আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট
ছবি
ব্যাটারি গড়িয়ে যাচ্ছে।চন্দ্রগ্রহণের রাতে অসহায়
বাজপাখি।
ভাতখাওয়া চা বাগান।
নিজস্ব ক্যামেরায় তুলি তিতির জঙ্গলের
ছবি।
রেলসেতু নির্জন হলে
দেখি দেওয়াল টপকানো
বেড়াল।
আখ্যান
উপকথা বলে কিছু হয় না।
আখ্যানের নিচে আলো জ্বলছে
জলাভূমি ভুলে যাওয়া ক্ষিপ্ত মহিষ নিজেই কিভাবে
দৃশ্য হয়ে ওঠে!
আমাদের জীবনে কোন দুলুনি নেই।
চোখের জলে চোখ ধুই।
সরিষা ক্ষেতে শীত ঢুকলে দূরে পালায় ব্যাকুলতা
লাইটারে চাঁদের আলো।
ভাঙা ব্রিজে সাইকেল উঠে এলে
নদীতে বালুভর্তি ট্রাক ঢুকলে
আমরা দেখতে পাই পুরোন অপেরা
দর্শকআসনে বাজনা বাজছে
বিলি করা হচ্ছে কেক ও ক্রিম বিস্কুট
‘এসট্রেগুলি সংরক্ষণ করে রাখা জরুরি’
কেননা দ্রুত কমে আসছে জাদুঘরের সংখ্যা
হত্যাদৃশ্যের আগে পরে
রং করা হয় আরোগ্য সদন
বিষাদের জায়মান বিস্তারে
ছোট ছোট কাপড়ের পুতুল
দিনের পর দিন চলে যায়
আমাদের কোন আয়না নেই
সাদা আর শান্ত কিছু জলাশয় আছে
জলাশয়ে হেলান দেওয়া কাঠের সিঁড়ি
সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে নামছে চোরাশিকারির
হাসি
তথ্যচিত্র
‘সজনেপাতার আড়ালে তোমার চোখ তাড়া করতে
থাকে’
গুলিয়ে ফেলি খাদ ও জিপগাড়ি।
ভিড়ের ভেতরেও আড়াল থাকে
আলোচনা চলুক, আলোচনা টেবিল
ঘিরে।
ছায়া
দোনলা বন্দুকে পালক গুঁজে দিলে
সব কিছু শোভাযাত্রার মত মনে হয়
শুন্যতার শিরোনামে বাজপাখি বসে থাকে
বদলে যাওয়া মানুষ দেখি
দেখি সেলাইমেশিন ও ম্লান আলো
ছায়া সরে যায়।ছায়া বিস্তারিত হয়
এভাবেই।
গল্প
ক্যাচ উঠছে ধরছি না।
সমস্ত রাত শিশিরের শব্দ।
পোড়াকাঠ জানে আমার একটা গোপন গ্যালারি
আছে
একটি চন্দ্রাহত ঘোড়ার গল্প
নদীর শিয়রে শিয়রে ঘোরে
জন্ম ১৯৭০, ০৩ জানুয়ারি. নয়ের দশকে লিখতে আসা এ কবি উত্তরের লোকজীবনের সাথে জড়িয়ে আছেন তীব্র ভাবে. ত্রিশ বছরের বেশী সময় ধরে কবিতা, গদ্য সহ বিভিন্ন ধারায় অনায়াস যাতায়াত করেছেন. বাংলা ভাষার প্রায় সব কাগজে নিয়মিত লেখালিখি করেছেন, করছেন. ১৯৯৬ সালে তাঁর প্রথম কবিতাবই প্রকাশিত হয় কবিতা পাক্ষিক থেকে. গুরুত্বপূর্ণ কবিতা ও গদ্যের বইগুলো- ধানবাড়ি গানবাড়ি, মাহুত বন্ধু রে, নির্বাচিত কবিতা, বিবাহ বাজনা, নাচঘর, উত্তরজনপদবৃত্তান্ত, মাতব্বর বৃত্তান্ত, ভাঙা সেতুর গান. পেশায় শিক্ষক এ কবি ভালোবাসেন রবিশস্যের খামার বাড়ি, সাদা ঘোড়া আর যৌথ যাপনে চাঁদের আলোয় কবিতা আড্ডা, লোকগানের আমেজ।
পাঠমুগ্ধ