বৃষ্টিরা
একদিন বৃষ্টিরা উল্লাসে গান শুনাবে তোমায়
মেঘেরা সমর্পণ করবে চোখের পাতায়
অদুরে দাঁড়িয়ে হাসির ঝলক বিলোবে বজ্র
পুষ্পমঞ্জরি তোমায় ঘিরে বাজাবে এস্রাজ।
মেঘবাড়ির পাখিদের ভিড়ে হাসে কিরণ
তানসেনের রবিরাগে সূর্যমুখী হাসে ভিষণ
মুখরিত পুষ্পমঞ্জরি দোলখাওয়া হাওয়ায়
তুমিও উল্লাসে প্রাণভরে ডাকবে আমায়।
আরো পড়ুন:মানিক বৈরাগীর তিনটি কবিতা
কড়ই-খই সঙ্গে নাও, আরও নাও হলুদ-মরিচ গুড়া
কিংবা কড়ায়ে ভাজা গরম শিম ও ফেলনের বিচি
চলো, বাদামের বদলে চিবোই বিচিত্র সব বিচি
মেঘের বিচি চেপে বর্ষণে বাধ্য করি এমন অনাবর্ষায়
ভিজব বলে গইরের গন্তব্যে সাজিয়ে রেখেছি টংঘর
হিমেল হাওয়ার আর্দ্রতায়, ভুগছি স্মৃতি কাতরতায়
এসো, পাশাপাশি বসি খুলে অতীতের ঝাঁপি
খুলি চিপি, চুপিচুপি পুরানা তারির
ভাজা কাকড়ার সাথে তাগড়া বয়সের স্মৃতি তারিয়ে তারিয়ে খাই,
এসো, গোলাপি চোখে কালো মেঘের কান্না দেখি
কান্না পেলে তুমিও একটু কেঁদো,
বাঁধভাঙা জলে একটু তিক্ততা যদি ধুয়ে ফেলা যায়!
আষাঢ়ী পাহাড়ের মতো তুমিও পিছলে গেছো
অথচ এমন আষাঢ়ে আষ্টেপৃষ্টে ছিলে
নিরাময় করেছিলে পিছলে পড়া ছুটের, নিরাবরণ!
এখনও নিরন্তর নিরানব্বই নামে ডাকি, ভেজাও না আর সেই বরিষায়!
কবি, শিশুতোষ লেখ, নব্বুইয়ের নির্যাতিত ছাত্রনেতা, কক্সবাজার, বাংলাদেশ।
প্রকাশিত গ্রন্থ
কবিতা
১-গহীনে দ্রোহ নীল
২-শুভ্রতার কলঙ্ক মুখস্ত করেছি
৩-নৈনিতালের দিন
শিশুতোষ গল্প
১-বন বিহঙ্গের কথা
২-ইরাবতী ও কালাদান
সম্পাদক
গরান (ছোট কাগজ)
তড়িৎ বার্তা[email protected]