খিদে
খিদের পর খিদে সবদিক —
সব দিক বরফে ঢাকা…
মানুষের হাঁ একইভাবে খোলা
পলক নড়ে না
বয়েস বাড়ে না
শুধু রোদ পড়লে
দাঁত চিকিয়ে ওঠে —
একটা কামড় বসানোর মুহূর্ত
বরফ জ’মে গেছে
নাভিতে হেমন্তর ধুয়ো
সারা শরীর ভাত ফুটত
ফুটো ফুটো শরীর দিয়ে
সকড়ি ইস্কাবন
সকড়ি হরতন —
এত অব্দি পাহাড়ি হাওয়া…
মরা লোকটার মতই ফ্রেশ
তার পাকস্থলীর মরা খাবারগুলো…
আমরা বরফ সরাই
খাঁ-খাঁ এক দৃশ্যে চেপে ধ’রি রক্ত…
কোনো লোক নেই যাকে বলি,
আমাদের দেখাগুলো খুচরো ক’রে দাও
চাল কিনি, সবজি কিনি
পরস্পর
লাশেদের রোলকল
— এও একটা কাজ
প্রত্যেকটা ক্রমাঙ্কে জল ভ’রে রাখি…
দূরত্বের একমনে ভিজতে থাকা গাছগুলো —
হয়ত তাকিয়ে আছি লাশটার চোখে,
চোখ নেভানোর জন্য
প্রয়োজনীয় জল ভুলে গেছি
নক্ষত্রের নিচে
মানুষেরই ভুলের সিল্যুট…
এবং রুটিন
প্রত্যহ সিংহাসন ঘাঁটাঘাঁটি
রাতে, সারাদিনের সম্রাট কেচে রাখি
বিরিয়ানী
ঋতু সংক্রমণ ঘটে ব্লেডে
ধারালো হয় উড়তে থাকা সংখ্যাদের হুর
তীক্ষ্ণ হয়
তারাদের স্ক্রু আঁটতে আঁটতে
অন্ধকারে ন’ড়ে ওঠে মৌরীতলার বউ
লোকটা প’ড়ে যায় আচমকা
বরফের ঘনত্ব নিয়ে—
তার কানে তখনও ডানা ঝাপটানো…
ডানার হুইশেলে
সিদ্ধ হচ্ছে মাংস—
একটা বড়ো হাঁড়িতে
আয়োজিত, বিরিয়ানী হাহাকার
.
