ব্রেকআপের পরে (পর্ব-১১)
নীরবতার মধ্যে কিছু কান্না লেখা থাকে। তুমি ভীষণ নীরব থাকলে আমি তাই অবান্তর বকি মেসেজে। সরোদের লিঙ্ক পাঠাই।সেই কোন ছোটবেলা থেকে মাথায় ঢুকে গেছে,” পুরুষ কী করে কাঁদে , সেই শুধু জানে।”
তোমার আর আমার মাঝখানে, দুপুরের , মাঝরাতের, বেখেয়ালের, চুমুর ব্রেকের,পিঠের আল্পনা আঁকার অনেক সুর আছে, গুনগুন আছে,বিছানো আছে গান।এখন পিছন ফিরে দেখলে মনে হয় সুর ই বেঁধে রেখেছিল আমাদের। আজ ও তোমাকে গান দিয়ে মনে রাখি, আর গানকে মনে রাখি তুমি দিয়ে। কোনোটা গাড়ি থেকে ফুচকা খেতে নামার আগে ঠোঁট লক করার মধ্যের গুনগুন, কোনটা নদীর ধারে উদাস দাঁড়িয়ে থাকার। এমন কোন ঘনিষ্ঠ মুহুর্ত, আদরের নৌকা নেই, যা আমরা গানে ভরিনি। দিব্য গান শুনলেই বাকি জীবন সম্পর্কটা বাঁচিয়ে রাখা যায় , স্মৃতির আলাপে-বিস্তারে।
সা থেকে সা এর মধ্যে এত সুরে ছড়িয়েছি, জড়িয়েছি আমরা,গানের মহাকাব্য লিখে তার উপর নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছি।
আজকাল একটা বিষয় বড় নিশ্চিন্ত করে। কোনদিন এত সুর মুছে যেতে পারেনা। তোমার আমার মধ্যে এক চোরাস্রোত আলাদা করেছে এ সম্পর্ক,পাল দিয়েছে, সে পালে হাওয়া লাগিয়েছে সুর ও ছন্দ।
হাওয়ার ডানায় যে ছন্দ আছে, সেই ছন্দ যতদিন থাকবে, আমাদের নিঃশ্বাসে ততদিন নিঃশর্ত ভালোবাসা মুক্তি খুজবেই।
ব্রেকআপের পরেও একবার, হাজার বার…।
নীরবতার মধ্যে কিছু উত্তর ও লেখা থাকে।পড়ে নেওয়া যায়, সময়মতো।
কিছু সময় বদলে যাবে কিছু থমকে রইবে
যত বলার কথা ছিল গানে গানে বইবে
কিছু কথা অভিমানী, কিছু নিছক রাগ
কিছু কথা নীরবতা, তুমুল অনুরাগ
ভাঙতে গিয়ে গড়েই ফেলি
গড়তে গিয়ে ভাঙি
কান্নাগুলো সমঝোতা আর
শব্দগুলো দামী।
বার-মহলে মেঘ জমেছে
বৃষ্টির নেই দেখা
সুরের মাঝে তোমায় ফেরাই
সুরের মাঝে একা।
কিছু কথা থমকে আছে, কিছু কান্না কালো
দিন ফুরালে তুমি আমার গানের মতো আলো।।
জন্ম ২১ মার্চ,১৯৭৮। নৃবিদ্যায় স্নাতকোত্তর। ছোট বড় লিটিল ম্যাগাজিন থেকে বিভিন্ন সংবাদপত্র, পত্রিকা ও ওয়েবজিনে নিয়মিত লিখেন। আবৃত্তি ও উপস্থাপনায় সমান জনপ্রিয়।