মেঘবালিকা
আমার কেবল ইচ্ছে করে,
বৃষ্টি ভিজি দিনটি ভরে,
মন বসে না পড়ায়।
সকালসন্ধ্যা রাত দুপুরে,
মেঘবালিকা মিষ্টি সুরে,
বৃষ্টি কেবল ঝরায়।
গন্ধরাজ ও জুঁই-চামেলি,
কদম, কেয়া, পদ্ম, বেলি
মিষ্টি সুবাস ছড়ায়!
মন আমাকে কেবল শাসায়,
বাইরে যেন পা না বাড়াই,
তাকে ভীষণ ডরাই!
মেঘবালিকা ডাকে আমায়,
বাইরে ছুটে যাই চলে যাই,
বৃষ্টি চাদর জড়াই।
অভিমানী
এলোমেলো চুলগুলো ছড়িয়ে
ওই দেখো সে দাঁড়িয়ে রয়েছে,
দিশেহারা আঁখির পাতা দুটি
চোখের জলে ভরে এসেছে।
সাধলে ও কথা বলে না
ডাকলে ও আসবে না কাছে –
মা’র উপর অভিমান করে,
একলা সে চুপ করে আছে।
কী হয়েছে, কী হয়েছে বলে
বাতাস এসে চুলগুলো দোলায়,
ছোট ঐ কপালখানিতে
রোদ এসে চুমু দিয়ে যায়।
তবু তার অভিমান ভাঙ্গে না
যতক্ষণ না মায়ের আদর পায়।
প্রতিবাদ
ফুলের মতো মেয়েরা যারা চেয়েছিল তারা ফুটবে
ঘাস আর গাছের নরম পাতায় দারুণ মজা লুটবে ।
কোন হায়েনারা তছনছ করে যাচ্ছে ফুলের কলি,
ধর্ষণ -অস্ত্রের মুখে তারা জীবন দিচ্ছে বলি।
ছেলেরা, তোমরা শুনতে পাচ্ছ?
মেয়েদেরকে মেরেই যাচ্ছ।
কেন এত হিংসা, কেনই বা রাগ?
হাত থেকে মোছো রক্তের দাগ।
ত্রাসের দেশে নারীর টিকে থাকা বড় দায়
মেয়ে কি আমার নিরাপদে আছে – কি যে করি হায়!
এই শঙ্কা ধর্ষকরা জাগায় কেন মনে?
প্রতিবাদ করলে এবার যেন কথা তারা শোনে।
বয়স-১৩
ঢাকার উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির বিদ্যার্থী। চার বছর বয়স থেকে লেখার হাতেখড়ি। বাংলাদেশ অমর একুশে
বইমেলা-২০১৮ সুকন্যার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাতরঙা ছবি’ প্রকাশিত হয়।