শারদ অর্ঘ্য গল্প: হাজিরা । শ্যামলী আচার্য
অফিসে আমি কোনওদিনই সময়মতো ঢুকি না। প্রতিদিন ভাবি আর দেরি করব না, কিন্তু দেরি হয়ে যায়।
আমি দেরি করতে চাই না, একথা বললে কেউ বিশ্বাস করবে না। কারণ পৃথিবীর কেউই কোনও কাজে দেরি করে পৌঁছতে চায় না। বর কি চাইবে বিয়ের লগ্ন পেরিয়ে যাবার পরে পৌঁছতে? ইন্টারভিউয়ের টাইম কেউ ফসকাতে চায়? কিংবা ডাক্তার দেখানোর সময়? ইস্কুলের কথা তো ছেড়েই দিলাম। সেখানে অলিখিত আইন। ধরাবাঁধা রুটিন। যাকে বলে টাইমটেবিল।
এই অফিসে আমি নতুন। প্রথমদিকে আমার যাওয়া-আসা নিয়ে কেউ খোঁজখবর করত না। এখন দেখছি কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। কারা যেন কোথা থেকে খবর নিতে আসছে, সব দেখেশুনে যাবে। আমি খুব মুশকিলে পড়ে গেছি।
অথচ একটা চাকরি মানে তার একটা শর্ত থাকবে। ঢোকা-বেরোনো। আমার কেমন সময়ের সঙ্গে আড়াআড়ি আছে। ঘড়ি যেদিকে ঘোরে, আমার তার উল্টোবাগে যাবার প্রবণতা। যে এগোচ্ছে এগোক না। আমার কী? ইস্কুলে লেট হত। কান ধরে বাইরে দাঁড়ানো প্রায়ই। কলেজে একই অবস্থা। শুধু শাস্তি বাদ। কলেজে আমার মতো মাঝারি মানের ছাত্রের কেউ খোঁজ রাখেনি, তাই বেঁচে গেছি।
এটা একটা এনজিও। যে যার খুশিমতো আসে, যায়। অধিকাংশ লোকই ফীল্ডে। ফীল্ডের নাম করে কে গড়িয়াহাট বা নিউ মার্কেটে শপিং করছে, কে তার খবর রাখে। রুমাদিকে দেখি হন্তদন্ত হয়ে বেলা সাড়ে বারোটায় ঢুকছেন। ঢুকেই চোটপাট। বেসিনে সাবান নেই কেন, কলের মুখের প্যাঁচ কাটা কেন, টেবিলে ধুলো কেন… যেন কর্পোরেট অফিস। সব টিপটপ থাকবে। অ্যাকাউন্ট্যান্ট ধীমানদা সবথেকে ব্যস্ত। স্বদেশ বিদেশ পরদেশ… কোন দেশ থেকে কোন সংস্থা টাকা পাঠাল, কবে পাঠাল, কীভাবে পাঠাল আর কিভাবে তার খরচ হবে, কোথায় তার বিস্তারিত হিসেব পাঠাতে হবে, তা’ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। এই অফিসে একমাত্র ধীমানদাকেই সর্বক্ষণ ঘাড় গুঁজে কাজ করতে দেখি। ধীমানদা রোজ দশটার মধ্যে অফিসে। থাকে সবার থেকে দূরে। নৈহাটি বা শ্যামনগর কিংবা কাঁচড়াপাড়া। আমি ঠিক জানি না। শুনেছি সেখান থেকে সাইকেলে স্টেশন, তারপর লোকাল ট্রেনে শিয়ালদা। সেখানে নেমে এবার বাসে বাদুড়ঝোলা। তারপরেও হাজিরা খাতায় দশটা তিন। রোজ। কামাই নেই। ঝড়-জল-দুর্যোগেও ঘড়ির কাঁটা ধরাবাঁধা দশটা বেজে তিন থেকে পাঁচের মধ্যে। ওনার ট্রেনও কোনওদিন লেট করে না। প্ল্যাটফর্মে জমা জলে আছাড় খেয়ে ট্রেন মিস করেননি কোনওদিন। সাইকেলের টায়ার ফুটো হয়ে গড়বড় হয়নি পথে। বাস রাস্তার জ্যামে আটকায় না। বাড়িতেও কিচ্ছু ঘটে না কখনও, যাতে দেরি হতে পারে। ক্রমশ এমন অবস্থা হয়ে গেল, আমি রেজিস্টার খাতা টেনে নিজে সই করার সময় আড়চোখে রোজ একবার ধীমানদার সময়টা দেখি। মনে মনে হিংসে হয়। কী করে পারে?
আমি অফিসের কাছে আধঘন্টার দূরত্বে থেকে রোজ সাড়ে দশটা, পৌনে এগারোটা। দেরি হবেই। অথচ অফিসে ঢোকার সময় বলা হয়েছিল, দশটা থেকে ছ’টা। আপনার ডিউটি আওয়ার।
‘আচ্ছা ধীমানদা তুমি এত তাড়াতাড়ি আস কী করে?’
‘আমি অনেক ভোরে উঠি।’
‘ও।’
এরপরে আর কথা বাড়াই না। জিগ্যেস করা যায় না কী করে ওঠো, বা কেন অত ভোরে ওঠো? বোকার মতো প্রশ্ন।
কেমন যেন অস্বস্তি, একটা লোক রোজ ঘড়ি নিয়ে ঘোরে যেন। আর আমাকে মনে করিয়ে দেয়, তুমি ফেল। তুমি লেট।
কেমন অপরাধবোধ কাজ করে। ভয় করে, ছেলেবেলার মতো এই বুঝি কেউ কান মলে দিল। কেউ খুব বকুনি দেবে নির্ঘাত। কেউ ডেকে বলবে, ‘হ্যাঁ ভাই আপনি রোজ এত দেরি করেন কেন?’ যে প্রোজেক্টে কাজ করতে ঢুকেছি, সেই প্রোজেক্টের হেড ডেকে বলবেন, “আর না এলেও তো পারেন, আপনার কাজটা করে দেবার জন্য কত লক্ষ লোক লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে…”
সত্যিই অনেকে দাঁড়িয়ে। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে।
কেউ বুঝতে পারে না, আমি আগে এলেও যা কাজ করব, আধঘন্টা দেরি করলেও সেই একই কাজ। এটা তো ইস্কুল নয় যে প্রেয়ার লাইনে এসে দাঁড়াতে হবে। কিংবা কলেজ নয় যে অনার্সের ক্লাস হয়ে গেলে পরে ক্লাসে ঢুকে কিচ্ছু বুঝব না। তাহলে এত কড়াকড়ি কেন? কাজ বলতে সারাদিন ঘাড় গুঁজে রিপোর্ট লেখা। নীরস কিছু শব্দ। পাশে সংখ্যা। বাইরে ঠকাঠক শব্দ হবে কম্পিউটার কী-বোর্ডে। ভেতর থেকে কাজের তাগিদ কম। শুধু পয়সার টান। সময় দেখে কী হবে? যা আট, তাই আশি। লিখতে লিখতে হাই তুলি। নোনা ধরা দেওয়ালে টিকটিকি স্থির। আমি চেয়ে থাকি তার নধর শরীরের দিকে। সে শিকার খোঁজে। খেয়েদেয়ে আড়ালে যায়। সে সরে গেলে আমি ক্যালেণ্ডার দেখি। তারিখ গুনি। ওই টিকটিকিটার মতো ওঁত পেতে থাকি। কবে মাইনে দেবে। পকেটে বাসের ভাড়া, চা খাওয়ার খুচরো। প্যান্টের তালি দেওয়া পকেট ভারী হয়ে ঝুলে থাকে। মাসের পনেরো দিন পেরোলেই মায়ের মুখ গম্ভীর হয়ে যায়। তখন টিফিন বাক্স খুললে রুটির সঙ্গে আলুর চোখা। প্রথমদিকে বেগুনভাজা, পটলের ডালনা থাকে। আর ক’দিন পরে আখের গুড়ের ড্যালা দিয়ে রুটিটা চিবোতে হবে। অনেক জল খেতে হবে তখন। চা না খেয়ে পারি না। কিন্তু বাসে না উঠে হেঁটে বাড়ি গেলে দশটা টাকা বাঁচবে। ইভনিং ওয়াকের মেজাজে হেঁটে বাড়ি যাই।
“একটু তাড়াতাড়ি করলে তো পারিস, তুই চিরটাকাল ঢিকঢিক করে চলিস। এইজন্য তুই জীবনে কিছু করে উঠতে পারলি না। সবকিছুতে এত দেরি করলে হয়?” মা গজগজ করে। করাই স্বাভাবিক। বাবাকে আমি হাসপাতালে দেখতে যেতাম নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে। মা বুঝত না রোজ একটা নাকেমুখে নল লাগানো লোকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে আমার ভালো লাগত না। আমি দেরি করে যেতাম। সরকারি হাসপাতালে অত নিয়মকানুনের বালাই নেই। আর আমাদের মতো গরিবের জন্য দালালরাও দয়া করে। মরণাপন্ন বাবাকে এক ঝলক উঁকি মেরে দেখতাম। বাড়ি ফিরতাম আরও দেরি করে। বাড়ি ফিরতে ফিরতে মনে মনে হিসেব করতাম, বাবা বেঁচে থেকে যত টাকা পেনশন পায়, তার কতটা চলে যাচ্ছে চিকিৎসায়? যদি বাবা মরে যায়, তাহলে কত পেনশন আসবে? মা’র হাতে যা আসবে, তাতে চলবে আমাদের? আমি মা ভাই। ভাই ইস্কুল। আমি কলেজের শেষ। একটা যোগ-বিয়োগের কাটাকুটি চলতে থাকে। বাবা বিয়োগ পেনশন যোগ। বাবা যোগ ওষুধ মানে পেনশন বিয়োগ। সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। লেট হয়ে যাচ্ছে বাবার। আর ক’দিন?
আজকাল মাসের শেষে আমি ভয়ে কাঁটা হয়ে যাই। মা তাড়া দেয়। তখন পা চালিয়ে অফিসে আসি। কেউ যদি বলে, ওই যে ওই রাহুল, রোজ লেট করে। ওর মাইনে কেটে নাও। ওকে রেখো না কাজে। দেরি করে আসাটা একটা অভ্যেস করে ফেলেছে। বাঙালিদের এই এক বদ স্বভাব। টাইমজ্ঞান নেই। সময়ের দাম বুঝল না, এইজন্য জীবনে কিস্যু করতে পারল না। আরে সাউথে গিয়ে দেখ, ইউ পি, গুজরাট… ধড়াদ্ধড় উন্নতি করছে। ওরা খাটতে পারে। আর এদের দেখো। কোনও উচ্চাশা নেই। পরিশ্রম করার ইচ্ছে নেই।
অফিসের কথা ভাবতে ভাবতে দেরি হয়ে গেল। সেই কোন সকালে উঠেছি। বাজারে গিয়ে সকলের পিছনে দাঁড়াই। একটু পোকা, একটু পচা আনাজ যদি দাম কম করে। আরেকটু বেলার দিকে এলে এইসব সুযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু অফিসটাইমের ঘড়ি দেখা ব্যস্ত বাজারুর ভিড়ে আমার খামোখা দেরি হয়, দাম কমায় না কেউ।
“বেগুন কত করে?”
সবজিওলা পল্টু চোখ তুলে তাকায় না। জানে, আমি দাম জিগ্যেস করব, তারপর না নিয়ে চলে যাব।
অন্যদিন আমিও আর দ্বিতীয়বার জিগ্যেস করি না। চুপচাপ সরে যাই। আশেপাশে সহ-বাজারুদের কাছে ব্যস্ততার ভান করে তাচ্ছিল্য দেখাই। পরিচিত মুখ হলে গম্ভীর হয়ে চলে আসি। আজ কেমন রোখ চেপে গেল, “কী রে এতবার জিগ্যেস করছি, দাম বলছিস না যে?”
পল্টু ভুরু কুঁচকে তাকাল।
“পাঁচশো তিরিশ টাকা। কতবার বলব?”
ঢোঁক গিলি। পকেটে ঠিক পঞ্চাশ টাকা পড়ে আছে।
“কম হবে না?”
পল্টু ঠোঁট উলটে পাশের এক স্বাস্থ্যবান ভদ্রলোকের ব্যাগে লাউশাক, চালকুমড়ো আর পটল ভরতে থাকে।
“একটু কম করে দে, নিচ্ছি।”
পল্টু স্থির চোখে তাকায়। দেওয়ালের ওই টিকটিকিটার মতো।
“ক’কেজি নেবে শুনি? এক পয়সাও কমাতে পারব না।”
আমি তেরিয়া মেজাজে বলি, “আমি কি যজ্ঞিবাড়ির বাজার করতে এসেছি নাকি! ক’কেজি মানে? ওই পাঁচশোই নেব, কমালে দে… না হলে…”
না হলে কিছুই হয় না। পল্টু পাত্তা দেয় না। আশেপাশে ভিড় করে থাকা নোট আর খুচরোর মধ্যে ওর মনোযোগ মিশে যায়।
বাড়ি ফিরতে দেরি হয়। ব্যাগে পুঁইশাকের শুকনো আঁটি। অফিসে এসে রেজিস্টার খাতায় সই করে সময় লিখছি। দশটা সাতান্ন। আড়চোখে দেখলাম ধীমানদার জায়গাটা ফাঁকা।
কাল লেট করে এসেছিলাম। প্রজেক্টের হেড ধমকেছিল। আজ কেমন পৌরুষ জেগে ওঠে। বেশি বললে ছেড়ে দেব শালা। বাজারে গিয়ে সবজি বেচব। রেলা নেব পল্টু-র মতো। পল্টু কে হাজিরা খাতায় সই করতে হয় না। দাসখত লিখিয়ে আসেনি। কী এমন ব্যাপার! ব্যাংক থেকে লোন, ব্যস। নিশ্চিন্ত জীবন। নিজের কাছে নিজের আসা-যাওয়া পরিষ্কার।
নিজের টেবিলে গিয়ে বসি। কেউ ডাকল?
“ধীমানবাবু আজ আসেননি। একটু আসুন এদিকটায়।”
“ধীমানদা? আসেননি? ও হ্যাঁ, তাই তো। খাতায় সইয়ের জায়গা ফাঁকা দেখলাম।”
“আসা মুশকিল। যেভাবে ট্রেনে কাটা পড়েছেন শুনলাম… বেঁচে আছেন কী না… আমরা তো কোনও খবরই পাচ্ছি না… রেলপুলিশে কেউ চেনাজানা থাকলে… বাড়ির লোকও কেউ গেছে কি না…”
চারপাশ থেকে অনেক ছেঁড়া ছেঁড়া শব্দ ভেসে আসে।
“রাহুল, আপনি ইয়ং আমাদের মধ্যে, কাজের চাপটাও কম, আপনি একটু বুঝে নিন এগুলো। আপনি তো কাছেই থাকেন, তাই না? তাহলে দেরি করবেন না এত। দেখুন তো, ধীমানবাবু কত দূর থেকে কত টাইমলি আসতেন। এই বিষয়টা শেখার মতো… আচ্ছা অ্যাকাউন্ট্যান্সি ছিল না আপনার?”
যার কথা কানে এল তিনি এখানকার ফাউণ্ডার-মেম্বার। আমি দেখিনি এতক্ষণ কাউকে। অনেক লোক এদিক-সেদিক। তারা ঘিরে ধরেছে আমায়।
আমি প্রাণপণে চেঁচিয়ে উঠতে চাই।
“রোজ পারব না, বিশ্বাস করুন আমি রোজ ঘড়ি ধরে ছুটতে পারি না।”
কিচ্ছু বলতে পারি না।
বিস্ফারিত চোখে দেখি আমার টেবিলের ওপারে একটা প্ল্যাটফর্ম, রেললাইনে কাটা পড়া বডির ওপর দিয়ে লোকের ঝুঁকে পড়া মুখ। আমার হাজিরার খাতায় একটা বড় ঢ্যাঁড়া।
জন্ম ’৭১, কলকাতা
বর্তমানে আজকাল প্রকাশনা বিভাগের অ্যাসিস্ট্যাণ্ট ম্যানেজার পদে কর্মরত।
১৯৯৮ সাল থেকে আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের এফ এম রেইনবো (১০৭ মেগাহার্তজ) ও এফ এম গোল্ড প্রচারতরঙ্গে বাংলা অনুষ্ঠান উপস্থাপক।
কলকাতা দূরদর্শন কেন্দ্রের ক্যাজুয়াল ভয়েস ওভার আর্টিস্ট।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে যাদবপুর ইউনিভার্সিটি কমিউনিটি রেডিওতে (JU ৯০.৮ মেগাহার্তজ) ‘এবং রবীন্দ্রনাথ’ শীর্ষক সাপ্তাহিক ধারাবাহিক অনুষ্ঠানের নিয়মিত গবেষক ও উপস্থাপক।
২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে ‘সানন্দা’ ও ‘আনন্দলোক’ পত্রিকায় ফ্রিলান্সার অ্যাডভার্টোরিয়াল কনটেন্ট লেখার নিয়মিত দায়িত্ব।
কর্মসূত্রে ‘আজকাল’, ‘আবার যুগান্তর’, ‘খবর ৩৬৫’ ও অন্যান্য বহু পত্র-পত্রিকায় ১৯৯৬ সাল থেকে ফিচার এবং কভারস্টোরি লেখার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা।
‘একদিন’ পত্রিকার বিভাগীয় সম্পাদক হিসেবে ‘নারী-শিশু-বিনোদন-স্বাস্থ্য’ বিভাগে দীর্ঘদিন কাজের সুযোগ।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর এবং ‘ফ্রেশ ওয়াটার ইকোলজি’ বিষয়ে গবেষণা করে পি এইচ ডি ডিগ্রি।
একমাত্র প্যাশন গল্প লেখা।
‘গাংচিল প্রকাশনা’ থেকে প্রথম গল্প সংকলন ‘অসমাপ্ত চিত্রনাট্য’; সংকলনের গল্পগুলি বিভিন্ন সময়ে আনন্দবাজার পত্রিকা, সানন্দা, এই সময়, একদিন, উনিশ-কুড়ি, প্রাত্যহিক খবর, তথ্যকেন্দ্র পত্রিকায় প্রকাশিত।
পরবর্তী গল্পসংকলন
“প্রেমের বারোটা” রা প্রকাশন
“ব্রেক আপ চোদ্দ” রা প্রকাশন
প্রকাশিত উপন্যাস—“জলের দাগ” (রা প্রকাশন), “সুখপাখি”, “এবং ইশতেহার” (সংবিদ পাবলিকেশন)
কিশোর গল্প সংকলন – ‘পড়ার সময় নেই’ (সৃ প্রকাশন)
কিশোর উপন্যাস – ‘বিষচক্র’ (কারুবাসা প্রকাশনী) এবং ‘এক যে ছিল রু’ (কেতাবি প্রকাশন)
এছাড়াও গবেষণাঋদ্ধ বই ‘শান্তিনিকেতন’। প্রকাশক ‘দাঁড়াবার জায়গা’।
আরও একটি ফিচার-সংকলন ‘মলাটে দৈনিক’। প্রকাশক ‘দাঁড়াবার জায়গা’।