রক্তাক্ত বালিকা
……………………
তন্দ্রাময় দেহে বালিকা টলছে
হলুদ ফুলের গালিচায়,উঁচিয়ে
ডাঁটের লতার ভেতর পা ডুবে
এখানে কুমুদ বাস করে লুকায়
কেউ দেখেনা বালিকার পা খুঁজে
হিসহিস করে সবুজ সাপ নাচে যখন
ও পাড়ায় ছাদে ছাদে ডিজে, সব ঘর
অন্ধ। চাঁদের সরু রেখা পর্দা ভেদ করে
বালিকা কেঁদে উঠে তখন। চিকচিক
করে চোখের জল। একসময় সকাল
হলে শুকায়,সাপের পেট রক্তে ভরে যায়
ক্লাবঘর হাসাহাসি রাতের আকাশ জানে।
এবার একটা বাঁশ আসলো
বাঁশের উপর বালিকা শুয়ে
ঢোল
…………….
ঢোলের বাদনায়
শরীরে শারীরিকনৃত্য দোলায়
অমন কইরা ঢোল বাজাও…
ক্ষেপ মাইরা শরীরদুলুনি কেন ঘোলাও?
রাষ্ট্র বলো সমাজ বলো কেবল বেঢোল গুলাও-
প্রেম কইয়া চুলে মেহেদী মাখাইয়া মডেল মাড়াও
রোদ ২
………..
রোদ ঢেকে আছে তাইনা
গাল টেপে হাসি আসেনা
রোদের খেলার সাথী
মন মরে বসে ব্যথী
তোমার জানালা খুলো,
দেখবে মেঘের ভেলাগুলো
কেঁদে কুঁদে জল ফেলে
তুমি চলে গেলে ভিজে গালে।
প্রজাপতি বসে, আমাদের কাঁধে
সেদিন শুনেছে গানের কথাতে
ফিসফিস কামুক সুরেতে,
কাশবনে ফুল নেই আছে ঘরে চন্দন
রেখে যাওয়া এ শ্বেত কত কত ঘনমান!
কপালে তিলক না লাগিয়ে
শরীরে মাখিয়ে,নয়ন রাঙিয়ে
তোমার নাচের সারথিরা নাচে
এখানে স্বর্গ গড়ে, প্রদাহ ছেঁচে ..
পাখিদের গান হয়তো আরেক
সন্ধ্যায় আরেক গলিতে প্লাবক,
রোদ ঢুকে যায় মেঘের গর্ভে
তোমার ভ্রুণে আমি রব সবে।
অধরা
………..
স্পর্শেতে হারাতে গিয়ে হলুদ স্পর্শ দেখি
ঘরে ফিরে আসতে আসতে…
কনকনে ঠাণ্ডা, এখনো মনে হয়
সারাটা সকালের কুহেলিকায় শীত ঘাম
লেগে আছে জ্যাকেটের পকেটে,আছে আরেকটি হাত
অধরার ঘাম নিয়ে একটি চকচকে ধুপের সকাল যাচ্ছিল;
একটি বিকেল ছিল একবারি ভেজা মাটির ঘ্রাণে
চিরটাকাল বিকেলটির স্পর্শে ঘরে ফিরে আসতে চাই
চক্র
………
বহুনৈসর্গিক সৃষ্টিকার্য পায়ের
নিচে রেখেছিলে, শুনছিলে শীতল শব্দের কনকন
তাল সুর। রোমাঞ্চের ব্যাপ্ততা আদিপিতার ঘুমন্ত পাহাড়ে
জেগেছিলো,আমার মায়ের চোখে সেই পাহাড়
দেখেছিলাম প্রথমবার।
যেখানে প্রাচীন জনপদের স্রোত এসে মিশিলো।