সুকন্যা সাহা’র কবিতা
সকাল
নয়ান জুলির ধারে সেদিন একটা
আস্ত সকাল কুড়িয়ে পেলাম
ঠোঁট রাখলাম তার শিশির ভেজা
চোখের পাতায় —- পলকহীন
কান পাতলাম তার বুকের খাঁচায়— নিস্পন্দ
বেতোয়ার ঢেউজলে চুপচাপ শুয়েছিল
সে ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসীর মত
এত ডাকলাম তবু সাড়া দিল না
শেষে নয়ানজুলির পাশেই তাকে
ঘুম পাড়িয়ে রেখে এলাম
তারপর থেকে আমার আর কোনদিন
সকাল দেখা হল না —

শব্দ
শব্দ অবাধ্য ছেলে ওকে কোনো কথা বুঝিও না
ও জানে কবিতার শরীরের খাঁজে খাঁজে
কি করে জায়গা করে নিতে হয়—-
কবিতাকে চুমু খেতেও ওর জুড়ি মেলা ভার
কবিতার শরীরের দাঁড়ি , কমা , সেমিকোলন ওর মুখস্থ।
শুধু মনটাই যা পড়তে পারেনি চেষ্টাও করেনি।
ও জানে কবিতা আর মেয়েদের মন বোঝা ভগবানেরও দুঃসাধ্য।

আপনাকে জয়…
অলকানন্দায় হৃদি ভেসে যায় রোজ
তবুও তোমার কবিতায় জয় খুঁজি
ভেসে যেতে যেতে খড় কুটো আঁকড়ে ধরে
তোমার শব্দেই জীবনের মানে বুঝি…
কবিতার সঙ্গে একটা জীবন যাপন
এখনও ঠিক বুঝতে পারি না কিছু
জীবন যুদ্ধে হেরে গিয়ে প্রতিদিন
আমরা সবাই ঘাড় নীচু মাথা নীচু
তবুও তোমার কবিতার দু লাইন
ঝিকিয়ে ওঠে বিদ্যুত রেখার মত
মেঘ বালিকারা বড় হতে থাকে রোজ
জীবন খাতায় খোলা অধ্যায় যত…
ফুল পিসিমারা পুরোনো হয় না জেনো
সাঁঝবাতিদের নিয়েই রূপকথা হয়
শক্ত মুঠো খুললে দেখতে পাবে
হাতের রেখায় লেখা …… কবিতার জয় …
