আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট 
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বই পড়ার অভ্যাস পেয়েছেন মা মরিয়ম ইলিয়াসের কাছ থেকে। শাহাদুজ্জামানের সঙ্গে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন সে কথা: ‘আমার মা গল্পের বই পড়তেন খুব। শুনেছি আমি তাঁর পেটে থাকতে তিনি দিনরাত খালি ভূতের গল্প পড়তেন। তাই ছেলেবেলায় আমি একটু ভূতের ভয়ে জড়সড় হলেই আব্বা আম্মাকে একটু কৌতুক করে বলতেন, “ও পেটে থাকতে তুমি যে হারে ভূতের গল্প পড়তে, তাতেই ও এ রকম ভিতু হয়েছে।”’ বাল্য-কৈশোর ও প্রথম যৌবনে পড়ার আগ্রহ ও সাহিত্যিক দিনযাপন নিয়ে তিনি কথা বলেছেন তাঁর সহজাত ভঙ্গিতে। মাকে দেখেছেন শরৎচন্দ্রের একেকটা বই যে কতবার পড়েছেন, তার লেখাজোখা নেই। বারো-তেরো বছর বয়েসে তাঁর মা গোরা প্রায় সবটাই পড়ে শুনিয়েছেন। আর রবীন্দ্রনাথের কবিতা। মা পড়তেন বাংলা অনুবাদে পার্ল বাকের গুড আর্থ কিংবা গোর্কির মা। ‘…আম্মা তার সাহিত্যপাঠের সঙ্গী করেছিলেন আমাকে।’ এসব শোনার মতো বয়স তাঁর না হলেও, পড়া শুনতে শুনতে, ‘আমি প্রায় সঙ্গে সঙ্গে এসব নিজে নিজেই পড়তে শুরু করি।’ মায়ের সঙ্গে সাহিত্যপাঠের এই আগ্রহ থেকেই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সাহিত্যিক যাত্রার সূচনা। আর ‘আমার ৮ বছর বয়সের জন্মদিনে আমার বাবা আমাকে আবোল তাবোল দিয়েছিলেন’, সুকুমার রায়ের প্রতি তাঁর আবাল্য অনুরাগ: ‘[…] চল্লিশ বছর ধরে সুকুমার রায় আমাকে সমানভাবে নাড়া দিয়ে আসছেন। এই কবি কখনো মুগ্ধ করেন না, হাসতে হাসতে সচেতন করে তোলেন। এঁর প্রতি ভক্তিতে গদগদ হওয়ার চান্স তিনি নিজেই দেন না। এই স্যাঁতসেঁতে তরল আবেগতাড়িত জাতের ভেতর তিনি জন্মালেন কী করে?’
সুকুমার রায় ও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইলিয়াস মনে করেন কাকের বাসায় কোকিলের ছানা। আছেন আরও একজন—শিবরাম চক্রবর্তী। রবীন্দ্রনাথের ছিন্নপত্র পড়তে পাড়তেন যেকোনো জায়গা থেকে, যখন ইচ্ছা। ছন্দে ভুল ধরার জন্য তন্ন তন্ন করে পড়েছেন রবীন্দ্রকবিতা, পরে খ্যান্ত দেন। তাতে তাঁর ছন্দের হাত যেন অজানিতেই পোক্ত হয়ে ওঠে। নিজে কিছু কবিতা লিখেছেন, ডিলান টমাসের কবিতার অনুবাদও করেছেন। সবই পরে কাজে লেগেছে। চিলেকোঠার সেপাইতে কখনো কখনো একটি-দুটি কাব্যপঙ্ক্তি বসিয়েছেন অনায়াসে। খোয়াবনামায় ব্যবহৃত পুঁথির শ্লোক সব ইলিয়াস রচিত। পড়তে গিয়ে পাঠকের একবারও মনে হয় না, এসবই এক নাগরিক বয়াতির বিশ শতকের শেষাংশের প্রয়াস। মুনশি আর পুঁথিপাঠক সেখানে মাখামাখি হয়ে ধরা দেন।
ইলিয়াসের প্রথম বই অন্য ঘরে অন্য স্বর (১৯৭৬) তাঁর সমকালীনদের তুলনায় একটু দেরিতে প্রকাশিত হলেও লেখক তিনি আকৈশোর। ঢাকায় এসে সাহিত্যিক যাত্রায় শরিক সঙ্গীসাথিদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বেশ আগে। তাঁর প্রস্তুতি পর্ব তাই দীর্ঘ আর পরিমার্জন ও বর্জনে ভরপুর।
বালকপাঠক ইলিয়াসের লেখার শুরু আট বছর বয়সে। প্রথম গল্প ‘খালেক ও তাহার মাতা’। সেটা ছাপা হয়নি। প্রচুর কবিতা লিখেছেন। পাকিস্তান, ইসলাম, হিন্দু-মুসলমান ভ্রাতৃত্ব, সিরাজউদ্দৌলা, বুড়িগঙ্গা, করতোয়া ইত্যাদি নিয়ে। ছাপাতেও চেষ্টা করেছেন। পাঠিয়েছেন কলকাতার সত্যযুগ-এ, একটা-দুটো ছাপাও হয়েছিল। সচেতনভাবে গল্প লেখার শুরু পনেরো বছর বয়সে। বেরিয়েছিল আজাদ-এর মুকুলের মহফিলে দুটো—‘সন্তু’ ও ‘ঈদ’ (১৯৫৮), বগুড়া জিলা স্কুলের দশমের ছাত্র। সওগাত-এ ‘বংশধর’ (১৯৫৯), ‘তারাদের চোখ’ (১৯৬০), ঢাকা কলেজের ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুতে বিখ্যাত সমকাল পত্রিকায় বেরিয়েছে দুটো গল্প ‘অতন্দ্র’ (১৯৬১) ও ‘স্বগত মৃত্যুর পটভূমি’ (১৯৬২)। পরে অন্যত্র ‘শোষিত বকুল’ (১৯৬২?) ‘মৃত সমুদ্রে’ (১৯৬৪), আর ‘নিশ্বাসে যে প্রবাদ’ (১৯৬৫)—কোনোটি তাঁর প্রথম বইয়ে জায়গা পায়নি। অথচ সমকাল-এ লেখা প্রকাশিত হওয়ার মানে লেখক হিসেবে অনুমোদন পাওয়া। কিন্তু ইলিয়াস নিজেকে সে অনুমোদন দেননি। অন্য ঘরে অন্য স্বর-এর প্রথম গল্প ‘নিরুদ্দেশ যাত্রা’র রচনাকাল ১৯৬৫। এই থেকে গ্রন্থভুক্ত ইলিয়াস। কিন্তু সে গল্প নিয়ে বই বেরোয় এগারো বছর পর।
ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়ে গল্প নিয়ে তিনি প্রচুর কথা বলেছেন সহপাঠী শহীদুর রহমান ও আবদুল মান্নান সৈয়দের সঙ্গে। ‘গল্প লেখা নিয়ে আমার সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে মান্নানের সঙ্গে। […] নতুন ধরনের গল্প লেখার ঝোঁক আমাদের দুজনারই তখন প্রবল। কী করে লিখলে ঠিকভাবে নিজেকে প্রকাশ করা যায়, গল্পে কীভাবে ভাষা ব্যবহার করব—এ নিয়ে দিনের পর দিন আলাপ করেছি।’ নিউমার্কেটের পার্কে ওই অফুরান আলোচনা চলাকালে চারপাশের দোকানগুলো বন্ধ হতে দেখতেন সেদিনের মতো। আলাপ তখনো অসমাপ্ত। এ সময়ে তাঁরা পত্রিকা বের করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ‘ময়ূখ’ নামে ব্লক তৈরি করা হলেও বেরোয়নি সে কাগজ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্বের শেষ দিকে ইলিয়াস দুটো কাগজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন—সাম্প্রতিক ও স্বাক্ষর। স্বাক্ষর-এর চারটি সংখ্যা বেরিয়েছিল। যুক্ত ছিলেন আবদুল মান্নান সৈয়দ, রফিক আজাদ, রণজিৎ পাল চৌধুরী, মুস্তফা আনোয়ার, আসাদ চৌধুরী, মোহাম্মদ রফিক, জিনাত আরা রফিক ও প্রশান্ত ঘোষাল। এ সময়ে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের পাঠের পরিধিও বাড়ে। বই থেকে শুরু করে দেয়ালের পোস্টার, বিঞ্জাপনচিত্র—সবই পড়তেন তিনি। ‘ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে বন্ধুর সংখ্যা অনেক বাড়ল, ক্লাসের পড়া করা হতো না একেবারেই, কিন্তু পড়াশোনার সুযোগও বাড়ল অনেক।’ কাছাকাছি সময়ে অন্যান্য আড্ডা আরজু হোটেল আর রেক্সে আড্ডায় আরও ছিলেন, মুশাররফ রসুল, মাহবুব আলম জিনু, বিপ্লব দাশ, শহীদ কাদরী, খালেদ চৌধুরী, মফিজুল আলম, সিকান্দার দারাশিকো, লতাফত হোসেন, শাহজাহান হাফিজ, আমিনুল ইসলাম বদু। ‘তখন গল্প লেখার ভাবনা এলেই ফিরোজ, কায়েস আর মজহারকে বেশ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বলতাম।’
ছোটগল্পের নতুন ভাষা ও প্রকরণ খুঁজছেন, তা নিয়ে আলাপ করছেন, পড়েছেন সাম্প্রতিক বাংলা ও বিলাতি সাহিত্য। পাবলিক লাইব্রেরিতে বসে শেষ করেছেন অমিয়ভূষণের গড় শ্রীখণ্ড। সার্ত্রের নসিয়ার ইংরেজি অনুবাদ। ‘মাঝে মাঝে পাশের চেয়ারে ঢাকা কলেজে আমাদের শিক্ষক শওকত ওসমান সাহেবকে দেখতাম একটু ঝুঁকে মনোযোগ দিয়ে ইকোনমিকসের বই পড়ছেন।’ বন্ধুরা সে সময়ে একটু উচ্চকণ্ঠ হলে ধমকও খেয়েছেন শওকত ওসমানের কাছে। প্রধান এক ঔপন্যাসিকের এই নিয়মিত পাঠাভ্যাস তাঁদের যে ভেতরে-ভেতরে মনোযোগী করে তুলত, সে কথা সরাসরি উল্লেখ না করলেও তাঁর লেখা ‘শওকত ওসমানের প্রভাব ও প্রস্তুতি’ ও ‘ক্লান্ত শহীদ ক্ষুব্ধ শহীদ’-এ আভাসটুকু ধরা পড়ে। টাইম লিটারারি সাপ্লিমেন্টে যেসব বইয়ের নাম জানতেন, মাসখানেকের ভেতরে তা ঢাকায় এসে যেত। দুনিয়ার হালনাগাদ লেখাপত্রের ধারণা হতো। এনকাউন্টার-এ পড়েছেন হোর্হে লুই বোর্হেসের গল্পের ইংরেজি অনুবাদ। পরেও এই কাগজের নিয়মিত পাঠক ছিলেন। খুঁটিয়ে পড়েছেন জয়েস ও কাজানজাকিসের লেখা। পড়তেন বিবিসির লিসনার। আর পশ্চিম বাংলার নতুন সাহিত্য ও চতুরঙ্গ। ‘এই সব পত্রিকা এবং বাংলা ও ইংরেজি উপন্যাস, গল্প, কবিতা আমার সমকালীন আর সবার মতো আমাকেও একটু একটু করে তৈরি করেছে।’
তাহলে, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের তারুণ্যের সেই দিনগুলোতে, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আর জগন্নাথ কলেজে চাকরি শুরুকালীন অথবা এরও পরে ‘মিড সিকসটিজ থেকে আরলি সেভেনটি ওয়ান, ক্র্যাকডাউনের আগে পর্যন্ত’ তাঁর প্রস্তুতির প্রথম পর্ব। চাইলে ইলিয়াস বই বের করতে পারতেন, কিন্তু করেননি। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের পটভূমিতে রচিত চিলেকোঠার সেপাইয়ের খসড়া পাঠও পাওয়া যায় আসন্ন (মার্চ ১৯৬৯) ‘চিলেকোঠায়’ নামে। এ ছাড়া অন্যান্য খসড়ার কথাও জানা যায়। এমনকি এর পরে যখন সংবাদ-এ ‘চিলেকোঠায়’ (১৯৭৫) নামে ছাপা শুরু হয়ে বন্ধ হয়ে যায়, সেই থেকে রোববার-এ প্রকাশিত (১৯৮১-৮২) পাঠে ফারাক তো স্বাভাবিকই, এমনকি গ্রন্থাকারে (১৯৮৬) প্রকাশিত পাঠেও বেশ তফাত। কোথাও কোথাও পুনর্লিখন এমনই যে একেবারেই যেন নতুন লেখা।
তত দিনে প্রকৃত অর্থে ইলিয়াস নিজের এই গ্রহণ আর বর্জনের ভেতরে দিয়ে যাওয়াটাই ব্রত করে নিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের লেখার ক্ষেত্রেও এমন উদাহরণ আছে, আছে তারাশঙ্কর-মানিকের লেখার ক্ষেত্রেও। হাসান আজিজুল হক অন্য ঘরে অন্য স্বর-এর আলোচনায় লিখেছেন, শ্মশানে মড়া পুড়িয়ে চণ্ডালের যে অবস্থা, ইলিয়াসেরও তাই। চোখের কোণে দরদ আর অবশিষ্ট নেই। কিন্তু এখানে চণ্ডালদশায় দরদহীন ইলিয়াসের চোখ হিসেবে না ভেবে তাঁর ক্রমশ প্রস্তুতির নির্দেশকও মনে করা যেতে পারে। দহনে দহনে খাঁটি হওয়া। কোনো কোনো লেখার দশ-এগারোটি খসড়া। তবু তিনি আরও একটি পাঠ নিতে চান সে গল্পের। এমনও ঘটেছে।
আর সে লেখার জন্য ওই এলাকার ভূগোল, কৃষি, উপভাষাসহ জনজীবনে যা যা যুক্ত, সবকিছুই একেবারে ঠিকঠাক ধরা চাই। বাস্তব ছাড়া ইলিয়াসের কোনো আধুনিকতা নেই। সে আধুনিকতার আর কোনো বিকল্প বাস্তবও নেই। প্রকাশিত ডায়েরি আর কোনো বইয়ের দ্বিতীয় মুদ্রণের জন্য প্রথম সংস্করণের ভেতরে সাদা পৃষ্ঠায় যেসব সংশোধন ও নির্দেশনা, তা প্রায় অলংকরণের পর্যায়ে পৌঁছেছে। নিষ্ঠ কথাসাহিত্যিকের পথ কতটা বন্ধুর হতে পারে! প্রথম বই প্রকাশের সময়ে কম্পোজিটর সন্দেহ করেছেন, পুরান ঢাকার একটা রাস্তার নামে ভুল হয়েছে তাঁর লেখায়। কম্পোজিটর সেই রাস্তাটা দেখে এসে তারপর ফর্মা প্রেসে চড়িয়েছিলেন। ইলিয়াস ঠিক ছিলেন। এ কথা ‘আমার প্রথম বই’ স্মৃতিকথায় লিখেছেন তিনি।
খোয়াবনামার ক্ষেত্রেও খসড়ার ধরন প্রায় একই। লিরিক-এর ‘আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সংখ্যা’য় যে তিন অধ্যায় ছাপা হয়েছে, জনকণ্ঠতে ধারাবাহিক প্রকাশের সময়ে সে পাঠ প্রায় নেই-ই। আবার জনকণ্ঠ-এর প্রকাশিত পাঠের সঙ্গে বইয়ের পাঠেরও কোথাও কোথাও নির্মম পরিমার্জন। জনকণ্ঠতে ধারাবাহিক প্রকাশের সময়ে কোনো কিস্তি দিয়ে তিনি বলতেন, বগুড়া থেকে ফিরে দু-একটি জায়গায় নাম বা অন্য কিছু বদল করতে পারেন। তিনি যাচ্ছেন বগুড়ায় লেখার ভূগোল ঠিক আছে কি না দেখতে।
এই জন্যই ইলিয়াস নিজেকে চব্বিশ ঘণ্টার লেখক মনে করেছেন। প্রচুর আড্ডা, শিক্ষকের দায়িত্ববোধ ও সংসার—তারপরও চব্বিশ ঘণ্টারই লেখক ছিলেন। জাগতেন গভীর রাত অব্দি। কিন্তু ক্লাস নিতেন সকালে। সাড়ে আটটায় বিভাগে হাজির। এক কাপ রং চায়ের সঙ্গে ধূমায়িত পাইপ। নয়টার ক্লাস ঢুকবেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। এসেছেন সেই কে এম দাস লেন থেকে ঢাকা কলেজে। তাহলে উঠেছেন কটায়? রাত এক প্রহর থাকতে! ঘুমিয়েছেন গভীর রাতে! তাই তাঁর চোখের নিচে অমোচনীয় কালো দাগ। ওদিকে হাতের ডায়েরিতে চর্যাপদ-এর একেকটি চর্যার প্রতিটি শব্দ নিজে রপ্ত করেছেন ব্যুৎপত্তিসহ। ছাত্রদের যথাযথ জানাতে হবে। সেখানেও লেখার মতো ফাঁকি কাকে বলে তিনি জানতেন না। চাইলে কত সহজে তিনি পড়াতে পারতেন ছোটগল্প কিংবা উপন্যাস।
বাঁচতে চাইতেন তিন শ বছর, অথচ মাত্র তেপ্পান্ন বছরের জীবনে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস নিজস্ব প্রস্তুতিতে কোথাও ফাঁক রাখেননি। সফল প্রয়োগে তা নির্মাণের নিশ্চিত ভূমি। আর তাঁর প্রভাব তো তাঁরই একটি গল্পের শিরোনামা, বাংলা কথাসাহিত্যে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস এখন ‘নিশ্বাসে যে প্রবাদ’!

কথাসাহিত্যিক। জন্ম ২০ নভেম্বর ১৯৭১, বাগেরহাটে। কলেজে শিক্ষকতায় যুক্ত। গল্প-উপন্যাসের পাশাপাশি প্রবন্ধ ও কলামসহ নানা ধরনের গদ্য লিখে থাকেন। ব্যক্তিগত ও রম্য রচনায়ও আগ্রহী। বইয়ের সংখ্যা পঁয়ত্রিশ। সাহিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ‘বাঙলার পাঠশালা আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কথাসাহিত্য পুরস্কার’, ‘এইচএসবিসি-কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার’ এবং ‘কাগজ তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার ২০০০’।