Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com

সু‌হিতা সুলতানার কবিতাগুচ্ছ

Reading Time: 2 minutes

 

 

নিভৃতে ঝরে পড়ে গূঢ় বেদনারা

নিঃসঙ্গতা একটা অসুখের মত পাশ ফিরে শুয়ে থাকলেও ছোঁয়া যায় না।  উদ্দেশ্য মহৎ হলে জগৎ সংসারও স্বস্তিতে থাকে। কখনো কখনো উলঙ্গ লতাপাতার বাহারও মনে ধরে না।  অপার দুঃখের দেশে সঙ্গমও পানসা হ‌য়ে যায়। এক‌দিন স্বপ্ন ও ভা‌লোবাসা প্রিয় ছিল খুব,‌ দেশ‌প্রে‌মের মোহ যারা বো‌ঝে না তারা দানব বটে। 

পৃ‌থিবীতে অপ্র‌তি‌রোধ্য ব‌লে আস‌লে কিছু নেই।  তোমা‌কে যে পে‌তে পা‌রে সে দীর্ঘ জ‌লে ভরা নদী, অমীমাং‌সিত দুপুর।  নীরবে-নিভৃ‌তে ঝরে পড়ে গূঢ় বেদনারা। অ‌র্ধেক জীবন চ‌লে গে‌লে

তৃষ্ণার্ত স্মৃ‌তি পাশ ঘেষে বসে।  কখনো কখনো প্রিয় মুখও ঘৃণার যোগ্য হ‌য়ে ওঠে। 

প্র‌তি‌দিন জন‌প্রিয় হবার লো‌ভে কেউ কেউ নারী ও মদের জারে মুখ চু‌বিয়ে পড়ে থাকে।  

মেট্রোলাই‌নের কাজ শে‌ষ হ‌লে প্রেমও না কি আকাশ ছুঁ‌তে পার‌বে, আমাদের দেশের প্রেম এখন না মা‌টি না নদী চেনে! উড়ন্ত ডানায় ভর করে অচেনা হাওয়ায় উড়ে বেড়াতে চায়। 

আমি এখন মানুষ দে‌খি না আস্ত একটা গহ্বর দে‌খি, চুল থে‌কে পায়ের পাতা খসে গেলে দর্পণে ভেসে ওঠে ভূতের কেচছা।

 

সেইসব মানুষের মুখ
সেইসব মানুষের মুখ কী অদ্ভুতভাবে বাঁকা হতে হতে নেতিয়ে পড়েছে কেদারার ওপর!রাতের অন্ধকারে চাঁদকে পেছনে ফেলে ক্ষমতার শেকড় চারিয়ে দিয়েছে নাভির ভেতরে  সেই মুখ সেই কণ্ঠস্বর কেন এত অচেনা হলো
তার চোখের ভেতরে এত বিষ এত হিংসা লুকিয়ে ছিল বুঝিনি আগে! 

যে নদী স্বপ্নের ভেতরে স্বপ্ন চূর্ণ করে প্রান্তরের সব উল্লাস বিরুদ্ধ স্রোতের মুখে দাড় রিয়ে দেয় এখন কে যাবে নিঃস্ব  তে সেই নদীর কাছে?

 

মেঘ নদীর জাদুবাস্তবতা
যখন স্বপ্নের ভেতরে স্বপ্ন লণ্ডভণ্ড হয়ে হাওয়াই উড়তে থাকে পেছনে মেঘ নদীর জাদুবাস্তবতা আর কর্মহীন অলস দুপুর তোমাকে ভাবতে ভাবতে সারা দিনমান অথচ কোথাও তুমি নেই রাত্রি জলস্রোতের মধ্যে কখনো কখনো দুলে ওঠে তোমার ছায়া, বৃক্ষহীন মায়াহীন শহরে নিজস্ব বিশ্বাসেরও কোনো মূল্য থাকে না! ছায়াছন্ন খাল পার হতে হতে যখন সব ভাবনায় উঠে এলো তখন গুচছ গুচছ চোরাবালি জড়িয়ে ধরেছে দুপা

 

থির নীল পৃষ্ঠা জুড়ে

তোমার এত ক্ষমতা এত বাহুবল বুঝিনি আগে শুষ্ক মরুভুমি ভেবে স্বচছ জল পাবো বলে খনন করেছি খাল সেই লে এখন তুমি মস্ত কুমির কী অদ্ভুত ভাবে সাপের ফণা তুলে সে থাকো তুমি! আহা!

আজকাল ভালো কথা বললেও ফোঁস রে ঠো!

থির নীল পৃষ্ঠাজুড়ে এখন ক্রোধ, ঘৃণা, বিশ্বাস আর সন্দেহের জাল 

তোমার চারপাশ জুড়ে বক ধার্মিকেরা জিকির তোলে অবিরাম, বৃষ্টিমগ্ন দিনে তোমার হৃদপিণ্ড নিয়ে খেলছে গোলামের দল 

কে শোনে সোনালী শষ্যের গান

বড় বেওকুব বটে তুমি!

বালির চূড়ায় বসে গাও ধ্বংসের গীত!

আমার ক্ষমতা নেই আমি পারবো না শকুনের উল্লাস থেকে তোমাকে বাঁচাতে কতবার লেছি ভূখণ্ড রাক্ষসে মোড়ানো। 

বোঝোনি তুমি! স্বপ্ন আসে স্বপ্ন যায় পাটাতনজুড়ে অনুপ্রবেশের মহড়া। 

ধূলি ধূসরিত সন্ধ্যায় মগের মুল্লুক হাতে যারা ক্যাসিনো সম্রাট ছিল তারাও আজ পথের কাঙাল!

দেহকাণ্ড বলতে সন্দেহযুক্ত জলস্রোত অবারিত অন্ধকারে মৃত পাখির পালক উড়ছে হাওয়ায়‌ ‌তোমার অপক্ষমতার চাপে পিষ্ট হচেছ সবুজ অরণ্য তারপরও তোমার ন্যে কোথায়যেন একটা চিনচিনে মায়া, এভাবে পথভ্রষ্ট হয়ে কেউ অগ্নিকুণ্ড জ্বালে?

 

ক্যাসিনো
ক্রমশ জালের ভেতরে সন্দেহাতীত টার্ম  ড়িয়ে ড়িয়ে যায় যাদুর বলসতৃষ্ণ অনুরাগে পর্যবেক্ষণের লাটাই আজ ভোকাট্টা ঘুড়ি  কোনো দৃশ্যই যেন দৃশ্য নয়
প্লাস্টিকের দরোজা খুলতে খুলতে অমসৃন মুদ্রার ওপর শুয়ে আছে স্তনের ছায়া। 

ঘটনার ধূম্ররাশি ক্রমশ ড়িয়ে পড়েছে বিনিদ্র রাত্রির গ্রীবার ওপর।  হে আশ্চর্য নগরী স্নান শেষে মূলের উদগম চূর্ণ হতে হতে অগ্রাহ্য আয়নায় সূর্যগ্রহণের নামে পূর্ণগ্রাস হতে থাকে!

 

 

 

 

One thought on “সু‌হিতা সুলতানার কবিতাগুচ্ছ

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>