আজ ২৩ সেপ্টেম্বর কবি,সম্পাদক সুজিত মান্না’র জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার তাঁকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।
সীমাহীন শেষের দিকে
১
গাছের দেহে পিঠ ঠেকিয়ে বসি
শরীর জুড়ে জমে থাকা অনুভূতিগুলো
সীমাহীন শেষের দিকে ধেয়ে যেতে থাকে
নির্জন নদী থেকে ধেয়ে আসে একাকী নারীর শরীরের কারুকাজ
পরিষ্কার চোখে পড়ে
আমার চোখে এসে মিশছে
সুন্দর সভাবি এক মিশকালো চোখের অনুরাগ
২
ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিজেকে খুঁজে নিতে ছুটি
একাধিক সূত্রে বাঁধা অপূর্ন ইচ্ছের দল
চক্রব্যূহ গড়ে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে
এসবের মধ্যে নাম-গোত্রহীন আত্মীয়দের
ভুল করে আমায় ভুলে যেতে বলি
একসাথে নদীহাঁটা…
এক.
লঞ্চের মধ্যে পা রেখে হাওড়া ব্রিজের ওপর চোখ বুলিয়ে
নিই। যেভাবে তুমি তাকিয়ে আছো , জেনেছি
ওভাবেও প্রেমের জন্ম হয়
মেঘের ভেতর দিয়ে আঘাত সরিয়ে সরিয়ে মাঝে মাঝেই
মুখ বাড়িয়ে দেয় সূর্যচোখ। আমি দু-হাতের প্রসারণ
ঘটিয়ে তার চলাচলে নিজেকে
আবিষ্কার করে নিই ।
হাতে হাত স্পর্শ করলে ঠিক যতটা সম্ভাবনা দিয়েছো তুমি
তার থেকেই জেনেছি , প্রেম আসলে শরীরের উর্দ্ধে
আরো বাঁকের জন্ম দেয় ।
নীরবে সার্চ লাইট চালিয়ে নিই শরীরে তন্ত্র দিয়ে। গঙ্গার পাড়
ধরে উঠে রোদ-চলাচল। ঝলসে যাওয়া অভিমানের
প্রলাপস্মৃতি ভুলে যেতে চুম্বনে মিশে যাই
এভাবে প্রেমশিল্প কবিতার মতো কালোমেঘ পেরিয়ে যায়।
নদীহাঁটা আরো গতি খুঁজে নিতে চায় । চোখ বুজে
শুধু অনুভবের প্রতিস্থাপন উপভোগ করি
দুই.
প্রেমের সুখ চিনলেই শিকড়বাকড় ভুলে যেতে হয় , এমন ভেবে নিলেই জীবনের সত্য মুছে যায়। ঠিক যেভাবে নদীর পাড়
ভেঙে গেলে প্রবাহ সমস্ত নীতি ভুলে যাবে
যে বার দুটো চোখ উৎসবিন্দু খুঁজে নিলো আমিও ভয় পেয়ে
হাত জড়িয়ে ধরে , আরো ইলেক্ট্রনের
প্রবাহ বুঝেছিলাম
দূরে থাকলেই প্রবাহের এত যে অভিমান , যখনই কাছাকাছি
পরিধি চিনে নিই , সমস্ত কালপর্ব ধরে এই নীরব
উত্তরমালা খুঁজে খুঁজে প্রেমের মৃত্তিকা সৃষ্টি করি
এসো আরো বিস্তারিত হয়ে যাই। স্মৃতিরক্তের ব্যাথা ভুলে
বিকেলবেলার ঝুঁকে আসা সূর্যের মতো একে অপরের
প্রতি আরো অর্থহীন স্বভাব খুঁজে নিয়ে
যাপন চেষ্টা করি।
