তিস্তাপারের বৃত্তান্তের কথোয়ালের আর নদীর কাছে আসা হলো না
১৯৩৬ থেকে ২০২০, ৮৪ বছর সংখ্যার হিসাবে পূর্ণ যাপিত জীবন, কিন্তু কিছু কিছু জীবন থাকে যার শূণ্যতা যাবতীয় পূর্ণতাকেই শূণ্য করে দেয়। দেবেশ রায়, ভারতীয় সাহিত্য বা চিন্তিন বিশ্বে সেই শূণ্যতা দিয়ে গেলেন, ১৪ মে। পাবনার পিতৃপুরুষের ভিটা ছেড়ে দেবেশ রায়ের ঠাকুরদা উমেশচন্দ্র রায় চলে আসেন ১৯৪৩-এ। এই ‘ভিটা’ নিয়েই, শেকড়ের সন্ধানেই তাঁর সৃজন মননের যাবতীয় নির্মান, স্বপ্ন, কল্পনা। এই শেকড়ের অন্বেষণে ছুটে চলা মানুষটি থামলেন, কিন্তু সত্যিইকি থামলেন? নাকি, যাত্রার পথ বাতলে দিতে রেখে গেলেন তাঁর সাহিত্যের সম্ভারকে? আত্মকথায় যিনি লিখেছিলেন, “ঠাকুরদার নাম জানি না—মানুষটি জড়িয়ে আছেন। ঠাকুরদার বাবার নামটাও জানি, ঠিক কী জানি না। তবে জানাটা একেবারে অবিশ্বাস করি না। ঠাকুরদা থেকে আমি পর্যন্ত যদি তিন প্রজন্ম ধরা যায় তাহলে বলা যেতে পারে এই তিন পুরুষের বেশির ভাগ সময়েই আমাদের বাড়ি ছিল না। অথচ আমরা, আমাদের ছেলেমেয়েরা অনেকেই বাড়িমনা। আমাদের সেই বাড়ি, সব সময়ই স্মৃতির বাড়ি। যেন আমরা যে যেখানে আছি সেতা আমাদের বাড়ি নয়। অন্য কোথাও আমাদের একটা বাড়ি আছে। আমরা সেদিক দিয়ে স্মৃতিতাড়িত বংশ। সব সময়ই নিজেদের বাড়ি খুঁজে বেড়াই। ইহুদিদের মতো। কিংবা আফ্রো আমেরিকানদের মতো। আমাদের বাড়িতে কোনোদিন না-জানা দেশ থেকে মানুষজন আসতেন, তাঁরা দু-একদিনের মধ্যেই আমাদের সেই আসল দেশটার আভাস দিয়েই চলে যেতেন, কিন্তু তাতে তো এটাই প্রমাণ হত নির্ভুল– আমাদের সত্যিকারের একিটা দেশ আছে।” (আত্মকথা, গায়ে গায়ে বাঁচা। আরম্ভ জুন ২০১৩) সেই অর্থে কোনোদিন উদ্বাস্তু জীবন যাপন করেননি তিনি, কিন্তু ভিটা তাঁর অন্বষণের দিশাচিহ্ন ছিলো আজীবন। সেই পরিব্রাজক আজ দেশের বাস্তবিক সীমার বাইরের সীমানামুক্ত মহাকালের সাথী হলেন।
১৯৫৫-কে প্রকাশকালের সূচনা বিন্দু ধরলে প্রায় সাত দশক এক ‘কথোয়াল’ আত্মকথনের এক স্বতন্ত্র জগতে পৌঁছেছিলেন, আশি উর্দ্ধ সাহিত্যিকের এ নিজেরই তৈরি নিজস্ব ভূবন। হিমালয় সন্নিহিত বাংলার তিস্তাপারের এই কথোয়ালের গল্পে মিশে থাকে তাঁর সবাক উপস্থিতি, অভিজ্ঞতার কথা, ক্রমশ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবাক কথন আরো মুখরিত। যে বিকল্পহীন একান্তবর্তিতার কথা তার আখ্যানে তুলে আনছেন সেখানে থাকে তার সময়ের স্পন্দন, হাসি কান্ন, দ্বন্দ্ব, চলমান সময় তার বৈপরীত্যের সহ-অবস্থান এবং সংঘর্ষ। কৈশোরের শহর জলপাইগুড়িতে স্মৃতি হাতড়ে খুঁজে বেরানো এই মানুষটার ভেতরে তার নিজস্ব যে ভূবন তা তার বেড়ে ওঠার জগত, নিজের কথায় যেমন লিখেছেন, ‘দেশ বিদেশের কোথাও আমার বাড়ির হদিস করলে আমি জলপাইগুড়িই বলে। ম্যাপে জলপাইগুড়ি বের করা মুস্কিল। আমি তখন, পূর্ব হিমালয়ের নেপাল-সিকিম-ভুটানের অপর আঙ্গুল চালাই”।
জন্মেছিলেন ১৯৩৬-এর ১৭ ডিসেম্বর, পাবনা জেলার বাঘমারা গ্রামে। দেশ ভাগের আগে, ১৯৪৩এ সাত বছরের দেবেশ গ্রামের সেই বাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি চলে আসেন দাদুর চাকরির ঠিকানায়। ১৯৫২তে ছাত্র দেবেশ জিলা স্কুল থেকে ফাইনাল পাশ করে আনন্দচন্দ্র কলেজে ভর্তী হন। ১৯৫৬ সালে সেখান থেকে বাংলা অনার্স নিয়ে পাশ করেন। ১৯৫৮তে এম এ পাশ করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে, এর পর সেই শেকড়ের টানেই আনন্দ চন্দ্র কলেজে শিক্ষকতা নিয়ে আসেন। ১৯৫৮-৭৫ একটানা এই কলেজে অধ্যাপনা করেন, এর পর আবার কলকাতা, সেন্টার ফর সোশয়াল সায়েন্সে যোগ দেন। উত্তর জনপদের মানুষজনকে, তাদের দোইনন্দিন বাচার যুদ্ধ, স্বপ্ন ও স্বপ্ন ভঙ্গ তিনি প্রত্যক্ষ ভাবে দেখেছেন। এই অভিজ্ঞতা ও স্মৃতির ফসল ‘তিস্তা পারের বৃত্তান্ত’, ‘তিস্তা পুরান’ এর মত ব্যাপ্ত ও বস্তৃত আখ্যান, অথবা ‘আপাতত শান্তি কল্যান হয়ে আছে’, মানুষ খুন করে কেনো’র মতো লেখা। ১৯৫৩-তে জলপাইগুড়ির পত্রিকা ‘জলার্ক’এ প্রকাশিত ‘নিশিগন্ধা’ তার মুদ্রিত প্রথম লেখা, এর পর তিস্তাকে নিয়ে লিখেন ‘মৃতদংশন ও বিপজ্জনক ঘাট’। এভাবেই তাঁর রাজনীতির মানুষ থেকে সাহিত্যের আংগনে চলে আসা। এই জলপাইগুড়ি আজ তার গর্বের সন্তানকে হারালো। যে গোটা জীবন বহন করেছেন একটি নদীকে, এই নদীর জল হাওয়া মাটির মানুষের স্মৃতি। আজ শেষ বেলায় তার ভাষাতেই বলতে হয়, ‘তিস্তা পৃথিবীর যে কোনো নদীর সমস্পর্ধী। এ এক অদ্ভূত বৈপরীত্য। তিস্তা যখন আমাদের ঘরের সিঁড়িতে বা দরজাতেই তখন সে দৈনন্দিনের অংশ হয়ে যায়। সে আর অচেনা থাকে না, আর, যখন সে অচেনা তখন আর সে দৈনন্দিন থাকে না, জলপাইগুড়ি শহর নিয়ে ও তিস্তা নিয়ে দৈনন্দিন আর অচেনার এই দ্বন্দ্ব আমার মিটল না। …তখন স্মৃতি এসে বাস্তবের দখল নিয়েছে। তখন তো আমার শৈশবের সেই পুকুরগামী জলপ্রপাত দিগন্তগামী হয়েও তিস্তার জলপ্রলয় হয়ে উঠছে। তখন তো আমি আমার শৈশবের জলস্রোতকে ফিরে পেয়েছি। স্মৃতি বড় কঠিন অসুখ। সে আগুনে লোহা গলে যায়। আজ দেবেশ শূন্য বাংলা সাহিত্য স্মৃতি ও সময়ের সব হারানো কষ্টে নিমিজ্জিত। এর থেকে আশু নিস্তারের পথ নেই।
বাংলা তথা ভারতীয় কথা সাহিত্যেরর এই বটবৃক্ষটির ছায়ার ব্যাপ্তি যেমন ছিলো অনেকটা নিয়ে তেমনি এর একক নিঃসঙ্গতা ছিলো অনেকটা জুড়ে, বুকের ও মনের মধ্যে তাই লাল্পন করতেন, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের মতই তার প্রকাশ ছিলো না। একাকিত্বকে তিনি তার লেখার শক্তি করে তুলতেন । গভীরভাবে ডুব দিতেন পড়াশোনায়। এর একটি ক্ষেত্রেও তিনি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তুলনীয়, অনেক চিঠি ও বই তার কাছে আসতো নতুন লেখক তার বই বা লেখা প্রকাশের পর তাঁকে দিতেন, মতামতের প্রত্যশা নিয়ে। তিনি এই বই ও লেখাগুলো পড়তেন মনোযোগ দিয়ে এবং তার মতামত জানাতেন লিখে বা চিঠিতে। একটি ঘটনার উল্লেখ করি এখানে, তিস্তাকে নিয়ে একটি অসাধারণ কাজ করেছেন উৎপল ও সুমিতা চৌধুরী, লেখা ও ফোটোগ্রাফিতে তিস্তা। তিনি বইটি হাতে পেয়েই আনন্দবাজার পত্রিকায় একটি দীর্ঘ উপ-সম্পাদকীয় লিখলেন, নিজে থেকে যোগাযোগ করে এই দম্পতিকে তিস্তা নিয়ে আরো তথ্য ও যোগাযোগ করে দিলেন। এই কাজটি তিনিই করতে পারেন, অনেক নতুন লেখতে আসা অনেক কবি সাহিত্যিককে তিনি স্বতঃপ্রণদিত হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, কোনো স্বার্থের থেকে নয়, অন্তরের তাগিদ থেকেই। কিন্তু এর পরেও তিনি একক ও নিঃসঙ্গ থেকে গেছেন। তার রাজনৈতিক মতাদর্শের সাথী বা তাঁর আস্থার জায়গাগুলো থেকে ‘বেদনা’ই ছিলো তাঁর অর্জন। এক বিষন্ন দিনের সাক্ষাৎকারে দেবেশ রায় বলেছিলেন, ‘সংস্কৃতে ‘বেদ’ কথাটির অর্থ জ্ঞান… জানা… যা থেকে ‘বিদ্যা’ । বিস্ময়ের কথা যেটা, সেটা হচ্ছে এই একই ধাতু থেকে ‘বেদনা’। আমি পড়াশোনা করেছি আমার নিজের ক্ষমতার মধ্যে যতটা সম্ভব। কোনো কিছুকেই আমার মনে হয় না যে এটা আমার বিষয় নয় কিন্তু তার মানে আমি যে সব বিষয়ের যোগ্য তা তো নয়। আমি সায়েন্স জানি না, অংক জানি না । ইংরাজী-বাংলা ছাড়া কোনো ভাষা জানি না এবং আমি যতটাই পড়াশোনা করেছি, জ্ঞান চর্চাতে পরিত্রাণ খুঁজেছি ততটাই বেদনা নিয়ে ফিরে এসেছি…।”
দেবেশ রায়ের ‘দাদু’ ১৯১৭ সালে জলপাইগুড়ি জিলা স্কুলের সহকারী হেড মাস্টার হিসাবে অবসর নেন। এই হিসাবে এই শহরের সংগে তাঁদের তিন পুরুষের টান। দাদুর অবসরের পর প্রতি বছর ‘আয়াপিয়ার’ হতে আসা কঠিন হয়ে পরায় তাঁদের পাকাপাকিভাবে জলপাইগুড়ি চলে আসা। পরে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা এই ‘নাড়ীর টান’এর শহর থেকে২০০০এর সূচনায় পাকাপাকিভাবে ‘শেকড় ছিঁড়ে’ চলে যান তাঁরা কিন্তু শেকড় ছেঁড়ার অদ্ভূত যন্ত্রণা তাকে তাড়িয়ে বেরায়, উত্তরের কথায় সে যন্ত্রণা চোখমুখে টের পাওয়া যায়। প্রতি বছরই তাই এসে ঘুরে যান তার নাড়ীর টানে, গত বর্ষাতেও তেমনি তিস্তা নদী এবং তার মানুষজনের মধ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন, বুকভরে শ্বাস নিয়েছেন তাঁর তার শেকড়ের কাছে। ১৩-১৪ বছর আগে তাঁর আত্ম-জীবনীধর্মী গদ্যে দেবেশ রায় লিখেছিলেন– ‘কলকাতার ফ্ল্যাটবাড়িতে আমাদের বিকেলটা- সন্ধ্যেটা একটু নিঝুম। কাকলি বাড়িতে থাকলে গানের গুঞ্জন শোনা যায় একটু, না থাকলে তা নয়। সেই সময় বাইরের আকাশে সন্ধ্যে হওয়া, রাতপোকাদের প্রথম আওয়াজ ও সকাল জুড়ে পাখিদের দলবাঁধা পারাপার শোনা যায়। ঘরের চেয়ারে বসে বসেই অনেকটা বেড়ানো যায়। শুনেছি মাত্র বিশ ধাপ ওপরে বিশাল ছাদ সারা আকাশময় ও ভ্রমণ সম্পন্ন। ঐ বিশটি ধাপ পেরুতে পারি না। দেবেশ রায় তাঁর বিস্তারমগ্ন গদ্যের মধ্য দিয়ে আমাদের ভ্রমণসঙ্গী করেন, খুঁচিয়ে দেন পাঠকের ভ্রমণতৃষ্ণা। নিজেও এই ভ্রমণেই জুড়ে থাকতেন। জীবনসঙ্গী কাকলি রায় অসাধারণ গাইতেন। তিনি নিজে হাতে অভিভাবকের মুন্সিয়ানায় জুড়ে রেখেছিলেন দেবেশ বাবুর নকশিকাঁথার সংসার।সেই কাকলি দি চলে যাওয়ার পর সম্পূর্ণ একা হয়ে যান। তাই হয়তো ফাঁকা ফ্ল্যাটবাড়িতে তার দম বন্ধ হয়ে উঠতো। গত ফেব্রুয়ারিতে তার বাসায় যখন এই নিঃসঙ্গ মানিষটির সাথে দেখা করতে যাই তিনি বললেন, আমাকে জলপাইগুড়ি থাকতে দেবেন? আপনাদের কাছে, আমার নিজের জায়গায়? তাঁর অসুস্থতার কারণে ছেলের অনুমতি মিলবে না তাও জানালেন। তবুও কথা হল পূজোর লেখালেখির চাপ সামলে নিয়ে তারপর জলপাইগুড়ি আসবেন কিন্তু সেই শেকড়ের কাছে আসা তার আর হলো না।
আমাদের আনন্দচন্দ্র কলেজ আমাকে তার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলো স্মৃতি ও সত্তায়। বাংলা আকাডেমির এক সভায় মঞ্চ থেকে তিনি দর্শকসনের আমাকে দেখিয়ে বলেছিলেন, ওই ছেলেটি আমার কলেজের পত্রিকা ও সংস্কৃতি সম্পাদক হয়েছিলেন, আমার তিন দশক পরে। এক অর্থে তাই সে ও আমি একটি রেখায় দাড়িয়ে আছি, স্মৃতির। একবার তিনি এলেন, আমাদের, দ্যোতনা মল্লারের অনুষ্ঠানে। পরদিন সকালে বললেন, আমি আমার পুরোনো বন্ধু ও পুরোনো জায়গাগুলো দেখতে চাই। আমিও বাইক নিয়ে সাত সকালে তাঁকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম শহর ঘুরতে। এরপর তিস্তা নদী। পুরোনো শহরকে, তার জলপাইগুড়িকে তিনি আত্মায় ধারন করে ছিলেন। সেই শহরে তার আর ফেরা হলো না…।
কবি, প্রাবন্ধিক ও সম্পাদক এই ত্রিবেণী সঙ্গমে স্বতন্ত্র সমুজ্জ্বল গৌতম গুহ রায়। ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গের হিমালয় সন্নিহিত শহর জলপাইগুড়িতে ১৯৬৪র ২৩ জানুয়ারি তার জন্ম। যদিও তার মানসলোকে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ মিলে একটি অখণ্ড বাংলার প্রতিচিত্র দেদীপ্যমান। গৌতম নিজেকে সেই বাংলার মানুষ হিসাবে পরিচয় দিতেই ভালোবাসেন। এরও পেছনের কারণ হয়তো গৌতমের আদি বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুরের মালখানগর। ১৯৪৭ এর দেশ ভাগের যন্ত্রণা বুকে নিয়ে তার পূর্বপুরুষ চলে যান ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। এই ছিন্নমূলের খোঁজের আর্তি গৌতম গুহ রায় ছড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর কবিতা ও গদ্যে। পেশায় ব্যাংককর্মী গৌতম একজন সাংস্কৃতিক কর্মীও বটে। বাম রাজনৈতিক মতে বিশ্বাসী গৌতম তাই শিল্প সাহিত্যের অনুষঙ্গ এ মুক্ত মানবতার লড়াইয়ে একজন অকুতোভয় সৈনিক।
তাঁর লেখা বইসমূহ:
কবিতার বই: কবিতা সাপ স্বপ্ন সহবাস, দাহ্য বৃষ্টির কবিতা, বনফুল ও নিষাদ লেখন, রেখা তামাং এর ঝর্না, কুয়াশা উড়ন্ত ঝাপি, নির্বাচিত কবিতা, কয়েকটি কবিতা, গোসাঁনী মঙ্গল প্রভৃতি।
গদ্যের বই: আশা স্বপ্নের ছাই ভষ্ম, স্বপ্ন পরিব্রাজকেরা, প্রভৃতি সংকলন: ভাষাঃসংবেদন ও সৃজন, ভাষা চর্চা: তর্ক বিতর্ক, তিস্তাভুমির গল্প।
অনুবাদের বই: র্যাবো; উন্মাদ সৌরকণা, র্যাবো অনন্ত আত্মার প্রহরী।
সম্পাদিত লিটল ম্যাগাজিন: দ্যোতনা।