কবিতা:
কোলাজ
ছুটোছুটির মধ্যে কাটে দিন
এলার্ম বাজে সকাল ও সন্ধ্যায়
আকুল করা মিষ্টি বিকেল কই
ধূসরতার মেঘ নিয়ে দিন যায়।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ হরে
গেরুয়া রং দিন কেটেছে কাল
ঝড় উঠেনি বয় নি বাতাস কোন
কিš‘ ছিড়ে নায়ের রঙিন পাল।
আমরা অবাক,অবাক সকল লোক
সবুজ পাতার জন্যে রাখি শোক
নারিকেলে পূর্ণতা না আসে
আগেই তার নীচে আসার ঝোঁক।
আটটা তিনে ঘন্টা বাজে দূরে
ঘড়িটার জন্যে করি রাগ
দায়িত্বহীন কেয়ার টেকার হাসে
রইলো প্রসাদ চারের তিন ভাগ।
তিনটা লোক মোড়ে আড্ডা মারে
তেতো চায়ে ভেজায় শুকনো গলা
নতুন বধূ সিঁদুর মাখে ভোরে
শাঁখার সাথে দুই হাতে দুই পলা।
মেঘের ময়ূর পাখনা মেলে দেখি
হাতির শুঁড়েও জলের বিন্দু খেলে
ধানের শীষে শিশির বিন্দু জমে
অচিন পাখি হাওয়ায় পাখা মেলে।
দিনের গায়ে আঁধার রাখে চোখ
তারা জ্বলার সময় এলো বুঝি
একটখানি সময় দাও না প্রিয়
তোমার মনে মনি মুক্তো খুঁজি।
দুঃসময়
মাটির প্রদীপ ছিলো খুব কাছে, আজ তার শরীরের ধুলো
উড়ে যায় দখিনা হাওয়ায়
প্রদীপের স্থানে আজ মোমবাতি
দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে এই বুঝি প্রজ্জ্বলন হলো
এই বুঝি আলোতে মাখামাখি হয়ে গেলো সব তৈজস!
জ্বলে কই? জ্বালানোর দায় নিয়ে যে আজ এসেছিলো গৃহে
সে দেখো বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাওয়া চাখে
শহুরে তালের টেকে গ্রামীণ শব্দ খুঁজে ফিরে
কচুরীপানার ঝোঁপে ডাহুকের চলা ফেরা দেখে
আর দেখে বহুতল ভবনের আকাশ ছোঁয়ার নেশা…
স্বপ্নের সাইনবোর্ড জ্বলে নেভে এরে ওরে আহবান করে
সেও সেই আলোকেই ভালোবেসে সন্ধ্যে কাটায়
মোমবাতি অন্ধকারে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে দেখে
মানুষের জ্ঞানহীন কান্ডকারখানা
তার চোখে জল নেই, থাকলে দুঁফোটা দিতো ভূমিকেই,
সাক্ষী হতো সাথে তার দুঃসময়ের।
ছড়া:
সূর্য মামার ভোট
সূর্য মামা গ্রীষ্মকালে
দাঁড়ায় যদি ভোটে
সত্যি বলছি এই কথাটা
ভোট পাবে না মোটে।
গ্রীষ্মকালে চাঁদি জ্বালায়
সূর্য মামার তাপ
শস্য শ্যামল বাংলাদেশও
ছাড়তে থাকে ভাপ।
সেদ্ধ হয় মানুষ পশু
জলাশয়ের পানি
গ্রীষ্মকালে ভোট হলে ঠিক
ফেল করবে জানি।
তবে মামা শীতে যদি
দাড়ায় গণভোটে,
কয়েক কোটি গরীব মানুষ
আসবে মামার জোটে।
চন্দ্রমামা
চন্দ্রমামার কান্ড বুঝি না তো
পূর্ণ থেকে শূন্য মামা হয়
অমাবস্যায় চন্দ্রমামা বলো
কোথায় গিয়ে ঘাপটি মেরে রয়?
দ্বিতীয়াতে আবার মামা
দেখায় একটু হাসি
তখন সে তো কাস্তে মামা
তাকেও ভালবাসি।
পূর্ণিমাতে রূপোর থালা
হাসতে থাকে নিজে
মাঠ প্রান্তর সাগর পাহাড়
মামার আলোয় ভিজে।
সব সময়ই থাকলে পূর্ণ
কি হয় মামা বলনা একবার
কেন তুমি হারিয়ে যাও
হারাও তুমি কোন সাগরের পার?
কবি ও ছড়াকার
পেশায়:
উপ-পরিচালক(অর্থ)
শতভাগ ডিএনই (ডিএমসিএস) প্রকল্প
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড।