| 19 এপ্রিল 2024
Categories
এই দিনে কবিতা সাহিত্য

সুলতান স্যান্নালের গুচ্ছকবিতা

আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট

আজ ২৯ নভেম্বর কবি সুলতান স্যান্নালের শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার তাঁকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।


 

প্রালজাক

ভরা আদালতে বিষের বোতল খোলোনা প্রালজাক, খবরটা ভুল, ভুল ভেঙে গেলে সুড়ঙ্গপথ, তারপর ঘুরেঘুরে কাঠপুতুলের বিয়ে।

এইযে আয়ুরেখা, দূরপাল্লার দূরত্ব, বাড়িঘর। এসবই তো জলের ন্যায়, পথে বাজাবার ভেঁপু বাঁশিটির মতো মেথডোলজি যেনো, কখনো রংরুটে, কখনো রংমশালে, যেনো যোগ বিয়োগের উর্ধে একেক পতঙ্গ বিশেষ। বস্তুত, ভরা সংসারের নেপথ্যে মানুষ, মানুষকে সংখ্যা হিসাবেই দেখে! ইতিহাসে, হৃত অবস্থান পুনরুদ্ধার করেছে কেউ ?

হোকনা আরেকটি নক্ষত্রের পতন, বাড়ুক নাহয় কিছু টাটানি, তবু ভরা আদালতে বিষের ওই বোতল খোলোনা প্রালজাক, সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে শুনানি, চন্দ্রাকাম, আর ঘুরেঘুরে ওইরূপ কাঠ পুতুলের বিয়ে!

ঝকমারি খুরের শব্দে

আমার এতটা আয়ু যেন নির্বাচিত হয়ে গেল। দীর্ঘ শুনানি শেষে ঘোড়ার পিঠে আমি দস্তুরমাফিক চললাম। চলছি মাফলারের দোকানে কিংবা পুস্পমধুর চাকে। আমার দ্রুত ধাবমান ঘোড়া। আমি তোমাতে মশগুল কিংবা মহাবিভ্রাট। তুমি পদ্য লিখছো শঙ্খচূড় সর্পের। আমি গদ্য বলছি মিমাংসার। আমাদের গলায় শতছিদ্রের লৌকিক মাফলার। মুখে মুখে ন্যাড়া মানচিত্রের মধু। আমরা নির্বাচিত। প্রান্তরের দিকে ছুটে আসছি ধুলোর ঝড়, এগিয়ে আসছি দ্রুত ধাবমান ঝকমারি খুরের শব্দে….

 

 

হস্তরেখা বিদ্যা

হাত ও হাতের রেখা বিশ্লেষণে এখানে দশা গণনা করা হয়। এখানে আলাপ সাপেক্ষে সূর্যরেখার সাথে বিবাহরেখার সেপারেশন করানো হয়। ভৌতিক সুখ উপভোগকারীদের মান সম্মান সদা সক্রিয় রেখে এখানকার অগ্রগণ্য গণকরা হেলমেট বেঁধে সিটবেল্ট বেঁধে সুরক্ষার সাধক একেকজন। এখানে হস্তরেখা বিদ্যা একটি প্রায়োগিক বিদ্যা……

২.
তোমার জন্ম নক্ষত্রের ইতিবাচক দিক হলো – চন্দ্র সুর্য্য ঘুরে ঘুরে তোমায় পাহারা দিচ্ছে। তোমার নিয়ন্ত্রক গ্রহ বাস্তববাদী। তোমার বৃদ্ধাঙ্গুল নমনীয় তোমার মনোবৃত্তি নমনীয় তুমি পরাবাস্তববাদী এবং আপোষকামী। তুমি যদি আত্মীয়দের একটি করে ভেড়া এবং একটি করে মঙ্গলবার উপহার দাও, চ্যালেঞ্জ গ্রহণ কর এবং সর্বদা ক্রিয়াশীল থাকো তবে মাঝারী উচ্চতার স্বাধীন বিচার বিধানে জমি জমা আর আদালতি মামলায় তোমার মানসম্মান সদা সক্রিয় থাকবে এখানে…..

৩.
তোমার জন্ম নক্ষত্রের নেতিবাচক দিক হলো-সময় তোমার সম্পূর্ণ জগৎকে সাত প্রকারের রশ্মি দ্বারা সঞ্চালিত করছে । সাতটা আলাদা আলাদা রংয়ের আকাশ তোমার তর্জনী ও মধ্যমার মধ্যে ফাঁক গলিয়ে বড় হচ্ছে। আর এজন্যই তুমি সহজে ক্রুদ্ধ হও। এজন্যই তোমার মাথা মজবুত তোমার ভেতর মোরগ লড়াইয়ের শক্তি । ধীরে ধীরে তোমার চোখদ্বয় ছাগলের মতো পিত বর্ণ ধারন করছে। তুমি আত্মীয়দের একটি করে ভেড়া আর একটি করে অগ্রহায়ণ মাস উপহার দাও। আর সোয়া পাচঁ রত্তির তামার ওই আংটির নগ্নতম মুদ্রা ধারন কর,দেন অপেক্ষা করো, দেখো, তোমার মান সম্মান সদা সক্রিয় এখানে……

৪.
অষ্টত্তরী ও বিংশত্তরী পদ্ধতি ব্যবহার করে জাতকের দশা নির্ণীত হয় এখানে। মুরগির সুর থেকে হাঁসের সুর আলাদা করার মধ্য দিয়ে, অস্তিত্ব রক্ষার আকাঙ্খার সাথে বিশ্ব নাগরিকতার নার্ভ ডেকোরেশন করা হয় । মিলি সেকেন্ডে। এখানকার কুশীলবদের কাছে , হস্ত রেখা বিদ্যা একটি প্রায়োগিক বিদ্যা।…

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত