সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের অনুবাদে জন কীটস’র কবিতা
জন কীট্স্ (অক্টোবর ৩১, ১৭৯৫-ফেব্রুয়ারি ২৩, ১৮২১) ইংরেজি সাহিত্যের একজন রোম্যান্টিক কবি। লর্ড বায়রন ও পার্সি বিশি শেলি’র সাথে সাথে তিনিও ছিলেন দ্বিতীয় প্রজন্মের রোমান্টিক কবিদের একজন। তাঁর মৃত্যুর মাত্র চার বছর আগে তাঁর সৃষ্টিগুলো প্রকাশিত হয়। তৎকালীন সমালোচকদের দৃষ্টিতে তাঁর কবিতা খুব একটা উচ্চ মর্যাদা পায়নি। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর কবিতাগুলো সঠিক মূল্যায়ন পেতে শুরু করে এবং উনিশ শতকের শেষ দিকে তিনি অন্যতম জনপ্রিয় ইংলিশ কবির স্বীকৃতি পান। পরবর্তীকালের অসংখ্য কবি ও সাহিত্যিকের ওপর তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। হোর্হে লুইস বোর্হেসের মতে, কীট্স্’র লেখার সাথে প্রথম পরিচয় তাঁর সাহিত্যিক জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। জন কীট্স্ ১৭৯৫ সালে লন্ডনের একটি আস্তাবলে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন আস্তাবল রক্ষক। ১৮০৪ সালে তার বাবা মৃত্যুবরণ করেন। কীট্স্’র বাবার মৃত্যুর পর তার মা আবার বিয়ে করেন কিন্তু ১৮১০ সালে তার মা ক্ষয়রোগে মারা যান। ১৮২০ সালের শুরুর দিকে কীট্স্’র যক্ষার লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। ওই বৎসরের জুলাই মাসে তাঁর কবিতার দ্বিতীয় খন্ড প্রকাশ হয় কিন্তু তখন তিনি খুবই অসুস্থ। সেপ্টেম্বরে উষ্ণ আবহাওয়ার আশায় কীট্স্ ও তাঁর বন্ধু জোসেফ সেভার্ন ইতালি গমন করেন; তারা আশা করেছিলেন এতে কীট্স্’র স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। তারা যখন রোম পৌঁছেন তখন কীট্স্’র অসুস্থতা আরও বৃদ্ধি পায় এবং তিনি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। কীট্স্’র বন্ধু সেভার্ন তাঁকে যথাসাধ্য সেবা যত্ন করেন। কিন্তু কীট্স্ ১৮২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রোমে মারা যান। তাঁকে রোমের প্রটেস্টান্ট সিমেটারিতে কবর দেয়া হয়। তাঁর সমাধিলিপিতে লেখা রয়েছেঃ ‘Here lies One Whose Name was writ in Water’.
সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ কতৃক অনুদিত জন কীট্স্-এর কয়েকটি কবিতা সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের শুভ জন্মদিনে ইরাবতী-এর পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হলো। কবি সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের জন্য রইলো শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।
একটা নাইটিংগেলের প্রতি
হৃদয়ে কী ব্যথা! এক ঘুম-ঘুম অবশতা দেয়
যাতনা এ-চেতনায়, হেমলক করেছি বুঝি পান,
কিংবা ভোঁতা-অহিফেন নিঃশেষে করেছিলাম ব্যয়
একটা মিনিট বাদে, লিথি-তে স্মৃতির অবসান :
এ নয় তোমার ভরা-বরাদ্দের ঈর্ষার ধকলে,
বরং তোমার সুখে অতিরিক্ত সুখের কারণে,—
যে, তুমি, কিরণপক্ষ বৃক্ষদের দেবী, হে দ্রায়াদ,
ললিত, কলিত বনস্থলে,
শিরীষ-সবুজ আর অগণন ছায়ার গহনে,
গেয়েছ বাসন্তী-গান গলা খুলে, সহজ, অবাধ।
আহা এক চুমুক সুরার তরে! দীর্ঘদিন যাকে
ঠাণ্ডা করা হয়েছিল মাটির গভীরে রেখে পুঁতে,
দেহাতি গাছপালা আর ফুল-ফলের স্বাদ যাতে পাকে,
নৃত্য, প্রভেঁসের গীত, রোদ-তাতা ফুর্তি যে-দারুতে!
ও একটা পেয়ালা-লাগি! দক্ষিণের উষ্ণ দক্ষিণাতে
ভরপুর, এবং খাঁটি, আরক্তিম হিপোক্রিন-জলে,
বুদ্বুদের পুঁতিগুলি উঁকি মারে যার কিনারায়,
আর এক গুলাবি মুখ তাতে;
যেন পান ক’রে, পারি তোমার সাথেই যেতে চ’লে
পরিচিত পৃথিবীটা ছেড়ে ঐ অরণ্যচ্ছায়ায় :
যেতাম মিলিয়ে, গুলে গিয়ে ভুলে যেতাম একদম
পত্রপল্লবের ফাঁকে যে-কাহিনি কখনও জানো নি,
যে-ক্লান্তি, যে-অপস্মার, যে-আক্ষেপ, অশান্তি হরদম
এখানে, যেখানে ব’সে একে শোনে অন্যের গোঙানি;
শেষ-ক’টি সাদা চুল পক্ষাঘাতে যেথা ঝ’রে যায়;
যেখানে যৌবন মরে পাণ্ডু হ’য়ে, প্রেতশীর্ণ হ’য়ে,
যেখানে ভাবনার মানে টৈটম্বুর হওয়া শুধু শোকে;
আর শিশা-চক্ষু হতাশায়;
যেখানে রূপের আঁখি দৃষ্টিহীন হয় অসময়ে,
জোটে না পরশুর পর নোতুন প্রেমিক নরলোকে।
দূরে! দূরে! কেননা আমিও উড়ে যাব তোমা-পানে,
নয় বাক্কাসের, কিংবা তার চিতাদের রথারূঢ়,
বরং উড়াল দেব কবিতার গায়েবি বিমানে,
যদিও নিরেট মাথা ক’রে ফেলে বিবশ, বিমূঢ়।
এখনই তোমার সাথে! কমনীয়া এ-মধুযামিনী,
হয়তো এখন চাঁদ-রানি তার রাজসিংহাসনে
সমাসীনা, তারকারা পরিদের দ্বারা পরিবৃত;
কোনো আলো এখানে নামে নি,
কেবল আকাশ থেকে যতটুকু বাতাসের সনে
গুল্ম-ঢাকা বাঁকা-পথে শ্যামলান্ধকারে হয় নীত।
আমার পায়ের কাছে ফুটেছে কী-ফুল, দেখি না তা,
কিংবা ডালে-ডালে ঝোলে যত মিহি মদির সুবাস,
সুগন্ধ আঁধারে করি অনুমান যত মধুরতা
দরাজ ইনাম-রূপে এই কালোচিত মধুমাস
ঘাসে-ঘাসে, ঝোপে-ঝাড়ে, জংলি ফলগাছে দেয় ঢেলে :
সাদা-সাদা সেঁউতি বুঝি, আর মেঠো ঘেঁটুফুল ঐ;
সদ্যঃপাতী দোপাটি ও, ছেয়ে আছে ঘন কিশলয়ে;
আর ফাল্গুনের জ্যেষ্ঠ ছেলে
সমাসন্ন কস্তূরী-গোলাপ, হিমিকায় থৈ-থৈ,
একটানা মক্ষিকা-মর্মরে, মধুরাতের মলয়ে।
আঁধিয়ারা শুনি; আর,অনেক-অনেক-বার আমি
বুঁদ হ’য়ে থেকেছি আধুরি প্রেমে সহজ মৃত্যুর,
ডেকেছি কত-না তাকে, কত কবিতায়, প্রিয় নামে,
বাতাসে মিশিয়ে শ্বাস ক’রে দিতে আমাকে ফতুর;
এ-মুহূর্তে ম’রে যাওয়া মনে হচ্ছে অনর্ঘ সবচেয়ে,
মাঝ-যামিনীর বুকে বেদনাবিহীন উবে যাওয়া,
যখন আত্মাকে খুলে ঢেলে দিচ্ছ এমন উল্লাস
এমনই গভীর রভসে! এ-
-শ্রবণ যখন আর শুনবে না, থামবে না তব গাওয়া,
তব মাগফেরাত গানে হ’ব আমি কবরের ঘাস।
মরার জন্য তো তুমি জন্মাও নি, হে অমর পাখি!
বুভুক্ষু প্রজন্ম কোনো মুণ্ডপাত করে না তোমার;
শুনেছি যে-গান এই অপস্রিয়মাণ রাতে, তা কি
শোনে নি পুরানা দিনে তাবৎ সম্রাট্ থেকে ভাঁড়?
হয়তোবা এ-গানই পথ খুঁজেছিল শোকার্ত রুথ-এর
আত্মার ভিতরে, কোনো পরদেশি ফসলের মাঠে
যখন ঘরের লাগি আঁখি তার ভেসে গেছে বানে;
শৈলতটে, রুদ্র-সমুদ্রের
ফেনার উপরে খোলা জাদু-বাতায়নের কপাটে
ছড়িয়েছে কী-কুহক কোনো পরিত্যক্ত পরিস্তানে।
পরিত্যক্ত! শব্দখানি মরণঘণ্টার মতো বেজে
আমাকে তোমার থেকে ছিঁড়ে আনে নিজের নিকটে!
বিদায়! এ-মরীচিকা ততটা পারে না ছলিতে-যে
এই প্রতারিকা পরি যতখানি পারে ব’লে রটে।
বিদায়! বিদায়! তব বিরহসঙ্গীত-যে মিলায়
এই তরাইয়ের, ঐ শান্ত তটিনীর স্রোত-সনে,
ঐ পাহাড়ের ’পরে, দূরতর তেপান্তর চুমে
আরও সুগভীরে ডুবে যায়;
এ কি দিব্যদর্শন? নাকি এ দেখা জাগর স্বপনে?
অপসৃত সে-সঙ্গীত :—আমি জেগে আছি, নাকি ঘুমে?
(Ode to a Nightingale)
ওগো ধ্রুবতারা
দীপ্ত ধ্রুবতারা, যদি হ’তে পারি তোমা-হেন স্থির—
বিবিক্ত ঐশ্বর্যে তবে ঝুলে থেকে রাতের চূড়ায়
ধৈর্যশীল, অতন্দ্র মুনির মতো এই প্রকৃতির,
চাইব নাকো দেখতে আমি চিরোন্মীল নয়নতারায়
পুরোহিত জলস্রোত পৃথিবীর মনুষ্য-বেলাকে
কীভাবে করায় অজু মুহুর্মুহু, অথবা কী ক’রে
হাল্কা-চালে নেমে এসে তুষারের মুখোশেরা ঢাকে
বিরানভূমির মুখ, চেপে বসে পর্বতশিখরে—
না— তবু হতাম তেম্নি স্থির, আর তেম্নি অবিচল,
প্রিয়ার সরস বুকে বালিশের মতো শুয়ে থেকে
চিরকাল অনুভব করতে তার ওঠা-নামা, আর অনুপল
কোনো এক সুমধুর উৎকণ্ঠায় নিশিদিন জেগে
শুনতে তার মোলায়েম নিশ্বাসের সতত-স্বনন
চিরদিন বেঁচে— কিংবা ক’রে ফেলতে আপন-হনন।
(Bright Star, Would I Were Steadfast As Thou Art)
পাষাণী
‘আহা, কী ব্যথায়, হে বীর সেনানী,
ম্লানমুখ তুমি ঘোরো একাকী?
বিলে খাগড়ারা শুকিয়েছে, আর
গায় না পাখি।
‘আহা, কী ব্যথায়, হে বীর সেনানী,
এত ভারাতুর, ছন্নছাড়া?
কাঠবিড়ালির ভরেছে ভাঁড়ার, ফসল কাটা-ও
হয়েছে সারা।
‘কপালে তোমার মল্লিকা এক
ভেজা সন্তাপ-শিশিরে হায়,
কপোলে একটা মলিন গোলাপ
দ্রুত শুকায়।’
‘প্রান্তরে দেখা মিলেছিল তার,
পরির কুমারী— শশিবদনা,
দিঘল অলক, চটুল চলন, চঞ্চল চোখে
উন্মাদনা!
‘চুলের জন্য গেঁথে দিই মালা,
এবং মেখলা আর কাঁকন;
প্রেমভরা চোখে তাকিয়েছিল সে, আর করেছিল
কুহুকূজন।
‘টাট্টুর পিঠে উঠিয়ে তাকে তো
সারাদিনমান দেখি নি আন্,
একপাশে হেলে গেয়েছিল সে-যে
পরির গান।
‘সুস্বাদু মুলা খাওয়াল আমাকে,
মান্না-হিমিকা, বন্য মধু,
ভীষণ অচেনা ভাষায় কইল, “ভালবাসি আমি
তোমাকে, বঁধু!”
‘পরির গুহায় আমায় নিল সে,
আর কী-হুতাশে কাঁদল হায়,
বুজিয়ে দিলাম প্রমত্ত তার চোখ-দু’টি আমি
চার চুমায়।
‘গান গেয়ে ঘুম পাড়াল আমাকে
এবং স্বপ্নে দেখি— আহা রে!
ওটাই আমার শেষ স্বপ্ন এ-
হিম পাহাড়ে।
‘আমি দেখলাম পাংশু বাদশা, শাহ্জাদাদেরও,
পাংশু যোদ্ধা— মৃত্যু-পাণ্ডু সবাই; জোরে
চেঁচিয়ে কাঁদল—“রূপসীপাষাণী
বধেছে তোরে!”
‘ফাঁক হ’য়েছিল ভুখা ঠোঁটগুলি
ভয়াবহ হুশিয়ারির ভারে,—
নিজেকে পেলাম, জেগে, একা, এই
হিম পাহাড়ে।
‘আর তাই আমি এই নির্জনে
ঘুরি ম্লানমুখ আর একাকী,
যদিও খাগড়া শুকিয়েছে বিলে,
গায় না পাখি।’
(La Belle Dame Sans Merci)
চ্যাপম্যান-অনূদিত হোমার পঠনে
স্বর্ণময় বহু রাজ্যে বহুকাল করেছি ভ্রমণ,
অনেক সুদৃশ্য দেশ, রাজত্ব দেখেছি আমি, আর
একদা পশ্চিম-দ্বীপপুঞ্জে ছিল নিবাস আমার,
দিবাকর অ্যাপোলোর কৃপাংশাদ যেথায় চারণ।
প্রায়শঃ শুনেছি এক বিতত ভূমির বিবরণ,
যে-রাজ্যের একচ্ছত্র ছত্রপতি মেধাবী হোমার;
পারি নি অনেক-কাল শ্বাস নিতে সমীরণে তার,
এবং তারপর শুনি চ্যাপম্যানের উচ্চৈঃ উচ্চারণ:
মনে হ’ল আমি সেই জ্যোতিষী, নূতন কোনো গ্রহ
সবেমাত্র সাঁতার দিয়েছে যার দৃষ্টির সীমায়;
কিংবা বীর কর্তেজ, যখন তার অনুচরসহ
তাকাল প্রশান্ত মহাসাগরে প্রথম—সে-শোভায়
লোকগুলি পরস্পর তাকাল, কী-এক বুনো মোহ
তাদের বিমূক করে দারিয়েনে পাহাড়-চূড়ায়।
(On First Looking Into Chapman’s Homer)
গান
হেথায়, হেথায়, প্রিয়া,
ছায়াময় মাঠে ধুধু—
হেথায়, হেথায়, প্রিয়া,
চলো পান করি শুধু!
হেথায়, হেথায়, মিঠি,
গোলাপ-বাগান এটা—
হেথায়, হেথায়, মিঠি,
শিশির ছড়ানো হেথা!
হেথায়, হেথায়, সখী,
জীবনের ঘ্রাণ নাও!
হেথায়, হেথায়, সখী,
ফাগুনের গান গাও!
যদিও পলক-সুখ
এক পলকেই মৃত,
যে-বিত্ত ধরে বুক
এক পলকেই হৃত
তবু তো এখনও আছে,
ভাবো, কাছে, কত কাছে!
যাবৎ এ-সুখ বাঁচে
ভাবো, আছে, কত আছে!
হেথায়, হেথায়, হেথা
প্রেম দিল উপহার—
মরতেও নেই ব্যথা
এ-তৃপ্তিতে আমার।
(Hither Hither Love)
মৃত্যু
মৃত্যু হ’তে পারে না ঘুম
জীবনখানাই স্বপন কেবল যদি,
আনন্দময় প্রহরগুলি
ফুরিয়ে যায় ছায়াবাজির মতো?
সদ্যঃপাতী পুলকসকল
যেন সবই আকাশকুসুম-নদী—
আমরা তবু মৃত্যুকেই
ভাবি সবার চেয়ে বড় ক্ষত!
অবাক্ কাণ্ড! মানুষকে হায়
চলতে তবু হবে ধুলার ’পরে;
ছাড়তে তবু পারবে না সে
এ-নোংরা পথ; জিন্দেগানির দাগা
বইতে হবে; এ-হিম্মতও
হবে না তার, একা, পলক-তরে
ভাবতে নিজের ধ্রুব বিলয়—
সে-ই-তো শুধু সত্যিকারের জাগা।
(On Death)
এক-যে ছিল দুষ্টু-ছেলে
এক-যে ছিল দুষ্টু-ছেলে,
বড্ড-যে তার বাড়,
স্কটল্যান্ডেই করল ধাওয়া
মানুষ দেখতে তার।
পেল প্রমাণ,
মাটি সমান
শক্ত সে, আর
গজের আকার
সমান দিঘল,
গানের আদল
একই ধরন,
চেরির বরন
তেম্নি রাতুল,
তেম্নি পৃথুল
সেথায় সিসে,
চারটি বিশে
আশি সেথাও,
তার দরজাও
যেমন কাঠের
ইংলন্ডের—
দুষ্টু-ছেলে আপন জুতায়
দাঁড়িয়ে থাকে, আর
অবাক্ লাগে, অবাক্ লাগে,
অবাক্ লাগে তার।
(There Was A Naughty Boy – part)
সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ সমকালীন বাংলা সাহিত্যের শক্তিশালী কবিদের একজন। দক্ষিণ ঢাকার নবাবগঞ্জ থানাস্থ বান্দুরা গ্রামে ১৯৬৫ সালে সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ’র জন্ম। ১৯৯৫ থেকে থাকছেন অস্ট্রেলিয়ায়। প্রকাশিত বই: অন্তউড়ি (পদ্য রূপান্তরে চর্যাপদ, ১৯৮৯), তনুমধ্যা (কবিতা, ১৯৯০), নির্বাচিত ইয়েটস (ডব্ল্যু বি ইয়েটস-এর নির্বাচিত কবিতার অনুবাদ, ১৯৯৬), এলিয়টের প’ড়ো জমি (টি এস এলিয়ট-এর দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড ও দ্য লাভ সং অব জে অ্যালফ্রেড প্রুফ্রক-এর অনুবাদ ১৯৯৮), কালকেতু ও ফুল্লরা (উপন্যাস, ২০০২), পুলিপোলাও (কবিতা, ২০০৩), মাতৃমূর্তি ক্যাথিড্রাল (গল্প, ২০০৪), কবিতাসংগ্রহ (কবিতা, ২০০৬), দিগম্বর চম্পূ (কবিতা, ২০০৬), গর্দিশে চশমে সিয়া (কবিতা, ২০০৮), ঝালিয়া (কবিতা, ২০০৯), মর্নিং গ্লোরি (কবিতা, ২০১০), কবিতা ডাউন আন্ডার (নির্বাচিত অস্ট্রেলিয় কবিতার অনুবাদ ও সম্পাদনা, অংকুর সাহা ও সৌম্য দাশগুপ্ত’র সাথে, ২০১০), ভেরোনিকার রুমাল (কবিতা, ২০১১), হাওয়া-হরিণের চাঁদমারি (কবিতা, ২০১১), স্বর্ণদ্বীপিতা (বিশ্ব-কবিতার অনুবাদ, ২০১১), আমাকে ধারণ করো অগ্নিপুচ্ছ মেঘ (কবিতা, ২০১২)।