১.
আমার ইচ্ছেগুলোর
বেশীর ভাগই
ছোট্ট ছোট্ট।
এই যেমন ধরো
তোমার চুমুক দিয়ে অর্ধেক করা কাপের চা খেয়ে নেয়া,
তোমার দিকে
হা করে তাকিয়ে থাকা,
তোমার হাত ধরে বসে থাকা,
টেবিলের তলায় আমার পা দিয়ে তোমার পা স্পর্শ করা,
হাঁটু গেড়ে তোমার সামনে বসে তোমার হাতে চুমু খাওয়া।
আমার ইচ্ছেগুলো
আসলেই ছোট্ট ছোট্ট।
এই যেমন ধরো
তুমি রান্না করার সময়
তোমাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা,
রান্না শেষে,
হাত তুলে খোঁপা বাঁধবার সময়
কাঁধ তলার ভিজে যাওয়াতে হারিয়ে যাওয়া।
এই যেমন,
যখন ঝুঁকে আংগুল রাংগাও,
পায়ের
নেইল পলিশের গন্ধ নেয়া,
পাশে যখন বসো
তোমার গায়ের ঘ্রাণে
ওলটপালট হওয়া।
আর,
এই যেমন ধরো,
তোমার সবখানের চুলের সৌরভে তুরীয় হওয়া।
আমার ইচ্ছেগুলোর
বেশীর ভাগই আসলেও ছোট্ট ছোট্ট,
কিন্তু তুমি যে নারী নও,
রমণীর ভাস্কর্য।
২.
তোর পিছে ঘুরতেছি
ফেউয়ের মতন
চার বছর পাক্কা!
তোর রাতের
রংয়ের গায়ের
আর,
সোজা ভারি চুলের
না নেয়া গন্ধ নিতেছি
রোজ রোজ।
ঝিলিক মারা
বিলা বিলা চোখে
ডুবতেছি রোজ,
সকাল-বিকাল।
তোর পানকৌড়ি রংয়ের
সুবর্ণা ঠোঁটে
তুরীয় হতে হতে
আলিফ হতেছি
নি:শ্বাসে নি:শ্বাসে।
ভালবাসবি কিনা বল?
তোর পিছে ঘুরতে ঘুরতে
চার বছরে ১২ বার বাবু হওয়ার
চান্স মিস করছি।
আজ হয়
তোর চুলে
মুখ ডুবাইতে ক’বি
আর নাহয়
রাস্তা মাপতে!
তুই একখান ইবলিশ!
হাসতে দ্যাসনা
কানতে দ্যাসনা
ক্যাবলা বানায়ে রেখে দিস।।
৩.
পাখি হয়ে উড়ে যেতে পারতাম তোমার উঠোনে।
সকালে দরজা খুলে চমকে খুশীতে লাফিয়ে উঠতে তুমি।
বলে উঠতে – তুই আসছিস কখন? কি আনছিস আমার জন্যে?
আমি আমার শার্টের তিনটি বোতাম খুলে বলতাম- কলিজা আনছি আমারটা।
তুমি ঠোঁট বেঁকিয়ে বলতে- বাল আনছিস নাগর আমার।
ঐ কলিজা তো পুড়ে খাক করে দিছি সেই কবে। আর কি আনছিস?
আমি বলতাম- বুকের ভিত্রের দাপদাপানি, লাল হওয়া কান আর গাল, আরো আনছি নিশ্বাসে রক্তের গন্ধ।
বলতে তখন- তুই একটা বিলা।
রেশমী চুড়ি আনিস নাই,
লাল বহুৎ বড় টিপ আনিস নাই,
পায়েল আর আলতা ত আনিস নাই।
একখান নাকফুলও না।
আমি চইলা গ্যালাম আমার একসের কাছে, বা র্যানডম কোন পোলার কাছে।
আমি আকর্ণ বিস্তৃত হাসি দিয়ে প্যান্টের পকেট থেকে বের করতাম আলতা, চুড়ি, টিপ আর নাক ফুল।
তুমি বিস্ময়ে আনন্দে বলে উঠতে – ওরে আমার থোনা মানিক! বুকে আস।
প্রায় ১৮ বছর সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরি করে তিনি ১৯৯৪ এ অবসর নেন।
তারপর থেকে তিনি সিংহভাগ সময় ইনটারনেটে লেখালেখি করে ব্যয় করেন ইংরেজি এবং বাংলাতে।
তার বেশীরভাগ লেখার উপপাদ্য হলো Geopolitics (ভূরাজনীতি), Comparative Religion (তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব) এবং Better Living (উন্নততর জীবন যাপন),কবিতা, বাগান, রান্না এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখা।ত্রিশোনকু একজন ব্লগারও। সামহোয়্যারইনে লিখে থাকেন। তাঁর ব্লগে হিট সংখ্যা এক লাখ সত্তর হাজারের বেশী। “তাঁর বাংলা প্রকাশনার সংখ্যা তিনঃ
১। ঊনসত্তর থেকে পঁচাত্তর- মুক্তিযুদ্ধের ওপর রেফারেরেন্স বই হিসেবে পরিগণিত।(শব্দশৈলী)
২। চট্টগ্রাম সেনা বিদ্রোহ।(দিব্য প্রকাশ)
৩। ত্রিশোনকু, আপনার কাছে কি সিগ্রেট আছে (কবিতার বই)।(দিব্য প্রকাশ)