এক দিমিত্রভকে
————————–
প্রিয় দিমিত্রি,
কী জানি কই ছিলে তুমি।
অথচ দেখো তোমাকে খুঁজে আমি বিশ্ব সংসার এক করেছি।
তলস্তয়, লেনিন, দস্তোভয়স্কি, তুর্গেনভদের দেশে
সাম্যবাদের অচলায়তনে বাঁধা রুটিনের এক পেশে
দেয়ালে তোমাকে এঁকে দিয়ে জানিয়েছিলাম বিশ্বকে,
দ্বিমাত্রিক ত্রিমাত্রিক বাস্তবতায় এই আমাদের জীবন
রথের ঘোড়াগুলোর মতই অতিক্রম করে চলেছে
ভীষণ তুষার দিন।
আমাদের খাদ্য, পানীয় দুটোই,
যথাসম্ভব শান্তির বিনিময়ে সংরক্ষণ করেছি আর
নিরাপত্তার বিনিময়ে তুলে দিয়েছিলাম নিজস্ব মতবাদ ।
আমরা আমাদের জীবনকে জীবনের বিনিময়েই
সংরক্ষিত করে পথ চলেছিলাম।
আমাদের মৃত্যু হয়েছিল একটা রুটি আর ভদকার সুঘ্রাণে।
তবু আমরা পথ চলেছিলাম।
বরফের স্তুপের জমানো কাঠিন্যে আমাদের
মুখের চামড়ায় চিরচিরে
এক লাল জমে ছিল বাস্তবিকই; কিন্তু এক টুকরো
আগুনের বিনিময়ে আমাদের নাম আমরা জলাঞ্জলী দিয়ে,
মৃত্যুকে ভালবাসার মত মহিমান্বিত করার
ব্যাপারটা ভুলতে পারিনি।
আমরা আমাদের বিনিময়ে আমাদের
মহান সাম্রাজ্যের স্থপতি হয়েছিলাম।
আমাদের সন্তান সন্ততি, আমাদের জৈবিক আলোড়ন
সবকিছু বিক্রি হয়েছিল দিমিত্রি,
একটা বোধহীন কুয়ায় ঘেরা জীবনের জন্য।
বেঁচে থাকার জন্য!
কিন্তু জানো দিমিত্রি,
আমি আর কখনো তোমাকে পেলাম না।
কারন, এমন তুমি কখনো আমার চাওয়াই ছিলে না।
০৭/০৩/১৯
বৃষ্টি দিনের গান
————————
মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছা করে
কেও জিজ্ঞেস করুক, এমনি এমনি..
“কেমন আছ? কেমন চলছে জীবন?”
আমি হেঁয়ালি ভরে উত্তর দিব–
তোমাকে ছাড়া ভাল থাকা যায় না।
তুমি নেই, তাই ভাল থাকাও হয় না!
কেও হয়ত আরও হেয়ালি নিয়ে
জানতে চাইবে–
“আমি নেই! সত্যিই কি আমি নেই?”
আমি বিষাদে ডুবে গিয়ে বলব–
তুমি তো নিঃশ্বাসে মিশে আছ,
আলাদা করে দেখতে পাই না যে!
তুমি একপলক চেয়ে শূন্যতায়
মিশে যাবে আবারো।
২৭/০২/১৮