তানিয়া চক্রবর্তীর গুচ্ছ কবিতা
মিথ্যে
জিভ যা চায় তাই বলছ?
বলতে বলতে তোমার
চামড়া ঝুলে যাবে
বৃদ্ধ মর্মে তুমি কারাগারে বন্দি
আর সত্যিরা বাইরে তোমার
শবদেহের আরতি করছে –
জরায়ুজ
কেউ বলেছে
তোর বাড়ি যাব সকাল-বিকাল বোমা দেব
মেয়ে তুই তোর
যাবতীয় না দিয়ে আমায় পালিয়ে গেলি!
এখন সকাল রোদ্দুরেরা আমায় দেখে
ইটের মতো শব্দ ছোঁড়ে
ভাষার মধ্যে বাগিচা দিয়ে
জরাউজ প্রাণকে দেখায়
হাতের মধ্যে আয়ুর সীমা
গ্রাসকালীন শান্তি মাপে
কেউ বলেছে
পায়ের মধ্যে মাথা রেখেছি
দেবী করেই শরীর ছোঁবো
আমার যদি না হও তবে
পিঠের মধ্যে অস্ত্র দেব
জরাউজ—জরায়ুজ
এখন আমার ভাঙা শহর কালির দিন,
গরাদ খাই—
ইটের মধ্যে ঊরু ফাঁক…
কেউ বলেছে
তুই না হলে তোর সময় নেব
হারিয়ে দেব— পালিয়ে যা
শাখাপ্রশাখা নেই তো আমার
প্রধান মূলেই রক্তত্বরণ— পালিয়ে যা
জরায়ুজ— জরায়ুজ
অনুষঙ্গ
যে সমস্ত অনুষঙ্গ নিয়ে কথা হত
সেগুলো অলীক বলেই— বীতস্পৃহ হচ্ছি
কিউব কিউব চিনি দিয়ে মিষ্টি স্নান করি
ধোঁয়াশার বসবাসে দে-জাভু হয়
এতই যদি চেনা হও
বলও… কতবার নির্মোচন হলে
মানুষ “মানুষ” হয়!
তবু বলি ‘কেমন আছো’?
ব্লু অ্যালগী আমার অ্যাইশ্যাডোর জনিতৃ
জেনেছ বলেই— মাংস পড়ে আছে খাদ্যতালিকায়
মাংসের স্বাদ মিষ্টি নয়, চুমুরও নয়
এটুকু বাস্তব মেনে নেওয়াই ভালো—
কিছু খসছে
বাতাসের মঞ্চে পাতাগুলি কোরাস গাইছে
উড়তে পারলে আগুন লিখতাম
নিষ্ঠুর সকালে নখকে দিতাম আদর
একটু একটু করে পালিয়ে যাচ্ছে সুর
শেষবার সরোদে জিলা কাফি
টানে টানে টালমাটাল
টান বড় নির্মম
বাঁচায় মারে
আরো অনেকচিছু পারে –
অণুরা ভুলতে পারে না সংসক্তি
বেকার ইঁট থেকে খসে পড়ে পলেস্তারা
