বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোটা সমার্থক হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশজোড়া ঘুড়ির আলপনা। অসংখ্য ঘুড়ির ভেলায় যেন স্বপ্ন ভাসে। বহু কৈশোর আর যৌবনের মাঞ্জায় লেগে আছে ঘুড়ি ওড়ানোর স্মৃতি। যে ছেলেটা কোনওদিন সকাল দেখেনি, সেও বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে সূর্য ওঠার আগেই ঘুড়ি-লাটাই নিয়ে ছাদে উঠে যায়। বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকে ভেসে আসে ‘ভো কাট্টা’ চিৎকার। সমস্বরে চিৎকারের সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে কাঁসর-ঘণ্টা। ঘুড়ি ওড়ানোকে কেন্দ্র করে চলে অলিখিত এক প্রতিযোগিতা। তার আগে বেশ কয়েকদিন ধরে চলে প্রস্তুতি। সুতো কেনা, কাচ গুঁড়ো করা, মাঞ্জা তৈরি করা কিংবা সুতো শুকানো। সেই উৎসাহকে ঘিরে মাঝেমাঝেই বাড়িতে অশান্তি কিংবা মারধর বাঁধা ছিল।
‘ভো-কাট্টা’ চিৎকারটা বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে হয়ে উঠত ‘জাতীয় শব্দ’। ঘুড়ি কাটা পড়লেই চিৎকার উঠত বিভিন্ন ছাদ থেকে। সেই চিৎকারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকত অনেকের রোমান্সও। ছাদে ঘুড়িতে ঘুড়িতে কাটাকাটির খেলার অগোচরে অনেকের মন দেওয়া নেওয়ার ঘটনা ঘটে যেত। ছাদে ছাদে আড়চোখে চাউনির মধ্যে মিশে যেত কত নিঃশব্দ আহ্বান। ভেসে যায় ঘুড়ি, পেটকাটি চাঁদিয়াল, বগ্গা। ভেসে যায় মনও।
বিশ্বকর্মা পুজোকে কেন্দ্র করে আমাদের রাজ্যে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রথা চালু বহুদিন থেকেই। ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ কিন্তু সারা বিশ্বেই চালু আছে। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে ঘুড়ি ওড়ে। ত্রিপুরাতেও বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি ওড়ে। কিন্তু কেন যে বিশ্বকর্মা পুজোতেই ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ চালু হয়েছে তা কেউই জানে না।
বিশ্বে প্রথম ঘুড়ি উড়েছিল চীন দেশে। যিশুর জন্মের অনেক আগে। এনিয়ে একটি চীনা লোককথা প্রচলিত আছে। এক চাষি মাঠে কৃষিকাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় প্রবল ঝড় উঠল। বারবার তাঁর মাথার টোকা উড়ে যেতে থাকল। অত বড় টোকাটাকে সামলাতে না পেরে তিনি সেটাকে হাতের দড়িগাছা দিয়ে বাঁধলেন। তখনই একটা বড় হাওয়া এসে টোকাটাকে উড়িয়ে নিয়ে গেল। টোকা ওড়ে আকাশে। হাতের দড়িও চাষি একটু একটু করে ছাড়তে থাকেন। অন্যরা সেটা দেখে খুব মজা পেলেন। এটাই নাকি পৃথিবীর প্রথম ঘুড়ি ওড়ানো বলে মনে করা হয়।
প্রথমদিকে কিন্তু ঘুড়ি ওড়ানো বিনোদনের মাধ্যম ছিল না। দূরত্ব মাপার জন্য, সংবাদ প্রেরণের জন্য বা যুদ্ধে সাংকেতিক বার্তা পাঠানোর জন্য ঘুড়িকে ব্যবহার করা হতো।
পরের দিকে ঘুড়ি বিনোদনের মাধ্যম হয়ে ওঠে। ক্রমে তা চীন থেকে ভারত, কোরিয়া, কম্বোডিয়া সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পর্যটক মার্কো পোলো ঘুড়ি ওড়ানো দেখে খুব মজা পেয়েছিলেন। ইউরোপে তিনি নিয়ে গেলেন ঘুড়ি। কিন্তু সেখানে তেমন সাড়া মিলল না। তবে ঘুড়ি বিজ্ঞানের কাজেও সাহায্য করেছে। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ি উড়িয়ে বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেছিলেন।
আজ ঘুড়ি ওড়ানোকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে অসংখ্য প্রতিযোগিতা হয়। বিভিন্ন দেশ থেকে আসে বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি। মাছ ঘুড়ি, প্রজাপতি ঘুড়ি, ড্রাগন ঘুড়ি ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের চাঁদিয়াল পেটকাটিই বা কম কিসে! এখনও বিশ্বকর্মার পুজোয় ঘুড়ি ওড়ে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে এনিয়ে আগ্রহ কম থাকলেও আকাশ এখনও ভরে যায় নানা রঙের ঘুড়িতে। আকাশের দিকে তাকিয়ে ঘুড়ি ওড়া দেখে প্রবীণরা যেন ফিরে পান তাঁদের নানা রঙের দিনগুলিকেই।
‘ভো-কাট্টা’ চিৎকারটা বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে হয়ে উঠত ‘জাতীয় শব্দ’। ঘুড়ি কাটা পড়লেই চিৎকার উঠত বিভিন্ন ছাদ থেকে। সেই চিৎকারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকত অনেকের রোমান্সও। ছাদে ঘুড়িতে ঘুড়িতে কাটাকাটির খেলার অগোচরে অনেকের মন দেওয়া নেওয়ার ঘটনা ঘটে যেত। ছাদে ছাদে আড়চোখে চাউনির মধ্যে মিশে যেত কত নিঃশব্দ আহ্বান। ভেসে যায় ঘুড়ি, পেটকাটি চাঁদিয়াল, বগ্গা। ভেসে যায় মনও।
বিশ্বকর্মা পুজোকে কেন্দ্র করে আমাদের রাজ্যে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রথা চালু বহুদিন থেকেই। ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ কিন্তু সারা বিশ্বেই চালু আছে। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে ঘুড়ি ওড়ে। ত্রিপুরাতেও বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি ওড়ে। কিন্তু কেন যে বিশ্বকর্মা পুজোতেই ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ চালু হয়েছে তা কেউই জানে না।
বিশ্বে প্রথম ঘুড়ি উড়েছিল চীন দেশে। যিশুর জন্মের অনেক আগে। এনিয়ে একটি চীনা লোককথা প্রচলিত আছে। এক চাষি মাঠে কৃষিকাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় প্রবল ঝড় উঠল। বারবার তাঁর মাথার টোকা উড়ে যেতে থাকল। অত বড় টোকাটাকে সামলাতে না পেরে তিনি সেটাকে হাতের দড়িগাছা দিয়ে বাঁধলেন। তখনই একটা বড় হাওয়া এসে টোকাটাকে উড়িয়ে নিয়ে গেল। টোকা ওড়ে আকাশে। হাতের দড়িও চাষি একটু একটু করে ছাড়তে থাকেন। অন্যরা সেটা দেখে খুব মজা পেলেন। এটাই নাকি পৃথিবীর প্রথম ঘুড়ি ওড়ানো বলে মনে করা হয়।
প্রথমদিকে কিন্তু ঘুড়ি ওড়ানো বিনোদনের মাধ্যম ছিল না। দূরত্ব মাপার জন্য, সংবাদ প্রেরণের জন্য বা যুদ্ধে সাংকেতিক বার্তা পাঠানোর জন্য ঘুড়িকে ব্যবহার করা হতো।
পরের দিকে ঘুড়ি বিনোদনের মাধ্যম হয়ে ওঠে। ক্রমে তা চীন থেকে ভারত, কোরিয়া, কম্বোডিয়া সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পর্যটক মার্কো পোলো ঘুড়ি ওড়ানো দেখে খুব মজা পেয়েছিলেন। ইউরোপে তিনি নিয়ে গেলেন ঘুড়ি। কিন্তু সেখানে তেমন সাড়া মিলল না। তবে ঘুড়ি বিজ্ঞানের কাজেও সাহায্য করেছে। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ি উড়িয়ে বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেছিলেন।
আজ ঘুড়ি ওড়ানোকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে অসংখ্য প্রতিযোগিতা হয়। বিভিন্ন দেশ থেকে আসে বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি। মাছ ঘুড়ি, প্রজাপতি ঘুড়ি, ড্রাগন ঘুড়ি ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের চাঁদিয়াল পেটকাটিই বা কম কিসে! এখনও বিশ্বকর্মার পুজোয় ঘুড়ি ওড়ে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে এনিয়ে আগ্রহ কম থাকলেও আকাশ এখনও ভরে যায় নানা রঙের ঘুড়িতে। আকাশের দিকে তাকিয়ে ঘুড়ি ওড়া দেখে প্রবীণরা যেন ফিরে পান তাঁদের নানা রঙের দিনগুলিকেই।