আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট
রাধারাণীদের মেস
ঘুম না ভাঙতেই ইঁদারা দখল নিয়ে চুলোচুলি
বিধ্বংসী লড়াই তরোরিব সহিষ্ণুনা রাধারাণীদের,
কারন খানিক পরই লু বইবে, চাঁদি ফাটবে
তেতে উঠবে মধু বৃন্দাবন
এখানে সবাই রাধা,রাধারাণী মনোরমা দাস
সামান্য স্খলন থেকে ভেসে ভেসে এতদূর….
নমো নমো স্নান সেরে রসকলি এঁকে ভিক্ষায় বেরিয়ে পড়া রাধানাম বিলাইতে।
এখানে বৃষ্টি খুব কম, সবকিছু কাঠ কাঠ
বৃষ্টি এলে মনে পড়ে তার গ্রাম সলুয়ার কথা
যে তাকে নষ্ট করে… নষ্ট কেন ! তার কথা…
কতদিন হয়ে গেল বৃন্দাবনে, এখনো শ্যামের জন্য
কৃষ্ণপ্রেমের জন্য হৃদয় কাঁদে না
কি এমন ক্ষতি হতো পালিয়ে না এসে
সে যদি ঝন্টুর সাথে ঘর বাঁধতো !
জন্মান্তর
বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে
আমি তোমার জন্মান্তর মঞ্জুর করলাম মা।
এ জন্ম তোমাকে শুধু কষ্ট আর হতাশা দিলেও
পরের বার তুমি নয় একটা গাছ হয়েই ফিরে এসো!
এ জন্মে আমরা কেউ এক মুহূর্তের জন্যও
জুড়োতে পারিনি, গান বাঁধতে পারিনি….
গাছ হলেই পারবো হয়তো।
জানো মা, দেবদারু গাছই আমার পছন্দ,
দুজনেই গাছ হলে দখিনা বাতাস বইবে যখন
তখন আমরা আরামসে গল্প করবো
আর গান বাঁধবো…
জন্মান্তরে তবে তুমি গাছই হও মা
জ্বর আসছে
এসব দিন আর পাঁচটা দিনের মতো না।
ভালো থাকলে নামবে না জারুল রঙের আলো
গোল গোল তরঙ্গ তুলে রাস্তাও তৈরি হবে না
সেই জলাশয়ে ,যাকে আমি জ্বর হলে
বৈকাল বলে ডাকি।
আমার বুক পিঠ চোখ ভাজা ভাজা হলে তবেই
আমি দেখতে পাবো মরে যাওয়া মানুষদের,
যারা আমার কপালে হাত রাখবে, বলবে আহা রে!
এই দেখো হঠাৎ , জারুল রঙের আলোয় ভরে গেল চৌবাচ্চা আর পাখাওয়ালা মোমদানি,
তরঙ্গ তুলে তুলে অনেক দূরে
ঘন্টি বাজছে কোথাও
জ্বর আসছে, জ্বর আসছে….সরে দাঁড়াও
জন্ম -০৩.০২.১৯৬১। থাকেন নদীয়া জেলার শিমুরালিতে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। ডাকবিভাগে চাকরি । স্বেচ্ছাবসর নিয়েছেন ২০১৯-এ। কবিতা লিখতে ভালোবাসেন ছোট থেকে। কিন্তু জীবনের ওঠাপড়ার কারনে মাঝের দশ বারো বছর লেখা হয়নি। তারপর আবার পুরোদমে লেখালেখি শুরু বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ১. অরোরা বোরিয়ালিস ২.ছন্ন সেরেনাদ এবং