| 27 নভেম্বর 2024
Categories
খবরিয়া

ফের বিশ্বজুড়ে মহামারীর আশঙ্কা

আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট

করোনা পরিস্থিতি এখনও কাটেনি। এর মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে আরও এক মহামারি। অন্তত এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চিনে নতুন এক ধরনের সোয়াইন ফ্লুয়ের ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের চিন্তার কারণ সেই ভাইরাসটিই। সোমবার আমেরিকার একটি জার্নালে এমন খবর প্রকাশের পর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক মহলে।

জার্নালে বলা হয়েছে, চিনের গবেষকরা একটি নতুন ধরণের সোয়াইন ফ্লু আবিষ্কার করেছেন যা ফের মহামারীর সূচনা করতে পারে। এই নতুন ভাইরাস নাম G4। এটি জিনগতভাবে H1N1 স্ট্রেনেরই বিবর্তিত রূপ। ২০০৯ সালে এই H1N1 ভাইরাস মহামারীর আকার নিয়েছিল। ফলে G4’রও মহামারীর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। মানুষকে সংক্রমিত করার জন্য ভাইরাসটি অভিযোজিত হতে পারে। এর জন্য প্রয়োজনীয় সব বৈশিষ্ট্য রয়েছে ভাইরাসটির। চিনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিজ্ঞানীরা এবং চিনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের তরফে একথা জানানো হয়েছে।

২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০টি প্রদেশের কসাইখানাগুলিতে এবং একটি পশুচিকিৎসার হাসপাতাল থেকে প্রায় ৩০ হাজার শুয়োরের লালারস সংগ্রহ করেন বিজ্ঞানীরা। এখান থেকে ১৭৯টি সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসের সন্ধান পান তাঁরা। যার সিংহভাগই নতুন ধরণের। ২০১৬ সাল থেকে নতুন ধরণের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে শুয়োর। কিন্তু G4 এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। এটি মানুষের দামা মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করে। প্রধানত জ্বর, কাশি এবং হাঁচি হল এর লক্ষণ। G4 অত্যন্ত সংক্রামক। মানব কোষে প্রতিলিপি তৈরি করতে সক্ষম এটি। পরীক্ষায় জানা গিয়েছে মরশুমি রোগ প্রতিরোধের জন্য যে অনাক্রমতা মানব দেহ সৃষ্টি করতে পারে, তা এই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে পারে না। এমনকী সাধারণ জ্বর-সর্দির ওষুধেও এর নিরাময় সম্ভব নয়। তাই শুয়োরের খামার বা কসাইখানার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের নিরীক্ষণের জন্য জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকরা। নাহলে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন এক মহামারীর বীজ বপন হয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত