ব্রেকআপের পরে (পর্ব-৩)
তোমার থেকে দূরে সরতে পাহাড় ছুটি। কদিন বুনো গোলাপ আর ঝর্নাগানের মধ্যে ছলছল ভাসবো ভাবি।পাহাড় তার নৈঃশব্দ্য নিয়ে কিছু টা প্রশান্তিতে ভরিয়ে দেবে এমন আশা।
পাহাড়ের শহরে রাত নেমে আসে সন্ধের বেণী বেয়ে। রাস্তার পাশে ফুটে থাকে রঙ, ফুলেদের মন্তাজ।ভিড় কম যেদিকে, সেদিকে একা একা স্ট্রিট লাইট ভেজে, নানা ফ্যান্টাসি তার।তার নরম সাদা আলোয় স্নান করে দুচারটে বেগুনি, গোলাপি ফুল । তাদের কৌতুক চাহনিতে একটু শিরশিরানি জাগলেও স্ট্রিট লাইট বিহ্বল হয়ে পড়েনা। সে জানে আমলকি বনের আলোর নাচন তার নয়।তার আলো তিলতিল করে গড়ে তোলা নিঃসঙ্গতা,একটা দুটো ফুলের হাসিতে তার সংযম রাখা।তার ফ্যান্টাসিতে একলা ভেজার দুঃখ-বিলাস আছে, কোথাও না পৌঁছানোর শব্দহীন গরিমা আছে, আর আছে পথ চাওয়া।কে এসে আজ বসবে নির্জন বেঞ্চটিতে? তার সঙ্গে কেমন জমবে নিস্তরঙ্গ আলাপ?
আমার সঙ্গে চোখাচোখি হতে সে নিশ্চিন্তে চোখ সরালো, আমি হৃদয়। দুজনেই জানি অবাধ্য হওয়ার জন্য বড় পরিমিত তেল প্রদীপে, বুক উস্কে দিলেই জ্বলে-পুড়ে খাক্।
একলা রাস্তা জানে স্ট্রিট লাইটের কান্না, আর আমি জানি,একলা বাঁচায় কতটা স্পর্ধা রাখা থাকে।
ফুলেরা আলগোছে হেসে গড়িয়ে পড়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে, কৌতুক তাকেই মানায় যার রঙ আছে।
আমার সবটুকু রঙ এ জন্মের মতো নিরুদ্দেশে গেছে।ব্রেক আপের পর রঙ লাগেনা চোখে, ‘মর্মে ‘ তো নৈব নৈব চ।
.

জন্ম ২১ মার্চ,১৯৭৮। নৃবিদ্যায় স্নাতকোত্তর। ছোট বড় লিটিল ম্যাগাজিন থেকে বিভিন্ন সংবাদপত্র, পত্রিকা ও ওয়েবজিনে নিয়মিত লিখেন। আবৃত্তি ও উপস্থাপনায় সমান জনপ্রিয়।