ইরাবতী ধারাবাহিক:ফুটবল (পর্ব-৩) । দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
অষ্টম শ্রেণির দুই বন্ধু রাজ আর নির্ঝর। রাজ আর অনাথ নির্ঝরের সাথে এইগল্প এগিয়েছে ফুটবলকে কেন্দ্র করে। রাজের স্নেহময়ী মা ক্রীড়াবিদ ইরার অদম্য চেষ্টার পরও অনাদরে বড় হতে থাকা নির্ঝর বারবার ফুটবল থেকে ছিটকে যায় আবার ফিরে আসে কিন্তু নির্ঝরের সেই ফুটবল থেকে ছিটকে যাবার পেছনে কখনো বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় নির্ঝরের জেঠু বঙ্কু। কখনো বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় বঙ্কু ও তার ফুটবলার বন্ধু তীর্থঙ্করের বন্ধুবিচ্ছেদ। কিন্তু কেন? সবশেষে নির্ঝর কি ফুটবলে ফিরতে পারবে? রাজ আর নির্ঝর কি একসাথে খেলতে পারবে স্কুল টিমে? এমন অনেক প্রশ্ন ও কিশোর জীবনে বড়দের উদাসীনতা ও মান অভিমানের এক অন্য রকম গল্প নিয়ে বীজমন্ত্রের জনপ্রিয়তার পরে দেবাশিস_গঙ্গোপাধ্যায়ের নতুন কিশোর উপন্যাস ফুটবল আজ থাকছে পর্ব-৩।
রাজদের স্কুল এখন ছুটি। গরমের ছুটি।এবারের গরমে তাদের যাওয়ার কথা ছিল দার্জিলিং-এ। কিন্তু বাবার অফিসের কাজের কারণে তা যাওয়া ক্যানসেল হয়েছে। তার বদলে হয়ত এক-দু-দিনের জন্য কোথাও যাওয়া যায় কিনা তা বাবা-মা ভাবছেন। অবশ্য সেটা ভেবে রাজের অত চিন্তা নেই। সারাদিন কাটাবার জন্য তার অনেক কিছু আছে। তাদের বাড়ির সামনেই মাঠ।সেই মাঠে ভোর থেকে খেলার জন্য অনেকে চলে আসে। মা বাধা দেন নি। বরং একরকম উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “যদি তুমি নিজে ভোরে উঠতে পার,একঘন্টা খেলতে যেতে পার।“ একথা বলার উদ্দেশ্য সে জানে। খেলার উপর খুব সখ দেখে বাবা তাকে একটা ক্রিকেট -স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। রাজ প্রথম কদিন খুব উৎসাহ দেখিয়েছিল।হাতে গ্লাভস, পায়ে মোজা, আর দু-দুটো প্যাড নিয়ে আহ্লাদে নেচেছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে তার আক্কেলগুরুম হয়ে গেল। এই ব্যায়াম করতে হবে, মাঠে ক পাক দৌড়াতে হবে, এসব দেখে তার উৎসাহ ফুরিয়ে গেল। ক্রিকেটের উপর আগ্রহ তার বেশিদিনের জন্য থাকল না। ক্রিকেট- স্কুলে যাবার বদলে নিজেদের মাঠে ফুটবল খেলতেই তার ভাল লাগে।
এজন্যই মা তার সঙ্গে এমন চুক্তি করলেন, সে বুঝেছে। কিন্তু এসময় সত্যিই তার আপনা থেকে ঘুম ভেঙে যায়। তাছাড়া মা মুখে যাই বলুন তাকে সকালে ঠিক ডেকে দেবেন। খেলাধুলার ব্যাপারে মায়ের খুব উৎসাহ। দৌড়ে একসময় খুব নাম ছিল মায়ের। বহু জায়গায় মা দৌড়ে নাম দিতেন । প্রাইজও পেতেন। একশ মিটার নাকি মায়ের সবচেয়ে পছন্দের ইভেন্ট ছিল। মা নিজের কথা বলেন না। যদি বা বলেন খুব কম। দিদান,ছোটমামাদের মুখ থেকে সে মায়ের খেলার কথা শুনেছে।
ছোটমামা খেলাধূলায় নেই। কিন্তু জানেনও অনেক কিছু। আগে কখনো হরবোলা কি তা রাজ জানত না । ছোটমামার মুখ থেকে তা শুনে সে অবাক হয়ে গেছে। বাঘের ডাক, সিংহের ডাক তো আছেই তার সঙ্গে সাইকেলের, রিক্সার ঘন্টি, পাখির ডাক, সবকিছুতেই ছোটমামা ওস্তাদ।পুজোর সময় খুব মজা হয়। খুব ভিড় হলে হঠাৎ ছোটমামা রিক্সার অথবা বাইকের আওয়াজ করেন। লোকজন চমকে গিয়ে রাস্তা করে দেয়। এরজন্য ছোটমামার সাথে লোকজনের ঝামেলাও হয়েছে। মা-ও তাকে অনেকবার বলেছেন এগুলো না করতে। কিন্তু ছোটমামা এখনও স্বভাব ছাড়তে পারেন নি।
ছোটমামা ইদানিং রাজদের বাড়িতে থাকছেন। কিছুদিন আগে দাদুর সঙ্গে তাঁর মনকষাকষি হয়েছে। দাদুর উপর তাঁর খুব অভিমান। দাদুর একটা নাটকের দল আছে। ছোটমামা তাতে অভিনয় করতে চেয়েছিলেন। সে কথা শুনে দাদু নাকি বলেছিলেন,“ও করবে আক্টো? কথা ঠিক করে বলতে পারে না। যা পড়ে তাই ভুলে যায় সে হবে উত্তমকুমার! হেসে আর বাঁচি না।“ দিদু অবশ্য অনেকক্ষন লড়ে গেছিলেন দাদুর সঙ্গে। তিনি বলছিলেন,- “ওমা গো! পারবে না কেন? তুমি যদি পার। টুবলুও পারবে।“
দাদু বলছিলেন,“আমি পারি মানে? তুমি কি বলতে চাও?”
দিদু বলছিলেন,“ছোটদের সামনে কি আর বলি? তুমিও কি কম পার্ট ভুলে গেছ?আমার যেন মনে নেই।“
দাদুর মুখ লজ্জায় লাল হয়ে গেছিল সেদিন। তাড়াতাড়ি কথাটা চাপা দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছোটমামার মনে খুব বেজেছিল। সেদিন থেকেই তল্পিতল্পা সমেত এ বাড়িতে হাজির। মায়ের কাছে এসে বেশ কিছুক্ষন গুম হয়ে বসেছিলেন। বাবাও সেসময়ে বাড়িতেও ছিলেন। অভিমানী শ্যালককে তিনি অনেকদিন ধরেই চেনেন। সব কথা শোনার পর বাবা বলেছিলেন“কোন চিন্তা কর না। টুবলু। অভিনয় তুমি করবেই। তোমার পাড়ায় না করো।আমার পাড়ায় করবে।দুর্গাপুজা আসুক। তোমাকে আমি জম্মেশ পার্ট দেব।“
ছোটমামার মুখে হাসি ফুটেছিল।বাবা বলেছিলেন,“শোন। যদ্দিন না তুমি নাটক করছ তদ্দিন কিন্তু ও বাড়ি ফিরবে না।এখানেই থাকবে।“
রাজের দাদুর বাড়ি দুরে নয়,পাশের পাড়ায়।মাঝেমাঝে ছোটমামা বাড়ি ঘুরে আসেন। তবে এখনো নাটকের রিহার্সাল শুরু হয় নি। বাবাকে প্রথম কিছুদিন ছোটমামা জিজ্ঞেস করেছিলেন। বাবা মাথা নেড়ে বলেছেন,“হবে। হবে। চিন্তা করছ কেন! তুমি নিজে নিজে একটু প্র্যাকটিশ কর। সময় হলে বলব।“
সময় পেলে ছোটমামা অভিনয় করেন। মাঝেমধ্যেই তা রাজকে দেখতে হয়। রাজের খারাপ লাগে না তা দেখতে। তার মনে হয় ছোটমামাকে দাদু অযথা বকেছেন ।অল্পস্বল্প ভুল করেন বটে ।তা গ্রাহ্য করার মত নয়।
আরো পড়ুন: ইরাবতী ধারাবাহিক:ফুটবল (পর্ব-২) । দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
ইদানিং ছোটমামার অভিনয় ইচ্ছেটা ভাঁটা পড়েছে।তাঁর মন এখন ঘুরে গেছে।তিনি এখন বাড়ির পাশে মাঠে ছোটদের খেলায় আম্পায়ার বা রেফারী হচ্ছেন। রাজ ভেবেছিল তাতে সুবিধা হবে। কিন্তু কাজের বেলায় তা হল না। তিনিখেলার বিন্দুবিসর্গ কিছু জানেন না। উল্টোপালটা ডিশিসন দেন।
সকালেই ছোটমামার জন্য আজ জেতা ম্যাচ রাজরা হেরে গেল । আজ রাজ ভেবেছিল ফুটবল খেলবে। কিন্তু জিতুরা চাইল ক্রিকেট খেলতে।সকালবেলায় ফুটবল খেললে নাকি আশেপাশের লোকের অসুবিধে হয়। ব্যাজারমুখে সে তা মেনে নিয়েছে।বিকেলে এই অসুবিধা নেই।
সে যাই হোক সে ,জিতু, পুকাই, নন্দু, কমল আর সোহম ছয়জনে মিলে টিম করে ক্রিকেট খেলছিল।ছোটমামা ছিলেন অ্যাম্পায়ার। ছয় ওভার করে খেলা। ছোট মাঠে। রাজরা ছয় ওভারে রান করেছিল একত্রিশ। পুকাইরা অন্য টিম। ওরা পাঁচ ওভারের শেষে রান করল কুড়ি। হিসেবে তারা প্রায় জিতে গেছে ভেবেছিল। জিতু বল করতে এল।সে নিশ্চিত মনে বল করতে শুরু করল। পাঁচ বল হবার পর পুকাইদের রান দাঁড়াল চব্বিশ।ওদের জিততে হলে আরো আট রান চাই।জিতু হালকাচালে বল করল। পুকাইরা তিন রান নিল। রাজরা উল্লাসে চেঁচিয়ে উঠতে গিয়ে থমকে গেল। ছোটোমামা হাত দিয়ে দেখাচ্ছেন, নো বল। জিতু সমানে মাটির সামনে দ্যাখাচ্ছে সে লাইনের বাইরে ছিল না।ছোটোমামা ঘন ঘন মাথা নাড়াচ্ছেন।রাজদের মুখ শুকিয়ে গেল।তারা ছোটমামার সাথে তর্কও করল কিছুক্ষন।লাইন বলে তো কিছু নেই! ঘাসের উপর দাগ কাটা। ছোটমামা কিছুতেই শুনলেন না। তর্কাতকি শেষ হবার পর আবার খেলা শুরু হল।পুকাইরা একটা চার মেরে ম্যাচটা জিতে গেল।
খেলার পর জিতুরা খুব গজগজ করল।নন্দু বলল,“তোর ছোটমামা কিস্যু বোঝে না রে!ফালতু নো দিল।“
জিতু বলল,“আমি বল করছিলাম একদম পারফেক্ট লেন্থে। ছোটমামা বলে কি না ওয়াইড!আমি বলে দিচ্ছি ছোটমামা যদি আবার অ্যাম্পায়ার হন তাহলে কিন্তু আর খেলব না।“
রাজেরও রাগ হয়েছিল।কিন্তু ছোটমামার গোঁ। তাকে কে বোঝাবে!সে বলল“ছোটমামা অ্যাম্পায়ার হবেই। তার চেয়ে কোন প্ল্যান কর যাতে ছোটমামা আর অ্যাম্পায়ার না হয়।“
ওরা অনেকক্ষন বসে বসে চিন্তা করল।জিতু হঠাৎ বলল“এক কাজ করলে হয় না?”
“কি?”
“ছোটমামাকে আমাদের দলে নিয়ে নে।ছোটোমামা কোনদিন খেলেন না। না হয় আমাদের দলে খেলবে।“
“ছোটমামা কি রাজি হবেন?”
“হ্যাঁ। ঠিক রাজি হবে। সেদিন আমায় বলছিলেন আমাকে দলে নিলি না তোরা।অ্যাম্পায়ার হয়ে রইলাম। ব্যাট করলে দেখিস কেমন ব্যাট করি।“
রাজ বলল ”ধুর। ছোটমামা খেলতেই পারেন না!”
জিতু বলল“সে যাক। আম্পায়ার না হলেই হল।“
“অ্যাম্পায়ার কে হবে?”
“কেউ একজন হবে না। আমরা সবাই হব।“
প্রস্তাবটাখারাপ নয়। রাজরা তাই ঠিক করে নিল। নন্দু বলল,“কিন্তু টিম গোলমাল হয়ে গেল। আরেকজন না হলে বিজোড় হয়ে যাবে ।“
এবার সবাই চিন্তায় পড়ল। তারা এই কজনই রোজ আসে। বেশি নয়,কম নয়। আরেকজন কে খেলবে তাহলে? জিতু রাজকে বলল“তোর ওই স্কুলের বন্ধুটাকে বল না খেলতে। ওকে না হয় ওদের টিমে দিয়ে দেব।“
রাজ মাথা নাড়ল।বন্ধু মানে নির্ঝরের কথা বলছে জিতু। জিতু খারাপ বলে নি।নির্ঝরকে বলা যেতে পারে।আজকাল নির্ঝর সময় পেলেই সকাল সকাল এ-পাড়ায় চলে আসে।রাজই তাকে আসতে বলেছিল।আজ অবশ্য ও মাঠে আসে নি। অন্যদিন সে আসে তবে সে খেলে না।চুপ করে মাঠের কোনে দাঁড়িয়ে থাকে। মা তাকে বলেছেন নির্ঝরকে খেলায় নিতে।কিন্তু রাজ বললেও সে সাড়া দেয় না।মাথা নাড়ে। কিছুক্ষন দুর থেকে খেলা দ্যাখার পর সে বাড়ি চলে যায়। জিতুর কথা শুনে সে বলে, “ঠিক আছে। তাই হবে। ওকে বলে দেখব।“
জিতু বলল,“আজ বিকেলে ক্রিকেট খেলবি তো?”
“কেন বিকেলে ক্রিকেট খেলব কেন?”
“না মানে!“
রাজ বলল,“ওসব হবে না। তোর কথা মেনে নিয়েছি। সকালে ক্রিকেট। কিন্তু বিকেলে ফুটবল না হলে আমি আর খেলতে আসব না।“
“এই রাগ করছিস কেন? তাই হবে।“
ফেরার সময় নির্ঝরের কথা ভাবল রাজ। সে খেয়াল করেছে ও বড় চাপা স্বভাবের। সে কি যে ভাবে তার ঠিক নেই। ক্লাসে এখন ওর পাশেই সে বসে এখন।মায়ের কথামত সে ওকে যতটা পারে সাহায্য করে। মা ওকে মাঝেমাঝেই বাড়িতে ডেকে পাঠান। ভালমন্দ কিছু হলেই মা নির্ঝরকে খবর দিতে বলেন। ও এলে তাকে বসিয়ে খাওয়ান মা। নির্ঝর লজ্জা পেলে মা বলেন,“আমার কাছে তোর লজ্জা কি রে?আমি তোর মায়ের মতোই।খা।“
নির্ঝর চুপচাপ খায়। ওর খাওয়া দেখে মায়ের মন আরো অস্থির হয়ে ওঠে।মা বলেন,“আর কটা লুচি দিই।“
নির্ঝর বলে,“না।কাকিমা। পারব না।“
“খুব পারবি। এরপর কখন খাবি ঠিক আছে।এবার থেকে যখনই খিদে পাবে আমার কাছে চলে আসবি। বুঝেছিস।“
নির্ঝর মাথা নাড়ে।তার মুখ দেখেই বোঝা যায় সে এমন আদর অনেকদিন পায় নি।বা পেয়েছে কিনা তা মনে নেই।
মা জিজ্ঞেস করেন,“হ্যাঁরে। বাড়িতে তুই আর জেঠু থাকিস?”
“হ্যাঁ।“
মা আর কিছু জিজ্ঞেস করেন নি।মা তার কাছ থেকে কিছুটা জেনে নিয়েছেন ওর কথা। নির্ঝরের মা ছোটবেলায় মারা গেছেন। বাবা বাইরে কোথায় চলে গেছেন। নির্ঝর আর জেঠু শুধু দুজন একসাথে থাকে। রাজ একবার নির্ঝরদের বাড়ি গেছিল।ওর বাড়ি চেনাই মুসকিল। একা হলে রাজ চিনতে পারত না।ওরা ভাড়া থাকে। অনেকগুলো ছোট ছোট ঘরের একদম শেষ বাড়িটা ওদের। ওর জেঠুর সঙ্গেও তার আলাপ হয়েছিল।নির্ঝরের মত তার চেহারা রোগাপাতলা নয়, বরং শক্তসমর্থ চেহারা। তার দিকে হেলাভরে তাকিয়েছিলেন।নির্ঝরের সঙ্গে যেভাবে দাঁতমুখ খিঁচিয়ে কথা বলছিল রাজের ভালো লাগে নি। ওর জেঠুও ওকে ভালবাসে না। নির্ঝরকে তা বলায় সে বলেছিল, “হ্যাঁ। জেঠু এখন একটু খিটখিটে হয়ে গেছে। আগে আমায় খুব ভালবাসত। এখন আসলে চাকরীবাকরি করে না তো! হয়ত ওইজন্য!”
রাজ ঠিক করল কালকে ওকে খেলার কথা বলবে।

দেড় দশক ধরে সাহিত্যচর্চা করছেন। পেশা শিক্ষকতা। নিয়মিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখেন। ‘কাঠবেড়ালি’ নামে প্রথম গল্প প্রকাশিত হয় আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয়তে। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস : ‘চার অঙ্গ’, ‘তিথির মেয়ে’, গল্পগ্রন্থ : ‘গল্প পঁচিশ’, ‘পুরনো ব্রিজ ও অন্যান্য গল্প’। ‘দেশ’ পত্রিকায় ‘বীজমন্ত্র’ নামে একটি ধারাবাহিক উপন্যাস লিখেছেন।
বেশ লাগছে। ছোটবেলাটা খুঁজে পাচ্ছি।