্য মনটা আকুলি বিকুলি করছে। কিন্তু বাড়তি পনেরোর শোকে ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ টাকাটা বার করতে গায়ে লাগছে। ডাবওয়ালা সামনেই, কিন্তু আর একটা ভয় যদি ডাবের জল শেষ হওয়ার আগে প্রার্থিত বাস চলে আস? নরম পানীয়র বোতল অবশ্য ঝট করে কিনে ফেলা যায় যেটা সঙ্গে নিয়েই বাহনে আরোহণও সম্ভব। কিন্তু প্রথম লক্ষ্যবস্তুটা আপাতত ফস্কে যাওয়ায় দ্বিতীয়টা পূরণে এত দ্বিধা বাধা এসে হাজির।

তিন নম্বর হল, স্নান। আহ্! সারা দিনের ক্লান্তি আর ক্লেদ মোচনের জন্য ভালো করে সাবান মেখে বেশ খানিকক্ষণ শাওয়ারের তলায় দাঁড়ানো আর স্নান হয়ে গেলে ভেজা গায়ে তোয়ালে জড়িয়ে পাখার হাওয়ায় জল শুকোনোর চেয়ে বড়ো বিলাসিতার কথা ভাবতে পারি না। গায়ে জ্যালজেলে নাইটি চাপানোর আগে কষে পাউডার ছড়াই শরীরের আনাচে কানাচে একটুও কিপটেমি না করে। তবে এই বিলাসিতায় অবশ্য বাধা পড়ে যায় যদি অ্যালার্জির কষ্ট বাড়ে; তখন পাউডার ধূপ সুগন্ধী সবই অসহ্য লাগে। কিন্তু গা ধোয়ার পর গা শুকোনোর আরামটা কিছুতেই ত্যাগ করতে চাই না। মা বকলেও না, কোমরে পিঠে বা গলায় ব্যথা কি হাঁচি কাশি হলেও না। তবে বাবা যখন ছিলেন তখন এভাবে হুট করে তোয়ালে গায়ে স্নানঘর থেকে বেরোনো যেত না। বাড়িতে ভাই থাকলেও যায় না। তাই আমার চতুর্থ লক্ষ্য হল ভাই কাজ সেরে বা আড্ডা মেরে বাড়ি ফেরার আগেই যেন বাড়ি পৌঁছতে পারি এবং স্নান সারার পর অন্তত মিনিট পনেরো যেন সময় পাই নিজের জন্য। তবে এই লক্ষ্য প্রায়ই পূরণ হয় না, আর হলেও খানিক বাদেই ভাইয়ের জন্য চিন্তাটা বড়ো জ্বালায়। অফিসটা পুরোটাই বাতানুকূল, কিন্তু সকালে হাজিরা খাতায় সই করে ঠান্ডা হাওয়ায় একটু হাঁফ ছাড়তে না ছাড়তেই রোদে জলে ধূলো কাদায় বেরিয়ে পড়তে হয় লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য। সারাদিন হাজারো অপমান আর কষ্ট বরদাস্ত করে নিই বাড়ি ফিরে সেগুলো অনেকটা সময় নিয়ে ধোব আর শুকোব কল্পনা করে।

টিভি দেখতে দেখতে কয়েকটা ধারাবাহিক ও বাস্তবতা প্রদর্শনী বা রিয়েলিটি শো দেখাটা রোজকার অভ্যাস। সেটা লক্ষ্যবস্তু কিনা জানি না। তবে সকালে উঠে আবার নাকে মুখে গুঁজে দৌড়তে হবে স্বেদ ও গ্লানি সিক্ত হওয়ার জন্য ভাবলে রাতের ঘুমটা পরম আরাধ্য হলেও আদৌ সুখের মনে হয় না। শনিবারের বিকেলের জন্য অপেক্ষা সার্থক হতে না হতে রবিবার সন্ধ্যা হাজির হয়। শনিবার বিকেলে একটু কলেজ স্ট্রিটে গিয়ে আড্ডা মারাটা আমার সাপ্তাহিক লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে পড়ে যেটা শনি রবি পরপর দু’দিন কদাচিৎ ছুটির মুখাপেক্ষী।

বড্ড মোটা হয়ে যাচ্ছি। রক্তে নিম্নচাপ কখন স্বাভাবিক হয়ে উচ্চচাপে পরিণত জানি না। সম্প্রতি রক্তে শর্করার পরিমাণও মাত্রা ছাড়া। ভেবে পাই না অভাবের সংসারে এইসব শারীরবৃত্তীয় সূচকগুলোর প্রাচুর্য হয় কী করে? না হয় ভাতটা একটু বেশিই খাই, কিন্তু ছুটোছুটি করে যে মানান শক্তিক্ষয় করতে হয় তাতে স্নেহ জমার কথা নয়। শালা টাকা না জমে মেদ জমছে, পজিশন নীচে চাপ ওপরে! আমার ছত্রিশ বছরের আইবুড়ো জীবনটা বিস্বাদ থেকে ক্রমশ তেতো হয়ে উঠছে। স্কুল কলেজের বন্ধুদের দেখে একটা প্রেমিকের খুব শখ হয়েছিল। শখটা পরে প্রয়োজনে গিয়ে ঠেকল। এই অঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য অবশ্য কোনও দৌড়ঝাঁপ চেষ্টা চরিত্রের অবকাশ ছিল না। এটা কেউ স্থির করে আমার ওপর চাপিয়েও দেয়নি। অবশ্য আমার বিয়ের কথা বাড়িতে মাঝে মধ্যে উঠত। অনেকটা এইভাবে, যেন ভাইয়ের যতদিন না হিল্লে হচ্ছে ততদিন আমি রোজগার করে তার হয়ে প্রক্সি দিচ্ছি। সে কিছু একটা বাগাতে পারলেই সংসারের সব অভাব দূর হবে, দিদির বিয়ে হবে। যাইহোক ভাই বিকম পাস করে জীবন বীমার এজেন্সি নিয়ে যতদিনে একটু থিতু, ততদিনে আমাদের পরিবারের লক্ষ্য হয় গেল দিদির মতো আইবুড়ো না থেকে তার অন্তত যেন একটা পরিবার হয়। আর আমি? যার জীবনে এত তিক্ততা তার রক্তে এত মিষ্টত্ব বিধাতা কোন আক্কেলে দিয়েছেন ভেবে ইনসুলিন ক্ষরণ আরও কমিয়ে ফেলছি। ও বুঝতে পেরেছি, অভাবই তো আছে – ঐ উৎসেচকটির।

বাবা যখন চলে যান ভাই তখন মাধ্যমিক দেবে আর আমি সদ্য বিএসসি-তে ভর্তি হয়েছি। বিনা পণের একটি ভালো ছেলে তখন শুধু মানসিক বিলাসিতা নয় পারিবারিক প্রয়োজনও ছিল। বিয়ের ব্যাপারে মা উদ্যোগ নিতে পারেননি বলে দোষ দেব না। খুব আশা ছিল বাবার কোম্পানি আমাকে একটা সহানুভূতি ভিত্তিক চাকরি দেবে। প্রথমবার যা হোক একটা কাজের জন্য আবেদন করাতে পরিচালকমণ্ডলী বলল স্নাতক হতে, নন্দী সাহেবের মেয়ে গ্র্যাজুয়েশন না করে যে কোনও পদে বহাল হবে? মা দুই বাড়ি রান্নার কাজও করেছেন লজ্জার মাথা খেয়ে। সেখানে তোলা কাজের লোক না এলে এঁটো বাসন মাজতে মানে লাগলেও বাড়তি টাকাটা কাজে লাগত।

আমরা দু ভাই বোন টিউশনিতে তেমন সুবিধা না পেয়ে জেরক্সের দোকান থেকে টুকটাক ঠিকের কাজ করে চালিয়েছি। অনার্স রাখতে পারলাম না। কোনও রকমে বিএসসি পাস করে কোম্পানির দ্বারস্থ হলাম। অফিসার ট্রেইনি হিসেবে পুনরায় আবেদন করলাম। ফল ভালো নয় বলে চাকরি হল না। কয়েক মাস পরে কিছু শূন্যস্থানে উচ্চ মাধ্যমিক পাস ছেলেমেয়েরা নিযুক্ত হয়েছিল। কেরানি পদপ্রার্থী হয়ে কেন আবেদন করিনি মায়ের কাছে সেই কৈফিয়ত এখনও দিতে হয়। তারপর থেকে একটার পর একটা চাকরি জুটিয়েছি, কিন্তু কোনোটাই বছর খানেকের বেশি ধরে রাখতে পারিনি। আগে নতুন জায়গায় আবেদন করার সময় বিভিন্ন সংস্থার বিভিন্ন পদে কাজ করার ফিরিস্তি লিখে ভাবতাম অভিজ্ঞতার কদর হবে। ইদানিং বুঝতে পেরেছি ওগুলো নিয়োগকারীদের রোলিং স্টোনের প্রবাদটি মনে করিয়ে দেয়। তাই এখানে লাথি জুতো হজম করে আনুগত্য দেখিয়ে যাচ্ছি। কোনও এক সময় ম্যানেজমেন্ট পড়ব, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দেব, বড়ো চাকরি করব ইত্যাদি ছিল উদ্দেশ্য। আর এখন পরের মাসের মাইনে পাওয়ার অপেক্ষা ছাড়া কোনও কিছুই বিধেয় মনে হয় না। প্রতি সম্পাহে লুকিয়ে লটারির টিকিট কাটি। একবার লেগে গেলে চাকরি ছেড়ে দেওয়াটাই আপাতত আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য এবং স্বপ্ন।

“এই ডানলপ, রথতলা, কামারহাটি, আগরপাড়া, সোদপু—র।”

চলে এসেছে আমার সাময়িক এক নম্বর লক্ষ্যবস্তু। বাসে উঠেই টাল খেতে খেতে মহিলা সিটগুলোয় আসীন যাত্রীদের জরিপ শুরু করলাম। “আপনি কোথায় নামবেন? ও, আর আপনি?”

আপাতত আমার পরবর্তী মরিয়া লক্ষ্যমাত্রা একটা বসার জায়গা পাওয়া।

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত