| 6 অক্টোবর 2024
Categories
শারদ অর্ঘ্য ২০২৩

শারদ অর্ঘ্য গল্প: স্মৃতি মোড়া অ্যালবাম দিন । মৌসুমী ঘোষ

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

          একটা বয়সের পর নতুন করে আর বন্ধুত্ব হয়না। ছোটোবেলার শহরের এই ব্যস্ত রাস্তায় সুমনা আজ বহুদিন পর। নেতাজী সুভাষ সরণী। একসময় এ রাস্তায় হাঁটতে গেলে পদে পদে চেনা মুখের সঙ্গে ঠোক্কর খেত। তার পাশে সাইকেল চালাতে চাইতো না অমিত। এত চেনা লোকের সঙ্গে দেখা হতো, আর দেখা হলেই কথা বলার জন্য এতবার থামতে হতো, যে খেপে যেত অমিত। এখন এ শহরে অমিতও আর নেই।

          অচেনা জনস্রোত। নেতাজী সরণী সোজা গিয়ে জ্যোতিষচন্দ্র ঘোষ রোডে মিশেছে। এই রোডের লাগোয়া গঙ্গা, দক্ষিণে বয়ে চলেছে। নদী কি মৃতপ্রায় এখন? রাস্তা লাগোয়া ঘাটের পাশ দিয়ে দিয়ে বাঁধানো পার্ক। একসময় ঘাটগুলোয় বসে বসে অমিত কত কত ইতিহাসের গল্প বলেছে। সেদিন অনার্সের থার্ড ইয়ারের রেজাল্ট নিয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে দুজনে গঙ্গার ধার ধরে ফিরছিল। ঘন্টা ঘাট, অন্নপূর্ণা ঘাট, প্রসাদ সেনের ঘাট, মেছুয়াবাজার ঘাট পেরিয়ে জোড়াঘাটের সামনে আসতেই, অমিতই বলেছিল, ‘চলো জোড়াঘাটে বসে যাই কিছুক্ষণ।’

ঘাটে বসে অমিত বলেছিল, ‘একসঙ্গে দুটি ঘাট পাশাপাশি জোড়া হয়ে আছে এখানে। মোগল শাসক কাশিম মল্লিকের বাড়ীর একটি অংশই ছিল এই ঘাট। শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ আঢ্যের প্রপিতামহ কাশিম মল্লিকের বাড়ি কিনেছিলেন ঐ অন্দর মহলের ঘাট সমেত। এই ঘাটের সামনের দিকে ঐ বাড়িতেই বঙ্কিমচন্দ্র ‘বন্দেমাতরম’ গানটির সুরের সাধনা করেন। আঢ্য বাড়িতে মহাত্মা গান্ধী এসে থেকেছিলেন ১৯২৫ সালে। সাহিত্যিক কালিকানন্দ অবধূত ঘাট লাগোয়া এই জমিতে বাড়ী তৈরি করে বসবাস করেন। এটিকে বন্দেমাতরম ঘাটও বলে।’

ছোটো থেকে সুমনা এই শহরে বড়ো হয়েছে। কত কত বার এসেছে এই ঘাটে। কিন্তু ইতিহাসের এত গল্প সত্যিই জানতো না।  

এই শহর ছাড়বার পর যত শহরে গেছে সুমনা বহু নদীর পাশ দিয়ে হেঁটেছে। নদীর ওপর দিয়েও গেছে বহু ব্রীজ পেরিয়ে। সুমনা দু’চোখ মেলে দেখেছে নদীদের। দেখতে দেখতে বুঝেছে নদী মানেই স্রোত নয়। তবু নদীর মৃত্যু দেখতে ভালো লাগে না সুমনার। তাই এখন যখন কোনো নদীর ব্রীজ পেরোনোর সময় অমিত ঠেলা দিয়ে বলে, ‘দেখো নদী পেরোচ্ছে।’

সুমনা তাকায়না আর। সুমনা বলে, ‘তুমি নিজে দেখো।’

অমিত কী বোঝে কে জানে? মুচকি হেসে ডায়না পামারের মতো সুমনার ক্যাসকেট চুল আরো একটু ফাঁপিয়ে দিয়ে বলে, ‘পরে বোলনা, ডাকোনি কেন?’

          সুমনা আজ এ শহরে পরিযায়ী বইতো অন্য কিছু নয়। একসময়ে ঐ টাওয়ার ভিউ বা ব্যানার্জী কেবিনে বসে অমিতের সঙ্গে মোগলাই বা কাটলেট খেতে মন আকুলি বিকুলি করত। আজ আর এসবে রুচি নেই। থাইরয়েড, সুগার, প্রেশারের বড়ি, এসব এড়িয়ে চলতে শিখিয়েছে। বাঁদিকে বাঁক নিলেই ব্লু ডায়মন্ড। সেটারই ব্যাঙ্কয়েট হলটা আজ দিনের বেলার জন্য বুক করেছে ওরা। মেয়েবেলার শহরে স্কুলের বন্ধুদের গেট টুগেদার। সুমনা ছুটে এসেছে চেনা নদী দেখার তেষ্টা মেটাতে। চেনা শুধু নয়, এ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা এই নদীটাকে সে বিয়ের আগে অব্ধি নিজের নদী বলেই মনে করত। সে মনে করত প্রত্যেকের মতো তারও এই শহরে একটা নিজস্ব নদী আছে। বিয়ের পর অমিতের সঙ্গে যত শহরে গেছে দেখেছে প্রত্যেক শহরের একটা করে নদী আছে। এখন সে বোঝে এই নদীটা সুমনার নিজস্ব নয়, শহরের নিজের নদী।

          স্টেশন থেকে অটোয় ঘড়ির মোড়। সেখান থেকে হাঁটা দূরত্ব। তবু অনেক সময় নিয়ে নিল অটোটা স্টেশন থেকে ঘড়ির মোড় পৌঁছাতে। অটো প্যাসেঞ্জার না হলে ছাড়বে না। প্যাসেঞ্জার ভর্তি হল তো টোটোর যানজট ছুঁয়ে ছুঁয়ে ঘড়ির মোড় পৌঁছাতে বেশ দেরিই হল। খুব খু-ব বিরিক্ত লাগছিল। অমিত শুনে ফোনে বলল, ‘দিল্লী-বম্বের আবদার তোমার মেয়েবেলার মফস্বলে চলবে না সোনা।’

স্টেশন থেকে ঘড়ির মোড় গোটা পথটা পাখি বলতে খাঁচায় বন্দী মুরগী দেখেছে সুমনা। কাকও কমে গেছে গরমে। ঘড়ির মোড়টায় থমকে দাঁড়াল সুমনা। রিক্সা স্ট্যান্ডের দিকটায় এখন আর কোনো রিক্সা দাঁড়িয়ে নেই। চোখ চলে গেল সোনার দোকানের বিজ্ঞাপনে। উঁচু বুকের মেয়েটার শরীরময় সোনার অলংকার। হোর্ডিংটা থেকে চোখ ফেরানো যাচ্ছিল না। উল্টোদিকের ফুটপাতে এখনো রুমাল, ঠাকুরের জামা, বাচ্চাদের জাঙ্গিয়া — বেচাকেনা চলছে। চিটচিটে গরমে সেদ্ধ হতে হতে মন চলে যায় পুলিশ ফাঁড়ির রাস্তা ধরে পোস্ট অফিসের পাশ দিয়ে গঙ্গার ধারে। মন বলে এখন জোয়ারের সময় — ফেঁপে উঠছে নদীর শরীর। কিন্তু শরীর বলে যৌবন ঢলছে, ত্বকে কোঁচ, চোখে বলিরেখা — নদীর মাঝে জেগে উঠেছে চরা।

‘চরায় চাষ হয় এখন’, অমিত বলেছিল।

শোনামাত্রই সুমনা মনে মনে নদীকে শুধিয়েছিল, ‘শরীর কেমন আছে, নদী?’

          নদী জবাবে বলেছিল, ‘আমাদের শরীর খারাপ হলে চলে না।’

          সত্যিই তো এই বছর কয়েকের মধ্যে গঙ্গা দিয়ে কত কত লক্ষ লক্ষ কিউসেক জল বয়ে গেছে তার হিসেব কি নদী ছাড়া আর কেউ রেখেছে? নদীর ওপারে অন্য শহর, অন্য জেলা। দু’পাশে ঘাটের পর ঘাট সেজে উঠেছে।

‘নদীর ও পাড়ের কারখানার ধোঁয়া থেকে আসা সেই বিদঘুটে গন্ধ আর আসেনা এ পাড়ের শহরে’, অমিত বলেছিল, ‘কারণ নদীর ওপারের কারখানাগুলো সব বন্ধ হয়ে গেছে কবেই যেন।’

মনে মনে সুমনা ভেবেছিল, প্রোলেতারিয়েৎ কমেছে শহরতলীতে। শহরতলী এখন শহর। গুমটি গুলো এখন দোকান, দোকানগুলো শপিংমল। রেস্টুরেন্টগুলোর সামনে কোম্পানির টি শার্ট পরে বক্স পিঠে জোমটো-সুইগির ছেলেরা বাইকে বসে মোবাইল স্ক্রল করে কাস্টমার সার্ভিসে ব্যস্ত। শহর মুখ ঢেকেছে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং-এ। না, বিজ্ঞাপনে কারো ঘর অন্ধকার হয়নি, কারণ এখন শহরের কেউ আর ঘরে, বাইরের আলো ঢোকার পরোয়া করে না। তবে বিজ্ঞাপনের বহরে শহরের চেনা পথগুলো তাদের চরিত্র পাল্টাছে, চেনা বাড়িগুলো ঢাকা পড়ে গেছে নতুন রঙের প্রলেপে। অলংকারের বিজ্ঞাপনটাকে পিছনে রেখে একটা সেলফি তুলল সুমনা। পোস্ট করল মেয়েবেলার গ্রুপে।

সঙ্গে সঙ্গে সুলীনা লিখল, ‘তাড়াতাড়ি আয়। অনেকে এসে গেছে…’

          একটু এগোতেই কারখানার ধোঁয়ার গন্ধ নাকে ভেসে এল মেয়েবেলার সময় থেকে। এতটা পথ এসেও গন্ধটার এতটুকু বিচ্যুতি নেই। নদীর জলে এক ডুব দিল সুমনা, মনে মনে। শরীরটা জল জল করে হাহাকার করছিল। ব্যাগ থেকে পেট বোতল বার করে এক ঢোঁক জল খেল। বিস্বাদ মিনারেল ওয়াটার। ইচ্ছে হল মিউনিসিপ্যালিটির কলে মুখ দিয়ে হাত ভরা জল খায়। কল খুঁজে পেল না ঘড়ির মোড়ে। কাঁচের শোকেসের পিছনে ঠান্ডা পানীয়ের বোতল সাজানো ফ্রিজ চেয়ে আছে সুমনার দিকে। ছোটো একটা কালো কোল্ড ড্রিংক্স-এর বোতল কিনে এক টানে শেষ করে দিল। একটা কাক মরে তারে ঝুলছিল। একা একাই। সুমনা ছবি তুলল। ফেবুতে পোস্ট দিল। লিখল, এই শহরে কাকেরা আর স্মরণসভা করে না।

          একটা সময় ছিল যখন এই শহরে কাকেদেরও অনেক চেনাজানা ছিল। একটা কাকের বিপদে আপদে অন্যরা আসতো। খুশির দিনে ডাস্টবিনে পেট ভরে খাওয়া ভাগাভাগি হতো। না, এতকথা লেখেনি সুমনা পোস্টে। কারণ সে এসেছে মেয়েবেলার নদী শহরে। নদী এখানে এখনো মরেনি। নদীর পাড়ের ঘাটেরা সেজেছে ঠিকই। চরের আয়তন বেড়েছে, নদীর গভীরতা কমেছে, তবু সেসবই হয়েছে গোপনে।

‘এ শহরে এখনো একটা পালাবার জায়গা আছে। মানুষ পালায় সেখানে। নদীর ধারে’, অমিত বলেছিল।

          হলটার কাছে যেতেই সকলে এগিয়ে এল। বলল, ‘চল নদী দেখে আসি।’

নদীর কাছে যেতে যেতে সুমনা ভেবেই চলল, আচ্ছা অমিত আর সে দু’জনেই তো বহু বছর শহর ছাড়া। তবু অমিত কীভাবে শহরটার এত কথা জানতে পারে কে জানে!

          সুমনারা কলেজ রোডের দিকে হাঁটা দিল। ঘেমে নেয়ে কলেজের কাছেই ঘন্টা ঘাটে পৌঁছালো সকলে। সুমনা দেখল মাত্র তেরোজন এসেছে। জানতে পারল, মৌসুমী কোভিডে মরেছে। প্রভা রোগা হবার ওষুধ খেয়ে মরেছে। রাত্রির ক্যানসার হয়েছিল। চিত্রার ডিভোর্স হয়েছে, পিয়ালীর বর মারা গেছে। শবনমের ছেলে-পিলে হয়নি। শুভনীতা বিয়েই করেনি। তাই চিত্রা, পিয়ালী, শবনম আর শুভমিতা দূরত্ব বজায় রাখে। পায়ে পিঁপড়ে কামড়াতে চেয়ে দেখল পিঁপড়ের সারি যাচ্ছে সিঁড়ি বেয়ে। সুমনা বলল, ‘বৃষ্টি হবে আজই।’

সুলীনা সবার খবর রাখে। ওর মুখেই সবার খবরাখবর পেল। ব্রততী, মৌসুমীর কথা শুনে কাঁদছিল। চৈতালী, রাত্রির কথা বলছিল। সংঘমিত্রা এতদিন বিদেশে ছিল তাই এসব কিছুই জানতে পারেনি বলে কেঁদে ফেলল। এমন সময় অমিতের ফোন এল। সুমনা অমিতকে ফোনে জানালো, ‘এ শহরে এখনো বন্ধুদের দুঃখে বৃষ্টি নামে।’

অমিত বলল, ‘তবে যে কাকের পোস্ট দিয়ে লিখেছো স্মরণসভা হয়না।’

সুমনা বলল, ‘এখানে পাখিদের সংখ্যা কমে গেছে। তবে নদীতে ডিঙি নৌকো এখনো মাছ ধরছে জাল ফেলে।’

অমিত বলল, ‘চরায় ইলিশের দর কষাকষি হয়। পারলে নিয়ে এসো একখানা গঙ্গার ইলিশ।’

সুমনা বলল, ‘কে খাবে?’

ফোন রেখে নদীর জল ছুঁতে সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেল সুমনা। ডানদিকে ঝুঁকে চরটা দেখল। কাশের ঝাড় দুলছে। শেষ এই শহরে এসেছে কাকার শ্রাদ্ধে। শহরের ওপর তখনো এত মায়া জন্মায়নি। বর্ষার জলে টলটল করছে নদী। কাছেই সতীর ঘাট। সেখানে শেষ সতীদাহ হয়েছিল।

‘তা কতদিন আগের সেই সতীদাহের ঘটনা?’ সুমনা জানতে চেয়েছিল।

অমিত বলেছিল, ‘তখন হ্যালিডে সাহেব হুগলির ম্যাজিস্ট্রেট। তা ১৮২৯ এর ঘটনা।’

সুমনা সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘সতীর ঘাটে যাবি?’

         

ঘাটটা ঠিক আগের মতো নেই, আবার আছেও। নতুন কংক্রিটের বাঁধানো ঘাট। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হচ্ছে। একদল মধ্য চল্লিশের মহিলা খুঁজছে ১৮২৯ সালের এক জলছবি চিতার আগুন। কংক্রিটের মেঝে থেকে গরম ভাপ উঠে আসছে। সুলীনা বলল, ভাদ্রের চাঁদিফাটা গরম।

          নতুন রেনোভেশনের পর পাল্টে গেছে পুরোনো চালচিত্র। কোথাও সেইদিনের জলছবি খুঁজে পাচ্ছে না সুমনা। বাকিরা আশ্চর্য হয়ে ভাবছে চিতার আগুনে শেষ সতীদাহের ইতিহাস ঘেরা ঘাটে আজ তাদের আসার কথা ছিল নাকি! পাশেই একদল কুবো পাখি কচর মচর করছে। সুমনা ধীরে ধীরে শহরে দেখা কুবোর দলের ছবি তুলে নিল। নদীর জলের দাগ, গাছের ছায়া সব কিছুর ছবি তুলে সেন্ড করছে অমিতকে। অমিত পৃথিবীর অন্য গোলার্ধে বসে ছবিগুলো দেখছে। অমিতদের ওখানে এখন গভীর রাত। ছবি দেখে অমিত লিখল, ‘সেইদিন ক্যামেরা ছিল না। তাই ছবি হয়ে নেই দিনটা। আজ তুলে আনো সেই দিনের ছবি।’

          এই ঘাটটার আরেক নাম, বটতলার ঘাট। অমিতের সঙ্গে এসেছিল এই ঘাটে একবার কলেজ জীবনে। সুমনা মনে করার চেষ্টা করল, সেদিন ও আর অমিত কোন সিঁড়িটায় বসেছিল। বন্ধুরা ধীরে ধীরে সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠে যাচ্ছে। সুমনা তখনো ইতিহাস সরিয়ে রূপকথা খুঁজে চলেছে। হঠাৎ সুমনা দেখল একটা দিকের বসার বাঁধানো ধাপ ফাটিয়ে খিলখিলিয়ে হেসে উঠেছে এক দঙ্গল দুব্বো ঘাস। ঐ ঘাসগুলোর মতোই ছোটো ছোটো স্মৃতি মোড়া মনের অ্যালবামটা খুলে গেল সুমনার চোখের সামনে।

‘স্বামী মারা গিয়েছিল বিদেশে। তাই স্বামীর চিতায় নয়, স্বামীর পরিধেয় কাপড়ের সঙ্গে সতী দাহ হয়েছিল সেদিন এই ঘাটে। তৎকালীন ডিস্ট্রীক্ট ম্যাজিষ্ট্রেট সতীদাহ নিবারণের আন্দোলন জনিত কারণে বাঁধা দিলেও অক্ষয়চন্দ্র সরকারের ঠাকুরমা এখানে সতী হন।’ এই ধাপেই সেদিন এমন নির্জন এক দুপুরে অমিতের মুখে সেই সতীদাহের গল্প শুনে সুমনা ফুঁপিয়ে উঠেছিল। সময় নষ্ট না করে রূপকথার অ্যালবামের পাতা ওল্টাতেই সুমনা দেখল, সুমনার কান্না ভেজা ঠোঁটে অমিতের ঠোঁটের প্রথম স্পর্শের সেই মুহূর্তটা এখনো ধরা আছে ইতিহাসের অ্যালবামের পাতায়—  

   

              

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত