ভেনিজুয়েলা থেকে সব কূটনৈতিক প্রত্যাহার করছে যুক্তরাষ্ট্র

Reading Time: < 1 minute

গত সোমবার রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও বলেন যুক্তরাষ্ট্র কারাকাসে তাদের দূতাবাস থেকে অবশিষ্ট সব কূটনৈতিক স্টাফকে প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে। ভেনিজুয়েলার রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হওয়ার প্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এক টুইট বার্তায় পম্পেও বলেন, ‘ভেনিজুয়েলার রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দূতাবাসের কূটনৈতিক স্টাফদের উপস্থিতি মার্কিন নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

গত ২৪ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জরুরি দায়িত্বে নিয়োজিত নয়, এমন সব মার্কিন সরকারি কর্মীকে ভেনিজুয়েলা ত্যাগের নির্দেশ দেয়।

ভেনিজুয়েলায় বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন অশান্ত হয়ে উঠেছে। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর জন্য বিরোধী দলীয় নেতা জুয়ান গুয়াইদো চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছেন। তিনি নিজেকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দাবি করেছেন এবং বিশ্বের ৫০টি দেশ তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

এদিকে গত ৮ মার্চ দেশটির অর্ধেকের বেশি জায়গা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দেশটির ২৩টি রাজ্যের ১৮টি রাজ্যের বাসিন্দারাই এখন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। ভেনিজুয়েলায় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে এই ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে দায়ী করছেন বিরোধী দলীয় নেতা হুয়ান গুইদো। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এই বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভেনিজুয়েলা। রোববার সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি এ দাবি করেন।ভেনিজুয়েলার সরকার বলছে, সরকারবিরোধীরা এই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। অন্যদিকে বিরোধীদল বলছে, সরকারি অব্যবস্থাপনার কারণেই মূলত এ ব্ল্যাক আউট পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

 

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>