| 19 জানুয়ারি 2025
Categories
অনুবাদ অনুবাদিত গল্প

অনুবাদ: এ্যালকেমিস্ট । পাওলো কোয়েলহো (পর্ব-১)। সায়মা মনি

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

মুখবন্ধ

এ্যালকেমিষ্ট একটি বই তুলে নিল যেটা কেউ একজন ক্যারাভ্যানে করে এনেছিল।পৃষ্ঠাগুলো পড়তে পড়তে, সে নার্সিসাস সম্পর্কিত একটি গল্প খুঁজে পেল।

এ্যালেকেমিষ্ট নার্সিসাস যে একটি কিংবদন্তি তা জানত, একটি কচি গাছ যা প্রতিদিন মাথা নুয়ে রাখত তার সৌন্দর্যের ধ্যান করার জন্য, একটি হ্রদের পাশে।সে তার নিজের সৌন্দর্য্যে এতোটাই মুগ্ধ ছিল যে একদিন সকালে, সে নিজেই হ্রদে পড়ে যায় আর ডুবে যায়।যেখানটায় এটি পড়ে যায়, একটি ফুলের জন্ম হয়, যেটাকে নার্সিসাস নামে ডাকা হয়।

কিন্তু এভাবে লেখক গল্পটি শেষ করে নাই।

সে বলল যে যখন নার্সিসাস মারা যায়, বনের দেবী সামনে এসে হাজির হয় আর হ্রদটি খুঁজে পায়, যাতে পরিষ্কার পানি ছিল, একটি লবনাক্ত চোখের জলের হ্রদে পরিনত হয়।

‘তুমি কেন কাঁদো?’ দেবী জিজ্ঞেস করল।

‘আমি নার্সিসাসের জন্য কাঁদি,’ হ্রদ উত্তর করল।

‘আহা, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে তুমি নার্সিসাসের জন্য কাঁদো,’ তারা বলল, ‘কারন আমরা সব সময় তাকে খুঁজেছি বনের মধ্যে, তুমি একা তার সৌন্দর্য খুব কাছ থেকে ধ্যান করতে পারতে।’

‘কিন্তু…. নার্সিসাস কি সুন্দর?’ হ্রদ জিজ্ঞেস করল। ‘তোমার চেয়ে বেশি ভাল আর কে জানে? দেবী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল। ‘দিনশেষে, যেখানে সে প্রতিদিন নুয়ে বসে পড়ত তার সৌন্দর্য্যের ধ্যান করতো নিজে নিজ, সেই জায়গাটা তোমার তীরে ছিল!’

হ্রদটি কিছু সময়ের জন্য নিঃশব্দ হয়ে ছিল।শেষে, এটি বলল:

‘আমি নার্সিসিসের জন্য কাঁদি, কিন্তু আমি কখনও খেয়াল করিনি যে নার্সিসিস সুন্দর ছিল।আমি কান্না করি কারন, প্রতিবার যখন সে আমার তীরে হাঁটু গেঁড়ে বসত, আমি দেখতে পেতাম, তার চোখের গভীরতায়, আমার নিজের সৌন্দর্য্য প্রতিফলিত হতো।’

‘কি মধুর গল্প,’ এ্যালকেমিষ্ট ভাবল।

অনুবাদক: ক্লিফোর্ড ই ল্যান্ডারস

(নার্সিসাস হল এক জাতীয় ফুলের গাছ)


 

প্রথম ভাগ
পৃষ্ঠা ৩

ছেলেটির নাম ছিল সান্তিয়াগো।ছেলেটি যখন তার মেষপাল নিয়ে একটি পরিত্যাক্ত গীর্জায় এসে পৌঁছায়, তখন সন্ধ্যা নামছে।ছাদটি পড়ে গিয়েছে বহু আগেই আর যে জায়গাটাএক সময় পবিত্র স্থান হিসেবে স্থির ছিল, সেখানে প্রচুর ডুমুর জন্মেছে।

সে সেখানে রাতটা কাটিয়ে যাওয়ার কথা ভাবল। সে দেখল সবগুলো মেষ একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত দরজা দিয়ে প্রবেশ করল। আর তখন মেষপাল যাতে এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করতে না পারে, তাই কিছু তক্তা আড়াআড়িভাবে বিছিয়ে দিল।ওই অঞ্চলে কোন শেয়াল ছিল না, তবে একদিন একটি মেষ রাতে পথ হারিয়ে ফেলেছিল, আর ছেলেটিকে পরের দিন পুরোটা সময় সেটা খুঁজতে হয়েছিল।

সে তার জ্যাকেট দিয়ে মেঝে ঝাড় দিল আর শুয়ে পড়ল, যে বইটা মাত্রই পড়া শেষ হয়েছে সেটাকে বালিশ হিসেবে ব্যবহার করে।

পৃষ্ঠা ৪
সে নিজেকে নিজে বলতে থাকল যে তাকে মোটা বই পড়া শুরু করতে হবে: ওগুলো দীর্ঘদিন পড়া যায়, আর ওগুলো দিয়ে আরো বেশি আরামদায়ক বালিশ হয়।

যখন সে জেগে উঠল তখনও অন্ধকার ছিল, আর, উপরে তাকাল, অর্ধেক ধ্বংসপ্রাপ্ত ছাদের ভেতর দিয়ে সে তারা দেখতে পাচ্ছিল।

সে ভাবলো, আমি আরেকটু বেশি সময় ধরে ঘুমাতে চেয়েছিলাম। এক সপ্তাহ আগে যেই স্বপ্নটা দেখেছিল, সেটা সে আবার দেখলো, আর আবার আরেকবার সেটা শেষ হওয়ার আগে জেগে উঠল।

সে উঠে পড়ল আর, আর তার পুটুলি তুলে নিল, তখনও যে ভেড়াগুলো ঘুমিয়ে ছিল সেগুলোকে জাগিয়ে তুলল।সে লক্ষ্য করল যে, যখনই সে জেগে উঠল, তার বেশিরভাগ মেষও নড়াচড়া করতে শুরু করল। এটা এমন ছিল যেন কিছু একটা রহস্যময় শক্তি তার জীবনটাকে মেষের জীবনের সাথে বেঁধে রেখেছিল, যেগুলোর সাথে সে বিগত দুই বছর কাটিয়েছে, নিয়ে গিয়েছে গ্রামের ভেতর দিয়ে খাদ্য ও জলের খোঁজে। সে বিড়বিড় করে বলল, ‘এগুলো আমার সাথে থাকতে এতটাই অভ্যস্থ ছিল যে এরা আমার দিনপঞ্জিকা জানত।’ এক মুহুর্তের জন্য সেই বিষয়ে ভাবতে ভাবতে, সে অনুধাবন করতে পারলো যে এটা উল্টোটাও হতে পারে: যে সে ওদের দিন পঞ্জির সাথে পরিচিত হয়ে উঠেছিল।

 

পৃষ্ঠা ৫

কিন্তু ওগুলোর মধ্যে কয়েকটা মেষ ছিল, যেগুলোর ঘুম থেকে উঠতে একটু বেশি সময় লাগত। বালকটি ওগুলোকে খোঁচা দিল, একটার পর আরেকটা, তার পুটলি দিয়ে, প্রত্যেককে নাম ধরে ডাকল। সে সব সময় এটা বিশ্বাস করতো যে, সে যা বলত, ভেড়াগুলো তা বুঝতে পারত। কেননা, এমন একটা সময় ছিল যখন সে ওগুলোকে বইয়ের কিছু অংশ পড়ে শোনাত, যা তার উপরে প্রভাব ফেলত, অথবা যখন সে মাঠে ওগুলোকে একজন মেষপালকের একাকীত্ব অথবা সুখ সম্পর্কে বলত। মাঝে মাঝে সে গ্রামের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় যা দেখত, সেসব জিনিস নিয়ে ওগুলোকে মন্তব্য ছুঁড়ে দিত।

তবে কিছুদিন যাবত সে ওগুলোকে একটিমাত্র বিষয়েই বলত: মেয়েটি, ব্যবসায়ীর কন্যা, যে একটি গ্রামে বাস করে, তারা প্রায় চারদিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে। সে বছরখানেক আগে একদা একবারের জন্য ছিল। ব্যবসায়ীটি শুষ্ক জিনিস পত্রের দোকানের মালিক ছিল, আর সে সবসময়েই চাইত যে ভেড়াগুলো ভাগে ভাগে থাকুক তার সামনে, যাতে সে প্রতারিত না হয়। একজন বন্ধু দোকানটি সম্পর্কে বালকটিকে বলল, আর সে তার মেষগুলোকে সেখানে নিয়ে গেল।

 

পৃষ্ঠা ৬

আমার কিছু উল বিক্রি করা প্রয়োজন’ বালকটি ব্যবসায়ীকে বলল।

দোকানটায় ভীড় ছিল, আর লোকটি মেষপালককে বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলল। তাই বালকটি দোকানের সিঁড়ির উপরে বসল আর তার ব্যাগ থেকে একটি বই নিল।

‘আমি জানতাম না, মেষপালক পড়তে জানে’, পেছন থেকে একটি বালিকা কন্ঠ বলে উঠল।

বালিকাটি আন্দালুসিয়া অঞ্চলের সাধারণ কোন মেয়ে, কালো ঘন চুল, আর চোখগুলো যা দূরের কোন বিজয়ী নিগ্রোদের কথা মনে করিয়ে দেয়।

বলে রাখা ভাল, আমি সাধারণত বইয়ের চেয়ে আমার মেষের কাছ থেকে বেশি শিখে থাকি, সে প্রত্যুত্তর করল। যে দুই ঘন্টা তারা কথা বলল, মেয়েটি বলেছিল যে সে ব্যবসায়ীটির কন্যা, আর গ্রাম্যজীবন সম্পর্কে বলেছিল, যেখানে প্রত্যেকটা দিনই অন্য সব দিনের মত ছিল।মেষপালক তাকে আন্দালুসিয়ার গ্রামাঞ্চল সম্পর্কে বলেছিল, আর যেখানে যেখানে সে থেমেছিল সেসব শহরসহ অন্যান্য শহরের সংবাদ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হচ্ছিল।মেষের সাথে কথা বলার চেয়ে এটা বেশ একটা মনোরম বিনিময় ছিল।

‘তুমি কিভাবে পড়তে শিখলে?’ মেয়েটি এক পর্যায়ে জিজ্ঞেস করল।

‘যেভাবে সবাই শেখে,’ সে বলল। ‘বিদ্যালয়ে’।

 

পৃষ্ঠা ৭

ভাল, কিন্তু তুমি পড়তে পারো, তবে তুমি কেন কেবল একজন মেষপালক?

বালকটি অষ্ফুট স্বরে উত্তর দিল যা তাকে মেয়েটির প্রশ্নের উত্তর দেয়া এড়িয়ে যাওয়ার অবকাশ করে দিল।সে নিশ্চিত ছিল যে মেয়েটি কখনোই বুঝতে পারবেনা। সে তার ভ্রমনের গল্প করে যেতে থাকল, আর তার উজ্জ্বল, নিগ্রো চোখগুলো ভয় আর হতবাক হয়ে বড় হয়ে যেতে থাকল। সময় যত পার হয়ে যেতে থাকে, ছেলেটির ইচ্ছা করে যেন ওই দিনটি কখনো শেষ না হয়, যাতে তার বাবা ব্যস্ত থাকে আর তাকে তিনদিনের জন্য অপেক্ষা করিয়ে রাখে। সে টের পেতে থাকে যে সে এমন কিছু অনুভব করছে, যার অভিজ্ঞতা তার আগে কখনো হয়নি: একটি জায়গায় চিরকাল ধরে বসবাস করার অভিপ্রায়। উদ্ধত চুলের মেয়েটির সাথে, তার দিন কখনো এক রকম থাকবে না।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়ীটি এল, আর বালকটিকে চারটি ভেড়া আলাদা করতে বলল। সে উলের দাম দিল মেষপালককে পরের বছর আবার আসতে বলল।

আর এখন মাত্র চারদিন বাকি, সে সেই একই গ্রামে ফিরবে। সে উত্তেজিত ছিল, আর একই সাথে অস্বস্তিতে ছিল।

 

পৃষ্ঠা ৮

হয়তো মেয়েটি ইতিমধ্যে তাকে ভুলে গিয়েছে। অনেক মেষপালক তাদের উল বিক্রি করতে এর ভেতর দিয়ে চলে গিয়েছে।

‘এটা কোন ব্যাপার নয়’, সে তার মেষকে বলল। ‘আমি বিভিন্ন জায়গার অন্য মেয়েদেরকে চিনি।’

কিন্তু তার অন্তরে সে জানত যে এটা একটা বিষয়।আর সে জানত যে মেষপালকেরা, নাবিকের মত আর ভ্রাম্যমান বিক্রেতার মত, সবসময়ই একটি শহর বেছে নেয় যেখানে কেউ থাকে, যে তাদের উদ্দেশ্যহীন লাপাত্তা ঘোরাঘুরি করার আনন্দ ভুলিয়ে দিতে পারে।

সময়টা ভোরবেলা ছিল, আর মেষপালক তার মেষ সূর্যের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। সে ভাবল, ওগুলোর কখনও কোন সিদ্ধান্ত নিতে হয়না। হয়তো এজন্যই ওগুলো সবসময় আমার কাছাকাছি থাকে।

একমাত্র যে বিষয়টা ওরা পরোয়া করতো, তা হলো খাবার আর জল। যতদিন পর্যন্ত ছেলেটি জানে আন্দালুসিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ চারণভুমি কিভাবে খুঁজে বের করতে হয়, ওরা তার বন্ধু থাকবে।হ্যাঁ, তাদের দিন আগাগোঁড়া একই রকম করে কাটত, সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের মাঝে আপাত অন্তহীন সময়; আর তারা তাদের জীবদ্দশায় কখনো একটি বই পড়েনি, আর কখনো বুঝতে পারতোনা যখন ছেলেটি তাদেরকে শহরের দৃশ্য সম্পর্কে বলত।

 

পৃষ্ঠা ৯

তারা শুধু খাবার আর জল নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারে, আর, পরিবর্তে, তারা অকপটে তাদের উল দিয়ে দেয়, তাদের সঙ্গী, আর-কখনও কখনও তাদের মাংস।

যদি আজ আমি একটি রাক্ষস হয়ে উঠে, আর ওদেরকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই, বালকটি ভাবল, একটার পর একটা করে বেশিরভাগ মেষের পাল জবাই হয়ে যাবার পর তারা সচেতন হয়ে উঠত। তারা আমাকে বিশ্বাস করে, আর তারা কিভাবে নিজেদের স্বজ্ঞার উপর নির্ভর করতে হয় তা ভুলে গিয়েছে, কারন আমি তাদের পরিপোষনের দিকে পরিচালিত করি।

বালকটি তার নিজের চিন্তাভাবনায় নিজে অবাক হয়ে গেল। সম্ভবত গীর্জা, ভেতরে জন্মানো সিকামোর (ডুমুর জাতীয় গাছ বিশেষ), শিকার করা হয়েছে। এটা তার একই স্বপ্ন দ্বিতীয়বার দেখার কারন ঘটিয়েছে, আর এটা তার বিশ্বস্ত সঙ্গীদের উপর রাগ হওয়ার কারণ। সে আগের রাতের খাবারের সাথে বাকি পড়ে থাকা থেকে অল্প করে মদ্যপান করলো, আর সে তার জ্যাকেটটাকে তার গায়ের কাছে নিয়ে নিল।সে জানত যে এখন থেকে কয়েক ঘন্টা আগে, যখন সূর্য তার শীর্ষে তার সাথে, তাপ এত বেশি যে সে তার মেষপাল মাঠের দিকে নিয়ে যেতে পারবে না।এটা দিনের এমন সময় ছিল যখন গোটা স্পেন গ্রীষ্মকালের ঘুমে থাকে।তাপটুকু দিনের শেষ পর্যন্ত ছিল, আর সেই সময়গুলোতে তাকে তার জ্যাকেটটা বহন করতে হয়েছিল।

 

 

পৃষ্ঠা ১০

কিন্তু যখন সে এর ওজন নিয়ে অভিযোগ করার কথা ভাবল, তার মনে পড়ল যে, তার জ্যাকেটের কারনে, সে ভোরের ঠান্ডা সহ্য করতে পেরেছিল।

সে ভাবলো,আমাদের বদলের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, আর সে কৃতজ্ঞতা বোধ করল জ্যাকেটের ওজন আর উষ্ণতার জন্য।

জ্যাকেটের একটি উদ্দেশ্য ছিল, আর ছেলেটিরও ছিল।তার জীবনের উদ্দেশ্য ছিল ভ্রমন করা, আর দুই বছর আন্দালুসিয়ান চারণভূমিতে হাঁটার পরে, সে এই অঞ্চলের সব শহর সম্পর্কে জানতো। সে পরিকল্পনা করেছিল, এই পরিদর্শনের উপর ভিত্তি করে, সেই মেয়েটিকে ব্যাখ্যা করবে যে একজন মেষপালক পড়তে পারে, এটা একটা সাধারণ ঘটনা। সে ষোল বছর বয়স পর্যন্ত যে কোন শিক্ষালয়ে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। তার বাবা মায়ের ইচ্ছা ছিল যে সে একজন পাদ্রী হবে, আর তা হবে একটি সাধারণ কৃষক পরিবারের অহংকারের উৎস। তারা কঠিন পরিশ্রম করতো শুধুমাত্র খাবার আর জলের জন্য, ভেড়ার মত।সে ল্যাটিন, স্প্যানিশ আর ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করেছে।তবু সে একটি শিশু হয়ে ছিল এতদিন পর্যন্ত, সে পৃথিবী সম্পর্কে জানতে চাইত, আর এটা ঈশ্বর সম্পর্কে জানা ও মানুষের পাপ সম্পর্কে জানার চাইতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একদিন বিকালে, তার পরিবারের সাথে দেখা করতে গিয়ে সে তার সমস্ত সাহস সঞ্চয় করে বাবাকে বলতে যে সে পাদ্রী হতে চায় না। সে তো ভ্রমন করতে চায়।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত