উৎসব সংখ্যা: বিজয় সিংহ’র কবিতা
বাড়ি
রাত্রি ১২ টার পর তুমি শূন্য থেকে
বাতাসের অনুষঙ্গ টেনে নাও
দুপুর ১২টা সেই তোমাকেই সর্বাত্মক করে
রাস্তায়, ঠিকানাহীনতায়
বাড়ি বললেই গুগুল যে টিলাটির সুলুক দিয়েছে
অক্ষাংশ রেখা সেখানেও নিচু, ম্লান
অশ্বগন্ধার পাশেই খ্রিস্টীয় পুরোনো
মদ আর আতুরতা রাখা
এবং যে নৈঃশব্দ, সেইটিই নন্দন
কামার্ত সাপেরা সেথা সাপিনীকে খোঁজে
নন্দনের এক দিকে মহার্ণব, অন্যদিকে
রাক্ষসের বিপুল ফসিল
রাত্রি ১২ টায়, ওগো, তোমার গৃহীত আত্মা
মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি হোক, বিরাজ করুক
সূত্র
হাওয়া কলের ঘূর্ণনে তোমার সংকট-সূত্র
লুকিয়ে রয়েছে
তাকে আবিষ্কার করি ৮-১২-১০য়ে
সেও ছিল নন্দনের বিনির্মাণ, যার
ভূমিকা লিখেছে মহাকাল
কিছুটা মলিন আজ প্রেক্ষিত, মলিন
তব লীলা কমলের হাড়মাস
আউলিয়া গানের মতো
মিশ্টিক দূরত্বে সরে গিয়েছিলে তুমি
১০-৫-২৪, বজ্র-বিদ্যুতের কাছাকাছি
আধপোড়া দুটি লাশ
গুপ্ত বিনিময় করে সূর্যাস্তের সান্ধ্য ভাষায়, যা
পারদ-চটা চাঁদের অধিগম্য ছিল না কখনও, যা
দূরত্ব নির্ণায়কও নয়
নন্দন
সৌন্দর্যসম্ভব সব বৃক্ষ
যেভাবে শেকড়ে বিষ পরস্পর
চারিয়ে দিয়েছে, তাকেও
মন্মথ ভট্ট স্যার কোন
নন্দনসূত্রে বাঁধতে চাইছেন?
কবি