অভ্যন্তরীন প্রেম
খুব দূরে খুব করে বসে থাকে পোষা কুকুর
মাছের কাঁটায় তখন বিড়ালের ঠোঁটে চোট
কোলাহলে মেতে পাতিহাঁসের ছানা- পোনা
সদর উঠোন জুড়ে হাসে সোনালী রোদেরা
ভাব করে হেঁটে যায় কোমল ভেষজ শরীর
টেরাচোখ ফেরানোটা বড় দায় হয়ে পড়ছে
আর
বারান্দায় বসে এক কোকিল বসন্তের ভোর
কামভাব ছলাকলায় পিনিক উঠায় জিহ্বায়
অথচ
উষ্ণ বৌ এর গায়ের গন্ধে মাতোয়ারা দুপুর
এই-সব প্রেমে পোয়াতি হয় বিকেলের গান
সু সন্ধ্যা লজ্জায় মুখ লুকায় প্রতিবেশী ঢেরায়
এখন নিবোর্ধ রাত সুরা পান করে পাহাড়ে উঠে

কবিতার কবিতা
বহুকাল শূন্যতায় আমার একাকী জীবন, আমি পূরহিত হতে শিখিনি, শৈশব ইশকুল আমার দুধের পেয়ালায় সাপ পোষার এক গল্প মাত্র, এখন আমি আমার শৈশব কেটে যৌবনে, নিশ্চয় অবগত, ইশকুল বদলে গেলো, আমার খাসিলদ বদলালোনা, শুধু সামাজিক একটা পরিচয় হলো , কিছু সময় পর আমি বাবা হলাম, রক্ত ও মাংসের ব্যবহার বুজতে চেষ্টা করলাম, কেউ কেউ বলতে লাগলো মহান পুরুষ আমি, অনেকে ভিন্নমত পোষণ করলেন ”খচ্চর পুরুষ” আমি ইতিহাস ও ভূগোলে গেলাম সেই সাথে বুঝতে চেষ্টা করলাম মহান পুরুষ আর খচ্চরের ব্যবধান, কিছু সময় পর আমি শূন্য মগজ নিয়ে ফিরে এলাম। খরচের খাতায় পড়ে গেলো আমার সময় ও শ্রম

খুব মায়াময় আঙুলের ডগায়
খুব ভালোবাসি- ভালোবাসি
প্রেমে অপ্রেমে যত্ন নিও
সবসময় অথবা মাঝামাঝি…

কুয়াশা সম্পর্ক
ভালোবাসি শীতার্ত রাত ভালোবাসি কুয়াশা শরীর
স্তনে ঝুলে থাকা মায়া খুব করে বাড়ায় সম্পর্ক
থাকি সম্পর্কে বাঁচি থুলে এই বেশ কাটে তাঁর সঙ্গে
এখন
হুটহাট করে দেই নেই গহীন কোণের আলো- জল
চুমু খাই সময়- অসময় খুলে নেই কুয়াশা শরীর

ও মায়া মেঘ
ও মায়া মেঘ একটু কথা বলো – বলো
একটুখানি বসো কৃষকের বৈঠকখানায়
চেয়ে থাকো গ্রামের আল পথ ধরে…
যে পথ ধরে আমার বহুকাল অপেক্ষা
কেটে যায় এক বসন্তের প্রথম সর্ম্পক
এখন
ও মায়া মেঘ একটু কুয়াশা উড়াও – উড়ো
প্লিজ মন খারাপ করোনা আমিতো এমনি

কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা
একটা কবিতার ঘোর দেখা গেলো।