ব্রেকআপের পরে (পর্ব-১০)
কাল খুব বৃষ্টি হয়েছিল। আজকাল বৃষ্টি খুব একটা ঠান্ডা করে না। সকলে অভিযোগ করে।
বৃষ্টি যদি নিজেই পুড়তে থাকে তবে সে শীতল হবে কী করে? তবু এ দহনে রোম্যান্টিকতা আছে।ভিতরে ভিতরে লিখে ফেলা এক আলুলায়িত ভালোবাসার কথা আছে।ঠান্ডা আরাম না থাকুক, মুখচোরা কান্না আছে। মুখচোরা কান্নার পায়ে ঘুমনূপুর।তার অতলান্ত বিরহে কিছু অ্যালজোলাম সান্তনা শব্দ। ‘স্বাহা’ তার পবিত্র উচ্চারণ। তার পুড়ে যাওয়ার ডানায় আঙুর ফলের আফসোস।
আজকাল বৃষ্টি একটুও শান্ত করেনা।তার মেঘ-চোখে দুপুরের ঘনিয়ে আসার ছায়া, বাইপাসের ঘনিষ্ঠ ডাক, তার সাদা পাতায় সঙ্গম সিরিজের চব্বিশটা কবিতা এখনো বিভঙ্গে শুয়ে।
তোমার আর আমার মধ্যে কিছু বৃষ্টি দুপুরই তো বেঁচে আছে। ছাতের লুকোনো কান্নায় কেনো ভাসাও তাদের?
জেনে রেখো ভীষণ রকমের কষ্টের আজো কোনো নাম হয়না।
ভীষণ রকম যন্ত্রণাদের ঘোর
মাঝদুপুরে ডানায় আগুন-গান
পুড়ছে নাকি পোড়াচ্ছে কে জানে?
চোখের তারায় প্রবল বহ্নি স্নান।
দেখেও তুমি বুজতে চাইছো চোখ
গিলে নেওয়ার যন্ত্রণারা একা
ইতস্তত ফুলকি ছোটে এখন
তোমায় ছোঁয়া কল্পনাদের বাঁকে।
তুমি ও জানি জেগেই থাকো পাগল
নিবিড় ব্যথা, ভারাতুর দুই চোখ
একই রকম আগুন জ্বলে বুকে
তোমার দু-ঠোঁট আমার স্বস্তি হোক
আজো আমরা এক ই রকম পুড়ি
একই রকম ঘোরের মধ্যে জ্বর
জলের পটি, নিরাময়ের বড়ি
আমরা দুজন একের মাঝে দোসর।
জন্ম ২১ মার্চ,১৯৭৮। নৃবিদ্যায় স্নাতকোত্তর। ছোট বড় লিটিল ম্যাগাজিন থেকে বিভিন্ন সংবাদপত্র, পত্রিকা ও ওয়েবজিনে নিয়মিত লিখেন। আবৃত্তি ও উপস্থাপনায় সমান জনপ্রিয়।