Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com,Trees in the folklore

লোকসংস্কৃতি: নানা দেশের লোককথায় বৃক্ষ । সুকন্যা দত্ত

Reading Time: 5 minutes

অস্ট্রেলিয়ার ডার্বিতে ১৫০০ বছরের পুরনো বোয়াব গাছের একটি আকর্ষনীয় ইতিহাস আছে। সে সময় স্থানীয় মানুষের যতদিন আদালতে বিচার সম্পূর্ণ না হতো ততদিন অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসীদের অস্থায়ীভাবে আটকে রাখার জন্য বোয়াব গাছটি একটি কারাগার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।  

নৃবিজ্ঞানীদের একটি দল একবার  অভিযান করে ১৯১৬ সালে গাছটির ছবি তুলেছিল।  তারা জানায়  পূর্বে  আদিবাসীরা কবর দেওয়ার জন্য গাছের ফাঁপা কাণ্ড ব্যবহার করতো। অস্ট্রেলিয়ার ওয়াইন্ডহ্যামের আরেকটি বোয়াব গাছও জেলখানা হিসেবে ব্যবহৃত হত। ১৯৩৯ সালের একটি প্রবন্ধ থেকে জানা যায়,  একসময়  এই বিশাল বোয়াব গাছের ফাঁপা কাণ্ডে একসাথে প্রায় ৩০  জন বন্দী থাকতো।

গাছের গুরুত্ব নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রাচীনকালে প্রকৃতি পূজায় বৃক্ষ ছিলো উল্লেখযোগ্য। হিন্দু ধর্মে বট গাছ, পিপুল গাছ থেকে শুরু করে খ্রিষ্টধর্মে ক্রীসমাস গাছ সহজেই উদাহরণ রূপে তুলে ধরা যায়। ইহুদি এবং খ্রিষ্টধর্মে জ্ঞানবৃক্ষ এবং বৌদ্ধ ধর্মে বোধিবৃক্ষের কথাও পাওয়া যায়। গাছের গায়ে সুতো বেঁধে মানত করা হয়। বৃক্ষ কে স্নান করিয়ে প্রার্থনার মাধ্যমে মনোস্কামনা করা হয়। অষ্টম শতকে ইন্দোনেশিয়ার জাভার  পবন মন্দিরে একটি চিত্র পাওয়া যায়। সেখানে দেওয়াল চিত্রে স্বর্গীয় কল্পতরু খোদিত আছে। আর সে বৃক্ষ কে ঘিরে রয়েছেন  কিন্নর কিন্নরি, উড়ন্ত অপ্সরা এবং স্বয়ং  দেবতারা।  সমুদ্র মন্থনকালে কামধেনুর সাথে কল্পতরুর আগমন ঘটে। 

” Love is like a tree, it grows of its own accord, it puts down deep roots into our whole being.” 

বৈদিক গ্রন্থে যেমন  বিশ্ব তরুর উল্লেখ আছে তেমন   সাইবেরিয়া,  ইন্দো- ইউরোপীয় এবং আমেরিকার আদি উপজাতির পুরাণে ” world tree” বা বিশ্ব বৃক্ষের একটি ছবি পাওয়া যায়। সেখানে  দেখা যায়,  গাছের  শাখাগুলি আকাশে পৌঁছেছে, এবং পৃথিবীর গভীরে রয়েছে শিকড়।  বৃক্ষের বাস তিনটি স্থানে, স্বর্গ, পৃথিবী এবং পাতাল। ত্রয়ীর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করছে এই বৃক্ষ।  উপরিভাগ  এবং নিম্নভূমি এবং তিনের  মিলন ঘটেছে   এই ছবিতে। এই কারণে, বিশ্বজুড়ে অনেক পুরাণে বিশ্ব বৃক্ষের ধারণা রয়েছে। এই গাছ মহাবিশ্বকে ধরে রাখে এবং আকাশ, পৃথিবী এবং পাতালের মধ্যে সংযোগ প্রদান করে। ইউরোপীয় পুরাণে সর্বাধিক পরিচিত উদাহরণ হল নর্ডিক পুরাণের সৃষ্টিতত্ত্বে বর্ণিত   “Yggdrasil”  গাছ। ইদ্রাসিলের অর্থ হলো নর্স দেবতা ওডিনের ঘোড়া।  এই দেবতা জ্ঞান অর্জনের জন্য ইদ্রাসিল  গাছের ডালে  নিজেকে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন।  

পুরাণ, পুজা- পার্বণ সবেতেই বৃক্ষ বন্দনা অপরিহার্য অঙ্গ। 

এবার আসি লোককথায়।  সৃষ্টিতত্ত্ব থেকে পৌরাণিকতায় তরুছায়াতল ভিন্ন আমরা অচল। পৃথিবীর নানান লোককাহিনীতে ঘুরে ফিরে আসে মহীরুহের কথা। অজস্র মুক্তোকে এক মালায় গাঁথা সম্ভব নয়। লোককাহিনীর দু চারটিকে একটি সুতোয় সাজানোর চেষ্টা করলাম মাত্র। 

প্রায় ৩০০০ বছর আগের প্রাচীন মিশরের একটি গল্প এ প্রসঙ্গে  মনে পড়ে। ” Two Brother ” গল্পে একজন ভাই অ্যাকাশিয়া গাছের উঁচু ডালের একটি  ফুলে তার হৃৎপিণ্ডটা রেখে দিয়েছিলো। গাছটা যখন কাটা হয় , তখন সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।  

বৃক্ষ হলো জীবন, জন্ম, পূর্ণজন্ম, বংশবৃদ্ধির প্রতীক।      আফ্রিকায় অ্যাকাশিয়া বৃক্ষ আত্মার অবিনশ্বরতার সংকেতবাহী। তাই এ  গাছের ছেদনে এক  ভাইয়ের মৃত্যু জীবনের   নশ্বর দিকটিকেই ইঙ্গিত করে। গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, গাছ অক্সিজেন দেয়,  মাটির ক্ষয় রোধ করে, বৃষ্টিপাতে সাহায্য করে। এককথায় প্রাণী জগৎ কে বাঁচার রসদ জোগায়। বৃক্ষহীন স্থান ধূসর, বালুকাময় বন্ধ্যা ভূমিতে পরিণত হয়। গাছের মৃত্যু তাই জীবনের পরিসমাপ্তির সমার্থক।

 হিব্রু ঐতিহ্যে মৃত ব্যক্তির কবরের উপর মাথার দিকে অ্যাকাশিয়া গাছ রোপিত হয়। এই গাছ মৃত ব্যক্তির স্মরণে প্রোথিত হয়। তিব্বতে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য অ্যাকাশিয়া কাঠের ধূপ জ্বালানোর অর্থ অশুভ শক্তির বিদায়। সূদুর পূর্বের দেশগুলোতে নানান আচার অনুষ্ঠানে অ্যাকাশিয়ার ধূপ ব্যবহৃত হয়। 

আরবের ” The Wonder tree ” গল্পটি ও বেশ মজাদার।  আলী বেন এর উপজাতি মরুভূমিতে দীর্ঘ দিন বসবাস করছিলো।  জনমানবহীন সেই মরুভূমিতে  একদিন  কিছু অচেনা মানুষের পদধ্বনি শোনা গেল। তাদের থেকে আলী বেনের জানতে পারলেন তার গৃহে শেখ বেন নেদীর আগমন ঘটবে।  একথা শুনে বাড়ীর সকলের সাথে ছোট্ট মেয়ে জুলেখা ও খুব খুশী হলো। কিন্তু অতিথিকে উপহার দেওয়ার মতো জুলেখার কাছে কিছুই নেই। আশ্চর্যজনকভাবে দেখা গেলো, জুলেখার চোখের জল যেখানে পড়েছিলো, সেখানে একটি খেজুর গাছের জন্ম হয়েছে।  শেখ বেনের কথায়, এটাই তার কাছে  সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার। 

জলের সাথে উদ্ভিদের সম্পর্ক চিরন্তন।  মাটির তলদেশ থেকে শিকড় জলকে শোষণ করে। পাতার মাধ্যমে পরিবেশে জল ছড়িয়ে দেয়। যেখানে  বৃষ্টির ফোঁটায় মাটি সিক্ত হয়, সেখানে সবুজের নবজাগরণ ঘটে। জুলেখার চোখের জল মাটিকে আর্দ্র করে প্রাণের সম্ভাবনাকে জাগিয়েছে। জুলেখা নারী। নারী হলো বসুন্ধরা।  পার্থিব জগত জলস্পর্শে শীতল হয়, তার বন্ধ্যাত্ব দশা কেটে মাতৃত্ব জেগে ওঠে। 

খেজুর ইসলামী সংস্কৃতিতে ব্যাপকভাবে উল্লেখযোগ্য, এবং খেজুর মধ্যপ্রাচ্যের অনেক সংস্কৃতিতে বিশ্রাম এবং আতিথেয়তার প্রতীক। 

একটি মরূদ্যানের চারপাশে খেজুর গাছের উপস্থিতি বোঝায় যে,  জল  আল্লার দান। 

কোরানে বর্ণিত আছে,   খেজুর হলো স্বর্গীয়  (জান্নাহ) বাগানের প্রতীক। একটি ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বাণীতে আছে, ” “Dome of the Rock” একটি পাম গাছের উপর দাঁড়িয়ে থাকবে যেটি জান্নাতের নদীগুলির মধ্যে একটি। অন্যদিকে জানা যায়, 

প্রথম মুয়াজ্জিন খেজুর গাছে আরোহণ করে বিশ্বস্তদের প্রার্থনার আহ্বান জানান, যেখান থেকে মিনার গড়ে ওঠে। কোরানে আর ও লিখিত, মরিয়ম যীশুকে একটি খেজুর গাছের নীচে  জন্ম দিয়েছেন।  

উত্তর সুদানে, আফ্রিকার খেজুর গাছ হলো ধৈর্যের প্রতীক। কিছু তুনিসিয়ার দিনার এবং ইরাকের মুদ্রায় খেজুর গাছ দেখতে পাওয়া যায়। 

আফ্রিকার কিলিমাঞ্জারো পর্বতের কোলে  চাগা উপজাতির মধ্যে ” Story Tree” বা  গল্প বৃক্ষ কাহিনীটি প্রচলিত। জল ভরতে গিয়ে একবার চাগা উপজাতির একটি মেয়ে কাদার জলাভূমির ভিতর তলিয়ে যায়। কিছুদিন পর সেই জায়গায় একটি চারা গাছের জন্ম হয়। ধীরে ধীরে চারা গাছটি  বিরাটকায় বৃক্ষে পরিণত হয়। আকাশ ছোঁয়া সেই গাছে ওঠার দুজন রাখাল আর পৃথিবীতে ফেরেনা । এরপর সেই গাছ হয়ে ওঠে গল্প বৃক্ষ। 

ভৌগোলিক তথ্য অনুযায়ী কিলিমাঞ্জেরোর বুকে  ৮৮ মিটার লম্বা একটি গাছের সন্ধান পাওয়া যায়। তার মাথা আকাশ স্পর্শী। অনেকটা  ” Yggdrasil “এর মতো।  নারী হলো মাতা, জন্মদাত্রী।  নারীই হলো প্রকৃতি । তাই প্রকৃতি পূজা বললে  নারীকে  আরাধনা করার কথা বলা যেতে পারে। বৃক্ষ তার  কোলে ফুল ফলের প্রসব ঘটায়। বৃক্ষ  সমৃদ্ধিকে  কে চিহ্নিত করে। এই গল্পে নারী  বীজ এবং তার থেকে জন্ম নিলো বৃক্ষ। মাতৃত্বকে গল্পে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হলো। একটি  গাছের গল্পবৃক্ষ হয়ে ওঠা  প্রকৃতির সৃষ্টি, সৃজনশীলতাকে  প্রকাশ করে।  

রাজস্থানের থর মরুভূমির একটি গল্প পাওয়া যায়। গ্রামের মেয়ে অমৃতা প্রতিদিন ঘরে জল আনার পথে অরণ্যের একটি গাছকে ভালোবেসে জড়িয়ে ধরতো। সে গাছটি তার ভীষণ প্রিয় ছিলো। একবার সেখানকার মহারাজা তার রাজমহল গড়ার জন্য  গাছ কাটার আদেশ দিলে অমৃতা বাঁধা দেয়। সৈন্যদল যখন জঙ্গল ধ্বংস করার জন্য উদ্যত অমনি মরুভূমিতে ভয়ংকর ধূলিঝড় শুরু হয়। কেবলমাত্র গাছের আড়ালে লুকিয়ে থেকে সে যাত্রা সৈন্যরা গাছের কারণে রক্ষা পায়। রাজাও নিজের ভুল বুঝতে পারে। 

এই গল্পে অমৃতা তার সন্তানদের, রাজার সৈন্যদের কাছে বৃক্ষের সুশীতল  ছায়া, ঝড়ের প্রকোপ থেকে রক্ষার কথা বারংবার তুলে ধরেছে। রাজস্থানের রুক্ষ ভূমিতে যেখানে গাছের দেখা মেলে সেখানে জলের সন্ধান পাওয়া যায়। রাক্ষুসে বালিঝড় থেকে গাছেরা আগলে রাখে। বৃক্ষ হয়ে ওঠে ত্রাতা। 

আফ্রিকার সান উপজাতির একটি রূপক লোকগল্প গায়ে কাঁটা দেয়। একবার কুড়িজন বোন জলে নগ্ন হয়ে সাঁতার কাটছিলো। সে সময় তাদের  পরিত্যক্ত জামাকাপড়ের একটি পোশাকের  উপর একজন মানুষ এসে বসলো। তার চোখ ছিলো দুটি পায়ে।  মেয়েটি পোশাকটি ফেরত চাইলে সে একটি শর্ত দিলো। একটি কাঁটার বিনিময়ে সে পোশাক ফেরত পাবে। মেয়েটি গাছের কাঁটা দেওয়ার সময় পুরুষটি কাঁটাটি মেয়েটির গায়ে বিঁধিয়ে তাকে আকাশে ছুঁড়ে দিলো। আকাশ থেকে সে নামলো কন্টকময়  গাছ হয়ে। মেয়েটির অন্যান্য বোনরা তাকে ফেলে পালিয়ে গেলো। শেষ পর্যন্ত ঈশ্বর হেইসেব এর কৃপায় মেয়েটি রক্ষা পেলো। 

এই গল্পটি যৌণ নির্যাতনকে ইঙ্গিত করে। গল্পে দেখা যায়, লোকটির পায়ে চোখ ছিলো। অর্থাৎ লোকটির দৃষ্টিভঙ্গী নিম্নরুচির পরিচায়ক। তিনি স্নানরত বিবস্ত্রা  মেয়েদের দেখেন এবং ঐ একজনকে তার সাথে মিলনে   বাধ্য করেন। আফ্রিকায় গাছের কাঁটাগুলো লম্বা এবং বিপজ্জনক। এ গল্পে গাছের কাঁটা কে পুরুষাঙ্গের সাথে সম্পর্কিত করা হলো। মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়। তারপর তাকে লোকটি ছুঁড়ে ফেলে দিলো । মেয়েটির জীবন বদলে হয়ে উঠলো যন্ত্রনাময়। শ্লীলতাহানী তার জীবন বদলে দিয়েছে, এমনকি পরিবার ও তাকে ত্যাগ করে চলে গেলো।শেষ পর্যন্ত ঈশ্বর হেইসেব এলেন রক্ষাকর্তা রূপে। এ অংশ মানুষের আধ্যাত্মিক অগ্রগতির রূপক হিসাবেও দেখা যেতে  পারে। হেইসেবের হাতেই লোকটির   মৃত্যু হয়। গল্পে কুড়িজন বোনের কথা বলা হয়েছে।  প্রতীকী কুড়ি সংখ্যাটি একটি সম্পূর্ণ মানবদেহ কে ইঙ্গিত করে। দেহের হাত এবং পায়ের আঙুলের মোট সংখ্যা হলো কুড়ি৷ একটি নারীর সকল নিপীড়িতা নারীর প্রতিনিধি। 

জাপানের একটি লোকগল্পে পাওয়া যায় চেরী গাছের কথা। এক বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা তাদের শিরো নামের কুকুরের মৃত্যুতে কবরের উপর পাইন গাছ লাগায়। সে গাছ পরিণত হলে তাকে কেটে সেটির কান্ড দিয়ে হামান দিস্তা তৈরি করে। ষড়যন্ত্র করে এক ধূর্ত  প্রতিবেশী সে হামানদিস্তা পুড়িয়ে দিলে অবশিষ্ট ছাই তারা  বাগানে ছড়িয়ে দেয়।  শীতল আবহাওয়াতে ও চেরী গাছগুলো  ফুলে ভরে ওঠে। এমনকি রাজার আহ্বানে সেখানকার রাজার বাগানের মৃত চেরী গাছে ছাই ছড়িয়ে দিলে বসন্তের পূর্বেই রাজার  গাছ ফুলে সেজে ওঠে।  

চেরী ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক। ক্ষণস্থায়ী এই ফুলের আগমন ঘটে বসন্তে। শীতল, ধূসর বেলা শেষে চেরী ফুলের আর্বিভাব প্রকৃতিকে সাজিয়ে তোলে। জাপানবাসী ঋতু পরিবর্তন বিষয়ে সচেতন। হানামি বা Cheery Blossom কে উপভোগ করা জাপানে একটি জনপ্রিয় প্রথা। সেখানে এটি একটি  উৎসব। 

জীবন চিরস্থায়ী নয়, তাই হৃদয়ে চিরবসন্ত ধারণ করে প্রতিটি মুহূর্ত কে বাঁচার কথাই এই গল্পে বলা হলো। 

বাংলায় আদিবাসীদের সারহুল উৎসব  অনেকটা এরকমই।  বসন্তের আগমনে ফাল্গুনী পূর্ণিমায় এই উৎসব পালিত হয়। উপজাতিদের কাছে শাল গাছ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।   লাল মাটির দেশে শাল গাছে ফুল ধরে। সেই ফুলকে প্রতীক রেখে পুজো করা হয়। যদি ও কথিত আছে মাধো সিং এর অত্যাচার থেকে বাঁচতে শাল বৃক্ষ তাদের আশ্রয় দিয়েছিলো বলে এই উৎসব পালন, তবু ও এর সাথে মিশে আছে যুবতী বসন্তের আবাহন।  বোরো, ধিমলা, মেচদের মধ্যে বাঁশ উৎসব পালন লক্ষ্য করা যায়। গারোদের গৃহের সম্মুখে তারা বাঁশের দূর্গ তৈরি করে। 

সামান্য পরিসরে লোককথায় বৃক্ষ বন্দনা সম্ভব নয়। এটি সারবস্তু মাত্র। তবু বিশ্ব লোকগল্পের কয়েকটিকে নিয়ে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। পৃথিবীর লোকগল্পের ইতিহাসে গাছের কথা নানানভাবে আসে। অশুভ শক্তির বিনাশে, ফলনে, উর্বরতায়  গাছ হয়ে ওঠে গল্প রাজ্যের নায়ক। 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>