ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এই উপায়গুলো জেনে রাখুন:
নিয়মিত ব্যায়াম ডায়াবেটিস প্রতিরোধে উপকারী। কেন? ব্যায়াম কোষের ইনসুলিনের স্পর্শকাতরতা বাড়ায়। আর এতে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রি-ডায়াবেটিস রোগীদের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা যায়, মধ্যম মাত্রার ব্যায়াম ৫১ শতাংশ ইনসুলিনের স্পর্শকারতা বাড়ায়। আর বেশি মাত্রার ব্যায়াম ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ইনসুলিনের স্পর্শকাতরতা বাড়ায়। তবে এটি কেবল নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমেই সম্ভব।
২. ওজন নিয়ন্ত্রণ
মুটিয়ে গেলে যে সবারই ডায়াবেটিস হবে ব্যাপারটি তা নয়। তবে অধিকাংশেরই ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যাদের ওজন বেশি থাকে, তাদের সাধারণত পেটের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের দিকে মেদ বেশি হয়। যেমন: লিভার। এই মেদকে ভিসেরাল চর্বি বলা হয়। এই ধরনের চর্বি প্রদাহ ও ইনসুলিন রেসিসটেন্স তৈরি করে। আর এতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
৩. ধূমপান না করা
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর- এটা সবারই জানা। এই বিষয়টি হৃদরোগ, ক্যান্সার তৈরির পাশাপাশি ডায়াবেটিস হওয়ারও আশঙ্কা বাড়ায়। গবেষণায় বলা হয়, সাধারণ মানুষের তুলনায় ধূমপায়ীদের ৪৪ ভাগ বেশি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে।
৪. কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া
কিটোজেনিক বা কম কার্বোহাইড্রেটের ডায়েট ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কার্যকর। খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেট কম থাকলে ওজন কমতে সাহায্য হয়। ওজন কমলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়।
৫. ভিটামিন ‘ডি’-এর মাত্রা ঠিকঠাক রাখা
রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য ভিটামিন ডি খুব গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতি রয়েছে তাদের সব ধরনের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। দেহে এ ভিটামিনের মাত্রা থাকা উচিত, অন্তত ৩০ এনজি/এমএল। আরেকটি গবেষণায় বলা হয়, যাদের শরীরে ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে, তাদের টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৪৩ শতাংশ কমে।
কৃতজ্ঞতা : হেলথলাইন