আরও একটি আত্মজীবনী ইন্দু বিন্দু’র সাক্ষী হতে যাচ্ছেন আপনি। আদরের নৌকা,শব্দের মিছিল-এ বিক্ষিপ্তভাবে নিজের জীবন নিয়ে লিখেছেন, ইরাবতীর পাঠকদের জন্য ধারাবাহিকভাবে নিজের জন্মতিথিতে নিজের আত্মজীবনী লেখা শুরু করলেন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। আজ রইলো প্রথম পর্ব, প্রতি বৃহস্পতিবার নিয়ম করে প্রকাশ করা হবে এই আত্মজীবনী ইন্দু বিন্দু।
৬৫’র তেসরা পোষ, মিঠে রোদের ভোর
শ্যামবাজারের নার্সিংহোমে কন্যাজন্ম মোর ।।
দক্ষিণেশ্বর মাতুলালয়, আড়িয়াদহে পিতা
গঙ্গানদীর তীরে যতনে লালিতা।।
পিতা নরেন্দ্রলাল, মাতা কৃষ্ণারাণী
সেযুগে প্রেমের বিয়ে, হলেন দিদির দেবরাণী।।
মামারবাড়ি দক্ষিণেশ্বরেই মায়ের ডেলিভারি পেন উঠেছিল। তখন পৌষমাসের ঠান্ডায় মা নাকি দাপুটে ব্যাথায় ঘেমে নেয়ে সারা। এত যন্ত্রণা দেখে সবাই বলেছিল “মেয়েগুলোই হতে বেশী জ্বালায়।” আবার কোনও কোনও পাড়াপড়শীর মতে মায়ের সব ছেলে হবার লক্ষণ তবুও ছেলে হতে হতেই নাকি মেয়ে হয়ে গেলুম। কি কুলুক্ষুণে জানিনা এসব আলোচনা হত তখন! সবটাই মায়ের মুখে শোনা।
যাইহোক, উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারের নার্সিংহোমে ঘুমবিছানার বেবিকটে প্রথম আলো দেখা… প্রথম কান্নার সঙ্গে হাতেখড়ি। মায়ের দুধ, পোয়াতির কোলের ওম, তীব্র আলোয় চোখ বুজে যাওয়া, কিম্বা পিটপিট করা এসব মনে থাকার কথাও নয় সেই একরত্তির। মা যেহেতু বাড়ির অমতে সেযুগে মেজমাসীর দেওর কে জেদ করে বিয়ে করেছিল চিরটাকাল মা’ কে দাদু দিদা সেই খোঁটা দিয়েই গেল। বাবার রঙ টা যে চাপা ছিল তাই বুঝি আমাকে রঙের খোঁটা খেয়ে যেতে হল সারাটা জীবন।
সকলে নাকি মা’কে বলেছিল “প্রথম মেয়ে সন্তান হোলো?” মা বলেছিল “কেন? আমার বন্ধু হবে, রুটি বেলে দেবে, আর আমরা সিনেমা যাব একসঙ্গে। “
হলও ঠিক তাই। মা আমার প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠল। তবে ছোটবেলায় নয়। কলেজে ঢোকার পর। আরও বেশী করে বন্ধু হল আমি নিজে মা হবার পর।
অন্তঃসত্ত্বায় মা বঙ্কিমের “ইন্দিরা” পড়েছিলেন। সেই থেকে ঐ নামের ওপর তাঁর ভালো লাগা। তবুও ১৯৬৫ সালেও নাক সিঁটকোনো ভাবসাব বাড়ির সকলের। বাবা কিন্তু নার্সিংহোমের সিস্টারদের বখশিস দিয়েছিলেন “মেয়ে” হবার খবরটা জানানোর জন্য। মায়েরা চার বোন দিদিমার মতই রন্ধনে দ্রৌপদী ছিলেন। আমার মা সেবার নাকি প্রবল লেবার পেনে কাতরাচ্ছে উত্তর কলকাতার বনেদী প্রসূতিসদন, নর্থ ক্যালকাটা নর্সিংহোমে। ডাক্তারবাবু বলেছিলেন, এখনো দেরী আছে অনেক। বাড়ি থেকে মাছের কচুরী বানিয়ে এনে আসন্ন প্রসবার মুখে দিতেই শান্তি হয়েছিল সেজোমাসীর। আমি জন্মেছিলাম তার কিছু পরেই। তিনি মায়ের দিদি অথচ মায়ের কোলে আগে এসে গেল সন্তান। তখনো সেজোমাসীর সন্তান হয়নি তাই আমার জন্যে সারাজীবন সেজোমাসীর চোখে খুশি দেখেছিলাম। তারপর আমায় কোলে নিয়ে মা চলল মামার বাড়ি। মাসীর আদিখ্যেতা শুরু হল তখন। একুশ দিনের ষষ্ঠীপুজোয় যাকে বলে একুশ্যা, লোকে ছেলের জন্যে একুশটা ক্ষীরের পুতুল গড়ে ষষ্ঠীবুড়ির খই চুপড়ি সাজায় আর সেজোমাসী কিনা ক্ষীরের পুতুল বানিয়েছিলে এই একরত্তি মেয়ে সন্তানের জন্যে! আর দেখো, প্রকৃতির কি খেয়াল! তারপরেই মাসীর ছেলে হল কোল আলো করে।
আমার ভাই হল ন’ বছর পরে। ঐ যে সবাই মায়ের মাথা খেতে ছেলে ছেলে করে। তবে আমার খুব ভাল হল। একটা দোসর মিলেছিল ছোটবেলায়। ভাই হবার আগে বেশ মনে পড়ে, সেজোমাসী নিয়ম করে মা’কে দেখতে আসত। আর যাবার সময় মা’কে বলে যেতে, দেখো, প্রথমটি কে যেন অযত্ন কোরো না। বলেই আমার হাতে পুতুল, চকোলেট কেনার টাকা গুঁজে দিতে। আমি কি করে ভুলি এসব?
তেল মাখিয়ে রোদে ফেলে মা ট্যান করাত ভিটামিন ডি এর কারণে। ট্যাঁ এর সঙ্গে ট্যাঁ ট্যাঁ শুনে দাদু বলত কাকের ছানাটা কাঁদছে কেন রে? তবে যতই কাঁদুক এর চোখ বলছে জজ ম্যাজিস্ট্রেট হবে, দেখে রেখ। মিলিয়ে নিও। কিন্তু হইনি। মেলেনি দাদুর কথা।
দিদা বলেছিল “আমাদের বাড়ির মত রং পেলনা”
মা বলেছিল “হীরের আংটি, আবার বেঁকা! সুস্থ সন্তান হয়েছে সেটাই বড় পাওয়া। “যেমন তেমন মেয়ে বিয়োবো, বয়সকালে গুণ দেখাবো।”
আমার কি গুণ যে মা দেখালেন সবাইকে তা জানিনা তবে আমার গ্রুমিংটা সম্পূর্ণ মায়ের জন্য সম্ভব হল। মামারবাড়ি থেকে আড়িয়াদহে গঙ্গার তীরে বাবাদের ভাগের বাড়িতে প্রথম এসেছিলাম মুখেভাতের সময়। এবাড়িতে মেয়েদের মুখেভাতে ঘটা হয় না। মামা মুখে ঠাকুরের প্রসাদ দেবে শুধু। বাবা তবুও আত্মীয়স্বজনকে মাধ্যাহ্ন ভোজে নেমন্তন্ন করে এলেন। ঠাকুমা আর মা দুজনে মিলে আগের দিন আমাকে সামলানোর ফাঁকে ফাঁকে বাড়িতে নতুন গুড়ের সন্দেশ বানিয়ে সবাইকে আপ্যায়ন করেছিলেন। ঘুঘুডাঙ্গা থেকে ছানা এনে দিয়েছিল বাবা। আড়িয়াদহের পুকুর থেকে মাছ ধরানো হয়েছিল। সেই মাছ রান্না হয়েছিল ঘরযোগে। আমি আদ্যোপান্ত রক্ষণশীল পরিবারে বড় হয়েছি। মেয়েদের অধিকার টধিকার নিয়ে, আদ্দেক আকাশের ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে আমাদের পরিবার বেশ সজাগ এবং সচেতন। শৈশব থেকে কৈশোর পদার্পণেই আমি দেখেছি চরম লিঙ্গ বৈষম্য। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে সংসারে মেয়ের কোলে কি করে ছেলে আনতে হয় অথবা মেয়ে জন্মালে শাঁখ বাজাতে নেই কিম্বা ছেলের জন্মদিনে কেমন পরিপাটি করে পায়েসের বাটি কিম্বা মাছের মুড়োটি আগেভাগে তুলে রাখা হয়। দেখে এসেছি। আমাদের বাড়িতেই বলতে শুনেছি “ছেলের মুতে কড়ি, মেয়ের গলায় দড়ি।” অথবা মাধ্যমিকে স্টার পেলে ” হীরের টুকরো ছেলে” বলতে শুনেছি। হীরের টুকরো মেয়ে বলতে শুনিনি আজ অবধি। একটু বড় হতেই মেয়ের স্বাধীনতা খর্ব হয়েছে একাধিকবার। হাঁটু ঝাড়িয়ে ফ্রকের ঝুলেই হোক কিম্বা বুকের কাছে ফ্রিল দেওয়া ফ্রকেই হোক। ফ্যাশন নয় মোটেও। শ্যাম্পু করা চুলে একখাবলা তেল। অত ফ্যাশন ঘুচিয়ে দেব কথায় কথায় কেন যে মা বলে উঠতেন জানিনা। সেটা আমার খুব অপছন্দ হত। যেসব বন্ধুদের বাড়িতে দাদা আছে তাঁদের বাড়িতে আমার যাওয়া চলবে না…। রীতিমত আমার বড় হবার বেলায় এমন সব কর আরোপিত হয়েই চলল। একটা পনিটেল নয়, দুই বিনুনীই মাস্ট কারণ “বড় হওনি এখনো” কিম্বা এখুনি “ব্রা” নয়। আরো পরে। এবার সেই টিন বেলায় মামারবাড়িতে যখন দেখলাম পঙক্তিভোজে একপাল তুতো ভাইবোনদের মাঝে নাতনীদের জন্য বরাদ্দ আধখানা ডিম আর নাতিদের পুরো ডিম পরিবেশিন করা হচ্ছে তখন মাথাটা গরম হয়ে যেত।
জন্মের ন’বছর পরে ভাই হওয়াতে ধুমধাম করে অন্নপ্রাশন হতে দেখেছিলাম। ভাই হতে স্কুলে ক্লাস শুদ্ধ বন্ধুদের লজেন্স খাওয়াতে দিয়েছিলেন বাবা মা। অথচ আমার নাকি সেভাবে ঘটাই হয়নি মুখেভাতে। কারণ আমাদের বাড়িতে নাকি মেয়েদের মুখে ভাত হয়না। আর যেহেতু আমার ভাই আমার থেকে অনেকটাই “ধলা” অর্থাত সাহেবদের মত ফর্সা তাই আজন্মকাল বাড়িতে শুনে এসেছি “মেয়েটা ছেলেটার মত “রং” পেল না।” বাঙ্গালীর এই রঙ ধুয়ে ধুয়ে খাওয়াটা যেন মজ্জাগত।
আমার জন্য মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে একজন অংকের মাস্টারমশাই ছাড়া আর কোনো প্রাইভেট টিউটার ছিল না। তখন ভাবতাম বাবার সামর্থ্য নেই। সামান্য চাকরী। একটা বড় বাড়ি করেই তিনি ফতুর। আরেকটু লাইফ সায়েন্সটা যদি কেউ দেখিয়ে দিত! লেটার মিস করেছিলম চার নম্বরের জন্য। শুধু ভেবেই গেছি। মুখ ফুটে চাইতে পারিনি কখনো। তারপর ভাইয়ের মাধ্যমিক এগিয়ে আসতে দেখেছি প্রতি বিষয়ের ওপর তার জন্য নিযুক্ত প্রাইভেট টিউটর। মনে মনে খুব আঘাত পেয়েছি কিন্তু ভাইয়ের প্রতি অকুন্ঠ স্নেহের জন্য কিছুই বলতে পারিনি। আবার তখন আমার বিয়ে হয়ে গেছে। আগে আমিই ওকে পড়তাম। অতএব শিক্ষক তো লাগবেই। এমনি ভেবে শান্ত হয়েছি।
আমাদের আড়িয়াদহের পুরনো বাড়ির পাশে পুকুর, পেছনে ঘন সিংহীবন থেকে গোঁয়ারগিলে নামে অতিকায় সরীসৃপ বেরুত আর পুরোণো বাড়ির ফাটল থেকে মাঝেমধ্যেই উঁকিঝুঁকি দেওয়া তেঁতুলে বিছে দেখে বাবা জমি কিনে বাড়ি করলেন কিছুদূরে আলমবাজারে।
আমার দাদামশাই ছিলেন সেলফ মেড ম্যান। খুলনা জেলার সাতক্ষীরা থেকে রাতারাতি একটি সাইকেল চড়ে পকেটে মাত্র আশিটাকা নিয়ে কলকাতায় এসে লোহালক্কড়ের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। লেড মেশিনে লোহা ঘষা, স্প্রিংক্লার সাপ্লাই দিতেন। এখন সেসব গালগল্প। প্রথমে শ্যামবাজারে ভাড়াবাড়ি ও তারপর দক্ষিণেশ্বরে পেল্লায় বাড়ি, কারখানা এসব করে ব্যবসার রমরমা শুরু হতেই প্রতিবছর জগদ্ধাত্রী পুজো এবং অষ্টপ্রহর নামযজ্ঞ করতেন। বরানগর, আড়িয়াদহ ও দক্ষিণেশ্বরের আপামর জনসাধারণ ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে উপস্থিত হতেন তাঁর আমন্ত্রণে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্যবিধি আইন জারি হয়েছিল একবার। একবার এই আইনের আওয়াতায় চিনির রেশনিং হল। তখন আমার বেথুন কলেজ পাঠরতা মা (কুমারী তখনো) তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল সেনের সঙ্গে রাইটার্সে দেখা করে চিনির পারমিট বের করেছিলেন এবং দাদামশাইয়ের দেওয়া নিমন্ত্রণ পত্র দেখিয়ে। আর পুজো এবং কাঙালী-ভোজনের মত পবিত্র সামাজিক অনুষ্ঠানে চিনির যে প্রয়োজন থাকতে পারে সে কথা অস্বীকার না করতে পেরে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গেই তা মঞ্জুর করে দেন। পরীক্ষার সময় নার্ভাস নেসের কথা শুনলেই মা বলতেন এই গল্পটি। আমি “আমার মতো” হয়ে ওঠার পেছনে যে রহস্য সেটা হল আমার মায়ের মোক্ষম গ্রুমিং। মা ছোট্টবেলা থেকে আমাকে আমার মতো হয়ে উঠতে হবে সেটা শিখিয়েছিলেন। মায়ের মূলমন্ত্র ছিল কিছুতেই হারবেনা। চেষ্টা করতে হবে আর তারপর না পারলে তখন ভাবা যাবে। “আমি সব পারি” সেই বীজটি জীবনের অগোচরে নিহিত থেকে গেল আর তাই ভালোয় মন্দেয় নিজের শখগুলোকে আশ মিটিয়ে লালন করতে করতে এই অবধি এসেছি। আরো পথচলা বাকী। বাড়িতেই আমার পড়াশোনা শুরু হল মায়ের কাছে। আর রোজ দুপুরে, রাতে শোয়ার আগে গল্প পড়ে শোনানো শুরু মায়ের। বাবা বলত যুদ্ধের গল্প, পশুপাখীর গল্প। মা পড়ে শোনাত রুশ দেশের উপকথা, টম কাকার কাহিনী উপেন্দ্রকিশোরের রামায়ণ, মহাভারতের গল্প আর ভারতের নারী। নিজে নিজে পড়তে শুরু করলাম কিছু পরে। পাঁচবছরের জন্মদিনে দাদু উপহার দিলেন “আবোলতাবোল।” বাবা দিলেন পুতুল।
সুকুমার-সাহিত্য মজ্জাগত হতে হতে হাতে এল “ছোটদের বুক অফ নলেজ।” সে বই আমার চেয়েও ভারী । সেই বইকে বালিশে রেখে আমি বসতাম খাটে আর উল্টে যেতাম পাতাগুলো। হঠাত সেই পাতা উল্টোতে গিয়ে এসে পড়ল হঠাত এসে পড়ল ইস্কুলবেলা। সঙ্গে গানভাসি হল কৈশোর।
[আগামী বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় পর্ব]
উত্তর কলকাতায় জন্ম। রসায়নে মাস্টার্স রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে। বিবাহ সূত্রে বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। আদ্যোপান্ত হোমমেকার। এক দশকের বেশী তাঁর লেখক জীবন। বিজ্ঞানের ছাত্রী হয়েও সাহিত্য চর্চায় নিমগ্ন। প্রথম গল্প দেশ পত্রিকায়। প্রথম উপন্যাস সানন্দা পুজোসংখ্যায়। এছাড়াও সব নামীদামী বাণিজ্যিক পত্রিকায় লিখে চলেছেন ভ্রমণকাহিনী, রম্যরচনা, ছোটোগল্প, প্রবন্ধ এবং ফিচার। প্রিন্ট এবং ডিজিটাল উভয়েই লেখেন। এ যাবত প্রকাশিত উপন্যাস ৫ টি। প্রকাশিত গদ্যের বই ৭ টি। উল্লেখযোগ্য হল উপন্যাস কলাবতী কথা ( আনন্দ পাবলিশার্স) উপন্যাস ত্রিধারা ( ধানসিড়ি) কিশোর গল্প সংকলন চিন্তামণির থটশপ ( ধানসিড়ি) রম্যরচনা – স্বর্গীয় রমণীয় ( একুশ শতক) ভ্রমণকাহিনী – চরৈবেতি ( সৃষ্টিসুখ) ২০২০ তে প্রকাশিত দুটি নভেলা- কসমিক পুরাণ – (রবিপ্রকাশ) এবং কিংবদন্তীর হেঁশেল- (ধানসিড়ি)।অবসর যাপনের আরও একটি ঠেক হল গান এবং রান্নাবাটি ।