–
কোন এক আবুল মোকাররাম ছোট বেলা থেকে ভেবেছে বড় কিছু হতে হলে আগে টাকা দরকার। অনেক কষ্ট করে নিজে না খেয়ে, পরিবারের লোকদের না খাইয়ে, নিজের অধিনস্ত লোকদের ঠকিয়ে, দেশকে ঠকিয়ে, দুনিয়ার প্রতি কোন দায়িত্ব না নিয়ে আজকে অনেক অনেক টাকা আয় করেছে। গত কিছুদিন থেকে আর কাজে মনোযোগ দিতে পারছে না। মনেও শান্তি লাগছে না। এত এত ব্যবসা। মন চায় একটু বিশ্রাম নিতে। কিভাবে বিশ্রামে যায়…! দুই দিন পর পর ইনকয়ারির জন্য পরিবেশ, এন বি আর, দুদক, ওয়ার্ল্ড হেলথ এর বিভিন্ন সরকারি লোকজন এসে বিরক্ত করছে। এদের থেকে কিভাবে মুক্ত হওয়া যায়…! বড় ছেলেও ইদানিং খুব বলছে তুমি এমপি নির্বাচন কর। সরকারি একটা শক্ত অবস্থানে থাকলে আমাদের কেউ ঘাটাতে আসবে না। সুবিধা মত দলের ফান্ডে শত কোটি টাকা ডোনেশন দিয়ে গত পাঁচ বারের এমপিকে হটিয়ে দল থেকে টিকেট নিয়ে নিল। এখন তিনি মন্ত্রী। এখন নিশ্চিতে বিশ্রাম নিতে পারবেন। কেউ আর জ্বালাতে আসবে না। জ্বালাতন করলেই ঝাড়ি মার। তিনি বিশ্রামে থাকা অবস্থায় বড় ছেলের বন্ধুর কোম্পানি থেকে বিশ ট্রাক খিচুড়ি অর্ডার করা হয় ত্রান দেয়ার জন্য। বড় ছেলের বন্ধুর কোম্পানি বলে কথা। ডেইট ওভার হওয়া খিচুড়ি চায়না থেকে লটে করে এসেছে। কেউ কেউ বলে চাইনিজরা রাখার যায়গা না থাকায় নিজেদের খরচে এই দেশে পাঠিয়ে দেয়। সেই খিচুড়ি খেয়ে বস্তিতে ২৯জন মারা যায়। আর দুই হাজার হসপিটালে ভর্তি। সরকার নেটিজেনদের হাত থেকে বাচার জন্য আবুল মোকাররম কে বিশ্রাম থেকে ধরে এনে সাতানব্বই মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেয়। বড় ছেলে এখন প্রায় বাবাকে চিঠি দেয় আর বার বার লিখে ‘বাবা তুমি বিশ্রাম চেয়েছো। বিশ্রাম পেয়েছো। জীবনে যা চেয়েছো সব পেয়েছো!’
চলচ্চিত্র ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।