গীতরঙ্গ: টুসু গানে সমাজ জীবন । তপনকুমার সেন

Reading Time: 6 minutes

আদিবাসী সমাজের দ্রাবিড় অস্ট্রিক ভাষাবর্গের সাঁওতাল, ভূমিজ, ওরাওঁ, মুন্ডা, ভূইয়া, কুর্মি, মাহাতাে সম্প্রদায়ের সব থেকে বড় পরব হল টুসু। দুর্গা পূজার মত যার সর্বজনীন রূপ। টুসু উৎসব তাই মিলনের উৎসব, জাতীয় উৎসব। এমনিই নতুন ধান উঠলে বাংলা জুড়ে নবান্নের উৎসবে মাতে আপামর সাধারণ মানুষ। তার উপর শীতকাল, খেজুড় গুড়, নতুন ধানের পিঠে পুলিতে মজে গ্রাম বাংলা। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা তার ব্যতিক্রম নয় বরং এদের উৎসবে নারী পুরুষ নির্বিশেষে নাচে গানে উৎসব ও মেলায় মেতে ওঠে। অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিনে শুরু হয় আর শেষ হয় পৌষ সংক্রান্তি বা বা মকর সংক্রান্তিতে। প্রধানত কুমারী মেয়েরা এক মাস ধরে টুসু ব্রত পালন করে। চৌডল সাজায় মনের মত করে। ব্রত শেষে টুসুর চৌডল বিসর্জন দেয় নদী সরােবর বা বড় জলাশয়ে। মকর পরবে তারা টুসুকে নিয়ে নতুন নতুন গান বাঁধে। কোথাও কোথাও উৎসব উপলক্ষ্যে বসে মেলা, হয় টুসু গানের প্রতিযােগিতা, ঝুমুর, মােরগ লড়াই, ছৌ নাচ ইত্যাদি। পাহাড় তাদের শ্রেষ্ঠ দেবতা ‘মারাং বুরু’। পৌষ সংক্রান্তি শেষে মাঘ পড়লেই ঘরে ঘরে আনন্দও উপচে পড়ে। এ সময় মহুয়া গাছে ফুল নেই তাে কি হয়েছে হাড়িয়া তাে আছে । টুসু ঠিক ধর্মের আবরণে মােড়া কোন দেবী নয়। আবার টুসু কোন কামনা পূরণের দেবী নয় বরং জনজীবনের লৌকিক দেবী। গানে গানে টুসু কখনাে মাতা, কন্যা, ভগ্নি , সহচরী, বান্ধবী অর্থাৎ সমাজেরই অন্তরঙ্গা এক নারী। তবে টুসুকে কুমারী রূপেও অনেকে কল্পনা করে। টুসুকে নিয়ে অনেক গল্প গাথা আছে। তুষ’ শব্দ থেকে টুসু শব্দের উৎপত্তি বলে অনেকে মনে করেন। কারণ শস্যোৎপাদনই মূল কথা। আদতে এটি শস্যোৎসব। টুসু উৎসবকে কেন্দ্র করে মেয়েরা নতুন নতুন গান বাঁধে। কখনও তাৎক্ষণিক ভাবেও গান বাঁধা হয়। টুসু গান আকারে ছােট হয়। বেশিরভাগ সময়ই একটি ঘটনা বা বিষয়কে গানে তুলে আনা নয়, গানে থাকে নানা চিত্রের সমাহার। নিরক্ষর হলেও এদের জীবনের সুখ দুঃখ, আশা আকাঙ্ক্ষা, প্রেম ভালােবাসা প্রতিফলিত হয় গানে । টুসু উৎসবের প্রধান আকর্ষণ কিন্তু টুসু গান । এই সঙ্গীতের মূল বিষয় বস্তু হল লৌকিক দেহগত প্রেম। গায়িকার কল্পনা, বিবাহিত জীবনের সুখ- দুঃখ হাসি বেদনা উঠে আসে গানে। সামাজিক দায়বদ্ধতাও লক্ষ করা যায় তাদের গানে। বধূ নির্যাতন, সামাজিক সচেতনতা, সমাজ জীবনের কোন বিশেষ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেও টুসুগানকে হাতিয়ার করে শিল্পীরা। যেমন- নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধেও টুসু গান লেখা হয়েছিল। যেখানে ছিল প্রতিবাদ প্রতিরােধের কথা।

গােপাল মাহতিঅ বেড়ে রােগী লাগড়াই পিটিল খাড়ি লিল চাষ উঠাত্রে দিল বিশ্বনাথ সরদারে হে সে তাে ড্রিবার আলাে। বিটি ছালার কুলহি বুলা লয় ভালো। ১৯৫৬ সালের ৬ ই মে পুরুলিয়া জেলার পুঞ্চার পাকবিড়রা থেকে সহস্রাধিক বাংলা ভাষাপ্রেমী মানুষ পদব্রজে কলকাতায় আসেন টুসু ও ঝুমুর গাইতে গাইতে। টুসুর সে গান সেদিন উন্মাদনা সৃষ্টি করেছিল। “আমার বাংলা ভাষা প্রচণর ভাষা রে এই ভাষাতেই কাজ চলছে (এ ভাই) মারলি কি তারে সাত পুরুষের আমলে বাংলা ভাষা রে। এই ভাষাতেই মায়ের কোলে মুখ ফুটেছে মা বলে এই ভাষাতেই পর্চা রেকর্ড দেশের মানুষ ছাড়িস যদি এই ভাষাতেই চেক কাটা ভাগ্যের চির অধিকার এই ভাষাতেই দলিল নথি দেশের শাসন অচল হবে সাত পুরযের হকপাটা।” ঘটবে দেশে অনাচার।

একটি প্রচলিত টুসু গান “পােষ পরবে টুসু পাতিল আমরা টুসুর পূজা করিব॥ “সাম্প্রতিক সময়ে রচিত টুসু গান ও তুই হবি রে আজ ডুমর ফুল বাসলে ভালাে ভাসিয়ে যাবি কূল। ”পৌষ মাসের শেষ চারিদিন চাঁউড়ি, বাঁউড়ি, মকর ও আখান নামে পরিচিত। চাউড়ির দিন গৃহস্থ বাড়ির মেয়েরা গােবরমাটি দিয়ে নিকিয়ে পরিষ্কার করার পর চালের গুঁড়ি তৈরি করে আল্পনা দেয়। বাঁউড়ির দিন। অর্ধচন্দ্রাকৃতি, ত্রিকোণাকৃতি ও চতুষ্কোণাকৃতির পিঠে তৈরি করে তাতে চাঁছি, তিল, নারকেল বা মিস্টি পুর দেয। এই পিঠেকে গড়গড়া পিঠে, বাঁকা পিঠে, উধি পিঠে বা পুরপিঠে বলে। বাউড়ির রাত দশটা থেকে টুসুর জাগরণ শুরু হয়ে যায়। জাগরণের সময় মেয়েরা ঘর দোর পরিষ্কার করে ফুল মালা ও আলাে দিয়ে সাজায়। এই টুসুর ভােগে নানা রকমের মিষ্টান্ন, জিলিপি, ছােলাভাজা , মটরভাজা , মুড়ি নিবেদন করে থাকে। পুরুলিয়া জেরার বান্দোয়ান থানা এলাকা ও বাঁকুড়া জেলার খাতড়া থানার পােৱকুলে টুসুর প্রতিমা তৈরি করে মেলাগুলিতে নিয়ে আসে। এই টুসু কোথাও অশ্ব বাহিনী, কোথাও ময়ুর বাহিনী হয়ে থাকে। মূর্তির হাতে থাকে শঙ্খ , কোথাও পদ্ম পাতা বা বরাভয় মুদ্রা। এ ব্যতীত গ্রামে গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় বাঁশ , কঞ্চি দিয়ে একটি রথের মত ফ্রেম তৈরি করে রঙিন কাগজ, রঙ – বেরঙের কাগজের ফুল, শীর্ষদেশে ঘুরত চরকি দিয়ে মনের মত করে সাজিয়ে চৌডল তৈরি করে। পৌষ সংক্রান্তির পূর্বদিন চৌডলকে ঘিরে নতুন নতুন গান বেঁধে গায় এভাবেই জাগরণ পালন করে। পৌষ সংক্রান্তির দিন ও তার পূর্ব দিনে বিভিন্ন স্থানে চৌডলের ও টুসুগানের প্রতিযােগিতার আসর বসে  পরের দিন এই চৌডলকে নিয়ে নাচতে নাচতে গ্রাম প্রদক্ষিণ করে এবং আনন্দ উৎসব শেষে বিসর্জন দেওয়া হয়। টুসুর সময় যেমন উৎসব মুখর হয়ে ওঠে তেমনি মাসাধিককাল পরে বিসর্জনের বেদনার ছবিও ফুটে ওঠে। টুসু বিসর্জনের পরে মেয়েরা নদী, ড্যাম বা পুকুরে স্নান করে নতুন বস্ত্র পরে। কোথাও কোথাও ছেলেরা খড়, কাঠ, পাটকাঠি দিয়ে স্থানীয় ভাষায় ম্যাড়াঘর বানিয়ে তাতে আগুন দেওয়ার প্রথা আছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়াসহ মানভূমের বিস্তৃত অঞ্চল, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, হুগলি ও ঝাড়গ্রাম এলাকাগুলিতে টুসু উৎসবের প্রাধান্য লক্ষ্য করার মত। এ ব্যতীত ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পূর্ব ও পশ্চিম সিংভূম জেলা, সাঁওতাল পরগনা, ধানবাদ জেলা, সরাইকেল্লা খরসােয়া জেলা, রাচি, হাজারিবাগ জেলা এবং ওড়িশা রাজ্যের ময়ুরভঞ্জ জেলা, সুন্দরগড় জেলা, কেন্দুঝর জেলাগুলিতে দেখা যায়। এপার ও ওপার দুপার বাংলাতেই টুসু উৎসবের চল আছে। এক আদিবাসী শিক্ষক বন্ধু জলধর কর্মকারের আমন্ত্রেণে পুরুলিয়া শহরে যাই টুসু উৎসব দেখতে। প্রথমে শহরের কাছাকাছি কাসাই নদীর ধারে টুসুমেলায় যাই। ভিড় ঠেলে দূরে মােটর সাইকেল রেখে ফিরে এসে লম্বা সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে আর সকলের সঙ্গে নীচের মেলা ও জনসমুদ্র দেখি। আসলে নদীতে তখন জল খুবই কম। বিশাল চওড়া কাঁসাই নদীর বুক চিরে এঁকে বেঁকে এদিক ওদিক দিয়ে খাল বা ক্যানেলের মত স্রোত বইছে। ফলে নদীর বুকেই বসে গেছে মেলা। আদিবাসী ভাইরা কেউ নানা জিনিস কিনছে, কেউ খাবার দাবার কিনছে], কেউ সতরঞ্চি পেতে সমগ্র পরিবার এক সাথে বসে গল্প গুজব করছে। সেতুর উল্টোদিকে এক প্যাণ্ডেলে দূর থেকে মাইকে টুসু গান শােনা যাচ্ছে। দুজনে বড় রাস্তা থেকে নীচে নদীর চরে নেমে পড়লাম। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী পরিবারের লােকজন খাবার দাবার তৈরি করে এনে সবাই বনভােজনের মত করে নদীর চরে বসেই খাওয়া সারছেন। বাচ্চারা ছুটোছুটি করছে। এক জায়গায় একজন চটি টুসু বই বিক্রি করছে টুসু গান গেয়ে। পাশে একজন ঢােল বাজাচ্ছে। একটা টুসু বই সংগ্রহ করলাম। এসব দেখতে দেখতে প্যান্ডেলের কাছে পৌছই। টুসু গানের প্রতিযােগিতা চলছে । মঞ্চের ওপরে বিচারকরা বসে আছেন নীচে এক এক করে মেয়েরা টুসু গান শােনাচ্ছে। পাশে কয়েকটি চৌডল রাখা আছে । টুসু পরব উপলক্ষ্যে এই চৌডল তৈরি করে ব্রত সমাপ্ত হলে শেষ দিনে নদীতে বিসর্জন দেয়। ঘুরে ঘুরে ক্যামেরায় ছবি ও হ্যাণ্ডিক্যামে ভিডিও করি। তারপর ফিরে এসে রাস্তায় উঠে বন্ধুর মােটর সাইকেলে বসি। প্রায় ত্রিশ/পঁয়ত্রিশ কিলােমিটার দূরে জলধরের বাড়ি বলরামপুরের উদ্দেশ্যে চলি।

পথে কোথাও কোথাও মােরগ লড়াইয়ের আয়ােজন চলছে দেখলাম। রাতে বলরামপুর সাঁওতাল গ্রামে জলধরের বাড়িতে রাত কাটিয়ে পরের দিন সকালে টুসু উৎসব উপলক্ষ্যে তৈরি গুড় পিঠে খেয়ে গ্রাম ঘুরে পাড়ার ছেলেদের সাথে কিছুক্ষণ গল্প গুজব করে আবার যাত্রা শুরু করি দুজনে । কালী পূজার পরে বাহা পরবে বাড়ির দেওয়াল জুড়ে যে নকশা আঁকা হয় বেশ কিছু বাড়িতে আজও তা জ্বল জ্বল করছে। ছবি তুলি তারপর বহু গ্রাম ঘুরে ফিরে আসি পুরুলিয়া শহরের হােটেলে। যেখানে একটি ঘর বুক করা ছিল। স্নান সেরে জলধরের বাড়িতে খাওয়া সেরে একটি প্রাইভেট ভাড়া করে চলি ‘ মাধা পাহাড়ের কোলে এক টুসু মেলায়। কলকাতা থেকে কয়েকজন দূরদর্শন শিল্পী এসেছেন টুসু গান শুনতে ও রেকর্ডিং করতে। একসাথে যাওয়া হল। আসলে সব ব্যবস্থা জলধরই করলেন । টুসু যে আদিবাসী জনজীবনের এক প্রাণ জাগানাে উৎসব তা না দেখলে বােঝা যায় না। মাঝপথে যােগ দিলেন আমাদের আর এক বন্ধু পুরুলিয়ার থার্মাল পাওয়ারের বড় কর্তা হলধর কিন্তু তার গাড়ি নিয়ে। শিক্ষিত ও সাধারণ মানুষ , গরিব শ্রমজীবী ও চাকুরিজীবী সবাই একসাথে মেলার রস উপভােগ করছেন। পরের দিন সকালে হাঙ্গেরির এক উৎসবে অংশ নেওয়া টুসু শিল্পীর বাড়িতে গান শুনতে যাওয়া হল। সবাই তাঁর গান রেকর্ড করলেন। পাড়ার অনেকের সঙ্গে আলাপ পরিচয় মেলামেশা, ভালােবাসা ও মত বিনিময় হল। ফেরার পথে রাস্তার এক দোকানে পুরুলিয়ার বিখ্যাত ‘ ভাবরা ও চা খাওয়া হল। ভাবরা আসলে জিলিপির মতাে ভাজা ফুলুরি। পরের দিন আমি, জলধর ও হলধর কিস্কু অযােধ্যা পাহাড়ের কোলে ঝালদা ২ নং ব্লকের মুরগুমা ড্যামের এক টুসু প্রতিযােগিতায় আমন্ত্রিত হয়ে গেলাম। অযােধ্যা পাহাড়ের কোলে মুরগুমা ড্যামে টুসু মেলার মেজাজ আলাদা। ১৯৫৬ সাল থেকে এখানে জলাধার তৈরির দাবীতে সাধারণ মানুষকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তােলেন তৎকালীন নেতা অমরেশ দাশগুপ্ত। পঁচিশ জনের মত নেতৃস্থানীয় মানুষকে গ্রেপ্তার করে তৎকালীন সরকার। জেলে চারদিন অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন শুকদেব কর্মকার, পরে মারা যান। ১৯৬১-৬২ সাল নাগাদ সরকার বিধানসভায় এখানে ড্যাম তৈরির অনুমােদন নেয়। আদিবাসী মানুষরা আনন্দে এখানে টুসু উৎসব শুরু করে। উৎসব মানেই মেলা। বসে দোকানপাট। আজ এই পাহাড়ের কোলে ধরে রাখা জলেই চাষবাস , শােধন করে পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গড়ে উঠেছে লজ, রিসর্ট ইত্যাদি। পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী ও লােকশিল্পী সংঘের ঝালদা এক ও দু নম্বর ব্লক এবছর টুসু ও চৌডলের প্রতিযােগিতা ও লােকসঙ্গীতের আয়ােজন করেছিল। সংগঠন ওই আন্দোলনের জীবিত সদস্য শ্রাবণ মুড়াকে সংবর্ধনা জানায় ও পাহাড়ের ওপর রক্ষিত শহিদ শুকদেব কর্মকারের মৃন্ময় মূর্তিতে মাল্যদান করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রায় ৬৫ টির মত আদিবাসী দল টুসু প্রতিযােগিতায় অংশগ্রহণ করে। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে টুসুমেলা আরও বর্ণময় হয়ে ওঠে। বিকেলের সূর্য যখন ড্যামের জলে ভাসছে, পাহাড়ের গা বেয়ে ধীরে ধীরে অন্ধকার নেমে আসে। অনেক মেয়েরা চৌডল বিসর্জন দিতে ড্যামের জলে নেমে পড়ে । অনুষ্ঠান মঞ্চ ও দোকানের স্বল্প আলাে উৎসব শেষের বার্তা বয়ে নিয়ে এল। পুরস্কার নিয়ে হৈহৈ করতে বাড়ির পথে পা বাড়াল নারী পুরুষ দলে দলে। তিনদিনে আদিবাসী সাধারণ মানুষদের সঙ্গে আমাদের মতাে শহুরে মধ্যবিত্ত মানুষদের মেল বন্ধনের প্রাপ্তি আলাদা তৃপ্তি দিল বৈকি।

 

লেখক:

Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com

অবসরপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক, একজন লোকসঙ্গীত শিল্পী ও সংগ্রাহক।

 

 

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>