১.
সমতলে আছে সব
শিল আর পাখি
কেউ বা ধমনী চায়
কেউ দেয় রাখী
কাকচোখে আঁকা আছে
শিকার ঠিকানা,
কেউ কেউ যেতে পারে
জালহীন ডানা
শূন্যের আবডালে
তীর বুনে যায়
বেহালা-বাদক হয়ে
রাগ সাহানায়
জল পোড়ে ছাই ওড়ে
থাকে যদি শেষ
পলাশের খেলা নিয়ে
ঘুমানোর দেশ।
২.
আপেল বাগান,
মধুপাখি নেই।
জমে আছে শ্বাস,
আশ্বিনের মাঠে
লাল ভেজা ঘাস,
দেখবে না তুমি।
নক্ষত্র জানে
ফেনীল খুনে জলে
ক্লান্ত আলো ঢলে,
অস্তমান সিন্ধুরা
বিন্দু হয়
সাঁঝের কপালে,
দেখবে না তুমি।
স্তব্ধতার চাষে
পাখিদের বুক ঢাকা
নিঃশ্বাসের ঘাসে,
সমুদ্র জোগান দেয়
চর তৃণভূমি,
দেখবে না তুমি।
৩.
সব কিছু আছে, তবে
মৌ ধুয়ে যাবে
অজানিত,
আকাঙ্ক্ষাবিহীন,
ফুল-ভাঙা ঘটে।
খেলা শিখেছিলি বেশ
আলোর দেয়ালা,
দুরন্ত শুশুক,
নাকে নিয়ে
প্রভুর পেয়ালা।
কী করে বুঝবি রে
ধমনীর ফুল
সার্কাসের ঘর নেই
খেলাও বদলায়।
শর্তহীন ডুবে ছিলি
জলের জানলায়।
বেওয়ারিশ মীন বলে
খোঁজে না যে কেউ।
জলকণা হয়ে যায়
সমুদ্রের ঢেউ।
লেখক, অনুবাদক