শীতের যত্ন
শীতের আসি-আসি ভাব টের পাওয়া যাচ্ছে। ত্বকের যত্ন নাও এখন থেকেই।বিকেল হতেই নেমে আসছে অন্ধকার। রাতে আর এসি চালাতে হচ্ছে না, ফ্যানেই দিব্যি হয়ে যাচ্ছে! শীত এখনও সেভাবে কামড় না বসালেও তার আসি-আসি ভাব টের পাওয়া যাচ্ছে বইকী! ত্বকের যত্ন নাও এখন থেকেই।
• শীতে ত্বক আর্দ্রতা হারায় বলে তার বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। ওটমিল ফেস মাস্ক ত্বককে সেই যত্ন জোগাবে। দু’টেবল-চামচ ওট্সগুঁড়ো, দু’চা-চামচ দুধ আর দু’চা-চামচ অর্গ্যানিক হানি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নাও। মুখে-ঘাড়ে-গলায় এই পেস্ট লাগিয়ে রেখে দাও ২০-২৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল লাগিয়ে নাও মুখে-ঘাড়ে-গলায়।
• দু’টেবল-চামচ পাকা কলা, এক টেবল-চামচ দুধ আর এক চা-চামচ মধুর মাস্ক বানিয়েও ব্যবহার করতে পার। ন্যাচারাল স্কিন ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কলার জুড়ি নেই। তা ছাড়া ডার্ক স্পট, রিংক্ল বা অ্যাকনে সারাতেও এই মাস্ক কাজে আসবে।
• ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে এক্সফোলিয়েশন জরুরি। স্নানের সময় চিনি দিয়ে আপাদমস্তক স্ক্রাব করে নাও। স্নান হয়ে গেলে লাগিয়ে নাও ময়েশ্চারাইজ়ার। সপ্তাহে দু’তিন বার করলে ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হবে। তবে খেয়াল রেখো, স্ক্রাবিং যেন ভিজে ত্বকেই হয়।
• শীতের সময় অনেকেই গরম জলে স্নান করায় স্বচ্ছন্দ। এতে কিন্তু ত্বক আরও বেশি করে আর্দ্রতা হারায়। তাই স্নান কর ঈষদুষ্ণ জলে।
• ক্লেনজ়িং-টোনিং-ময়েশ্চারাইজিং বছরের যে কোনও সময়েই মাস্ট। খেয়াল রাখবে, টোনার লাগানোর পর ত্বক অল্প ভিজে থাকা অবস্থাতেই যেন ময়েশ্চারাইজ়ার লাগানো হয়। এতে ত্বক আর্দ্রতা ধরে রাখবে। ত্বককে উইন্টার-রেডি বানানো শুরু করে দাও। দেখবে, শীতেও কেমন ঝলমলে থাকতে পারবে!