বরফখণ্ড
প্রাণ একটি বরফখণ্ড, দেহকে সতেজ রাখে,
বরফ গলে গেলে,
সোরগোল শুরু হয় মাছিদের
মাছি শুধু বাসিপচা খায় না, মানুষের অহঙ্কারও খায়।
মানুষ এক উড়ন্ত ঘুড়ি
পৃথিবীটা রুটি ভেবে উল্টে দেখতে ইচ্ছে হয়! মানুষ কি সত্যি কারো উড়ন্ত ঘুড়ি?
মন ঘুড়ির কাছে চিঠি পাঠায়, কেন ঘরের ভেতর যন্ত্রণা দেয় নিরুদ্দেশ যাত্রা!
মন কী হাওয়া! পাতা দোলে, ছিঁড়ে যায় শিকড়ের বাঁধন
সুতো কেটে ঘুড়ি কার কাছে যায়? কেন কোনোদিন প্রতিউত্তর লেখে না।
সংসর্গ
হৃদয় আদ্র হলে কেন ভিজে যায় চোখ? চৈত্র ফুরিয়ে আষাঢ় আসে, কেন অন্য সব শূন্যতা?
আমি এক পৃথিবীর সন্ধান জানি, যেখানে সূর্য অন্ধকার নিয়ে আসে,
চোখ রোদ্দুরের স্কুল, বংশ পরিচয় আছে,
চোখের উপর প্রজাপতি ওড়ে–চশমার আশ্রয় নিয়েছি।
উবে যাওয়া
হাওয়ায় নুন বেশি হলে ঠোঁটে ফুটে না আর কোনো ফুল, সারি বা ভাটিয়ালি মানুষের ভাষা থেকে লুপ্ত হয়ে গেছে
রাতের মথ পাখিটি ভুলে গেছে জারির আসর, কদম গাছ এখনও আছে, হারিয়ে গেছে শুধু সুর
কিছু বাকী নেই, ওবাড়ি থেকে এবাড়িতে আসা তরকারির গন্ধটুকু ছাড়া!
ভেতর-বাহির
কোথাও কোনো এক ঝরে পড়া ফল থেকে আমার অঙ্কুরোদয় হয়েছে
তাই সব সময় ঝরে পড়ার বিরহ অস্তিত্বে,
কিছু কিছু সময় মন খারাপের উদ্দেশ্য হয় না
হাসির উদ্দেশ্য হয়
বিরহ ভেতর বাড়ি, হাসিটা বৈঠকখানা
ভাবি মা বৃক্ষ আগুনের পৃথিবীতে আমার জন্যে সেচ দিচ্ছেন জল।
বিরহের জলে সবুজ হচ্ছে মন।
জন্ম ১লা ফেব্রুয়ারি। পঞ্চগড়, বাংলাদেশ। স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর। বাংলা বিভাগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।