পদসঞ্চার (পর্ব-১৪)
১০ এপ্রিল । শুক্রবার । রাত দশটা
সব কেমন থমথমে হয়ে আছে। বেশি কেউ ফোন করে না। মেল আসে না। করোনার আতঙ্ক। বিশ্বব্যাপী সংকট। পালানোর পথ নেই কোথাও। করোনার আতঙ্ক, দুর্ভিক্ষের আতঙ্ক, বেকারির আতঙ্ক। জীবনের শেষপর্বে দেখে গেলাম বৈশ্বিক মহামারীর আতঙ্ক। তার শ্বাসরোধী করাল ছায়া। সারা বিশ্বে আক্রান্ত ১৫৪৪০৯১, মৃত ৯০৯৮৫। ভারতে আক্রান্ত ৫৮৬৫, মৃত ১৬৯। রাজ্যেও বাড়ছে সংখ্যা। ঠিকঠিক পরীক্ষা হলে আরও বাড়ত সংখ্যা। কিন্তু লক্ষণহীন বাহকদের পরীক্ষা হবে কিভাবে!
মাঝে মাঝে কেমন একটা বিযণ্ণতা জাগে। করোনা-আক্রান্ত দেশগুলি, যেখানে মৃত্যুর মিছিল চলছে, সেখানকার মানুষদেরও কি মনে বিযণ্ণতা জাগে!
হঠাৎ একটা অদ্ভুত কথা মনে হয়। পৃথিবীটা কত ছোট হয়ে গিয়েছিল প্রযুক্তির কল্যাণে। গত শতকের শেযদিকে বিশ্বায়নের ঢক্কানিনাদ। দ্রুতগামী যান-বাহনের কি মহিমা! করোনাভাইরাস হয়তো আবার পৃথিবীটাকে বড় করে দেবে। একদেশের মানুষ সহজে অন্য দেশে যাবে না। বিজ্ঞান দূরকে নিকট করেছিল, করোনা নিকটকে দূর করে দেবে।
আজকে বিকেলে আমি আর আরতি ‘কন্টাজিয়ন’ সিনেমাটা দেখছিলাম। ২০১১ সালের এই সিনেমাটার খুব চর্চা হচ্ছে এখন। এখনকার বাস্তব মহামারীর সঙ্গে সিনেমার কল্পিত মহামারীর খুব মিল। এটি একটি আমেরিকান থ্রিলার। সিনেমার পরিচালক স্টিভেন সোদারবার্গ। অভিনয় করেছেন– ম্যারিয়ন কোর্টল্যান্ড, লরেন্স ফিসবার্ন, জুডে ল, কাটে উনসলেট, মট ডামন, ব্রায়ান ক্রান্সটন- এঁরা সব।
সিনেমায় ভাইরাসটির নাম মেভ-১ ; এখনকার বাস্তব ভাইরাস হল কোভিদ-১৯। বাস্তবের মতো সিনেমায়ও ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চিন। সিনেমায় বলা হয়েছে এক নির্মাণকর্মী চিনের বনে গাছ কাটছিল। সে গাছে বাস করত বাদুড়। এক বাদুড়ের শরীরে মেভ-১ ভাইরাস ছিল। বাদুড়ের মুখে ছিল কলা। উড়ে যাবার সময় তার মুখের সেই কলা পড়ে এক শুয়োরের খোঁয়াড়ে। একটি শুয়োর বাদুড়ের মুখের কলা খায়। পরে সেই শুয়োর যায় এক হোটেলে। যে হোটেলকর্মী শুয়োরটিকে কাটে সে হয়ে যায় ভাইরাসের বাহক। তার স্পর্শে ছড়িয়ে যায় ভাইরাস।
ভাইরাস আমেরিকায় কিভাবে আসে সিনেমায় তাই দেখানো হয়েছে।
আমেরিকার মিনেপোলিসের বেথ এমহফ বাণিজ্যিক কারণে হংকং গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি এক হোটেলকর্মীর স্পর্শে ভাইরাস সংক্রমিত হন। সেকথা তিনি নিজেও জানতেন না। ফেরার পথে শিকাগো বিমান বন্দরে তাঁর শরীর খারাপ হয়। তিনি ভেবেছিলেন ব্যাপারটা বোধহয় জেটল্যাগ। তারপর তিনি মিনেপোলিসে ফিরে আসেন। পুত্র ক্লার্ক ও স্বামী মিচ তাঁদের অজান্তেই ভাইরাস সংক্রমিত হন। মা ও ছেলে মারা যান। মিচকে যেতে হয় কোয়ারেন্টাইনে। দেখতে দেখতে এই রহস্যময় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে নানা দেশে। শেষে তার প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়। অপরিকল্পিতভাবে ও নির্বিচারে অরণ্য ধ্বংস করে আমরা দুই ধরনের বিপদ ডেকে আনছি। প্রথমত পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত করছি, দ্বিতীয়ত সংক্রমিত হবার জন্য ডেকে আনছি বন্য প্রাণীর ভাইরাসকে।
উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রকৃতি থেকে যে মৌলিক উপাদানগুলি [ CHOPSKN , Ca, Fe, Mg ] আহরণ করে, সেগুলি তারা ব্যবহার করার পরে রেচন ও পচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবার পরিবেশে ফিরিয়ে দেয়। তাই আমাদের পরিবেশে মৌলিক পদার্থের পরিমাণ একই আছে। এসব মৌলিক পদার্থের এক-একটি পরমাণু জীবসৃষ্টির সময় থেকে চক্রাকারে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই আবর্তনচক্রের মধ্যে কার্বনচক্র, জলচক্র, অক্সিজেন-নাইট্রোজেনচক্র সচল থাকার জন্য প্রাণী ও উদ্ভিদ তাদের প্রয়োজনীয় উপকরণ আহরণ করে বজায় রাখে তাদের জীবনপ্রবাহ। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর সুষম অনুপাত [ Survival Ratio of Green Plant to Animal ] বজায় রাখতে হবে। না হলে পৃথিবীতে থাকবে না প্রাণের অস্তিত্ব। সুবজ উদ্ভিদের সঙ্গে প্রাণীর সুষম অনুপাত হল ৯৯: ১। মূঢ় মানুষকে বুঝতে হবে যে ৯৯ ভাগ উদ্ভিদ যদি থাকে তাহলে ১ ভাগ প্রাণী ঠিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে। আমরা কিন্তু নানাভাবে পরিবেশের ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করে চলেছি। অরণ্য-উচ্ছেদ তার একটি।
অরণ্য ধ্বংস করার ফলে আর এক গুরুতর বিপদ আমরা ডেকে আনছি, এবং যার ফল আমরা কয়েক দশক ধরে ভুগছি। সাম্প্রতিককালের করোনাভাইরাসও তারই ফল। অরণ্য ধ্বংস করার ফলে বন্য প্রাণীর শরীরে থাকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের শরীরে। ‘কন্টাজিয়ান’ সিনেমায় দেখা গেছে বাদুড়ের ভাইরাস মানুষের শরীরে ঢুকেছে। করোনার ক্ষেত্রেও তাই। ক্যাটারিনা জিমার লিখেছিলেন, ‘ Over the past two decades, a growing body of scientific evidence suggests that deforestation, by triggering a cascade of events , creates the condition for a range of pathogens– such as Nipah and Lassa viruses and the parasites that cause Malaria and Lyme diseases—to spread to people. ‘
১৯৯৭ সালে কৃষির জন্য ইন্দোনেশিয়ায় বন পুড়িয়ে ফেলা হয়। তার ফলে সেখানকার ফলজীবী বাদুড় উড়ে চলে যায় মালয়েশিয়ার বাগানে। তাদের ভুক্তাবশিষ্ট ফল শুয়োর খায়। ফলে সেসব পশু যারা পালন করত তারা নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। ধীরে ধীরে সেই ভাইরাস দক্চিণ-পূর্ব এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
বন কেটে ফেলার ফলে যে মশা বৃদ্ধি পেয়েছে তার প্রমাণ আ্যমাজন অববাহিকা। ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিডেমোলজিস্ট আ্যমে ভিট্টর বলেছেন বন কাটলে বনের ধারে ছোট জলাশয়ে আশ্রয় নেয় মশা। তার ফলে এই অববাহিকায় ২০০০-২০১৫ পর্যন্ত ম্যালেরিয়ার প্রকোপ ছিল। বছরে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ মারা যেত।লাইবেরিয়ায় বন কেটে তাল গাছ লাগানোর জন্য সেখানকার মানুষ ইঁদুরজাত লাসা ও ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। উগান্ডার বনের জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। শহরাঞ্চলে তারা আদর্শ জায়গা খুঁজে নেয়। অরণ্য উচ্ছেদের জন্য যে পৃথিবীর অনেক নতুন ব্যাধি এসেছে সে কথা ১৯১৫ সালে নিউইয়র্কের ইকোহেল্প আ্যালায়েন্সের গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, ‘ Nearly one in three outbreaks of new and emerging diseases are linked to land-use change like deforestation .’ নিজস্ব পরিবেশ ধ্বংস হওয়ার ফলে করোনাভাইরাসও বেরিয়ে এসেছে।
মানুষ ও বন্য প্রাণীর মধ্যে একটা স্বাভাবিক ব্যবধান থাকে। কিন্তু সে ব্যবধানের সীমারেখা মুছে দিচ্ছে অরণ্য, জলাভূমি, জীবজন্তু ও উদ্ভিদের বিনাশ। এর ফলেই ঘটছে নানা ধরনের ‘জুনোটিক’ সংক্রমণ। প্রাণীর শরীরের ভাইরাস চলে আসছে মানুষের শরীরে। এক প্রজাতির শরীরের জীবাণু অন্য প্রজাতির শরীরে ঢুকলেই বিপদ ঘটে। এর জন্য দায়ী হল মানুষের লাভ ও লোভ। যাকে ক্রমাগতভাবে বর্ধিত করেছে উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ। যারা নতুন ভূখন্ডে উপনিবেশ স্থাপন করল, তারা তাদের রোগ সংক্রমিত করে দিল সেখানকার আদিবাসীদের মধ্যে। আ্যলফ্রেড ক্রশবি তাঁর ‘দি বায়োলজিক্যাল এক্সপ্যানশন অফ ইউরোপ- ৯০০-১৯০০’ বইতে একেই বলেছেন ‘ইকোলজিক্যাল ইম্পিরিয়ালিজম’। নির্বিচার পরিবেশ ধ্বংসের জন্য দায়ী সাম্রাজ্যবাদ। তার মূল কথা হল ‘প্রাইভেট প্রফিট ম্যাক্সিমাইজেশন’। যেভাবেই হোক বাড়াতে হবে উৎপাদন। পরিবেশ ধ্ংস হলে হবে। ‘অতি উৎপাদনের মহামারী’ মানুষের ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বাড়িয়ে তুলল। আঠারো-উনিশ শতকে ইংল্যান্ড নেতৃত্ব দিল লাভ ও লোভের এই প্রবণতাকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে এগিয়ে এল আমেরিকা। তারপরে এল জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি। তারপরে জাপান ও চিন।
সাম্রাজ্যবাদ যে সমস্ত ধরনের সম্পর্ককে ( মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক, মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক) পণ্য করে তুলেছিল, তা প্রায় কবিতার ভাষায় লিখেছিলেন কার্ল মার্কস তাঁর ‘ কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো’ বইটিতে। ১৮৭৬ সালে ‘বানর থেকে মানুষে বিবর্তনে শ্রমের ভূমিকা’ বইটিতে ফ্রেডারিক এঙ্গেলস বলেছিলেন যে প্রকৃতির উপর আধিপত্য বিস্তারের ঢক্কানিনাদ করলে একদিন প্রকৃতি প্রতিশোধ নিতে পারে, ‘ Let us not flatter ourselves overmuch on account of our human victories over nature . For each such victory nature takes the revenge on us .’
এ ভবিষ্যদ্বাণী উনিশ শতকের। আজ একবিংশ শতকে, করোনাভাইরাসের আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে, বলা হচ্ছে প্রকৃতির প্রতিশোধের কথা। এঙ্গেলস বলছেন যে প্রথম স্তরে প্রকৃতি বিজয়ের সাফল্য আমরা পেতে পারি, তারপরে অপ্রত্যাশিতভাবে আসে প্রকৃতির প্রতিশোধ। মনে রাখতে হবে উপনিবেশবাদীরা যেমন অন্য দেশ দখল করে, তেমনিভাবে আমরা প্রকৃতির উপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারি না । বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে মানুষ শুধু প্রকৃতির নিয়ম আবিষ্কার ও তাকে প্রয়োগ করতে পারে। –‘ It is true in the first place bring about the result we expected, but in the second and third places it has quite different, unforeseen effects which only too often cancel the first. Thus at every step we are reminded that we by no means rule over nature like a conqueror
over foreign people, like someone standing outside nature—but that we , with flesh, bloodand brain belong to nature and exist in its midst, and that all our mastery of it consists in the fact that we have the advantage over all other creatures of being able to learn its laws and apply correctly.’ মার্কস-এঙ্গেলসের এইসব কথা এখনকার কমিউনিস্ট দেশগুলি কতখানি মেনে চলেন কে জানে! মেনে চললে জীবাণু অস্ত্রের গবেষণা থেকে বিরত থাকতেন।
আজ পৃথিবী লণ্ডভণ্ড করছে করোনা। ভীতিতাড়িত হয়েও ভাবছি, এটা কোন সতর্কবাণী নয়তো! ক্ষমতাশালীদের সমস্ত অ্হমিকা চূর্ণ করে দিয়েছে করোনা। করোনার সতর্কবাণীতে হয়তো প্রচ্ছন্ন আছে একথা : এখন সতর্ক না হলে আগামী দিনে আরও বড় কোন বিপদ আসবে!
ঠিক এ কথাই সেদিন বলছিল অরিজিৎ। ফোনে। বলছিল, ‘জেঠু, করোনা চলে যাবার পরে পৃথিবীকে আগের লাভ ও লোভের ছন্দে ফিরিয়ে নিয়ে গেলে বড় বিপদ কেউ ঠেকাতে পারবে না।’ আমারও ধারনা, পৃথিবীতে পরিবর্তন ঘটবে । মুখ থুবড়ে পড়বে সাম্রাজ্যবাদ ও বিশ্বায়ন। আগ্রাসী চাহিদার লাগাম টানবে মানুষ। প্রকৃতি ও পরিবেশের কাছে নতজানু হয়ে বসার শিক্ষা পাবে। পরিবর্তন আসবে মানব সম্পর্কেও।
করোনাভাইরাসের প্রভাব থিতিয়ে যাবার পরে বিশ্বের অর্থনীতির গতিপথ কোনদিকে যাবে তার একটা চমৎকার আলোচনা করেছেন রতন রায়চৌধুরী। যে অর্থনৈতিক বিপর্যয় আসবে এরপরে তা থেকে কোনদেশ নিজেকে বাঁচাতে সক্ষম হবে তার একটা আভাস দিচ্ছেন অর্থনৈতিক ভাষ্যকারেরা। সেখানে দেখা যাচ্ছে মূলত সমাজতান্ত্রিক দেশগুলির সঙ্গে, যে সব দেশে ব্যাঙ্ক, বিমা, যোগাযোগ, পরিবহন ইত্যাদিতে সরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ অধিক, সেসব দেশের এই বিপর্যয় মোকাবিলা করার ক্ষমতা হবে বেশি। তাই ধনতান্ত্রিক দেশগুলি সম্মুখীন হবে প্রবল বিপর্যয়ের।
এবার সময় এসেছে ধনতান্ত্রিক দর্শন পরিত্যাগ করে, নিজেদের ভাবনাকে (ভোগবাদী ভাবনা ) কলুষমুক্ত করে আগামী পৃথিবীকে সমস্ত প্রাণীর বাসযোগ্য করে তোলা। সব সময় মনে রাখা দরকার পৃথিবী শুধু মানুষের নয়। পৃথিবীকে সমস্ত প্রাণীর বাসযোগ্য করার জন্য উপযুক্ত পরিকল্পনা প্রয়োজন। সে পরিকল্পনা শুধু রাষ্ট্রনেতারা করতে পারবেন না । তার জন্য বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, ইতিহাসবিদ, শিল্পী সকলের সহায়তা প্রয়োজন। সমরাস্ত্র নির্মাণ করে, পরমাণু গবেষণার সমৃদ্ধি ঘটিয়ে মানব সভ্যতা বা নিজের দেশ- কোনটাকেই সুরক্ষিত করা যাবে না। পরিত্যাগ করতে হবে ভোগবাদী দর্শন ও বাজার অর্থনীতি। কারণ এগুলি জন্ম দে্য় এক সর্বগ্রাসী ক্ষুধার। ধনতন্ত্র পৃথিবীতে অন্ত্যহীন চাহিদার অতিমারী ঘটিয়েছে। চাহিদাজনিত দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে মানুষ। তাই ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে বোঝার পাহাড়। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘আমি যত ভার জমিয়ে তুলেছি সকলি হয়েছে বোঝা।’
[ক্রমশ]
আগের সবগুলো পর্ব ও লেখকের অন্যান্য লেখা পড়তে ক্লিক করুন।
![দিলীপ মজুমদার](https://irabotee.com/wp-content/uploads/2022/12/10806374_1509715065966249_665369-150x150.jpg)
গবেষক