ভাঙা আলো

Reading Time: < 1 minute

না-গাওয়া গানের মতো জমে আছো বুকের শেষ স্তরে। ওপরে বাকি ছটা। ঢেকে রেখেছে পরম আদরে।
বিরহিনী নদী হলে গতিপথ বদলায় শ্রাবণ। নিজস্ব নিয়মে আলেখ্য সাজায়। অভিঘাতে বদলে যায় পারস্পরিক ‘কেন’-র উত্তর। নীল-সরস্বতী তখন উজানে। এঁকে চলে মহাবিদ্যার বিমূর্ত ছবি। দূরে তখন আবছা স্বপ্নের মিছিল। ফ্ল্যাশব্যাকে ফিরে আসে আজকের দিনটি। ভেসে আসে আরও একবার অনেক কথা। এই যে ‘ফাঁদ’, এও তো আসলে বিমূর্তই। খাদের একটা তীক্ষ্ণ সৌন্দর্য থাকে। কিন্তু ‘ফাঁদ’? এক অধরা আলো-ছায়ার গভীর মহামারী! অনেকটা নকল বাউল-জীবনের মতো। জোড়াতালির পোশাক আছে। কিন্তু শরীর-মনে কোনও সেলাইয়ের দাগ নেই। নেই সেই যাপিত অধ্যায়। নেই সাধনার পাঁচফুল। আড়মোড়া ভাঙা পোশাক শুধু। অদ্ভুত এক মিথ্যে জড়িয়ে ফেলার হীন-কৌশলই আসলে ফাঁদ। সম্মোহনের জাদুবিদ্যায় ঘেরা। যা-বলছিলাম, ফ্ল্যাশব্যাকে ফিরে আসে আজকের দিনটি। আসলে শব্দেরও একটা পালস থাকে। তার অনিয়মিত হওয়া আসলে বলে যায় হাওয়া বদলের কথা। তাই, শব্দকে অপশব্দে প্রয়োগ কখোনোই ঠিক নয়। এতে তার অকাল মৃত্যু ঘটে। অপমৃত্যু ঘটে। জীবাত্মা আর পরমাত্মার স্পিরিচুয়াল সাক্ষাৎকারের এক মহার্ঘ ক্ষণ হয়ে থাক বরং। না-গাওয়া গান হয়ে যেমন রয়েছো বুকের শেষ স্তরে, বাকি ছ’টাকে ওপরে রেখে, সেভাবেই থেকে যেয়ো। থেকে যেয়ো ভীষণ না-থাকায়। আলো ভেঙে গেলে, ভাঙা-আলোয় সন্ন্যাসী তুমি। বহু যুগের ওপার থেকে এঁকে চলো অসামান্য সব জীবনরেখা..
” আমায় রাখতে যদি আপন ঘরে বিশ্ব ঘরে পেতাম না ঠাঁই…”

0 thoughts on “ভাঙা আলো

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>