রুণা বন্দ্যোপাধ্যায়ে অনুবাদে উমাপদ করের আলোর হাঁসুয়া
এই সেই আলো, যার হাঁসুয়া থেকে ঠিকরে উঠছে শব্দ, অক্ষর। এতদ্ধ্যেবাক্ষরং ব্রহ্ম এতদ্ধ্যেবাক্ষরং পরম্, এই অক্ষরই সেই ব্রহ্ম, এই অক্ষরই সেই পরব্রহ্ম। ওই শোনো তার ওঙ্কার। সর্বগত আর সর্বাতীত ব্রহ্ম, যেখানে খেলা করে সত্যের আবর্ত। ঘর আর ঘরের অস্তিত্ব, যেখানে খেলা করে কবির আঙুল। অভিধান থেকে লুকিয়ে ফেলে ঘর। আর ঘরের ভেতর আর একটা যে ঘর, তার পাশে পড়ে থাকে নাবিকের কম্পাস। সন্ধিতে। সংঘাতে। গৃহের পরশ লাগে আঙুলের কাব্যে। গৃহ মানে গণ্ডি নয়। গৃহ মানে স্মৃতি। যার হাটখোলা দরজায় নদীর অভিসার।
২০১৬ সালে কৌরব থেকে প্রকাশিত হয় কবির এই কাব্যগ্রন্থ আলোর হাঁসুয়া। প্রচ্ছদ করেন অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বই থেকে কিছু কবিতার অনুবাদ।
Light of Scythe
Sailor
I hide my room
And cut the windows to keep the pieces in my hidden pocket
The single door is wide open
That I keep in my breast pocket
I keep walls, floor and ceiling in a bag
The room is no more intact
No one else can enter this room
Some people may say
‘A room was here!’
I’ll remind them ‘yes, there was’
If required, I’ll show them the existence of the fragmented room
from the pocket from the bag from the heart
They will also jump
But they can’t enter the room, can’t decorate it
I’ll become a sailor by sailing the room
নাবিক
ঘর লুকিয়ে ফেলি
তার জানালা দুটো কেটে চোরা পকেটে ঢোকাই
দরজা একটাই হাট খোলা
তাকে রাখি বুক পকেটে
দেয়াল মেঝে ছাত সব এক থলিতে ভরে রেখে দিই
এখন আর কোনো ঘর আস্ত নেই
কেউ আর এই ঘরে ঢুকতে পারবে না
কেউ কেউ অবশ্য বলতেই পারে
‘এখানে যে একটা ঘর ছিল!’
আমি তাদের মনে করিয়ে দেব ‘হ্যাঁ ছিল’
প্রয়োজনে দেখিয়ে দেব টুকরো টুকরো ঘরের অস্তিত্ব
পকেট থেকে থলে থেকে বুক থেকে
ওরাও লাফিয়ে উঠবে
কিন্তু ঘরে ঢুকতে পারবে না সাজাতে পারবে না
আমি ঘর বইতে বইতে নাবিক হতে থাকব…
Cheroot-4
I’m a white page in her pleasing gaze
I mix sugar with black letters
and filter it
The cup becomes full and brims over
In a non-signaling gesture
stimulate poem to gladden heart…
I’m lovelorn in her morning mind
Wintry physique blossoms nine-o-clock
I throw my gloves to float in Jasmine sunshine
Leaning on
the youth of white page
Is Sita a poem by removing ornaments!
As soon as I touch her wintry modesty
closed door creeper
opens at once…
চুরুটিকা–৪
আমি তার নয়নলোভায় সাদাপাতা
কালো অক্ষরে চিনি মেশাই
ছাকি
কাপ ভরে ওঠে, উছলে পড়ে
না-জানানোর ঢং এ
স্টিমুলেশন চাগিয়ে কবিতা দিলশানায়…
আমি তার সকাল মনে আইকম বাইকম
শীত ছোঁয়া শরীর নাইন-ও-ক্লক ফোটায়
জুঁই জুঁই রোদে ভাসিয়ে দিই হাতমোজা
ঝুঁকে পড়ি
সাদাপাতার যৌবনে
অলংকার খুলে খুলে সীতাই কি কবিতা!
সেই যে ছুঁয়েছি তার শীত শরম
লতা বাঁধা দরোয়াজা খুলে যায়
লহমায়…
Ginger Chips – 1
I’m the floating lamp in the sky, you’re the Picasso’s Guernica
Your world is wrapped in modesty…
My palm tree is as much picturesque
as your eucalyptus
tall and sad
Your swimming and my first game with body, unknown to swim
Sweet and sour on every reed
Hot with ginger chips
You’re rhythm of censer-dance
My steps don’t match with bhangra dance
I can’t hide my desires
You’re screen of frothy laugh in slippery excursion
Galloping time just before afternoon
Like a buffalo afternoon also goes off
Time with foolish laugh makes nude
me and you in useless duel…
আদাকুচি-১
আমি আকাশে ভাসানো প্রদীপ তুই পিকাসো গুয়ের্নিকা
তোর স্বর্লোক শালীন জড়ানো…
আমার পাম-ট্রি টা যতটা ছবি ছবি
তোর ইউক্যালিপটাস্ ততটাই
ঢ্যাঙা ও করুণ
তোর সাঁতার সাঁতার-না-জানা আমার প্রথম শরীর খেলা
রিডে রিডে কত না টক কত কত মিষ্টি
কত ঝাল কত আদা কুচি কুচি
তুই ধুনুচি নাচের তাল
ভাঙড়ায় আমার পা মেলে না
আমি খায়েস রাখতে পারিনা গোপনে
তুই গ্যাঁজানো হাসির আড়াল পিচ্ছিল পর্যটনে
বিকেলের আগেটা দেখ কেমন গ্যালপ গ্যালপ
মোষে মোষে বিকেলও চলে যায়
সময় ভ্যাবলা হাসিতে আমাকে ও তোকে
মিছিমিছি দ্বৈরথে বেআবরু করে…